Loading...
November 21, 2022

The Germany Academic Exchange Service যাকে সংক্ষেপে বলা হয় ডাড স্কলারশিপ- যা একটি জার্মানভিত্তিক স্কলারশিপ। জার্মানীর অন্যতম প্রেস্টিজিয়াস স্কলারশিপ হল ডাড স্কলারশিপ। যারা উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে চান জার্মানী, তাদের জন্য ডাড একটি লোভনীয় স্কলারশিপ। মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য এই স্কলারশিপ প্রদান করা হয়ে থাকে। এই স্কলারশিপে আপনি ১০ থকে ১৪ মাস মেয়াদী মাস্টার্স বা পিএইচডি করতে পারবেন বা এই সময়ের জন্য সার্বিক সহযোগিতা পাবেন। এটি প্রথম চালু হয় ১৯২৫ সালে আর বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপে আবেদন করতে পারে।

স্কলারশিপ এর নাম

ডাড (DAAD ) স্কলারশিপ

যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে

এই স্কলারশিপে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সের জন্য শিক্ষা সহায়তা পাওয়া যায়। নিচের লিস্টের ফিল্ডসগুলর বিভিন্ন সাবজেক্টের জন্য আপনি স্কলারশিপ আবেদন করতে পারবেনঃ

Economic Sciences/Business Administration/Political Economics, Development Cooperation, Engineering and Related Sciences, Mathematics, Regional and Urban Planning, Agricultural and Forest Sciences, Natural and Environmental Sciences, Medicine and Public Health, Social Sciences, Education and Law, Media Studies

দেশ এবং কর্তৃপক্ষ

জার্মানী। জার্মান সরকার (Deutscher Akademischer Austauschdienst (DAAD))

বৃত্তির সুযোগ সুবিধাসমূহ

ডাড স্কলারশিপের আওতায় আপনি যা যা পাবেনঃ

১। টিউশন ফি ও পরীক্ষার ফি

২। মাসিক ভাতা (মাস্টার্স প্রোগ্রামে ৮৫০ ইউরো, পিএইচডি-র জন্য ১২০০ ইউরো)

৩। বিমান ভাড়া

৪। স্বাস্থ্যবীমা

৫। বিশেষ ক্ষেত্রে বাড়ি ভাড়া এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য মাসিক ভাতার ব্যবস্থা

আবেদনের যোগ্যতা

ডাড স্কলারশিপের জন্য আপনার থাকতে হবে নিম্নোক্ত যোগ্যতাঃ

১। ন্যূনতম বি,এসসি ডিগ্রী থাকতে হবে।

২। কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ২ বছর।

৩। IELTS Score প্রয়োজন পড়বে ৬.৫। তবে বেশ কিছু প্রোগ্রামে আবেদন করতে Medium Instruction English থাকলেই চলবে। তাই অবশ্যই আবেদনের সময় জেনে নিতে হবে আসলে আপনার কি কি লাগছে।

৪। প্রার্থীকে উন্নয়নশীল দেশের হতে হবে।

চেষ্টা করবেন, আপনার স্টাডি গ্যাপ যেন ৬ বছরের বেশি না হয়। ৬ বছরের যত কম হবে, তত ভালো।

DAAD Scholar
Image Source: Internet

আবেদনের সময়সীমা

ডাড (DAAD) স্কলারশিপের বিভিন্ন ফিল্ডের বিভিন্ন সাবজেক্টের আবেদনের সময়সীমা বিভিন্ন। তাই আপনাকে সহযোগিতা নিতে হবে নিচের লিংকের, যার সাহায্যে জেনে নিতে পারবেন আপনাকে কখন আবেদন করতে হবে।

https://www.daad.de/en/

যেসকল দেশের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য

বিশ্বের অনেক দেশ সহ বাংলাদেশের জন্য এই স্কলারশিপ ওপেন আছে।

আবেদন প্রক্রিয়া

প্রথমেই ডাডের অনুমোদিত কোর্সগুলো থেকে কোর্স নির্বাচন করে আপনাকে বেছে নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়। তারপর করে ফেলুন আপনার আবেদন। মনে রাখবেন আপনি সর্বোচ্চ তিনটি কোর্সে আবেদন করতে পারবেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করবে। আর তারাই আপনাকে ডাড স্কলারশিপে আবেদন করতে বলবেন। এরপর আপনি নিচের লিঙ্কে গিয়ে আবেদন করে ফেলুনঃ

https://www.mydaad.de/en/

ডাড স্কলারশিপের প্রোগ্রামের জন্য আপনাকে জমা দিতে হবেঃ

১। Online আবেদন ফর্ম

২। সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশীট

৩। Euro Pas Formatted CV

৪। SOP

৫। বিশ্ববিদ্যালয়ের offer Letter (যদি থাকেন, তাহলে আবেদনের সাথেই দিতে হবে)

৬। রিকমেন্ডেশন লেটার (২ টি) – সাইন ও সীল দিয়ে সীলড অবস্থায় দিতে হবে।

৭। Work Experience Certificate

৮। IELTS Certificate (যদি প্রয়োজন হয়)

৭। NID

৮। পাসপোর্টের কপি

তথ্যসুত্রঃ

November 21, 2022

কেন জার্মানিতে পড়তে যাবেন?

জার্মানীকে বলা হয় “The Land of Ideas” বা “The Land of Engineers”- আর এর পেছনে যথেষ্ঠ কারণও রয়েছে। জার্মানী প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে এগিয়ে গেছে অনেক দূর। তাই নিঃসন্দেহে জার্মানী উচ্চ শিক্ষার জন্য হতে পারে কাঙ্ক্ষিত স্থান। এক্ষেত্রে প্রথমেই যে সুখবর দিতে চাই তা হল, এ দেশের প্রায় ৯০% বিশ্ববিদ্যালয়ে দিতে হয় না কোন টিউশন ফি। শুধু আপনাদের দিতে হবে সেমিস্টার ফি, যার পরিমাণ ১৫০-৪০০ ইউরো- ক্ষেত্র বিশেষে এটা ৫০০-৭০০ ইউরো।

এই প্রযুক্তির দেশে আপনাকে যে শুধু জার্মান ভাষায় শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে এমনটা নয়। এখানে ইংরেজী ভাষায়ও পড়াশুনার সুযোগ রয়েছে। এজন্য আপনাকে নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয় বেছে নিতে হবে।

Higher Study in Germany
Image Source: pexels.com

জার্মানীতে সাধারণত Summer Session (1st December – 15th  January) এবং Winter Session (May – 15th  July) – এই দুই সেশনে ভর্তি নিয়ে থাকে। যদি আপনি উচ্চ মাধ্যমিক দিয়ে জার্মানীতে স্নাতক পর্যায়ে পড়তে যেতে চান তাহলে আপনাকে StudienKolleg করতে হবে এবং Entrance Exam-এ নির্দিষ্ট পরিমাণ নম্বর পেলেই মিলবে এডমিশন। আর যদি এই পন্থায় যেতে না চান, তাহলে বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৫%  Credit সম্পন্ন করে যেতে পারবেন স্নাতক ডিগ্রী অর্জনের জন্য। আবার আপনি যদি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা Diploma কোর্সে জয়েন করেন তবে আপনাকে বাংলাদেশেই ১ বছর পড়াশুনা করতে হবে এবং ৫০% এর অধিক নম্বর অর্জন করতে হবে। এই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিতে হবে এবং সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের Requirement বিবেচনা করতে হবে।

জার্মানীর Student Visa এর প্রকারভেদ

  1. Student Visa (Fix Term Language Course)

নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে এই ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ নেই। ৩-৬ মাস মেয়াদী এই ভিসা, ভাষা শিক্ষালাভের জন্য দেওয়া হয়। এ সময় Part Time/ Full Time Job এর কোন সু্যোগ নেই।

  1. Student Application Visa

এই ভিসার প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হল, আপনাকে প্রথমে German Language Course করে জার্মানি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং পরবর্তীতে জার্মান ভাষায় আপনাকে কোর্স সম্পন্ন করতে হবে। এ জন্য আপনাকে জার্মান ভাষার B2 Course (European Framework Level 2) পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। এই ভিসায় আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী মাধ্যমে পড়তে পারবেন না এবং আপনার Part Time/ Full Time Job করার সুযোগ নেই।

  1. Student Visa (Direct Admission to University)

এটাই সেই ভিসা যেখানে আপনার ইংরেজী মাধ্যমে পড়াশুনা এবং কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন। তাই কষ্ট হলেও আপনার এই ভিসা অর্জনের চেষ্টা করা শ্রেয়।

জার্মানীতে পড়তে যাবার বিভিন্ন বিষয়াবলী

(১) যোগ্যতা

অনেকেই মনে করে জার্মানীতে পড়তে যাবার জন্য আপনার CGPA ৩.০০ এর উপরে লাগে। এটা সম্পূর্ণ ভুল- কারণ ৩.০০ এর চেয়েও কম CGPA নিয়েও অনেক অনেক শিক্ষার্থী পাড়ি জমাচ্ছে জার্মানীতে। তবে, CGPA ৩.০০ এর বেশী থাকলে অবশ্যই আপনি অনেকের চেয়ে এগিয়ে যাবেন। তাই চেষ্টা করুন CGPA ৩.০০ এর বেশি রাখার। আর একেবারেই যদি তা সম্ভব না হয়, অন্যান্য কো-কারিকুলাম এক্টিভিটির মাধ্যমে নিজেকে তৈরী করে নেওয়া উচিত।

(২) কোর্স বাছাই

প্রথমে  https://www.daad.de/deutschland/studienangebote/international-programs/en/  – Link এ গিয়ে Course Type (Bachelor’s, Master’s and Phd), Course Language (English or Germany) এবং Field of Study সঠিক মত বাছাই করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, আপনি কোন ভাষায় পড়াশুনা করতে চান সেটা সঠিকভাবে নির্বাচন করেছেন কি না। এবার কোর্স বাছাই ও বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই শেষ হলে আপনাকে দ্বারস্থ হতে হবে Google, Wiki বা বৃহৎ ভাবে Internet সার্চের। আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের Ranking সহ যাবতীয় তথ্য খুঁজে নিতে ভুল করা যাবে না। কারণ এই বিশ্বাবিদ্যালয় আপনার পরবর্তী জীবনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর সঠিক কোর্স না বেছে নিলে, আপনাকে ভুগতে হবে নানা ভাবে। তাই এমন কোর্স নির্বাচন করুন যা আপনার ভালো লাগে আর আপনি যে কোর্সের মাধ্যমে নিজেকে দাঁড় করাতে পারবেন।

(৩) ভাষাগত যোগ্যতা

Student Visa Regulation, Update- April, 2015 অনুযায়ী বর্তমানে জার্মানীতে Student Visa এর জন্য IELTS/ TOEFL- এর প্রয়োজন হয়। তবে High Ranking University-তে GRE-ও চাইতে পারে। তবে এই সব দেখে ভেঙ্গে পড়লে চলবে না, ব্যাচেলরের ৪ বছরের Medium of Instruction যদি হয় English, তবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই আপনি IELTS ছাড়াই Admission পাবেন। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য Interview-এ ডাকে। এসব Interview-এ খুব জেনারেল বিষয় নিয়েই কথা হয়। তবে Visa Interview-এ আপনাকে অবশ্যই ইংরেজীতে পারদর্শিতা দেখাতে হবে। IELTS এ ৬.৫ স্কোর (কোন সেকশনেই ৬.০ এর নিচে নয়), থাকলে আপনি অনেক অংশে এগিয়ে যাবেন।

Sprechen Sie Deutsch
Image Source: Internet
এখন আসি আপনি আপনার পড়াশুনা কোন ভাষায় করবেন (জার্মান নাকি ইংরেজী) সেটা সম্পূর্ণ আপনার বিষয়। তবে আমার ব্যক্তিগত মতামত হবে,যেহেতু জার্মানির অফিসিয়াল ভাষা জার্মান/ডয়েচ সেহেতু জার্মান ভাষায় কোর্স নেওয়া।  জার্মানিতে বসবাস, চাকুরি অথবা লেখাপড়ার ক্ষেত্রে ইংরেজী ভাষা আপনাকে খুব বেশি একটা সাহায্য করবে না।  তাছাড়া কোর্স সমাপ্তির পর ফুল টাইম জব অথবা পারমানেন্ট রেসিডেন্টশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে জার্মান ভাষা এর বিকল্প নাই।  

(৪) সেমিস্টার ও আবেদনের ডেডলাইন

প্রথমতঃ আপনি যে কোর্সটি করবেন বলে ঠিক করেছেন, সেটা কোন সেমিস্টারে (Winter/ Summer/ Both) অফার করা হয়েছে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল ডেডলাইন ফলো করা। কোর্সটি কবে শুরু হল, কবে শেষ হবে এবং কবে এপ্লাই করতে হবে, কোর্সের বিবরণ, কোর্সের ক্রেডিট সবটার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে হবে- নতুবা অনেক সময় বড় ভুল হয়ে যেতে পারে। ভিসা ইন্টারভিউ এর সময় এই বিষয়ে জানতে চাইতে পারে।

(Semester Fee এবং Living Cost

মজার বিষয় হল, জার্মানীতে টিউশন ফি, এনরোলমেন্ট ফি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগে না। আবার কোথাও কোথাও সেটা ৫০০-৭০০ ইউরো-ও হয়ে থাকে। আদতে, এই ফি গুলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, কোর্স থেকে কোর্স- এগুলোর ভিন্নতা দেখা যায়। অফিসিয়ালি যদিও বলা হয় জার্মানিতে থাকা খাওয়া বাবদ ৮০০ ইউরো মত খরচ হবে, কিন্তু আপনি চাইলে অনায়াসে ৫০০ ইউরোর মধ্যে সব খরচ মিটিয়ে ফেলতে পারবেন। আবার, অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষার্থীদের কার্ড দেয়, যার মাধ্যমে তারা অনায়সে যাতায়াত করতে পারে। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে ট্রান্সপোর্টেশন অথরিটির চুক্তি থাকে- এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলো তাদের টিউশন ফি-এর সাথে এই অর্থ কেটে নেয়। এমনকি অনেক বিশ্ববিদ্যালয় যাদের টিউশন ফি নাই, তারাও এই সুবিধা দিয়ে থাকে।

এখানে একটি খসড়া এস্টিমেট দেওয়া হল আপনাদের সুবিধার জন্যঃ

  1. Application Fee: Free of Cost/ 68 Euro [Depending on any assistance you take]
  2. Blocked Account: 10236 Euro
  3. Airfare: 600-750 Euro
  4. Hand Cash: 2000 Euro (Approximately)

So, total Cost: 13,000 Euro (Approx.)

Monthly Expense:

  1. Rent: 300 + Euro
  2. Health Insurance: 80+ Euro
  3. Food: 60+ Euro
  4. Telephone, Internet & Television License: 20- 35 Euro
  5. Leisure Activities: 10 -60 Euro

Approximately 535 + Euro

Study in Germany- Accommodation
Image Source: pexels.com

আর জার্মানীতে হোস্টেল বা বাসা খোজার চিন্তা করবেননা- কারণ আপনার সহায়তায় আছে DAAD Accommodation Finder, studenten ইত্যাদি।  এজন্য ব্রাউজ করুনঃ

১। https://www2.daad.de/deutschland/nach-deutschland/bewerbung/en/22222-student-residence-hall/

২।  https://www.studentenwerke.de/en

(৬) বিশ্ববিদ্যালয় ও শহর বাছাই পর্ব

আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের Ranking এর পাশাপাশি সেটা কোন শহরে অবস্থিত সে বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে, কারণ অনেক শহরের ক্ষেত্রে লেখা থাকে “Only a little Chance of Part-time Job”- এসব শহর এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

(৭) পার্ট টাইম জব, পি-আর ও নাগরিকত্ব

জার্মানীতে পার্ট টাইম জব করার সুযোগ রয়েছে- তবে সে সুযোগ একজন বিদেশি নাগরিক হিসেবেই পাবেন। আর সেমিস্টার ব্রেকে পাবেন ফুল টাইম জব করার সুযোগ। এ ক্ষেত্রে জার্মান ভাষায় দক্ষতা থাকলে খুবই ভালো হয়।

জার্মানীতে পড়াশুনার শেষে আপনি ১.৫ বছরের জব সার্চ ভিসা পাবেন। আপনি যদি একটানা ৫ বছরের বেশি জার্মানীতে থাকেন তাহলে পি-আর এর জন্য এবং ৮ বছর পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

(৮) ব্লকড একাউন্টস (Blocked Account)

জার্মানীতে একটি ব্লকড একাউন্টসে আপনার থাকা খাওয়া বাবদ ১০,২৩৬ ইউরো ফিক্সড করে রাখতে হবে। এজন্য কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক অব সিলন ব্যাঙ্কের সুখ্যাতি রয়েছে। তবে ব্লকড একাউন্টস করার সময় ব্যাঙ্কের ফি, সুবিধা অসুবিধা ইত্যাদি ভালো করে বিবেচনা করে নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ। ভয়ের কারণ নাই, ভিসা পেলে প্রতি মাসে ৮৫৩ ইউরো করে আপনি টাকা তুলে ফেলতে পারবেন। এবং এক বছর পর গোটা টাকাটাই তুলে ফেলতে পারবেন। যেসব শিক্ষার্থী সাধারণত ব্লকড একাউন্টসে টাকা রেখে জার্মানীতে যান, তাদের এই টাকায় সাধারণত হাত দিতে হয় না। পার্ট টাইম জব করেই খরচ মেটাতে পারবেন। এটা মূলত একটা ভিসা ফরমালিটি। এক্ষেত্রে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, ব্লকড একাউন্টের টাকা যেহেতু জার্মানীতে যাবে সেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতির বিষয় আছে- তাই হাতে সময় নিয়ে আবেদন করতে হবে।

(৯) প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

লিঙ্কঃ https://dhaka.diplo.de/contentblob/4989256/Daten/7335126/2017ChecklistStudent.pdf

এখানে আপনি পেয়ে যাবেন কি কি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপনার প্রয়োজন পড়বে। নিম্নে একটি তালিকা দেওয়া হলঃ

  • Valid Passport (with a Validity of at least 12 months)
  • Three Nos. Recent Biometrical Passport Photographs (Not Older than 6 months)
  • Two Completed Visa Forms (including 2 Pictures)
  • Admission Letter (Original+2 Copies)
  • Blocked Account Confirmation (Original+2 Copies)
  • Health Insurance (Original+2 Copies)
  • All Academic Certificates (Original+2 Copies)
  • IELTS Certificate (Original+2 Copies)
  • GRE Certificate, if required (Original+2 Copies)
  • Photocopy of Passport (2 Copies)
  • German language Course Certificate (Original+2 Copies) [ If Applicable]
  • Police Clearance (If required)
  • Birth Certificate (If required)

ভিসা আবেদনের জন্য আপনাকে Appointment নিতে হবে – আর একটা ফোন কলে আপনি সেটা পেয়েও যাবেন। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, E-mail বা Fax এর মধ্যমে কোন Appointment দেওয়া হয় না।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন পর্ব

আবেদন করার পূর্বে আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ হবে, University Website – এ গিয়ে Admission Section এর E-mail নিয়ে তাদের কাছ থেকে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যে, তাদের আসলে কি কি ডকুমেন্টস লাগবে। জার্মানীর অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে Hard Copy দিতে হয়, সে জন্য তাদের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে True Cope নাকি Notarized Copy দিতে হবে। আপনি সব কাগজ চাইলে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মাধ্যমে পাঠাতে পারেন- সেক্ষেত্রে খরচ অনেক কম লাগবে (আনুমানিক ২০০ টাকা মাত্র)। তবে ডাক বিভাগের মাধ্যমে পাঠাতে সময় লেগে যাবে প্রায় ৭-১৫ দিন। তাই হাতে সময় না থাকলে আপনাকে যেতে হবে DHL বা FedEx এর কাছে। DHL বা FedEx সাধারণত ৪-৫ দিনের মধ্যেই কাগজপত্র জার্মানীতে পাঠিয়ে দিবে।

Study in Germany - Admission
Image Source: pexels.com

তাহলে এখন বুঝতেই পারছেন জার্মানীতে আবেদন করা কঠিন মোটেও নয়। তাই, অন্যের কাছে না গিয়ে নিজেই করে ফেলুন নিজের আবেদন। শুভ কামনা রইলো আমাদের পক্ষ থেকে।

তথ্যসুত্রঃ

November 21, 2022

উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যারা নিজস্ব ফানডিং (স্কলারশিপ ছাড়া) এ বিদেশে পড়ালেখা করতে যান তাদের অধিকাংশ ক্ষেত্রে বলতে গেলে সকল দেশের ক্ষেত্রে ভিসা আবেদনের সাথে আর্থিক সচ্ছলতার প্রমান স্বরুপ স্পন্সরশীপ / সার্টিফিকেট অফ সলভেন্সি (সচ্ছলতার সনদ) জমা দিতে হয়।

জার্মানীর ক্ষেত্রে এই আর্থিক সচ্ছলতার প্রমানের বিষয়টি সম্পুর্ন ভিন্ন। জার্মানীতে স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের জন্য আপনাকে খুলতে হবে একটি ব্লক ব্যাংক একাউন্ট। বিস্তারিত জানতে পড়তে থাকুন।

ব্লক ব্যাংক একাউন্ট কি?

ব্লকড ব্যাংক একাউন্ট হল এমন একটি ব্যাংক একাউন্ট যা জার্মানির কোন একটি ব্যাংকে আপনার নামে খুলতে হয়। এখানে প্রায় 10236 ইউরো (২০২০ সাল এর নতুন ঘোষনা অনুযায়ী) এর মত টাকা জমা করতে হয়। এই টাকাটা আপনি জার্মানিতে গিয়ে মাসে মাসে তুলতে পারবেন। মাসে সর্বোচ্চ প্রায় 853 ইউরো এর মত তোলা যায়।

কোন কারনে ভিসা না পাওয়া গেলে। সম্পুর্ন টাকা আবার ফেরৎ পাওয়া যায়।

কেন ব্লকড ব্যাংক একাউন্ট লাগে?

এটা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য জার্মান এমব্যাসির একটি রেগুলেশন। জার্মানির ক্ষেত্রে এই ব্লক ব্যাংক একাউন্ট কে সার্টিফিকেট অফ সলভেন্সি (সচ্ছলতার সনদ) এর সাথে তুলনা করতে পারেন। ব্লক ব্যাংক একাউন্ট এর 10236 ইউরো আপনার জার্মানিতে প্রথম ১ বছরের থাকা-খাওয়া ও অন্যান্য খরচ নিশ্চিত করে।

কোন ব্যাংক এ খুলব ব্লক অ্যাকাউন্ট?

শিক্ষার্থী-ভিসা প্রার্থী হিসেবে জার্মানির যে কোন ব্যাংকে ব্লক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন এবং ব্লক সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন।বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে পরিচিত জার্মান ব্যাংক গুলোর মাঝে Deutsche Bank,Fintiba, Sparkasse, Volksbak অন্যতম।

ব্লক সার্টিফিকেট একটি সাধারণ সার্টিফিকেট যাতে আপনি কত ইউরো ব্লক(জমা) করেছেন এবং আপনার জমা দেবার সময় ইউরো এক্সচেঞ্জ রেট (আপনি কত টাকার বিনিময় প্রতি ইউরো কিনিছেন) লিখা থাকে। আপনার ব্লক অ্যাকাউন্টে সম্পূর্ণ অর্থ জমা হ্লে ব্যাংক আপনার ঠিকানায় বা ইমেইলে এই সার্টিফিকেটের একটি অনুলিপি(কপি) এবং ঢাকার জার্মান এমব্যাসিকেও একটি অনুলিপি পাঠায়।

আমাদের বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা সবাই Deutsche Bank এ তাদের ব্লক অ্যাকাউন্ট করে থাকেন এবং আমাদের স্থানীয় ব্যাংকগুলো Deutsche Bank এর সাথে পরিচিত তাই আপনি চোখ বন্ধ করে Deutsche Bank এই আপনার মূল্যবান ব্লক অ্যাকাউন্টটি করতে পারেন।

Student blocked bank account in germany
Image Source: Internet

কিভাবে জার্মানিতে ব্লক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলব?

জার্মানিতে কোন ব্যাংক এ ব্লক অ্যাকাউন্ট খুলা খুব বেশি জটিল কিছুনা।আসুন দেখে নেই স্টেপ বাই স্টেপ-

প্রথমে জার্মানির যে ব্যাংক এ ব্লক অ্যাকাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন ইন্টারনেট অথবা সেই ব্যাংক এর ওয়েবসাইট থেকে ব্লক অ্যাকাউন্ট এর ফর্মটি (PDF) সংগ্রহ করুন ।

Deutsche Bank এর ক্ষেত্রে ফর্মটি পাবেন এখানে – https://www.deutsche-bank.de/dam/deutschebank/de/shared/pdf/pk-kredit_finanzierung-db_international_opening_a_bank_account_for_foreign_students.pdf

ডাউনলোডকৃত ফর্মটি Adobe Reader /Foxit Reader দিয়ে কম্পিউটারে পূরণ করতে পারেন। বর্তমানে YouTube এ অনেক টিউটোরিয়াল আছে, আপনি চাইলে এসব টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে ফর্ম পূরণ করার যাবতীয় তথ্য পেতে পারেন।

পূরণকৃত ফর্মটি এবার প্রিন্ট (সাদা-কালো/রঙিন) করুন, খেয়াল রাখবেন যে আপনার পূরণকৃত তথ্য যেন পরিষ্কার বুঝা যায় আপনার প্রিন্ট করা ফর্মে।

পরবর্তি ধাপে প্রিন্টকৃত ফর্মটি ঢাকাস্থ জার্মান এম্বাসি দ্বারা সত্যায়িত করতে হবে। রবিবার থেকে বুধবার যে কোন দিন বেলা ১.৩০ থেকে ২.০০টার মধ্যে ব্লক অ্যাকাউন্ট ফর্ম সত্যায়িত করতে জমা দেয়া যায়। জমা দিবেন আপনার পূরণকৃত প্রিন্ট করা ফর্ম, পাসপোর্ট এর ফটোকপি, অফার লেটার আর আপনার সকল সার্টিফিকেট। সাথে নিবেন অরিজিনাল পাসপোর্ট।। সত্যায়িত হতে সময় লাগবে ৭ দিন।

এবার আপনার সত্যায়িত ফর্মটি একটা খামে ভরে ব্যাংক এর ঠিকানায় পাঠিয়ে দিবেন।

Deutsche Bank এর ক্ষেত্রে ঠীকানাঃ
Deutsche Bank
Privat- und Geschäftskunden AG
Ausländische Studenten
04024 Leipzig
Germany

আপাতত আপনার কাজ শেষ। এবার ব্যাংক এর পালা। আপনার ব্লক একাউন্ট ওপেন হয়ে গেলে ৭-১৫ দিনের মধ্যে ব্যাংক আপনাকে ইমেইল করবে আপনার একাউন্ট এর সকল বিবরনি দিয়ে। ব্যাংক থেকে কোন প্রকার রেসপন্স পেতে খুব বেশি দেরি হলে কুরিয়ার এর ট্রেকিং নাম্বার দিয়ে ট্রেক করে দেখতে হবে আপনার প্রেরিত ফর্মটি পৌঁছেছে কিনা।

জার্মানির ব্যাংক থেকে আপনার একাউন্ট এর ডিটেইলস পাওয়ার পর আপনাকে যেতে হবে বাংলাদেশ এর কোন ব্যাংক এ। এখন বাংলাদেশ থেকে আপনার জার্মান ব্যাংক এর ব্লক একাউন্ট এ টাকা পাঠাতে হবে।

জার্মান ব্যাংক এর ব্লক একাউন্ট এ টাকা পাঠাতে  পারেন –

১। আপনার পারসোনাল একাউন্ট থেকে

২। আপনার পরিবারের সদস্য অথবা কোন আত্নীয়ের একাউন্ট থেকে

৩। ক্ষেত্র বিশেষে আপনাকে ব্যাংক এ স্টুডেন্ট ফাইল ওপেন করা লাগতে পারে

Student blocked bank account in germany
Image Source: Internet

সবার তথ্য অনুযায়ী নিচের ব্যাংকগুলো বর্তমানে ব্লক অ্যাকাউন্টের টাকা পাঠাতে সম্মত হয়েছে/পাঠিয়েছেঃ

  • AB Bank
  • City Bank
  • Dhaka Bank
  • MTB
  • NCC Bank
  • Trust Bank
  • UCBL(বেশ পূরানো অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে)

এগুলোর AD ব্রাঞ্ছে যেতে হবে, যেকোন ব্রাঞ্ছে গেলে হবে না। আপনারা একটু কষ্ট করে এদের AD ব্রাঞ্ছের ঠিকানা যোগার করে নিবেন।

টাকা পাঠানর পর আপনার জার্মান ব্যাংক যদি সম্পূর্ণ টাকা পেয়ে যায়, তাহলে তারা আপনার টাকা প্রাপ্তি স্বীকার করে আপনাকে ইমেইল করবে এবং একটি ব্লক সার্টিফিকেট আপনার ও জার্মান এমব্যাসির কাছে পাঠিয়ে দিবে।

আপনি যদি ভিসা না পান তাহলে জার্মান এমব্যাসি গিয়ে আপনাকে একটা ‘Consular Certificate’ নিতে হবে যে আপনি ভিসা পান নাই, তাই আপনার ব্লক অ্যাকাউন্ট এর টাকা ফেরত পাঠান হোক। আপনি এই সার্টিফিকেট এবং পুরনকৃত অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার ফর্ম আপনার জার্মান ব্যাংক এর ঠিকানায় পাঠিয়ে দিতে হবে, বাকিটা আপনার বাংলাদেশের ব্যাংক এবং জার্মান ব্যাংক দেখবে।

তবে ব্লকড একাউন্টস করার সময় ব্যাঙ্কের ফি, সুবিধা অসুবিধা ইত্যাদি ভালো করে বিবেচনা করে নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ। ভয়ের কারণ নাই, ভিসা পেলে প্রতি মাসে ৮৫৩ ইউরো করে আপনি টাকা তুলে ফেলতে পারবেন। এবং এক বছর পর গোটা টাকাটাই তুলে ফেলতে পারবেন।এক্ষেত্রে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, ব্লকড একাউন্টের টাকা যেহেতু জার্মানীতে যাবে সেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতির বিষয় আছে- তাই হাতে সময় নিয়ে আবেদন করতে হবে।

error: Alert: Content selection is disabled!!