Loading...
November 22, 2022

উচ্চশিক্ষার স্বর্গরাজ্য কানাডায় অনেকেই যাবার স্বপ্ন দেখেন,দেখেছেন হয়তবা দেখছেন। কিন্তু সঠিক দিক নির্দেশনা ও বিষয়গুলো সমন্ধে ভালোমত না জানার কারণে স্বপ্ন হয়ত রয়ে যাচ্ছে অধরা। কিন্তু আর চিন্তা নেই? আমরা প্রস্তুত আপনার স্বপ্নকে বাস্তবতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে। চলুন, শুরু করি স্বপ্নরাজ্য কানাডার দিকে পথ বাড়ানোর জন্য আমাদের আজকের আয়োজন।

কেন কানাডায় পড়তে যাবেন?

নর্থ আমেরিকার দেশ কানাডা  দ্বিতীয় পৃথিবীর সর্ববৃহৎ দেশ। এই দেশের আয়োতন ৯.৯৮ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার আর জনসংখ্যা ৩,৭৯,৭১,০২০ জন। এই দেশের অফিসিয়াল ভাষা ফ্রেঞ্চ ও ইংরেজী এবং মুদ্রা কানাডিয়ান ডলার। এই দেশের জিডিপি $১.৮১২ ট্রিলিয়ন আর পার কাপিটা জিডিপি হল ৪৯,৯৩১ ডলার। এই দেশের রাজধানী অটোয়া আর সর্ববৃহৎ শহর টরেন্টো। এই দেশ মূলত শীত প্রধান।

Niagra Waterfall Canada
Image Source: pixabay.com

কানাডায় পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

কানাডায় পরাশুনা করতে কমপক্ষে ৭০% নম্বরের প্রয়োজন পড়বে। কানাডায় ব্যাচেলর করতে আপনার HSC এ ভালো মার্ক্স ও IELTS এ ৬.০ কিন্তু কোন সাব-সেকশনে ৫.৫ এর নিচে পেলে চলবে না। আবার আপনি যদি মাস্টার্স প্রোগ্রামে যেতে চান, তাহলে ব্যাচেলরে আপনার ৭০% নম্বরের বেশি থাকতে হবে, IELTS এ থাকতে হবে ৬.৫, কিন্ত কোন সাব-সেকশনে ৬.০ এর নিচে নয়। ব্যাচেলরে অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ GRE / GMAT চাইতে পারে। কিন্তু স্কলারশিপ পেতে গেলে আপনার GRE/ GMAT থাকাটা আবশ্যকীয়। পিএইচডি প্রোগ্রামে অংশ নিতে মাস্টার্স থাকতে হবে এবং অন্যান্য যোগ্যতা মাস্টার্স করতে গেলে যেসব যোগ্যতা লাগে তার সমতুল্য।

কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

বিশ্বে অনেক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় এই কানাডায় অবস্থিত। তাইতো, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে, প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ লোক বিদ্যার্জনের আশায় পাড়ি জমায় কানাডায়। কিছু নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিচে দেওয়া হলঃ

সেরা  টি বিশ্ববিদ্যালয়

১) University of Toronto

২) Mcgill University

৩) University of British Columbia

৪) Mcmaster University

৫) University of Alberta

৬) University of Waterloo

মধ্যম সারির বিশ্ববিদ্যালয়

৭) Ottawa University

৮) University of Western Ontario

৯) York University

১০) University of Montreal

১১) Dalhousie University

১২) Carleton University

১৩) Queens University

১৪) Simon Fraser University

১৫) University of Manitoba

১৬) University of Victoria

১৭) Memorial University

১৮) University of Saskatchewan

আবেদন করার সময় অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ভালো করে দেখে নেওয়া উচিত। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ও র‍্যাঙ্কিং বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটের উপর নির্ভর করা উচিত নয়। অনেক সময় ওয়েবসাইটে কিছু Misleading তথ্য দেওয়া থাকে- যা শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে। অনেকেই প্রতারণার শিকার হয়ে অনেক টাকা খুইয়ে ফেলেন। তাই, সবসময় বিভিন্ন সোর্স থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সমন্ধে জানার চেষ্টা করা উচিত। আর গুগল সার্চতো আছেই।

এই দেশে পড়াশুনার মাধ্যম ইংরেজী ও ফ্রেঞ্চ। তবে আবেদনের সময় অবশ্যই আপনাকে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিতে হবে আপনি কোন মাধ্যমে পড়তে চান।

University in Canada
Image Source: Internet

কানাডায় আপনি আপনার পছন্দের সকল কোর্সই পেয়ে যাবেন। কম্পিউটার সায়েন্স, বায়োলজি, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ফুড সায়েন্স, কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড রিসোর্সেস, ইলেকট্রনিক্স, মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড সার্ভিসেস, মেরিন অ্যাফেয়ার্স, এগ্রিকালচার, ইকোনোমিক্স, অ্যাপ্লায়েড কম্পিউটার সায়েন্স, ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট, অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাসট্রোনমি, অ্যাপ্লায়েড জিওগ্রাফি, আর্কিটেকচারাল সায়েন্স, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল হেলথ, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, এডুকেশন, হোম ইকোনোমিক্স, মিউজিক, ফিলোসফি, হিস্ট্রি অ্যান্ড রিলিজিওন, ইংলিশ, ল, থিয়েটারসহ আন্ডার র্গ্যাজুয়েট পর্যায়ে প্রায় দশ হাজার বিষয় এবং পোস্ট র্গ্যাজুয়েট পর্যায়ে প্রায় তিন হাজার বিষয় পড়তে পারবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

কানাডায় ভর্তির জন্য প্রথমেই আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং আবেদন ফি জমা দিতে হবে। আবেদন ফি জমা না দেওয়া পর্যন্ত আবেদন প্রসেস শুরু হবে না। কান্ডায় আপনি ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডি সকল ধরণের প্রোগ্রামে যাবার সুযোগ আছে। কানাডায় মাস্টার্স কোর্স দুই ধরণেরঃ কোর্স-বেজড ও থিসিস-বেজড। কোর্স বেজড মাস্টার্স প্রোগ্রামে সাধারণত স্কলারশিপ পাওয়া যায় না। তবে থিসিস-বেজড মাস্টার্স প্রোগ্রামে গেলে আপনার ফান্ড বা স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ আছে। থিসিস-বেজড মাস্টার্স প্রোগ্রামে গেলে অবশ্যই প্রফেসরের সাথে যোগাযোগ করে কথা বলে নিতে হবে। এই প্রফেসর খোঁজা বেশ জটিল ও কষ্টসাধ্য প্রক্রিয়া। কারণ আপনাকে প্রফেসরদের খুঁজে তাদের রিসার্চ এরিয়া-ভিত্তিক নিজের পোর্ট-ফোলিও সাজিয়ে তাকে ইমেইল করতে হবে এবং তাকে কনভিন্স করতে হবে। প্রফেসররা সাধারণত স্কাইপি, অথবা অন্য মিডিয়ামে আপনার ইন্টারভিউ নিয়ে থাকে। কানাডায় প্রফেসর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি আপনাকে রিকমেন্ডেশন করলে, বিশ্ববিদ্যালয় অথরিটি আপনাকে ভর্তির বিষয়ে অনেক সহায়তা করে থাকে আর স্কলারশিপ পেতে আর কোন বাধা থাকে না। অনেক সময় প্রফেসর তার কাছে বরাদ্দ রিসার্চ ফান্ড থেকে আপনাকে RA (Research Assistant) পোস্ট অফার করে থাকে অথবা আপনাকে TA (Teacher’s Assistant) অফার করে কোর্স ফি দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।

কানাডায় বছরে তিনটি সেমিস্টার থাকে, যথাঃ Winter সেমিস্টার, Summer সেমিস্টার ও Fall সেমিস্টার। Winter সেমিস্টার জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত আর Summer সেমিস্টার মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত হয়ে থাকে। মূলত Fall Semester এ International Student ভর্তি কয়া হয়ে থাকে এবং এই সময়েই বেশি স্কলারশিপ অফার করা হয়ে থাকে। Fall Semester এর ব্যাপ্তি সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর- আর ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয় মার্চ-এপ্রিল থেকে আর ডেডলাইন থাকে জুন মাসে। মনে রাখবেন প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়সীমা আলাদা। তাই আবেদনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে দেখে নেওয়া উচিত আর কোন বিভ্রান্তি থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন আফিসে যোগাযোগ করা উচিত।

নিচে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিয়া দেওয়া হলঃ

১। সকলএকাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট

২। CV, মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার

৩। Statement of Purpose (SOP)

৪। পাসপোর্টের কপি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি

৫। রেফারেন্স লেটার- এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনার সম্পর্কে ভালো রিমার্ক্স থাকতে হবে।

৬। IELTS এবং প্রয়োজনে GRE/GMAT

৭। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র

সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে আপনার ভর্তি কার্যক্রম নিশ্চিত করে। তাই হাতে ১ বছর সময় নিয়ে আবেদন করা উচিত। মনে রাখবেন, আপনার পড়াশুনার মাঝে গ্যাপ ২ বছরের বেশি হলে আপনি বিপদে পড়তে পারেন। তাই এই বিষয়ে সতর্ক থাকুন।

Niagra Waterfall Canada
Image Source: Internet

পড়াশোনার খরচ ( টিউশন ফি) ও স্কলারশিপ

কানাডায় ব্যাচেলর প্রোগ্রামে আপনার খরচ হবে প্রতি বছর ১৪,০০০ থেকে ২৭,০০০ কানাডিয়ান ডলার। মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য প্রতি বছর ১৬,০০০ থেকে ২০,০০০ কানাডিয়ান ডলার খরচ হবে।

কানাডায় ব্যাচেলর লেভেলে স্কলারশিপের সুযোগ ক্ষীণ। কিন্তু মাস্টার্স প্রোগ্রামে স্কলারশিপের সু্যোগ তুলনামূলক বেশি। কানাডায় ন্যাশনাল স্কলারশিপ প্রোগ্রামের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও স্কলারশিপ পাওয়া যায়।

ভেনিয়ার কানাডা গ্রাজুয়েট স্কলারশিপ: কানাডায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ইচ্ছুক এমন শিক্ষার্থীদের কাছে সর্বাধিক জনপ্রিয় বৃত্তি এটি। কানাডার সরকার এই বৃত্তি দিয়ে থাকে।বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে বছরে ৫০ হাজার কানাডীয় ডলার দেওয়া হয়। মেয়াদ তিন বছর।

আইডিআরসি ডক্টরাল রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড: এই বৃত্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পায়। প্রতিবছরই এই বৃত্তি প্রদান করা হয়।

আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ

কানাডায় পড়ালেখার জন্য শক্ত পৃষ্ঠপোষক দেখাতে হয়। শিক্ষার্থীকে তাঁর পৃষ্ঠপোষকের ন্যূনতম ৩০ লাখ টাকা ব্যাংক হিসাব দেখাতে হবে এবং এই টাকা ন্যূনতম ৬ মাস থেকে এক বছর ব্যাংকে থাকতে হবে।

যদি স্পন্সর (মা অথবা বাবা) থাকে, তাহলে তার ট্যাক্সের কাগজ-পত্র ও ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে।

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

ভিসা পেতে আপনাকে দ্বারস্থ হতে হবে ঢাকায় অবস্থিত কানাডিয়ান এম্বেসী-এর। আপনার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত অফার লেটার ও প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সমেত আবেদন করতে হবে ভিসার জন্য।

নিচে কাগজপত্রের জন্য প্রয়োজনীয় তালিকা দেওয়া হলঃ

১। পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম

২। পাসপোর্ট ও  ফটোগ্রাফ

৩। CV, Statement of Purpose (SOP)  ও রেফারেন্স

৪।সকল মার্কশিট ও সনদ, IELTS-GRE সনদ

৫। No Objection  Certificate [শেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে]

৬।  অফার লেটার

৭। ব্যাংক সলভেন্সি পেপ্যার

৮। ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট

৯। পুলিশ ক্লিয়ারান্স

১১। হেলথ ইন্স্যুরেন্স ও মেডিক্যাল রিপোর্ট

সব কিছু ঠিকমত রুল অনুযায়ী জমা দিতে হবে। ছোট খাট ভুলের জন্যই ভিসা রিজেক্ট হয়।

University in Canada
Image Source: Internet

কানাডিয়ান হাই কমিশনের ঠিকানা:

High Commission of Canada

United Nations Road, Baridhara, Dhaka-1212, Bangladesh

Telephone: +880 2 988 7091 to 988 7097

Fax: +880 2 882 3043  +880 2 882 6585

Email: [email protected] | www.vfs-canada.com.bd

ইমিগ্রেশন এ্যাণ্ড সেটেলমেন্ট টিমের ভলান্টিয়ারগণ বিনামূল্যে তাদের ওয়েবসাইট এবং ফোরামের মাধ্যমে কানাডার স্টুডেন্ট ভিসা এবং ইমিগ্রেশনের সহযোগিতা দিয়ে আসছেন। আপনিও চাইলে তাদের ওয়েবসাইট এবং ফোরাম থেকে ঘুরে আসতে পারেন:

ওয়েবসাইট:  http://immigrationandsettlement.org/Home/Index

ফোরাম: http://forum.immigrationandsettlement.org/

কানাডায় আবাসন ব্যবস্থা ও জীবন-যাপন খরচ

কানাডায় ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের ৬ মাস হোস্টেলে থাকা বাধ্যতামূলক। এখানে থাকা বাবদ প্রতি ৪ মাসের জন্য দিতে হয় ৪,০০০ থেকে ৭,০০০ কানাডিয়ান ডলার। কিন্তু বাইরে আপনি খুব কম খরচে রুম পেয়ে যাবেন। বাইরে থাকা- খাওয়া আপনি প্রতি মাসে ৬০০ – ৮০০ কানাডিয়ান ডলারে মিটিয়ে ফেলতে পারবেন। তবে এই খরচ নির্ভর করবে আপনি কোন শহরে আছেন আর কিভাবে জীবন যাপন করছেন।

পার্ট টাইম জব এর সুযোগ

কানাডায় পার্ট টাইম জবের সুযোগ রয়েছে সপ্তাহে ২০ ঘন্টা। ব্যাচেলর স্টুডেন্টদের প্রথম ১ বছর জব করার সুযোগ থাকে। না তবে ব্যাচেলরের স্টুডেন্টগণ চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে TA, RA, Office Assistance- হিসেবে জব করতে পারে। কিন্তু মূলত এই জবগুলো মাস্টার্স বা পিএইচডি-এর শিক্ষার্থীদের অফার করা হয়।

এ ছাড়াও অফ ক্যাম্পাস ওয়ার্ক পারমিট-এর সুবিধা আছে। এই সুবিধা পেতে অবশ্য প্রায় এক বছর অপেক্ষা করতে হবে। ৬ মাস ফুল টাইম পড়া শুনার পরে আপনি এপ্লাই করতে পারবেন, কিন্তু কাগজ যোগাড় করতে সময় লাগায় মোট ৭-৮ মাস লেগে যায়। সম্প্রতি বাংলাদেশ-কে সন্দেহজনক দেশ-এর তালিকায় যুক্ত করায় প্রসেসিং সময় ১৫ দিনের বদলে কমপক্ষে ৩ মাস লাগে। সব মিলিয়ে প্রায় এক বছর অপেক্ষা করতে হবে কাজ করার পারমিশন এর জন্য।এর আগে ক্যাম্পাসের বাইরে কাজ করা অবৈধ। তার আগে এবং পরে অন ক্যাম্পাসে ২০ ঘন্টা কাজ করতে পারেন যা পাওয়ার সম্ভাবনা শুরুর দিকে খুবই ক্ষীণ। অফ/অন ক্যাম্পাস কাজ করে থাকা খাওয়ার খরচ তোলা সম্ভব হলেও টিউশন ফী দেওয়া সম্ভব না।

Students in Canada
Image Source: pixabay.com

স্থায়ী বসবাসের সুযোগ

পড়াশুনা শেষ করে শিক্ষার্থীরা ১-৩ বছরের ওয়ার্কপারমিট পান এবং পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্যে আবেদন করতে পারেন। কানাডার প্রভিন্সগুলোর মধ্যে সাসকাচুয়ান, ম্যানিটোবা, নিউ ফাউণ্ডল্যান্ড এ্যাণ্ড ল্যাব্রাডরে শিক্ষার্থীদের স্থায়ীভাবে আবাসনের সুযোগ রয়েছে। একইসঙ্গে অন্টারিও প্রভিন্সের মাস্টার্স প্রোগ্রাম কমপ্লিট করার পরেও একজন শিক্ষার্থী স্থায়ীভাবে থেকে যাবার জন্যে আবেদন করতে পারেন। সম্প্রতি রুরাল এ্যাণ্ড নর্দার্ন পাইলট প্রোগ্রামটিও শিক্ষার্থীদেরকে আশার আলো দেখাচ্ছে।

কিছু প্রয়োজনীয় সাইট-এর এড্রেস

১। http://www.ouac.on.ca – এটি অন্টারিওর বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তির অনলাইন সাইট। এটার মাধ্যমে এপ্লাই করতে পারেন অথবা সরাসরি এপ্লাই করতে পারেন। এটা নির্ভরযোগ্য। খরচ একটু বেশী- কিন্তু টাকা কোথায় ঢাললেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবেনা এবং অনলাইনে আপনার ভর্তির স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। এপ্লাই করার পর এই সাইট নিয়মিত চেক করা উচিত। গুরুত্বপূর্ণ: সঠিক ফরম পূরণ করবেন।

২। http://www.aucc.ca/index_e.html – কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাইট। এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন। কিন্তু সব সঠিক নয় (কিছুটা এদিক সেদিক)।

৩। http://oraweb.aucc.ca/dcu_e.html – প্রোগ্রাম অনুসারে সার্চ করে, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর একটি লিস্ট বানাতে পারেন।

৪। http://cic.gc.ca/english/study/index.asp  – সরকারী সাইট- এখানে স্টাডি পারমিট এবোং পড়াশুনা বিষয়ক সব ধরণের ফর্ম এবং সরকারী সিদ্ধান্ত জানতে পারবেন।

৫। http://www.studyincanada.com/english/index.asp – আরেকটি উপকারী সাইট।

Life in Australia
Image Source: pexels.com

অপার সম্ভবনার দেশ কানাডা। আপনার নিজের সম্ভবনা তৈরীর জন্য কানাডায় পাড়ি জমাতে পারেন। শুভ কামনা রইলো আমাদের পক্ষ থেকে।

তথ্যসুত্রঃ

November 22, 2022

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সেঞ্জেনভুক্ত দেশের লিস্টে অন্যতম এক নাম লিথুয়ানিয়া। শুধু এর সৌন্দর্য্য বিশ্ববাসীকে এর দিকে আকৃষ্ট করে না বরং এর সাথে উচ্চমানের শিক্ষার ব্যবস্থ এই দেশকে সুপরিচিত করে তুলেছে বিশ্ববাসীর কাছে। তবে আর দেরি কেন? চলুন আজ লিথুয়ানিয়ায় উচ্চশিক্ষার সকল বিষয়ের দিকে দৃষ্টপাত করি।

কেন লিথুয়ানিয়ায় পড়তে যাবেন?

বাল্টিক সাগরের পূর্ব উপকূলবর্তী দেশ- যা ঠিক সুইডেনের বিপরীতে অবস্থিত তার নাম লিথুয়ানিয়া। এই দেশের আয়তন ৬৫,৩০০ বর্গকিলোমিটার এবং এর জনসংখ্যা ২.৭৯৪ মিলিয়ন। এই দেশের জিডিপি পার ক্যাপিটা ১,৯১৫৩.৪১ ইউএসডি। লিথুয়ানিয়ার সর্ববৃহৎ শহর ও রাজধানী হল ভিলনিয়াস। অফিসিয়াল ভাষা লিথুয়ানিয়ান এবং মুদ্রা ইউরো। এর প্রতিবেশি দেশগুলো হল লাটভিয়া, পোল্যান্ড, বেলারুশ ও রাশিয়া।

Study in Lithuania
Image Source: pixabay.com

কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কাছে দিন দিন লিথুয়ানিয়া বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর যাত্রা শুরু হয় ২০০৪ সাল থেকে। যদিও সে বছর খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থী গেলেও বর্তমানে কিন্তু অনেক বেড়ে গেছে। যাই হোক, মূল প্রসঙ্গে আসি। লিথুয়ানিয়ায় বিশ্বমানের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এবং ইউরোপের বেশির ভাগ দেশেই যেখানে ব্যাচেলর পড়ানো হয় তাদের নিজ অফিসিয়াল ভাষায় সেখানে লিথুয়ানিয়ায় সিংহভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই রয়েছে ইংরেজীতে ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি করার সুযোগ। এখানে আপনি মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, সাইন্সসহ বিভিন্ন ধরণের কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। এজন্য আপনাকে কষ্ট করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটগুলো ঘেটে দেখতে হবে।

কোর্স খুঁজতে সাহায্য নিতে পারেন এই ওয়েবসাইট এরঃ https://studyin.lt/study-programmes/

আপনাদের সুবিধার্থে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিচে দেওয়া হলঃ

  • Aleksandras Stulginskis University
  • Kaunas University of Technology
  • Vytautas Magnus University
  • Vilnius University
  • Klaipėda University
  • Vilnius Gediminas Technical University
  • Vilnius Academy of Fine Arts
  • Šiauliai University
  • Mykolas Romeris University
  • Lithuanian University of Health Sciences
  • Lithuanian University of Educational Sciences
  • Kaunas University of Technology

লিথুয়ানিয়ায় পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

এদেশে ব্যাচেলর পড়তে HSC, মাস্টার্স করতে ব্যাচেলর আর পিএইচডি করতে প্রয়োজন পড়বে মাস্টার্স ডিগ্রীর। IELTS ছাড়া এদেশে যাওয়া গেলেও ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে IELTS-এ স্কোর থাকতে হবে ৬.০।

University in Lithuania
Image Source: Internet

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়সীমা/ সেশন

অন্যান্য সব দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মতো এখানেও বছরে ২টি সেশনে ভর্তি প্রক্রিয়া চলে। প্রতিবছর- সেপ্টেম্বর ও জানুয়ারি। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেপ্টেম্বর এ বেশি সাবজেক্টে ভর্তির সুযোগ থাকে।

ডকুমেন্টস সত্যায়ন

লিথুয়ানিয়ায় পড়াশুনা করতে অবশ্যই আপনাকে ডকুমেন্টস সত্যায়িত করতে হবে।

(১) প্রথমে সকল সার্টিফিকেট ও মার্কশীট শিক্ষা বোর্ড থেকে সত্যায়িত করতে হবে। এজন্য কমপক্ষে ৩-৫ দিন সময় লাগবে। এই সময়ে ৩/৪ সেট সাথে রাখবেন। এখানে ফি বাবদ ৫০০-৬০০ টাকা খরচ হবে।

(২) এরপর যেতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। এখানেও ৩/৪ কপি ডকুমেন্টস নিয়ে যাবেন। এখানে কাগজ-পত্র সকাল ১১ টা থেকে জমা পড়া শুরু হয় আর বিশেষ কোন সমস্যা না থাকলে ঐ দিন বেলা ৩টা বা ৪টার মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবেন।

(৩) এরপর পাসপোর্টের ফটোকপি নোটারাইজড ৩ কপি আইন মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়ন করতে হবে। এজন্য সময় লেগে যাবে সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ৪টা পর্যন্ত।

(৪) এই সকল কাগজপত্র আপনাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে সত্যায়নের জন্য। আর এইগুলো সত্যায়ন করতে সময় লাগবে ২ দিন। কাগজ জমা নেওয়া শুরু হয় সকাল ১১ টায় আর ফেরৎ দেওয়া হয় বেলা ৩ টায়। তবে মনে রাখবেন, অনেক শিক্ষার্থী এই কাজের জন্য লাইনে দাঁড়ায়- তাই সকাল সকাল এসে লাইনে দাড়ানোই ভালো।

ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

প্রথমে আপনাকে আবেদনের জন্য সকল কাগজপত্র ডাক যোগে বা অনলাইনে পাঠাতে হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে, তারা আপনাকে ৫-৭ দিনের মধ্যে অফার লেটার পাঠাবে। আর এরপর আপনাকে ১ বছরের টিউশন ফি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রদত্ত একাউন্টে জমা করতে হবে। চিন্তা করার কোন কারণ নেই- ভিসা না পেলে আপনি অবশ্যই এই টাকা ফেরৎ পাবেন। তবে এখানে এপ্লিকেশন ফি ১০০-২০০ ইউরো প্রদান করতে হবে, যা অফেরৎযোগ্য। এরপর টিউশন ফি জমা দেওয়ার পর তারা আপনাকে ৩/৪ দিনের মধ্যে অফার লেটার এবং ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস পাঠাবে।

লিথুয়ানিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সকল কাগজপত্র লিথুয়ানিয়ার সেন্টার ফর কোয়ালিটি এসেসমেন্ট ইন হাইয়ার এডুকেশন (SKVC) থেকে রেকগনাইজ করাতে হবে। পূর্বে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের পূর্বেই করা হত কিন্তু ২০১৭ সাল থেকে প্রথমে আপনাকে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এপ্লাই করতে হবে এবং সেখান থেকে পাওয়া কনডিশনাল অফার লেটার প্রুফ অফ পারপাস হিসেবে জমা দিতে হবে। এরপরই আপনি ডকুমেন্টস রিকগনাইজ করানোর সু্যোগ পাবেন। আপনি সকল ডকুমেন্টস রিকগনাইজের জন্য নিজ দেশ থেকে পাঠাতে পারেন। অথবা বিশ্ববিদ্যালয়কে জানালে তারা তাদের অফিশিয়াল ই-মেইল থেকে সকল ডকুমেন্টস SKVC-এ পাঠিয়ে দিবে। SKVC-এ এপ্লিকেশন ফর্মের লিঙ্ক ও সকল কাগজপত্র পাঠাবার ঠিকানা নিচে দেওয়া হলঃ

The Centre for Quality Assessment in Higher Education, SKVC

  1. Goštauto g. 12, LT-01108 Vilnius, Lithuania.

E-mail: [email protected]

Website:https://www.skvc.lt/default/en/60/apply/documentation_requirements

University in Lithuania
Image Source: Internet

SKVC তে যে সকল কাগজপত্র পাঠাতে হবেঃ

১। সকল মার্কশীট ও সার্টিফিকেটের ফটোকপি

২। পাসপোর্টের ফটোকপি

৩। প্রুফ অফ পারপাস

মনে রাখবেন সকল কাগজপত্র নোটারাইজড হতে হবে। SKVC-এ রিকগনাইজের জন্য কোন ফি লাগে না আর পুরো কাজটি করতে ২০-২৫ দিন সময় লাগে।

এবার আসি ভর্তির জন্য যেসকল কাগজপত্র লাগে তা নিয়েঃ

১। একাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট

২। IELTS এর সনদ

৩। মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার

৪। CV

৫। পাসপোর্টের কপি ও ফটোগ্রাফ (৩৫/৪৫)

৬। এপ্লিকেশন ফর্ম ও এপ্লিকেশন ফর্ম জমা দেওয়ার রশিদ

৭। হাউজিং ফর্ম

অনেক ক্ষেত্রে আপনাকে অনলাইনে সাক্ষাতকার দিতে হতে পারে।

টিউশন ফি

লিথুয়ানিয়ায় পড়াশুনার খরচ অনেক কম। বছরে সাধারণত ২৫০০ থেকে ৪৫০০ ইউরো দিতে হয় মাস্টার্স প্রোগ্রামে আর ব্যাচেলরে দিতে হয় ১৩০০-৪৫০০ ইউরো।

আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ

লিথুয়ানিয়ায় পড়াশুনা করতে চাইলে ব্যাংকে ৬-৭ লক্ষ টাকা জমা দেখাতে হবে। যে স্পন্সর করবেন তার আয়ের উৎস দেখাতে হবে আর ব্যবসায়ী হলে ট্রেডিং লাইসেন্স দেখাতে হবে।

Students in Lithuania
Image Source: Internet

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও ডকুমেন্টস চেকলিস্ট

লিথুয়ানিয়ার এম্বেসী বাংলাদেশে না থাকায় অবশ্যই আপনাকে ভারতের দিল্লীতে যেতে হবে। এজন্য আপনাকে আগে ভাগেই নিতে হবে এপয়েন্টমেন্ট। ভিসা আবেদন জমা নেওয়ার সময় আপনার একটি সাক্ষাতকার নেওয়া হবে আপনার ইংরেজী দক্ষতা দেখার জন্য। এই ভিসা পেতে সময় লাগে প্রায় ১৪ দিন। আপনাকে সাধারণত ১ বছর বা ৬ মাসের ভিসা প্রদান করা হবে। এবং পরবর্তীতে লিথুয়ানিয়া গিয়ে ভিসা শেষ হবার ৪ মাস আগে টেম্পোরারী রেসিডেন্স পারমিট (TRP) -এর জন্য এপ্লাই করতে হবে। এই TRP এর জন্য পোল্যান্ডে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সত্যায়িত করতে হবে। TRP নেওয়ার সময় আপনাকে ব্যাংক স্টেটমেন্টও দেখাতে হবে আর এসময় আপনার একাউন্টসে কমপক্ষে ২৩০০ ইউরো ২/৩ সপ্তাহের জন্য থাকতে হবে।

এবার আসি মূল প্রসঙ্গে, ভিসার জন্য আপনাকে নিম্নোক্ত কাগজপত্র জমা দিতে হবেঃ

১। এপ্লিকেশন ফর্ম

২। পাসপোর্ট ও  ফটোগ্রাফ (৩৫/৪৫)

৩। জন্ম নিবন্ধন ও NID কার্ড

৪।সকল সত্যায়িত ডকুমেন্টস, মার্কশিট ও সকল সনদ

৫। অফার লেটার ও ভার্সিটি থেকে প্রাপ্ত অন্যান্য ডকুমেন্টস

৬।অ্যাকোমোডেশন সনদ

৭। ব্যাংক সলভেন্সি পেপ্যার

৮।৩ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট

৯।পুলিশ ক্লিয়ারান্স

১০।হেলথ ইন্স্যুরেন্স

১১।IELTS স্কোরের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

১২। কনফর্মড অন-ওয়ে টিকিট [এটি আপনি রিজার্ভ করবেন কিন্তু খেয়াল রাখবেন যেন ইটেনারিতে যেন কনফর্মড স্ট্যাটাস থাকে]

ভিসা পাবার পর আপনি অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়কে ইমেইল করবেন। তারা আপনাকে এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করার এবং সকল ফর্মালিটিতে হেল্প করার জন্য একজন মেন্টর নিয়োগ করবে।

ইন্ডিয়ায় অবস্থিত লিথুয়ানিয়া এম্বেসীর ঠিকানাঃ

Lithuania Embassy
Address: C-93, Anand Niketan, New Delhi, 110021, India

Phone: +91 11 4313 2200 । https://in.mfa.lt/in/en/

Life in Lithuania
Image Source: Internet

লিথুয়ানিয়ায় আবাসন ব্যবস্থা

প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই রয়েছে হোস্টেলের ব্যবস্থা। মনে রাখবেন ভিসা পাওয়ার পর কয়েক মাসের হোস্টেলের ফি জমা করে দিতে হবে। হোস্টেলের ফি সাধারণত মাসে ৪৫-২০০ ইউরো হয়ে থাকে।

মাসিক খরচ এবং পার্ট টাইম জব এর সুযোগ

লিথুয়ানিয়ায় খুব কম খরচেই আপনি থাকতে পারবেন। ভার্সিটির হোস্টেলে জায়গা পেলে আপনি ১৫০-৩০০ ইউরো খরচের মধ্যে সব কিছু মিটিয়ে ফেলতে পারবেন।

এই দেশে আপনি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজ করতে পারবেন। কিন্তু সামার ভ্যাকেশনে আপনি ফুল টাইম কাজ করতে পারবেন। এখানে কাজ পাওয়া একটু কঠিন- যদি এদেশের ভাষা না জানা থাকে। মনে রাখবেন, এইসব কাজ করে পড়াশুনার খরচ বহন করা প্রায় অসম্ভব।

কোর্স শেষে চাকুরী ও স্থায়ী বসবাস এর সুযোগ

লিথুয়ানিয়ায় সফল ভাবে পড়াশুনা শেষে আপনি ৬ মাসের জব সার্চ ভিসা পাবেন। এই সময়ে জব পেয়ে গেলে আপনি ২ বছরের জন্য TRP (Temporary Resident Permit)  পাবেন। এবং এই ২ বছরের পর PR (Permanent Resident Permit) এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। লিথুয়ানিয়ায় ১০ বছর থাকার পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।

একটি তথ্য না বললেই নয়, লিথুয়ানিয়ায় সফল ভাবে কোর্স সম্পন্ন করার পর আপনি ইউরোপের যেকোন দেশে চাকুরী করতে পারবেন এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাবেন।

তাহলে পাড়ি জমাতে দেরি কেন – স্বপের দেশ লিথুয়ানিয়ায়।

Life in Lithuania
Image Source: Internet

তথ্যসুত্রঃ

error: Alert: Content selection is disabled!!