Loading...
November 22, 2022

বিশ্বের ছোট মহাদেশ ওসেনিয়া আর সেই মহাদেশের সবচেয়ে বড়দেশ অস্ট্রেলিয়া। আবহাওয়া, পরিবেশ, শিক্ষা ব্যবস্থা, স্থায়ী বসবাস অনেক কারণে অনেকে অস্ট্রেলিয়াকে পড়াশুনা করতে যাবার জন্য বিশেষত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা পছন্দের তালিয়ায় সর্বাগ্রে রাখেন। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতি বছর ৬-৭ লক্ষ শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যায়। এই দেশে রয়েছে ১২ হাজারের বেশি সমুদ্র সৈকত। শান্তিপূর্ণ এই দেশ শিক্ষার্থীদের জন্য শুধু নয় পড়াশুনা শেষে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্যও অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর দেশ। গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্বে তৃতীয় দেশ হল অস্ট্রেলিয়া। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আজ আলোচনা করবো অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা নিয়ে। আসুন জেনে নিই খুঁটিনাটি সব কিছু তারপর নিজেই করুন, নিজের আবেদন।

কেন অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যাবেন?

অস্ট্রেলিয়ায় বর্তমানের ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান বিশ্বের শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে। অর্থাৎ, এটা স্পষ্ট যে, অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বের অন্যতম। শুধু তাই নয়, পড়াশুনা শেষে বসবাসের সুযোগ আছে। আপনি আস্ট্রেলিয়ার PR পেলে নিউজিল্যান্ডেও থাকতে পারবেন। আপনার জন্য সম্ভবনা আরো বেড়ে যাচ্ছে।

Opera House Australia
Image Source: pixabay.com

কমনওয়েলথভুক্ত দেশ অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা আর সবচেয়ে বড় শহর হল সিডনি। অস্ট্রেলিয়ায় সবচেয়ে বেশি বাঙ্গালী বসবাস করে পার্থ শহরে। অস্ট্রেলিয়া পৃথিবীর ১৪-তম বৃহৎ অর্থনীতি আর পার ক্যাপিটা ইনকামের দিক দিয়ে এই দেশ বিশ্বে দশম। এই দেশের আয়তন ৭৬ লক্ষ ৯২ হাজার বর্গকিলোমিটার- আর এই দেশে বসবাস করে ২ কোটি ৫৬ লক্ষ । মজার ব্যাপার এই জনসংখ্যার ৩০% মূলত অভিবাসী, তারা বিভিন্ন দেশ থেকে এসে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন। সমুদ্রে ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশ আর নিজের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার অপরিসীম সম্ভবনা- এই তো অস্ট্রেলিয়া।

অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

অস্ট্রেলিয়ায় অবেদন করতে প্রয়োজন পড়ে না GRE/ GMAT। তবে আপনার IELTS/ PTE থাকতে হবে। অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশুনা করতে আপনার পূর্ববর্তী একাডেমিক পরীক্ষায় কমপক্ষে ৬০% নম্বরের প্রয়োজন পড়বে। আপনাকে ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে IELTS-এ পেতে হবে ৬.৫ বা ৭.০ স্কোর। আর PTE পরীক্ষায় অর্জন করতে হবে ৫৮ – ৬০ মার্ক্সের। এই যোগ্যতা থাকলে আপনি অস্ট্রিলিয়ার বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই আবেদন করতে পারবেন।

কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

ব্যবসা প্রশাসন, প্রকৌশল, নার্সিং, স্বাস্থ্য, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তিসহ সকল বিষয়েই অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন ডিপ্লোমা, স্নাতক, স্নাতোকোত্তর ও পিএইচডি করার যথেষ্ঠ সুযোগ রয়েছে। তাই কোর্স নিয়ে ভাবনার কারণ নেই। আপনি আপনার পছন্দের কোর্স এই দেশে পাবেন। শুধু তাই নয়, যে কোন কোর্সে যে কোন প্রোগ্রামে পড়তে পারবেন। আর এজন্যই দরকার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়। আপনাদের সুবিধার জন্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিচে তুলে ধরা হলঃ

১।  Australian National University (ANU)

২। University of Sydney

৩। University of Melbourne

৪। University of New South Wales (UNSW)

৫। University of Queensland (UQ)

৬। Monash University

৭। University of Western Australia (UWA)

৮। University of Adelaide

৯। University of Technology Sydney (UTS)

১০। University of Wollongong

[উপোরক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা QS Top Universities of 2021 অনুসারে দেওয়া হয়েছে]

National University, Australia
Image Source: Internet

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

অস্ট্রেলিয়ায় বছরে দুইটি সেশন পড়ানো হয়। একটি সেশন ফেব্রুয়ারি ও অন্যটি সেশন জুলাই- এ শুরু হয়।

ভর্তির জন্য প্রথমেই আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং আবেদন ফি জমা দিতে হবে। সাধারণত আবেদন ফি জমা না দেওয়া পর্যন্ত আবেদন প্রসেস শুরু হবে না। আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে কোন আবেদন ফি-এর প্রয়োজন পড়ে না।

এই দেশে আপনি ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডি, পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা থেকে শুরু করে সকল ধরণের প্রোগ্রামে যাবার সুযোগ আছে। আমেরিকা, কানাডার মত অস্ট্রেলিয়ায়ও মাস্টার্স কোর্স দুই ধরণেরঃ কোর্স-বেজড ও থিসিস-বেজড। কোর্স বেজড মাস্টার্স প্রোগ্রামে সাধারণত স্কলারশিপ পাওয়া যায় না। সাধারণত নিজের অর্থায়নে পড়তে হয়। তবে কোর্স-বেইজড মাস্টার্সেও আপনি পাবেন স্কলারশিপ। অন্যদিকে, থিসিস-বেজড বা রিসার্চ-বেজড মাস্টার্স প্রোগ্রামে গেলে আপনার ফান্ড বা স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ আছে। থিসিস-বেজড মাস্টার্স প্রোগ্রামে গেলে অবশ্যই প্রফেসরের সাথে যোগাযোগ করে কথা বলে নিতে হবে।

এই প্রফেসর খোঁজা বেশ জটিল ও কষ্টসাধ্য প্রক্রিয়া। কারণ আপনাকে প্রফেসরদের খুঁজে তাদের রিসার্চ এরিয়া-ভিত্তিক নিজের পোর্ট-ফোলিও সাজিয়ে তাকে মেইল করতে হবে এবং তাকে কনভিন্স করতে হবে। প্রফেসররা সাধারণত স্কাইপি, অথবা অন্য মিডিয়ামে আপনার ইন্টারভিউ নিয়ে থাকে। এই ব্যাপারে বলে রাখি, প্রোফেসরদের মেইল করার সময় সাবধান থাকবেন। অনেকেই একই মেইল বহু প্রফেসরকে করে। এইভাবে ফান্ডিং পাওয়া বেশ কষ্ট্যসাধ্য আর গদ বাঁধা মেইল আপনার সাথে সাথে আপনার দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। প্রফেসর যে শুধু স্কলারশিপ প্রাপ্তিতে সহায়তা করেন- তা নয়, বরং তার কাছে বরাদ্দ রিসার্চ ফান্ড থেকে আপনাকে RA (Research Assistant) পোস্ট অফার করে থাকে অথবা আপনাকে TA (Teacher’s Assistant) অফার করে।

 

অস্ট্রেলিয়ায় কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য নিচের ডকুমেন্টস গুলো প্রয়োজন হয়ঃ

১। সকলএকাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট

২। CV, মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার [প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী]

৩। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র

৪। পাসপোর্টের কপি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি

৫। রেফারেন্স লেটার- এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনার সম্পর্কে ভালো রিমার্ক্স থাকতে হবে।

৬। IELTS এবং GRE/GMAT [কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়ছে বর্তমানে]

৭। Statement of Purpose (SOP)

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ভালো করে ঘেটে আপনি দেখে নিবেন, আসলে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন পড়বে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটের পেছনে পর্যাপ্ত সময় দেওয়াটা তাই খুবই জরুরী।

University of Melbourne, Australia
Image Source: Internet

পড়াশোনার খরচ ( টিউশন ফি) ও স্কলারশিপ

অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাচেলর পড়তে খরচ হবে ১৫,০০০ থেকে ৩৩,০০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার। আর যদি মাস্টার্স বা ডক্টোরাল প্রোগ্রামে পড়তে যান তাহলে খরচ হবে ২০,০০০ থেকে ৪০,০০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার।

বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো অস্ট্রেলিয়াতেও বিভিন্ন স্কলারশিপের সুযোগ আছে। মাস্টার্স ও পিএইচডির জন্য এ সুযোগটা একটু বেশি। এই স্কলারশিপগুলো কয়েকপ্রকারের হতে পারে- ১) ফুল ফান্ডিং ও লিভিং এক্সপেন্সেস স্টাইপেন্ডসহ স্কলারশিপ ২) ফুল ফান্ডিং স্কলারশিপ ৩) পার্শিয়াল ফান্ডে স্কলারশিপ (১০% থেকে ৮০%)। যত ভালো মানের স্কলারশিপের জন্য আপনি চেষ্টা করবেন আপনার প্রোফাইল তত ভালো হওয়া উচিত এবং আপনি তত বেশি প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হবেন।

স্কলারশিপের জন্য ব্রাউজ করতে পারেন নিম্নোক্ত ওয়েব সাইটঃ

বাংলাদেশিরদের জন্য নির্ধারিত ওয়েবসাইটঃ

http://dfat.gov.au/about-us/publications/Pages/bangladesh-information-for-intake.aspx

অফিসিয়াল ওয়েবসাইটঃ

http://dfat.gov.au/people-to-people/australia-awards/Pages/australia-awards-scholarships.aspx

November 22, 2022

ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর ফুটবলের জাদুগরী দেখতে ভালো লাগে না এমন কথা বলা খুব কঠিন। এমনকি যারা পর্তুগালের খেলা পছন্দ করেন না, তারাও তাকে ভালোবাসেন। আপনাদের সামনে আজ নিয়ে আসবো- ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর দেশ পর্তুগাল নিয়ে। কথা হবে আজ আটলান্টিক সাগরের তীরবর্তী ইউরোপের দেশ পর্তুগালে উচ্চশিক্ষাকে কেন্দ্র করে। পর্তুগাল ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ এবং এই দেশ সেনজেন চুক্তির আওতায় রয়েছে। তাই পড়ুন, জানুন এবং দেখে নিন পর্তুগালে উচ্চশিক্ষার সার্বিক দিক।

কেন পর্তুগালে পড়তে যাবেন?

দক্ষিণ- পশ্চিম উপকূলে আটলান্টিক সাগরের তীরে অবস্থিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ পর্তুগালের রাজধানী লিসবন- এদেশের সবচেয়ে বড় শহর। পর্তুগালের ভাষা পর্তুগীজ ও মুদ্রা ইউরো। প্রাচীনকালে এই দেশ শক্তি ও বৃত্তিতে অনেক সমৃদ্ধ ছিল। ১৬শ শতকের দিকে এই সমৃদ্ধিতে ভাটা পড়ে। এদেশের আয়তন ৯২, ২১২ বর্গ কিলমিটার আর জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৩ লাখ।

Study in Portugal
Image Source: pixabay.com

কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

পর্তুগালে অনেক উন্নত্মানের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এইসকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ্লোমা, ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডি- সকল ধরণের কোর্সই করতে পারবেন। এছাড়া এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে হরেক রকমের সাবজেক্ট যেমনঃ সাইন্স, ইকোনমিকস, বাণিজ্য, আইন, ইঞ্জিনিয়ারিং, একাউন্টিং, মেডিকেলসহ বহু ধরণের কোর্স। কিন্তু মনে রাখবেন, বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্তুগীজ ভাষায় কোর্স অফার করা হয়ে থাকে। তাই, কোর্স ও বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করার আগে দেখে নেবেন, সেখানে ইংরেজী মাধ্যমে কোর্স অফার করা হয় কি না?

পর্তুগীজ  বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা পেতে নিম্মোক্ত ওয়েবসাইট গুলোর সাহায্য নিতে পারেনঃ

http://www.4icu.org/pt/

https://www.study-research.pt/

অথবা

https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_universities_and_colleges_in_Portugal

Universities in Porto, Potugal
Image Source: Internet

নিচে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেওয়া হলঃ

  1. University of Lisbon
  2. University of Porto
  3. New University of Lisbon
  4. University of Minho
  5. University of Coimbra
  6. University of Aveiro

পর্তুগালে পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

পর্তুগালে পড়াশুনার জন্য অনেকেরই পছন্দ- কারণ, এদেশে পড়তে যাবার জন্য ইংরেজীতে পারদর্শিতার কোন সার্টিফিকেট দিতে হয় না।  তাই যারা IELTS দিতে ভয় পাচ্ছেন, তাদের জন্য এই দেশ হবে উচ্চশিক্ষার অন্যতম ডেস্টিনেশন। কিন্তু, ইংরেজীতে কথা বলার দক্ষতা ও সার্টিফিকেট থাকলে আপনি ভিসা পাওয়ার জন্য বেশী যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। এদেশে ব্যাচেলর প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করতে উচ্চ মাধ্যমিক, মাস্টার্সে আবেদনের জন্য ৪ বছরের ব্যাচেলর এবং পিএইচডি পড়তে আপনাকে ২ বছরের মাস্টার্স থাকতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

এই দেশে বছরে দুইটি সেশন থাকে। প্রথমটির আবেদনকাল নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি আর দ্বিতীয়টির আবেদনকাল এপ্রিল থেকে জুলাই।

প্রথমেই আপনাকে অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে হবে। এবং অনলাইনেই সকল ডকুমেন্টস পাঠাতে হবে। তারপর যদি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কনফার্মেশন পাঠায়, তাহলে আংশিক টিউশন ফি জমা দিতে হবে। কত টিউশন ফি ও কোথায় জমা দিতে হবে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনাকে জানিয়ে দিবে।

নিচে একটি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসের লিস্ট দেওয়া হলঃ

১। সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট এবং মার্কশীট

২। মোটিভেশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার

৩। ইউরোপাস ফরম্যাটে CV

৪। পাসপোর্টের কপি ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি

৫। আপ্লিকেশন ফি পরিশোধের রশিদ [ সাধারণত ৫০-৬০ ইউরো হয়ে থাকে এবং এই অর্থ ফেরৎযোগ্য নয় ]

সকল ডকুমেন্টস ঠিক ঠাক মত জমা দিতে হবে। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইমেইল করে জেনে নিতে হবে।

University of Porto,Portugal
Image Source: Internet

পড়াশোনার খরচ ( টিউশন ফি)

ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলোনায় এই দেশে টিউশন ফি অনেক কম। এই খানে সাধারণত টিউশন ফি ৯০০-৬,০০০ ইউরো পর্যন্ত হয়ে থাকে। সাবজেক্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে এই টিউশোন ফি ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই টিউশন ফি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে হবে।

ব্যাচেলর, মাস্টার্স এইক্ষেত্রে ৯৫০ – ১২৫০ ইউরো প্রতি একাডেমিক ইয়ার।

পি এইচ ডির ক্ষেত্রে ২৫০০-৩৫০০ ইউরো প্রতি একাডেমিক ইয়ার।

পর্তুগালে আবাসন ব্যবস্থা

এই দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে কম খরচে থাকার জন্য হোস্টেলের ব্যবস্থা রয়েছে। তাই, আগে ভাগে হোস্টেলে আবেদন করে দেওয়াই উত্তম।

ইউরোপের অন্যান্য দেশের চেয়ে পর্তুগাল উন্নয়নে একটু পিছিয়ে আছে। তাই এই দেশে জীবন যাত্রার ব্যয় একটু কম। মাসে আপনি ৩০০-৩৫০ ইউরোতে খাওয়া থাকা মিটিয়ে ফেলতে পারেন।

Portugal Site Scene
Image Source: pixabay.com

আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ

ব্যাংক সলভেন্সি খুব ভালো হতে হবে । পর্তুগালে পড়তে গেলে আপনাকে ৬/৭ লক্ষ টাকা ব্যাংকে দেখাতে হবে।  যে আপনার স্পনসর হবে তার সাথে আপনার সম্পর্ক কি কিংবা তার ইনকাম সোর্স কি সেগুলোর বেপারে যেন আপনি এমবাসির কাছে স্পষ্ট জবাবদিহি করতে পারেন সেটার জন্য তৈরি থাকতে হবে ।

স্পন্সরের একাউন্টে অস্বাভাবিক বড় মাপের লেনদেন হলে সেটার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে হবে।

স্কলারশিপের সুযোগ আছে কি না?

পর্তুগালে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ। যা বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারে। যেমনঃ Erasmus mundus Scholarship, এটা ইউরোপিয়ান উনিয়ন কর্তৃক প্রদত্ত উচ্চশিক্ষা বৃত্তি । সবচেয়ে প্রেস্টিজিয়াস স্কলারশিপ হিসাবে গণ্য করা হয়। FCT Scholarship – Fellowships & Grants এটা পর্তুগালের খুব সম্মানজনক একটা বৃত্তি, পি এইচ ডি এবং পোস্ট ডক্টরেট এর জন্য এটা প্রদান করা হয় .প্রতি বছর ২৫০-৩০০ ফাইনাল আবেদন তারা নিয়ে থাকেন। বিস্তারিত জানতে তাদের ওয়েবসাইট কয়েক করুন – https://www.fct.pt/apoios/bolsas/concursos/ ।  তাছাড়া প্রতিটা ইউনিভার্সিটি তাদের Internal Scholarship এর ব্যাবস্থা করে থাকে। ভালো রেজাল্টের ভিত্তিতে আপনি সর্বোচ্চ ৫০%-৭৫% টিউশন ফি ছাড় পেতে পারেন।

Image Source: Internet

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

বাংলাদেশে পর্তুগালের কোন এম্বেসী নেই- শুধু আছে কনস্যুলেট অফিস। তাই অবশ্যই আপনাকে ইন্ডিয়ার দিল্লীতে ভিসার জন্য যেতে হবে। আপনার সুবিধার্থে এম্বেসীর ঠিকানা ও ওয়েবসাইট নিচে দেওয়া হল।

https://www.novadeli.embaixadaportugal.mne.pt/en/

ডকুমেন্টস সত্যায়ন ও ভিসার আবেদন জমা –  https://pt.vfsglobal.co.in/

দিল্লীস্থ পর্তুগালের এম্বেসীর ঠিকানাঃ

No.4, Panchsheel Marg, Block B, Diplomatic Enclave, Chanakyapuri, New Delhi, Delhi 110021, India

Phone: (91) 11 4607 1001 । Email: [email protected]

মনে রাখবেন, ভিসা জমা দেওয়ার পূর্বে আপনাকে একটি এপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। এই ভিসা প্রাপ্তির জন্য ৩০ দিন সময় লাগে, তাই হাতে সময় রেখে কাজ শুরু করবেন। পড়াশুনা ও রিসার্চের জন্য আপনাকে লং টার্ম ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এই লং টার্ম ভিসার মধ্যে আবার দুইটি প্রকারভেদ রয়েছে। একটি হলঃ টেম্পোরারী স্টে ও দ্বিতীয়টি হল রেসিডেন্স ভিসা। আপনাকে অবশ্যই লং টার্ম রেসিডেন্স ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

হেলথ ইনস্যুরেন্সের জন্য বাংলাদেশে অবস্থিত জার্মান এম্বেসী দ্বারা অনুমোদিত যে কোন ইনস্যুরেন্স কোম্পানী থেকে আপনাকে এটি সংগ্রহ করতে হবে। মনে রাখবেন কমপক্ষে ১২০ দিনের ইনস্যুরেন্স করতে হবে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, এই ইনস্যুরেন্স শুরু হবার তারিখ ক্লাস শুরু হবার ৫ দিন আগে থেকেই চালু হতে হবে। অন্যদিকে আপনাকে অন-ওয়ে ফ্লাইট টিকিট এর ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। ডকুমেন্টে আবশ্যই ফ্লাইট কনফার্মড থাকতে হবে। এই ফ্লাইট বুকিং দিতে কোন টাকার প্রয়োজন হয় না। অবশ্যই মনে রাখবেন, এই ফ্লাইটের তারিখ ও ইনস্যুরেন্সের তারিখ একই হয়।

এবার জেনে নিন ভিসা আবেদনর জন্য কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন পড়বেঃ

১। পূরণকৃত আবেদন ফর্ম ও ভিসা ফি প্রদানের রশিদ ৯০ ইউরো [স্কলারশিপধারীদের জন্য মওকুফ করা হয়]

২। পাসপোর্ট ও  ফটোগ্রাফ (৩৫ মি.মি.x৪০ মি.মি. )

৩। CV, মোটিভেশন ও রেফারেন্স

৪।সকল মার্কশিট ও সনদ [অরিজিন্যাল ও সাথে ২ কপি ফটোকপি]

৫। No Objection  Certificate [শেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে]

৬। অফার লেটার ও টিউশন ফি প্রদানের রশিদ

৭।অ্যাকোমোডেশন পেপ্যার

৮।ব্যাংক সলভেন্সি পেপ্যার

৯।৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট [ স্টেটমেন্টে ব্যাংক ম্যানেজারের স্বাক্ষর থাকতে হবে]

১০।পুলিশ ক্লিয়ারান্স

১১।হেলথ ইন্স্যুরেন্স

১২।One – way Flight Booking Copy

সব কিছু ঠিক থাকলে ভিসা পাওয়ার সম্ভবনা আনেক বেশি। বর্তমানে পর্তুগাল সরকার প্রচুর পরিমানে স্টুডেন্ট ভিসা প্রদানের অনুমতি দিয়েছে। তাই বর্তমানে পর্তুগালে বিদেশী স্টুডেন্টের ঢলও নেমেছে।

এখানে উল্লেখ্য যে, পড়াশুনার মধ্যের গ্যাপ ৪ বছরের বেশি হলে ভিসা পেতে সমস্যা হবে। এবং সবচেয়ে ভালো হয় যদি এই গ্যাপ ১-২ বছরের মধ্যে হয়ে থাকে।
Life in Portugal
Image Source: pixabay.com

মাসিক খরচ এবং পার্ট টাইম জব এর সুযোগ

ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় পর্তুগালে জীবন যাপন খরচ একটু কম। আপনি অনায়াসে এই দেশে ৩০০-৩৫০ ইউরোর মধ্যে খাওয়া- থাকা মিটিয়ে ফেলতে পারবেন। ৪০ ইউরো ট্রান্সপোর্ট খরচ প্রতি মাসে যা আপনার পুরো লিসবন জোন কভার করবে, ছাত্র হিসাবে আপনি গেলে আপনার জন্য ট্রান্সপোর্ট খরচ ৩০ ইউরো অনলি ।

আপনি এই দেশে পার্ট টাইম জবের সুযোগ পাবেন ২০ ঘন্টা/ সপ্তাহ। আর ছুটিতে পাবেন ফুল টাইম জব করার সুবিধা।পর্তুগীজ ভাষা জানা থাকলে জব পেতে বেগ পোহাতে হবে না। মনে রাখবেন, পর্ট টাইম জব করে থাকা খাওয়ার খরচ মেটাতে পারলেও টিউশন ফি জোগাড় করা সত্যিই কষ্টসাধ্য।

কোর্স শেষে চাকুরীর সুযোগ ও স্থায়ী বসবাস

পর্তুগালে বৈধভাবে ৫ বছরের বেশি বসবাস করলে আর ট্যাক্স, জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষদ ও আঞ্চলিক স্বাস্থ্য পরিষদে নিবন্ধন ও ভাষা জানা থাকলে আপনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। একে Golden Residence Permit Program বলে।

আপনি পর্তুগালে স্টুডেন্টস ভিসায় আসলে রেসিডেন্স পার্মিট ইস্যুর তারিখ থেকে ৫ বছর থাকতে পারলে যে কোনো ক্যাটাগরিতে আপনি পি আর বা পর্তুগালের নাগরিকত্ব আবেদনের জন্য এলিজিবল হবেন।

তাহলে দেরী কেন? আবেদন করুন পর্তুগালে আজ ই।

Image Source: pixabay.com

তথ্যসুত্রঃ

November 22, 2022

১৯৫০ দশকের শেষ দিকে চেক রিপাবলিক সরকার এই স্কলারশিপ প্রোগ্রাম শুরু করে। চেক রিপাবলিকের মিনিস্ট্রি অব এডুকেশন, ইয়ুথ এন্ড স্পোর্টস এবং মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স এর যৌথ তদারকিতে প্রদান করা হয়ে থাকে এই স্কলারশিপ। এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামে চেক রিপাবলিকের কোন নাগরিক অথবা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোন নাগরিক এই আবেদন করতে পারবেন না। এই স্কলারশিপে প্রথম ১ বছর শিক্ষার্থীকে শেখানো হবে চেক ভাষা ও সংস্কৃতি।

স্কলারশিপ এর নাম

চেক রিপাবলিক সরকারি স্কলারশিপ

যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে

এই স্কলারশিপের আওতায় ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে আবেদন করা যাবে।

দেশ এবং কর্তৃপক্ষ

Ministry of Education, Youth & Sports And Ministry of Foreign Affairs of Czech Republic

বৃত্তির সুযোগ সুবিধাসমূহ

স্কলারশিপের আওতায় আপনি যা যা পাবেনঃ

১। টিউশন ফি

২। মাসিক ভাতা

৩। আভ্যন্তরীণ যাতায়াত ভাড়া

আবেদনের যোগ্যতা

স্কলারশিপের জন্য আপনার থাকতে হবে নিম্নোক্ত যোগ্যতাঃ

১। আবেদন করার জন্য অবশ্যই আপনাকে লিস্টেড দেশের যে কোন একটি দেশের নাগরিক হতে হবে।

২। বয়স হতে হবে কমপক্ষে ১৮ বছরের বেশি।

আবেদনের সময়সীমা

প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে ওয়েব সাইটের মাধ্যমে। হালনাগাদ ডেডলাইন জানতে ভিজিট করুন –

https://www.msmt.cz/eu-and-international-affairs/government-scholarships-developing-countries

যেসকল দেশের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য

Developing Country and Under Developed Country -এর নাগরিকগণ এই স্কলারশিপে আবেদন করতে পারবেন। আর এই তালিকার বাংলাদেশও আছে। হালনাগাদ দেশের তালিকা জানতে ভিজিট করুন –

https://www.msmt.cz/eu-and-international-affairs/government-scholarships-developing-countries

Czech Republic Government Scholarship
Image Source: Internet

আবেদন প্রক্রিয়া

প্রথমেই আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এরপর আপনাকে বসতে হবে এন্ট্রাস এক্সামে আর পরবর্তীতে রেজাল্ট জানিয়ে দেওয়া হবে।

স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য আপনাকে জমা দিতে হবেঃ

১। Online আবেদন ফর্ম

২। সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশীট

৩। রিকমেন্ডেশন লেটার

৪। Motivation Letter and CV

৫। IELTS এর সনদ (যদি থাকে)

৬। Work Experience Certificate (যদি থাকে)

৭। NID ও পাসপোর্টের কপি

আবেদন করতে ভিজিট করুণঃ

https://www.msmt.cz/eu-and-international-affairs/government-scholarships-developing-countries?lang=2

তথ্যসুত্রঃ

error: Alert: Content selection is disabled!!