Loading...
November 22, 2022

Skype এর নাম শুনিনি এমন মানুষ খুব কমই আছে। অনলাইন অডিও- ভিডিও কলের প্রথম পর্যায়ের দিসারী স্কাইপি ছিল এস্তোনিয়া ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। সেই এস্তোনিয়া নিয়ে আজ  আপনাদের সামনে আমরা হাজির হয়েছি। ইউরোপে পাড়ি জমানো স্বপ্ন হলে আপনি এস্তোনিয়াকেও রাখতে পারবেন নিজের পছন্দের তালিকায়। শুধু কি তাই? অসাধারণ সমুদ্র আর অনাবিল প্রাকৃতিক পরিবেশের দেশ এস্তোনিয়া বিদ্যার্জনের জন্য যেন এক স্বপ্নরাজ্য। আজ আপনাদের এস্তোনিয়ায় পড়াশুনা ও ক্যারিয়ারের যাবতীয় বিষয়গুলো তুলে ধরব।

কেন এস্তোনিয়াতে পড়তে যাবেন?

বাল্টিক সাগরের তীরবর্তী এস্তোনিয়ার উত্তরদিকে ফিনল্যান্ড ,দক্ষিণে রয়েছে লাতভিয়া, পূর্বে রাশিয়া, এবং পশ্চিমে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। এই দেশের সরকারি নাম এস্তোনিয়া প্রজাতন্ত্র, রাজধানী তাল্লিন, মুদ্রা ইউরো ও ভাষা এস্তোনিয়ান। প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছবির মত সুন্দর এই দেশ যার পরতে পরতে সাজানো আছে নানা গীর্জা, টাউন হল, ওল্ড টাউন, জাদুঘরসহ প্রাচীন অনেক ঐতিহ্য। সেনজেনভুক্ত এ দেশটির আয়তন ৪৫,৩৩৯ বর্গ কিঃমিঃ আর বসবাস প্রায় ১৪ লক্ষ লোকের। ডিজিটাল পদ্ধতির জন্য বিখ্যাত এই দেশকে বলা হয় বিশ্বের প্রথম “e- Country”। প্রাচীন ও আধুনিকতার এস্তোনিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা খুব উন্নত।

Study in Estonia
Image Source: pixabay.com
এই দেশের বছরে তিন মাস মেয়াদী চারটা ঋতু দেখা যায়। এই দেশে গরমে তাপমাত্রা থাকে ১৮-২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস আর শীতকালে থাকে -৩.৫ থেকে -৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ দেশের মাথাপিছু জিডিপি ২৯,৩১২ মার্কিন ডলার।
ইংরেজি ভাষা ব্যাপকভাবে প্রচলিত হওয়ায় ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় এদেশে ভাষাগত বিরম্বনা কিছুটা কম পোহাতে হয়।

এস্তোনিয়ায় পড়তে যাবার নূন্যতম যোগ্যতা

এস্তোনিয়ায় বছরে একটা সেমিস্টারই পড়ানো হয় এবং এই সেমিস্টার চলে ডিসেম্বর থেকে মে পর্যন্ত। তাই এই সময়কে মাথায় রেখে আবেদন করতে হবে।এদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এস্তোনিয়ান ও ইংরেজি উভয় মাধ্যমে পড়ানো হয়। এখানে ১০০টির বেশি ইংরেজি কোর্স রয়েছে।

সাধারণত এস্তোনিয়ায় পড়তে আপনার একাডেমিক পরীক্ষায় ৫১% নম্বর অর্জন করতে হবে আর IELTS- এ থাকতে হবে 5.5 -6.5 স্কোর। এই যোগ্যতা বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তাই আপনাকে অনুসরণ করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট আর সে বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন অফিস। এই ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, তাল্লিন বিশ্ববিদ্যালয় ও তাল্লিন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র ব্যাচেলরে আবেদনের জন্য প্রয়োজন পড়বে ৬০% নম্বরের। কিন্তু অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম কোন নিয়ম নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সার্বিক তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে।

কোর্স সার্চ ও কোর্স নির্বাচন

এস্তোনিয়ায় আপনি পড়তে পারবেন সব বিষয়েই। তবে আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী নিজের কোর্স নির্বাচন করতে হবে। বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে, প্রযুক্তি বিদ্যার দিকে বিশ্বের মানুষের অনেক ঝোঁক আর চাকুরীর বাজারেও বেশ চাহিদা। সেই একই প্রেক্ষাপটে এস্তোনিয়ায়ও বর্তমানে প্রযুক্তিবিদ্যা বিষয়ক প্রোগ্রামগুলোর চাহিদা বেশি। আপনি চাইলে এই দেশে ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডি, এমনকি বিভিন্ন শর্ট কোর্স করতে পারবেন। এস্তোনিয়ায় মোট ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার গ্রহণের সুযোগ রয়েছে, যার মধ্যে ৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ১টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, ৮টি স্টেইট প্রফেশনাল হাইয়ার এডুকেশনাল ইন্সটিটিউশন, ৫টি প্রাইভেট প্রফেশনাল হায়ার এডুকেশনাল ইন্সটিটিউশন।

এস্তোনিয়াতে অধ্যয়নের জন্য উপযুক্ত কোর্স খুঁজতে নিম্মোক্ত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এর সাহায্য নিতে পারেন: www.estonia.dreamapply.com

কোর্স সম্পর্কে আপনার অতিরিক্ত প্রশ্ন থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করুন।

এস্তোনিয়ার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় হলঃ

University in Estonia
Image Source: Internet

যে সব বিষয় পড়ানো হয়,

ব্যাচেলর প্রোগ্রামঃ

কোর্সগুলোর মধ্যে রয়েছে ভেটেনেরানি মেডিসিন, মিউজিক, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ক্রিয়েটিভটি এন্ড বিজনেস ইনোভেশন, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন,সফটওয়্যার ডেভেলাপমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং, সাইবার সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ারিং, গেম ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট, সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, অডিও ভিজ্যুয়াল মিডিয়া, ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন, সোশ্যাল সায়েন্স, পলিটিক্স, ল, মেডিসিন ইত্যাদি।

মাস্টার্স প্রোগ্রামঃ

কোর্সগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যানিমেশন, ডিজাইন, ক্রাফট,বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, ইকোনমিক্স, কালচারাল ম্যানেজমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং, ফিলোসফি ইত্যাদি।

পিএচডি প্রোগ্রামঃ

ডক্টরাল কোর্সের মধ্যে রয়েছে কেমিস্ট্রি, ডেমোগ্রাফি, ইকোলজি, হেলথ, হিস্টোরি,ইকোনমিক্সসহ আরো নানা বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে এস্তোনিয়ায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়সীমা

এস্তোনিয়ায় ইউরোপিয়ান এবং নন-ইউরোপিয়ান ছাত্র/ছাত্রী দের জন্য ভর্তির সময়সীমা ভীন্ন।

বিস্তারিত হালনাগাদ  সময়সীমা জানতে নিম্মোক্ত ওয়েবসাইটেইর সাহায্য নিতে পারেন: www.studyinestonia.ee/deadlines

ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া একেক রকম। তবে কম বেশি প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে কাছাকাছি নিয়মেই আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করানো হয়ে থাকে।

নিম্নলিখিত ওয়েবসাইটে অনলাইন ভর্তি সিস্টেমের মাধ্যমে আপনার আবেদন জমা দিতে হবে: www.estonia.dreamapply.com

এবং নিম্মোক্ত ওয়েবসাইট এ বর্নিত নির্দেশ অনুযায়ী ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

http://www.studyinestonia.ee/en/how-apply

কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়/প্রোগ্রাম এর ক্ষেত্রে আপনার একাডেমিক দক্ষতা ও ইংরেজি দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য স্কাইপ ইন্টারভিউ নিতে পারে। স্কাইপ ইন্টারভিউ দেওয়ার ০৩ সপ্তাহের মধ্যে আপনার ই-মেইলে ভর্তির ফলাফল জানানো হবে।

এস্তোনিয়ায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কাগজপত্র চাওয়া হয়। আবেদনের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হলঃ

১। একাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট

২। IELTS এর সনদ

৩। মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার

৪। ইউরোপাস ফরম্যাটে CV

৫। পাসপোর্টের কপি ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি

৬। আপ্লিকেশন ফি পরিশোধের রশিদ

৭। জব এক্সপেরিয়েন্স সার্টফিকেট (যদি থাকে)

Students in Estonia
Image Source: Internet

কিভাবে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাবেনঃ

ডকুমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর পদ্ধতি অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হতে হবে । যদি আপনি নিজে প্রেরক হয়ে পাঠাতে চান তাহলে অবশ্যই নোটারাইজ কপি পাঠাতে হবে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ নির্দেশনা থাকে এইরূপ যে, “আপনার সর্বশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আপনার পক্ষ থেকে ( প্রেরক হয়ে ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব খামে সকল ডকুমেন্ট(নোটারাইজ করার দরকার নেই) পোস্ট বা কুরিয়ারে ইস্তোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের এড্রেসে পাঠাতে হবে” তখন ব্যাক্তিগত নিজের নাম ব্যাবহার করে ডকুমেন্ট পাঠালে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

পড়াশোনার খরচ ( টিউশন ফি)

এস্তোনিয়ায় পড়াশুনার খরচ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় অনেকটা কম। এদেশে পড়াশুনা করতে আপনার প্রতি বছরে টিউশন ফি প্রয়োজন হবে ১,৭০০-৭,৫০০ ইউরো পর্যন্ত। মেডিকেল বিষয়ে পড়তে বাৎসরিক ১০,০০০ ইউরো পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স ভেদে এই টিউশন ফি কম ও বেশি হতে পারে।

এস্তোনিয়ায় কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু কোর্সে ফ্রি’তে পড়ারও সুযোগ রয়েছে। যদি কোনো শিক্ষার্থীর আর্থিকভাবে অসচ্ছল থাকে বা কোনো শিক্ষার্থীর একাডেমিক পারফরমেন্স ভালো থাকে অথবা এস্তোনিয়ান ভাষার কোনো কোর্সে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করেন তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্রিতে পড়াশোনা করার সুযোগ দেওয়া হয়।

এ দেশে পিএইচডি প্রোগ্রামে কোন টিউশন ফি নেই।

স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ

এস্তোনিয়ায় বিভিন্ন ধরণের স্কলারশিপ রয়েছে। সরকারি অথবা বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক স্কলারশিপ রয়েছে অনেক। একটু কষ্ট করলেই মিলে যাবে স্কলারশিপ। আর সেই স্কলারশিপ খুঁজে পেতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ

http://haridus.archimedes.ee/en/scholarships

http://www.studyinestonia.ee/en/scholarships

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও ডকুমেন্টস চেকলিস্ট

এস্তোনিয়ায় আবেদন করার জন্য আপনাকে ভারতে অবস্থিত এম্বেসীতে যেতে হবে। এরজন্য প্রথমেই আপনাকে নিচের লিঙ্ক-এ আবেদন করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
https://eelviisataotlus.vm.ee/

ভিসার জন্য আপনাকে জমা দিতে হবে নিম্নোক্ত কাগজপত্রঃ

১। পাসপোর্ট ও রিসেন্ট ছবি

২। মার্কশিট ও সকল সনদ

৩। IELTS স্কোরের কপি

৪। এডমিশন লেটার

৫। ভিসা আবেদন ফর্ম ও টেম্পোরারী রেসিডেন্স আবেদন ফর্ম

যোগাযোগের জন্য দিল্লী অফিসের ঠিকানা দেওয়া হলঃ

C15, Malcha Marg, Chanakyapuri
New Delhi, 110 021, India

Website: http://www.newdelhi.vm.ee

Tel +91 11 4948 8650 । Tel (+372) 613 4850 (calls from Estonia)
Fax +91 11 4948 8651 । Email: [email protected]
Visa queries: [email protected]

[ছুটি ব্যতীত সাধারণত সোমবার, বুধবার ও শুক্রবার ১০ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত ভিসা আবেদন গ্রহণ করা হয়]

Old Town in Estonia
Image Source: pixabay.com

আবাসন ব্যাবস্থা, মাসিক খরচ এবং পার্ট টাইম জব এর সুযোগ

এস্তোনিয়ায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হোস্টেল সুবিধা আছে। আপনি ১০০ ইউরোর মধ্যে থাকার জন্য হোস্টেল পেয়ে যাবেন। আর যদি আপনি থাকতে চান একক কোন ফ্লাটে, তাহলে আপনার দিতে হবে ১৮০ থেকে ৪৫০ ইউরো। আর অন্য দিকে আপনি ৩০০ থেকে ৫০০ ইউরোর মধ্যে আপনার দৈনন্দিন খরচ মেটাতে পারবেন।

ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থী হিসেবে আপনি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা চাকুরী করার সুযোগ পাবেন। যদি জানা থাকে এস্তোনিয়ান ভাষা তাহলে আপনার জব পেতে সুবিধা হবে। তাই, এই দেশে যাবার আগে এই দেশের ভাষা জেনে নেওয়াটা হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

কোর্স শেষে চাকুরী ও স্থায়ী বসবাস এর সুযোগ

কোর্সে শেষে এস্তোনিয়ায় আপনি ৬ মাসের জব সার্চ ভিসা পাবেন। এই সময়ে আপনি জব পেয়ে গেলে আপনি আবেদন করে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কাজ করতে পারবেন। আর এই দেশে আপনি একটানা ৯ বছর থাকলে আপনি নাগরিকত্ব পাবার জন্য আপ্লিকেবল হবেন।তবে এর জন্য আপানকে ইস্তোনিয়ান ভাষা, পার্মানেন্ট জব সহ আর কিছু রিকুয়ারমেন্ট পূরণ করতে হবে।

এস্তোনিয়া হতে পারে আপনার জন্য সবচেয়ে বেস্ট ডেস্টিনেশন। তাই, আবেদন করুন এস্তোনিয়ায়।

Life in Estonia
Image Source: pixabay.com

তথ্যসুত্রঃ

November 22, 2022

স্লোভাকিয়ায় উচ্চশিক্ষাঃ নিজেই করুণ নিজের আবেদন

পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরী, ইউক্রেন – এই দেশগুলো ঘেরা মধ্য ইউরোপের ল্যান্ডলক দেশ স্লোভাকিয়া। এদেশের গুহা, পাহাড় ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের এর দিকে টানে। তাইতো, যারা ঘুরতে ভালোবাসেন, তাদের কাছে এই দেশ খুবই জনপ্রিয়। বর্তমানে এই দেশ উচ্চশিক্ষার জন্য বেশ নাম করেছে সারাবিশ্বে। তাই আমরা আজ স্লোভাকিয়ায় উচ্চশিক্ষার সকল খুটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

So, GET! SET! GO!

কেন স্লোভাকিয়ায় পড়তে যাবেন?

স্লোভাকিয়ার আয়তন ৪৯,০০০ বর্গ কিলোমিটার আর জনসংখ্যা প্রায় ৫.৪ মিলিয়ন। এই দেশের রাজধানী ব্রাটিসলাভা আর অফিসিয়াল ভাষা স্লোভাক। এই দেশের মুদ্রার নাম ইউরো। মটর গাড়ি অর্থাৎ আটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি-এর জন্য এই দেশ বিশ্ববাসীর কাছে বহুল পরিচিত আর এই ইন্ডাস্ট্রি এই দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। আর বলাই বাহুল্য, মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য জার্মানীর পরেই স্লোভাকিয়া পছন্দের দেশ- বিশেষত যারা অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে চান তাদের জন্য।

Study in Slovakia
Image Source: Pixabay.com

স্লোভাকিয়ার আবহাওয়া মূলত শীতপ্রধান। তবে গ্রীষ্মকালে এই দেশের তাপমাত্রা থাকে সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মত ওঠে, আর শীতকালে মাইনাস (-) ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসেও নামতে দেখা যায়।

কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

স্লোভাকিয়ার উচ্চশিক্ষার সুনাম বিশ্বব্যাপী- কারণ এই দেশে রয়েছে World Ranking এ উপরের দিকে থাকা বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। নিচে কয়েকটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেওয়া হলঃ

  1. Comenius University of Bratislava
  2. Slovak University of Technology in Bratislava
  3. Pavol Joszef Šafárik University
  4. University of Prešov
  5. University of Žilina

 

এই দেশে আপনি সকল সাবজেক্টেই পড়াশুনা করার সুযোগ পাবেন। আর্টস, বিজনেস অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং যে কোন বিষয়েই পড়াশুনা করার সুযোগ পাবেন। যেহেতু, এই দেশে Mechanical  ও Electrical Engineering সাবজেক্টগুলোর চাহিদা বেশি- তাই আপনি এই বিষয়গুলো নিয়ে এই দেশে পড়াশুনা করলে পড়াচলাকালীন সময়ে Industry Attachment- এ ভালো সুযোগ ও অভিজ্ঞতা পাবেন। এখানে অনেক কোর্সই ইংরেজী ভাষায় অফার করা হয়। তাই স্লোভাক ভাষা না জানলেও আপনি ইংরেজী মাধ্যমে এই দেশে কোর্স নিতে পারবেন।

স্লোভাকিয়াতে পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

স্লোভাকিয়ায় পড়াশুনার জন্য আপনাকে IELTS বা TOEFL এর প্রয়োজন জয় না। তবে IELTS বা TOEFL থাকলে আপনি বারতি সুযোগ পাবেন। আর স্কলারশিপের দৌড়েও এগিয়ে থাকবেন। এদেশে আপনাকে ব্যাচেলর প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে অর্জন করতে হবে HSC আর মাস্টার্স প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে আপনার থাকতে হবে ব্যাচেলর আর পিএইচডি প্রোগ্রামে অংশ নিতে আপনার থাকতে হবে মাস্টার্স ডিগ্রী।

University in Slovakia
Image Source: Internet

ডকুমেন্টস সত্যায়ন

স্লোভাকিয়ার জন্য ডকুমেন্টস সত্যায়ন একটি জটিল প্রক্রিয়া।

(১) প্রথমে আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অথবা শিক্ষা বোর্ড থেকে আপনার ডকুমেন্টস সত্যায়ন করিয়ে নিতে হবে।

(২) তারপর যেতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ডকুমেন্টস সত্যায়নের জন্য।

(৩) এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডকুমেন্টস সত্যায়ন করতে হবে।

(৪) পরবর্তীতে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে, ঢাকাস্থ স্লোভাকিয়ার কনস্যুলেট অফিসে আর করিয়ে নিতে হবে ডকুমেন্টস সত্যায়ন। আপনি দিল্লিস্থ স্লোভাকিয়া এম্বেসী থেকেও ডকুমেন্টস সত্যায়ন করিয়ে নিতে পারবেন। ডকুমেন্টস সত্যায়নের সময় অবশ্যই আপনার অরিজিন্যাল ডকুমেন্টস কাছে রাখতে হবে। আর প্রতি পেজ সত্যায়ন করাতে আপনাকে দিতে হবে ২০ ইউরো করে।

অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয় সত্যায়ন ছাড়াই ডকুমেন্টস একসেপ্ট করে। তাই আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেইল করে জেনে নিন- আপনার ডকুমেন্টস সত্যায়ন লাগবে কিনা আর লাগলেও কোন ধাপ থেকে আপনার ডকুমেন্টস সত্যায়ন প্রয়োজন পরবে।

ভর্তি আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

স্লোভাকিয়ায় সাধারণত Autumn সেশনে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হয়ে থাকে। মার্চ থেকে এপ্লিকেশন নেওয়া শুরু হয়- আর শেষ হয় জুন মাসে। আর এই সেশনের ক্লাস শুরু হয় সেপ্টেম্বর বা মার্চ মাসে।

Students in Slovakia
Image Source: internet

প্রথমেই আপনাকে নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। অনেক সময় ডাকযোগে ডকুমেন্টস পাঠাতে হতে পারে। তাই ভালো করে পড়ে ও দেখে নিন, প্রয়োজনে ই-মেইল করে সিউর হয়ে নিন আবেদনের জন্য কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন পড়বে আর কিভাবে সেই ডকুমেন্টস দিতে হবে। আবেদনের কিছু সাধারণ ডকুমেন্টসের তালিকা দেওয়া হল, কিন্তু মনে রাখবেন এই তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারেঃ

১। সত্যায়িত সকল একাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট

২। পাসপোর্টের কপি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি

৩। IELTS এর সনদ (বাধ্যতামূলক নয়)

৪। CV

৫। মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার

টিউশন ফি

স্লোভাকিয়ায় পড়াশুনার খরচ মূলত ৫০০-১,০০০ ইউরো/ প্রতি বছর। অনেক স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য ৩,৫০০- ৪,০০০ ইউরো/ প্রতি বছর আর মেডিকেলের জন্য ৯,০০০-১২,০০০ ইউরো/ প্রতি বছর দিতে হতে পারে।

আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ

স্লোভাকিয়ার ভিসা প্রাপ্তির জন্য আপনাকে ব্যাংকে সেদেশে এক বছর চলার মত পর্যাপ্ত অর্থের সংস্থান দেখাতে হবে। আর যদি আপনার খরচ বহন করে অন্য কোন স্পন্সর, তাহলে তাকে নোটারাইজড অংগীকারনামা ও ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে।

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও ডকুমেন্টস চেকলিস্ট

বাংলাদেশে স্লোভাকিয়ার এম্বেসী নেই, কিন্তু কনস্যুলেট রয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশে এম্বেসী নাই, তাই আপনাকে যেতে হবে ভারতের দিল্লিস্থ স্লোভাকিয়ার এম্বেসীতে। এজন্য আপনাকে আগে থেকেই নিতে হবে এপয়েন্টমেন্ট। ভিসা ফি দিতে হবে ৬০ ইউরো।

টেম্পোরারী রেসিডেন্স পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে ভিজিট করুন –

https://www.mzv.sk/web/dilli-en

Visa Application - Slovakia
Image Source: Pixabay.com

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের লিস্ট নিচে দেওয়া হলঃ

১। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো Offer Letter

২। পাসপোর্ট [কমপক্ষে ৩ মাস মেয়াদ ও ২ টি ফাকা পেজ থাকতে হবে]

৩।ফটোগ্রাফ (৪.৫ সেঃমিঃ x ৩.৫সেঃমিঃ) – দুইটি

৪। মেডিক্যাল ইনস্যুরেন্স ও পুলিশ ক্লিয়ারান্স সার্টিফিকেট [অনধিক ৩ মাসের পুরাতন]

৫। ফ্লাইট রিজার্ভেসনের ডকুমেন্টস

৬। ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও আর্থিক স্বচ্ছলতার ডকুমেন্টস

৭। জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট [ইংরেজীতে হতে হবে]

৮। IELTS এর সনদ (যদি থাকে)

৯। CV, মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন বা রেফারেন্স লেটার

১০। সকল সত্যায়িত মার্কশিট ও সকল সনদ

১১।স্কলারশিপের পেপার (যদি থাকে)

ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে বসতে হবে ইন্টারভিউ এ। আর ভিসা পেতে সময় লাগবে সাধারণত ১৫ কার্যদিবস। কিন্তু মাঝে মাঝে এই সময় ৪-৬ সপ্তাহ পর্যন্ত হয়ে যায়।

 

ভারতের দিল্লিস্থ স্লোভাকিয়ার এম্বেসীর ঠিকানাঃ

50-M, Niti Marg, Chanakyapuri, New Delhi, India
Tel.:     +91 1126889071, +91 1126885340, +91 1126111075
Fax:     +91 1126877941 | Email:  [email protected]

স্লোভাকিয়ায় আবাসন ব্যবস্থা

প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই রয়েছে হোস্টেলের ব্যবস্থা। যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে আবাসন ব্যবস্থা করতে পারেন, তাহলে অনেক কম খরচেই থাকার খরচ মেটাতে পারবেন। আবাসনের জন্য তাই আগে থেকেই আবেদন করা বুদ্ধিমানের কাজ। স্লোভাকিয়ায় থাকা- খাওয়া বাবদ আপনার মাসিক খরচ হবে ৩৫০-৪০০ ইউরো।

Life in Slovakia
Image Source: interent

পার্ট টাইম জব এর সুযোগ ও স্থায়ী বসবাস

স্লোভাকিয়ায় আপনি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজ করার সুযোগ পাবেন। এই দেশে পার্ট টাইম জব পাওয়াটা অনেকটাই কঠিন। যদি স্লোভাকিয়া ভাষা জানা থাকে তাহলে, আপনি জব পেলেও পেতে পারেন- কিন্তু জবের পরিমাণ তুলনামূলক কম। মূলত স্থানীয় জনগণ এই জবগুলো বেশি পেয়ে থাকে।

আপনি স্লোভাকিয়ায় টানা ৫ বছর থাকেন তাহলে খাতা-কলমের হিসাবে PR এর পাওয়ার কথা। কিন্তু, বাস্তবে দেখা যায়, টানা ৮-১০ বছর থাকার পরই PR দেওয়া হয়।

স্লোভাকিয়ায় PR পাওয়া আসলেই কঠিন কিন্তু কম খরচে ও বিনা IELTS এ ইউরোপে পড়তে চাইলে স্লোভাকিয়া হয়ে পারে উত্তম ডেস্টিনেশন।

Life in Slovakia
Image Source: Pixabay.com

তথ্যসুত্রঃ

November 21, 2022

ইউরোপ- পাশ্চাত্যের জ্ঞানের সাগর, পাশ্চাত্যের কেন্দ্রস্থল। ইউরোপ ভ্রমণের স্বপ্ন দেখেননি, এমন মানুষ কি আদৌ আছে? অনেকে আবার রীতিমত ইউরোপের জ্ঞানের সাগরে ডুব দেবার স্বপ্ন দেখেন। ইউরোপের পাড়ি জমানোর রাস্তা সহজ করতে তাই আজ আমরা আলোচনা করবো ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর যেদেশে অবস্থিত সেই দেশ- বেলজিয়াম নিয়ে। বেলজিয়াম মূলত পশ্চিম ইউরোপের দেশ। সুন্দর এই দেশে আবেদনের বিস্তারিত এখন জেনে নেওয়া যাক- তাহলে চলুন শুরু করি।

Study in Belgium
Image Source: pixabay.com

দেশ পরিচিতি – বেলজিয়াম

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বেলজিয়াম ইউরোপের ছোট ও ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। ৩০,৬৮৯ বর্গ কিলোমিটারের এই দেশে বসবাস করে ১ কোটি ১৪ লক্ষ লোকের বসবাস (২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী)। ১৮৩০ সালে স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস, মুদ্রা ইউরো ও এই দেশের অফিসিয়াল ভাষা তিনটি- ফ্রেঞ্চ, ডাচ ও জার্মান। অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে এই দেশের ৩৯০.২ বিলিয়ন ইউরো। শীতকালের গড় তাপমাত্রা ৩.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস আর গ্রীষ্মকালের গড় তাপমাত্রা ১৮.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। মূলত বেলজিয়াম শীত প্রধান দেশ ও আটলান্টিক সাগরের কারণে এই দেশে বাতাসের আদ্রতা বেশি।

বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স নির্বাচন

বেলজিয়ামে বিশ্বমানের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এখানে পড়াশুনার মাধ্যম হল ডাচ। এদেশে ব্যাচেওর প্রোগ্রাম সাধারণত ডাচ ভাষাতেই পরিচালিত হয়। কিন্তু মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রাম ইংরেজী মাধ্যমে অফার করা হয়ে থাকে। এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল, পরিবেশ বিজ্ঞান, মেডিকেল সাইন্স সহ ব্যবসায় প্রশাসনের বিভিন্ন কোর্স অফার করা হয়ে থাকে। এজন্য আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইট খুঁজতে হবে- আর বাছাই করে নিতে হবে আপনার পছন্দের কোর্স।

আপনাদের সুবিধার্থে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিচে দেওয়া হলঃ

Katholieke Universiteit Leuven (KU Leuven)

https://www.kuleuven.be/english

University of Ghent

http://www.ugent.be/en

Université Catholique de Louvain (UCL)

https://www.uclouvain.be/en-index.html

Vrije Universiteit Brussel (VUB)

http://www.vub.ac.be/en/

Universite Libre de Bruxelles (ULB)

http://www.ulb.ac.be/ulb/presentation/uk.html

University in Belgium
Image Source: Internet

ভাষাগত যোগ্যতা

ইংরেজী মাধ্যমে পড়তে আপনাকে IELTS পরীক্ষা দেবার প্রয়োজন পড়বে। আপনাকে IELTS-এ অর্জন করতে হবে ন্যূনতম ৬.০ থেকে ৬.৫ । যদি আপনি ৬.৫ পান তাহলে আপনার আবেদন সহজেই গৃহীত হবে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে আপনার পূর্ব ডিগ্রী (যেমনঃ ব্যাচেলর)-এ আপনার Medium of Instruction যদি ইংরেজী হয় তাহলে আপনি IELTS ছাড়াই আবেদন করতে পারবেন।

ডকুমেন্ট সত্যায়ন

সকল একাডেমিক কাগজপত্র সত্যায়িত করতে হবে যথাক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বেলজিয়াম এম্বেসী কনস্যুলেট দ্বারা।

ঢাকা বেলজিয়াম কনস্যুলেটরের ঠিকানা নিচে দেওয়া হলঃ

Honorary Consulate Dhaka

ACI Centre – 245 Tejgaon Industrial Area, 1208 Dhaka Bangladesh

+8802 88 786 03 (Ext. 280)

[email protected]

www.consubel.net (under construction)

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া

ভর্তির জন্য প্রথমেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট থেকে Admission Office এ যোগাযোগ করে মেইল এর মাধ্যমে সকল বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করুন। সেই অনুযায়ী কাগজপত্র গুছিয়ে ফেলতে হবে আর আবেদন করতে হবে। আর প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস বেলজিয়ামের কনস্যুলেটর মহোদয়ের কাছ থেকে সত্যায়িত করে আনতে হবে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হয় ডাকযোগে- সেক্ষেত্রে হাতে সময় নিয়েই আবেদন করতে হবে। আবার যদি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন আবেদন গ্রহণ করে, তাহলে তো কথাই নেই স্ক্যান করে ডকুমেন্টস দিয়ে আবেদন করে ফেলুন।

আপনার কাগজপত্র সব ঠিক ঠাক থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে পাঠিয়ে দিবে Acceptance Letter. এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের Dutch Language Centre-এ আবেদন করতে হবে (যদি ডাচ মাধ্যমে পড়তে চান)। ডাচ ভাষা শেখার জন্য আপনাকে ২৫০০ থেকে ৪০০০ ইউরো খরচ করতে হবে। Dutch Language Centre থেকেও আপনাকে একটি Acceptance Letter পাঠাবে।  যদি ইংরেজী মাধ্যমে পড়াশুনা করতে চান তাহলে IELTS এর কপি দিলেই চলবে।

এবার এই দুইটি Acceptance Letter পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে ব্যাংক একাউন্টস নাম্বার প্রদান করবে টিউশন ফি প্রদান করার জন্য। তারপরেই আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

Students in Belgium
Image Source: pixabay.com

এডমিশনের জন্য যেসকল কাগজপত্র আপনাকে প্রেরণ করতে হবে তার একটি লিস্ট নিচে দেওয়া হল।

১। পূরণকৃত আবেদন ফর্ম

২। পরিচিতি ডকুমেন্ট

৩। সকল সার্টিফিকেট ও মার্কশীট

৪। মোটিভেশন লেটার/ সিভি/ রেফারেন্স লেটার

৫। আইইএলটিএস / মিডিয়াম অফ ইন্সট্রাকশন সার্তফিকেট

টিউশন ফি

বেলজিয়ামে বার্ষিক টিউশন ফি ৮৩৫ ইউরো থেকে ৯০০০ ইউরো পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই ফি বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে তৃতীয় বিশ্বে দেশের জন্য বিশেষ কিছু ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এই সকল তথ্যাদি আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে পেয়ে যাবেন।

এই দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন স্কলারশিপের সুযোগ রয়েছে- আর এই সকল স্কলারশিপগুলো আংশিক বা পুরো টিউশন ফি সহ মাসিক ভাতা দিয়ে থাকে। এই সকল তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে স্কলারশিপ সেকশনে পেয়ে যাবেন।

আর্থিক সচ্ছলতার প্রমান/ব্যাংক সলভেন্সি

ব্যাংক সলভেন্সির জন্য আপনাকে নিজে একাউন্টসে (৬৭০ ইউরো x ১২) = ৮০৪০ ইউরো রাখতে হবে। যাতে ঐ দেশে দিয়ে থাকা খাওয়া হেলথ কেয়ার নিয়ে কোন সমস্যায় পড়তে না হয়।

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

বাংলাদেশে ভিসা কনস্যুলেট থাকলেও ভিসা অফিস নেই। তাই ভিসার জন্য আপনাকে যেতে হবে ইন্ডিয়ার দিল্লীতে। ইন্ডিয়ায় অবস্থিত ভিসা অফিসের ঠিকানা নিচে দেওয়া হলঃ

Embassy New Delhi

50-N Shantipath, Chanakyapuri, 110021 New Delhi, India.

T: +91 11 424 280 00 – Embassy

T: +91 11 424 280 40 – Visa matters every working day between 11.30am and 1pm (check status of applications in process)

Mail: [email protected]

[email protected]

[email protected] (visa)

F: +91 11 424 280 02

Opening hours:

The embassy is open to the public from Monday to Friday between 9am and 1pm and between 1.30 and 5pm.

ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের চেকলিস্ট নিচে দেওয়া হলঃ

১। পূরণকৃত আবেদন ফর্ম ও সাথে সংযুক্ত পাসপোর্ট সাইজের ছবি

২। পাসপোর্ট (১ বছরের ভ্যালিডিটি থাকতে হবে)

৩। অফার লেটার

৪। সিভি বা জীবন বৃত্তান্ত/ মোটিভিশন লেটার

৫। সকল সার্টিফিকেট ও মার্কশীট

৬। আইইএলটিএস কপি

৭। ব্যাংক সলভেন্সি ডকুমেন্টস (ইনকাম ট্যাক্স ও আয়ের উৎস)

৮। টিউশন ফি পেমেন্ট-এর কপি

৮। মেডিকেল সার্টফিকেট

৯। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (আপনার বয়স ২১ বছরের বেশি হলে)

Life in Belgium
Image Source: pixabay.com

আবাসন ব্যবস্থা এবং জীবন যাত্রার ব্যয়

বেলজিয়ামে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রায় হোস্টেল সুবিধা রয়েছে। তবে আপনি বাইরে থাকতে চাইলে তাও পাবেন। শেয়ারড কিম্বা সিঙ্গেল ফ্লাট সব সুবিধাই রয়েছে এই দেশে।

বেলজিয়ামে থাকা খাওয়ার বাবদ ৪০০-৮০০ ইউরো খরচ হবে। তবে এই খরব ব্যক্তি বিশেষের উপর নির্ভর করে। আপনার রুচি ও জীবনযাত্রা ও কোথায় কিভাবে আছেন তার উপরে এই খরচ ১০০০ ইউরোর উপরেও যেতে পারে।

পার্ট টাইম জব

ইউরোপের এই দেশে আপনি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা পার্ট টাইম চাকুরী করার সুযোগ পাবেন। আর সামারে চাইলে পুরো দস্তুর কাজ করার সুযোগ পাবেন। বেলজিয়ামে যদিও অফিসিয়ালি ৩ টি ভাষা আছে, তবে ডাচ ভাষার প্রাধান্য বেশি। আর এই ডাচ ভাষা জানা না থাকলে আপনার পার্ট টাইম চাকুরীর আশা অনেকটাই গুড়ে বালি।

কোর্স শেষে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ

বেলজিয়ামে একটানা ৫ বছরের বেশি সময় থাকলে আপনি এই দেশে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বেলজিয়াম নিয়ে আলোচনা আমার আজ এখানেই শেষ করছি। এই সুন্দর দেশে আবেদন করতে চাইলে দেরি না করে নিজেকে তৈরী করে আবেদন করুন- এখনি। শুভ কামনা রইলো।

Life in Belgium
Image Source: Internet

তথ্যসুত্রঃ

November 21, 2022

হাজার হৃদের দেস নামে পরিচিত সবুজ অরণ্যে ঘেরা ইউরোপের সবচেয়ে উত্তরের দেশ ফিনল্যান্ড। হেলসিংকি এ দেশের সর্ববৃহৎ শহর ও রাজধানী। ফিনল্যান্ড বর্তমানে উচ্চশিক্ষা আকাঙ্ক্ষীদের জন্য স্বর্গে পরিণত হয়েছে যার একমাত্র কারণ উচ্চমানের শিক্ষাব্যবস্থা। আর আপনাদের সুবিধার্থে আজ আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি ফিনল্যান্ড নিয়ে যেন আপনারা নিজেরাই করতে পারেন নিজেদের আবেদন- আর সহজেই পৌছে যেতে পারেন ফিনল্যান্ড।

Higher Study in Finland
Image Source: pixabay.com

ফিনল্যান্ডের যত বিশ্ববিদ্যালয়

ফিনল্যান্ডে ১৬টি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় ও ২৭টি এপ্লাইড সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয় ফিনল্যান্ড ও ইউরোপীয় আধিবাসীদের জন্য ফ্রী হলেও ২০১৭ সালের পর থেকে নন-ইউরোপীয়দের জন্য টিউশন ফি পরিশোধ করতে হয়। ফিনল্যান্ডের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম তুলে দেওয়া হল।

Aalto University

E-mail: [email protected] । http://www.aalto.fi/en/studies

Tampere University of Technology

[email protected] | http://www.tut.fi/en/admissions

University of Eastern Finland

[email protected] | http://www.uef.fi/admissions

University of Helsinki

[email protected] | https://www.helsinki.fi/en/studying/how-to-apply

University of Lapland

[email protected] | https://www.ulapland.fi/EN/Admissions

University of Oulu

[email protected] | http://www.oulu.fi/english/admissions

University of Vaasa

[email protected] | http://www.uva.fi/en/for/prospective/

ফিনল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থা

এদেশে ৩ ভাষায় শিক্ষা প্রদআন করা হয়, যথাঃ ইংরেজী, সুইডিশ আর ফিনিশ। তবে মজার ব্যাপার হল, এদেশে প্রায় সবাই ইংরেজী ভাষায় কথা বলতে পারে। সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী ভাষায় সীমিত সংখ্যক কোর্স রয়েছে- তবে আশার কথা, Applied Science বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী ভাষায় বিস্তর সংখ্যক কোর্স রয়েছে। তাই যারা Applied Science এর উপর কোর্স করবেন, তাদের জন্য এদেশে সুযোগ একটু বেশি। ফিনল্যান্ডে মাস্টার্স কোর্সে ভর্ত্তির জন্য বয়সের কোন বাধা নেই।

ফিনল্যান্ডে আপনি চারটি বিশ্ববিদ্যালয় বা চারটি বিষয়ে পড়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ দেশের মাস্টার্স প্রোগ্রাম টেকনিক্যাল ভিত্তিক- আর ব্যাচেলর প্রোগ্রামে ভর্ত্তি হতে গেলে আপনাকে বসতে হবে পরীক্ষায়। এই ভর্ত্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হবে সাধারণ গণিত, আই,কিউ বিষয়ক এবং বিশ্লেষণাত্মক বিষয় নিয়ে। তাই আপনাকে আবার নিজেকে একটু ঝালিয়ে নিতে হবে। মাস্টার্সে প্রোগ্রামে সাধারণত ভর্ত্তি পরীক্ষায় বসতে হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে বর্ণিত যোগ্যতা থাকলেই চলবে।

University in Finland
Image Source: Internet

পছন্দের কোর্স নির্বাচন

প্রথম কাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের Website ঘেটে, নিজের পছন্দ মত কোর্স বেছে নিতে হবে। ফিনল্যান্ডে Engineering সেকশনের কোর্সগুলোর চাহিদা বেশি। তাই, ফিনল্যান্ডে ভবিষ্যৎ খুঁজতে চাইলে অবশ্যই Engineering Stream -এ আবেদন করা শ্রেয়।

অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের মত এখানে দুই টি সেশন আছে। যথাঃ এটাম সেশন (Autumn Session) এবং স্প্রিং সেশন (Spring Session) । এটাম সেশন চলে আগস্ট থেকে ডিসেম্বর আর স্প্রিং সেশন চলে জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত।

ফিনল্যান্ডে মাস্টার্স প্রোগ্রাম ১.৫ থেকে ২ বছরের হয়ে থাকে আর এই প্রোগ্রামে আপনাকে সম্পন্ন করতে হবে ১২০ ক্রেডিট। আপনাকে অবশ্যই ৪ বছরের মধ্য মাস্টার্স কোর্স শেষ করতে হবে। আর ডক্টোরাল কোর্সে সময় দেওয়া হয়ে থাকে ৩ থেকে ৬ বছর। ডক্টোরাল সকল কোর্সের জন্য ইংরেজী ভাষাগত দক্ষতা বাধ্যতামূলক। মাস্টার্স বা ডক্টোরাল কোর্সে আবেদন করতে আপনার নূন্যতম IELTS Score 6.5 বা TOEFL- এ 550 Score থাকতে হবে।

ফিনল্যান্ডে ভর্তি আবেদন

সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবার তারিখের হের ফের হয়ে থাকে। তবে বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয় ডিসেম্বরে আর সেটা শেষ করতে হয় ফেব্রুয়ারির মধ্যে। তবে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে মার্চ পর্যন্ত সম্য দিয়ে থাকে। আবেদন করার জন্য আপনাকে শরণাপন্ন হতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব  সাইটের। প্রতিটি ফিনিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন প্রক্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর নির্ভর করে। আর আপনার প্রয়োজনীয় যোগ্যতাও বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়। আপনি চাইলে আবেদন করতে পারবেন অন-লাইনে (On Line). আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ডাক যোগে ফর্ম পাঠিয়ে দেয়। সেই নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হয়। আপনার আবেদনের উপর ভিত্তি করে আপনাকে দেওয়া হবে অফার লেটার (Offer Letter)। আবেদন প্রক্রিয়ায় অনেক সময় বছর খানেক সময় লাগে। তাই, হাতে সময় নিয়ে আবেদন করা উচিত। ফিনল্যান্ডে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি জমা দিতে হতে পারে। তাই আগেই ওয়েব সাইট ঘেটে জেনে নিন আপনার নির্বাচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় সবকিছু।

আবেদন করতে মূলত প্রয়োজন পরবেঃ

১। সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ও মার্কসীটের ইংরেজি ভার্সন

২। সর্বশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র

৩। ভাষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র

৪। রিকমেন্ডেশন লেটার

৫। মোটিভেশন লেটার

৬। পাসপোর্টের ফটোকপি

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে অন্যান্য ডকুমেন্টস লাগতে পারে।

Students in Finland
Image Source: Internet

টিউশন ফি

ফিনল্যান্ডে কোর্স থেকে ভেদে পড়তে আপনাকে খরচ করতে হবে ৮,০০০ থেকে ১০,০০০ ইউরো। এদেশে সাধারণত স্কলারশিপ প্রোগ্রাম বেশি নেই। এদেশে পড়ার জন্য সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ইরাসমাস মুন্ডাস।

ফিনল্যান্ডে আবাসন ও জীবনযাত্রা

ফিনল্যান্ডে থাকার জন্য স্টুডেন্ট এপার্টমেন্ট আছে। সাধারণত এসব এপার্টমেন্টেই শিক্ষার্থীরা থাকে। শেয়ারড এপার্টমেন্টও পাওয়া যায় এদেশে।

এদেশে জীবনযাত্রার একটি ব্যয়ের প্রাক্কলণ দেওয়া হলঃ

আবাসন বাবদ খরচঃ ২২০ – ২৪০ ইউরো

খাওয়া বাবদ খরচঃ ৮০ – ৯০ ইউরো

আনুষঙ্গিক ব্যয়ঃ ২০-৫০ ইউরো

স্বাস্থ্য বীমাঃ ২৫- ৭৫ ইউরো

Student Housing in Finland
Image Source: Internet

ভিসা নিয়ে যত কথা

ফিনিশ ভিসার জন্য আপনাকে যেতে হবে ইন্ডিয়া, কারণ ফিনল্যান্ডের এম্বেসী বাংলাদেশে নেই। এই দেশের ভিসা পেতে আপনার নিম্নোক্ত ডকুমেন্টস দরকার পড়বেঃ

১। পাসপোর্ট

২। ভিসা আবেদনের ফর্ম

৩। ভার্সিটির অফার লেটার

৪। পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি

৫। ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট

৬। ইনকাম এর উৎস

৭। টিউশন ফি পরিশোধের প্রমাণ

৮। ইন্স্যুরেন্স ও চাকুরির অভিজ্ঞতা (যদি থাকে)

আপনাকে ২ বছরের পারমিট এর জন্য আপনার নিজের একাউন্টসে ১৩,৪৪০ ইউরো দেখাতে হবে আর ১ বছরের পারমিট এর জন্য ৬৭২০ ইউরো দেখাতে হবে। আপনার থাকার ব্যয় যদি বিশ্ববিদ্যালয় বহন করে তাহলে ২৮০ ইউরো প্রতি মাসে, আর যদি আপনাকে নিজেকেই থাকা ও খাওয়ার খরচ বহন করে তাহলে প্রতি মাসে ১৯৫ ইউরো করে যত বছরের পারমিটের জন্য আবেদন করবেন তত দিনের দেখাতে হবে।

আপনার স্পন্সর যদি পিতা-মাতা হয়, তাহলে অতিরিক্ত কাগজপত্র দেখাতে হতে পারে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, পিতা-মাতা ছাড়া অন্য কেউ স্পন্সর হবার সুযোগ নেই।

Life in Finland
Image Source: Internet

ফিনল্যান্ডে পার্টটাইম জব

ফিনল্যান্ডে আপনি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজ করার সু্যোগ পাবেন। আবার সামারে আর উন্টারে পাবেন ফুল টাইম টাইম কাজ করার সুযোগ। অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী এই দেশে কাজ করার রয়েছে বিপুল সুযোগ। আবার ২০-৫০ ক্রেডিট সম্পন্ন করার পর আপনি Teachers’ Assistant হিসেবে আবেদন করতে পারবেন। তবে পার্ট টাইম চাকুরী করতে আপনাকে সুইডিশ ভাষা জানা থাকলে পাবেন অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা।

ফিনল্যান্ডে কোর্স শেষে চাকুরির সুযোগ ও স্থায়ী বসবাস এর সম্ভাবনা

ফিনল্যান্ডে ছাত্র হিসাবে থাকাকালে আপনাকে B Status-এ গণ্য করা হবে। এরপর চাকুরী শুরু করলে আপনাকে দেওয়া হবে A Status। আপনি যদি ৪ বছর A Status নিয়ে ফিনল্যান্ডে থাকেন তাহলেই আপনি বৈধ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এজন্য আপনার ভাষাগত প্রমাণপত্র ও চাকুরীর প্রমাণপত্র দিয়েই স্থায়ী নাগরিক হিসেবে ফিনল্যান্ডে থাকতে পারবেন।

Life in Finland
Image Source: Internet

ফিনল্যান্ড ইউরোপের সমৃদ্ধ ও অপার সম্ভবনাময় এক দেশ। আপনি চাইলে নিজের সম্ভবনার খোঁজে আসতে পারেন ফিনল্যান্ডে।

তথ্যসুত্রঃ

November 21, 2022

The Germany Academic Exchange Service যাকে সংক্ষেপে বলা হয় ডাড স্কলারশিপ- যা একটি জার্মানভিত্তিক স্কলারশিপ। জার্মানীর অন্যতম প্রেস্টিজিয়াস স্কলারশিপ হল ডাড স্কলারশিপ। যারা উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে চান জার্মানী, তাদের জন্য ডাড একটি লোভনীয় স্কলারশিপ। মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য এই স্কলারশিপ প্রদান করা হয়ে থাকে। এই স্কলারশিপে আপনি ১০ থকে ১৪ মাস মেয়াদী মাস্টার্স বা পিএইচডি করতে পারবেন বা এই সময়ের জন্য সার্বিক সহযোগিতা পাবেন। এটি প্রথম চালু হয় ১৯২৫ সালে আর বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপে আবেদন করতে পারে।

স্কলারশিপ এর নাম

ডাড (DAAD ) স্কলারশিপ

যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে

এই স্কলারশিপে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সের জন্য শিক্ষা সহায়তা পাওয়া যায়। নিচের লিস্টের ফিল্ডসগুলর বিভিন্ন সাবজেক্টের জন্য আপনি স্কলারশিপ আবেদন করতে পারবেনঃ

Economic Sciences/Business Administration/Political Economics, Development Cooperation, Engineering and Related Sciences, Mathematics, Regional and Urban Planning, Agricultural and Forest Sciences, Natural and Environmental Sciences, Medicine and Public Health, Social Sciences, Education and Law, Media Studies

দেশ এবং কর্তৃপক্ষ

জার্মানী। জার্মান সরকার (Deutscher Akademischer Austauschdienst (DAAD))

বৃত্তির সুযোগ সুবিধাসমূহ

ডাড স্কলারশিপের আওতায় আপনি যা যা পাবেনঃ

১। টিউশন ফি ও পরীক্ষার ফি

২। মাসিক ভাতা (মাস্টার্স প্রোগ্রামে ৮৫০ ইউরো, পিএইচডি-র জন্য ১২০০ ইউরো)

৩। বিমান ভাড়া

৪। স্বাস্থ্যবীমা

৫। বিশেষ ক্ষেত্রে বাড়ি ভাড়া এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য মাসিক ভাতার ব্যবস্থা

আবেদনের যোগ্যতা

ডাড স্কলারশিপের জন্য আপনার থাকতে হবে নিম্নোক্ত যোগ্যতাঃ

১। ন্যূনতম বি,এসসি ডিগ্রী থাকতে হবে।

২। কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ২ বছর।

৩। IELTS Score প্রয়োজন পড়বে ৬.৫। তবে বেশ কিছু প্রোগ্রামে আবেদন করতে Medium Instruction English থাকলেই চলবে। তাই অবশ্যই আবেদনের সময় জেনে নিতে হবে আসলে আপনার কি কি লাগছে।

৪। প্রার্থীকে উন্নয়নশীল দেশের হতে হবে।

চেষ্টা করবেন, আপনার স্টাডি গ্যাপ যেন ৬ বছরের বেশি না হয়। ৬ বছরের যত কম হবে, তত ভালো।

DAAD Scholar
Image Source: Internet

আবেদনের সময়সীমা

ডাড (DAAD) স্কলারশিপের বিভিন্ন ফিল্ডের বিভিন্ন সাবজেক্টের আবেদনের সময়সীমা বিভিন্ন। তাই আপনাকে সহযোগিতা নিতে হবে নিচের লিংকের, যার সাহায্যে জেনে নিতে পারবেন আপনাকে কখন আবেদন করতে হবে।

https://www.daad.de/en/

যেসকল দেশের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য

বিশ্বের অনেক দেশ সহ বাংলাদেশের জন্য এই স্কলারশিপ ওপেন আছে।

আবেদন প্রক্রিয়া

প্রথমেই ডাডের অনুমোদিত কোর্সগুলো থেকে কোর্স নির্বাচন করে আপনাকে বেছে নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়। তারপর করে ফেলুন আপনার আবেদন। মনে রাখবেন আপনি সর্বোচ্চ তিনটি কোর্সে আবেদন করতে পারবেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করবে। আর তারাই আপনাকে ডাড স্কলারশিপে আবেদন করতে বলবেন। এরপর আপনি নিচের লিঙ্কে গিয়ে আবেদন করে ফেলুনঃ

https://www.mydaad.de/en/

ডাড স্কলারশিপের প্রোগ্রামের জন্য আপনাকে জমা দিতে হবেঃ

১। Online আবেদন ফর্ম

২। সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশীট

৩। Euro Pas Formatted CV

৪। SOP

৫। বিশ্ববিদ্যালয়ের offer Letter (যদি থাকেন, তাহলে আবেদনের সাথেই দিতে হবে)

৬। রিকমেন্ডেশন লেটার (২ টি) – সাইন ও সীল দিয়ে সীলড অবস্থায় দিতে হবে।

৭। Work Experience Certificate

৮। IELTS Certificate (যদি প্রয়োজন হয়)

৭। NID

৮। পাসপোর্টের কপি

তথ্যসুত্রঃ

November 21, 2022

কেন জার্মানিতে পড়তে যাবেন?

জার্মানীকে বলা হয় “The Land of Ideas” বা “The Land of Engineers”- আর এর পেছনে যথেষ্ঠ কারণও রয়েছে। জার্মানী প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে এগিয়ে গেছে অনেক দূর। তাই নিঃসন্দেহে জার্মানী উচ্চ শিক্ষার জন্য হতে পারে কাঙ্ক্ষিত স্থান। এক্ষেত্রে প্রথমেই যে সুখবর দিতে চাই তা হল, এ দেশের প্রায় ৯০% বিশ্ববিদ্যালয়ে দিতে হয় না কোন টিউশন ফি। শুধু আপনাদের দিতে হবে সেমিস্টার ফি, যার পরিমাণ ১৫০-৪০০ ইউরো- ক্ষেত্র বিশেষে এটা ৫০০-৭০০ ইউরো।

এই প্রযুক্তির দেশে আপনাকে যে শুধু জার্মান ভাষায় শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে এমনটা নয়। এখানে ইংরেজী ভাষায়ও পড়াশুনার সুযোগ রয়েছে। এজন্য আপনাকে নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয় বেছে নিতে হবে।

Higher Study in Germany
Image Source: pexels.com

জার্মানীতে সাধারণত Summer Session (1st December – 15th  January) এবং Winter Session (May – 15th  July) – এই দুই সেশনে ভর্তি নিয়ে থাকে। যদি আপনি উচ্চ মাধ্যমিক দিয়ে জার্মানীতে স্নাতক পর্যায়ে পড়তে যেতে চান তাহলে আপনাকে StudienKolleg করতে হবে এবং Entrance Exam-এ নির্দিষ্ট পরিমাণ নম্বর পেলেই মিলবে এডমিশন। আর যদি এই পন্থায় যেতে না চান, তাহলে বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৫%  Credit সম্পন্ন করে যেতে পারবেন স্নাতক ডিগ্রী অর্জনের জন্য। আবার আপনি যদি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা Diploma কোর্সে জয়েন করেন তবে আপনাকে বাংলাদেশেই ১ বছর পড়াশুনা করতে হবে এবং ৫০% এর অধিক নম্বর অর্জন করতে হবে। এই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিতে হবে এবং সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের Requirement বিবেচনা করতে হবে।

জার্মানীর Student Visa এর প্রকারভেদ

  1. Student Visa (Fix Term Language Course)

নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে এই ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ নেই। ৩-৬ মাস মেয়াদী এই ভিসা, ভাষা শিক্ষালাভের জন্য দেওয়া হয়। এ সময় Part Time/ Full Time Job এর কোন সু্যোগ নেই।

  1. Student Application Visa

এই ভিসার প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হল, আপনাকে প্রথমে German Language Course করে জার্মানি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং পরবর্তীতে জার্মান ভাষায় আপনাকে কোর্স সম্পন্ন করতে হবে। এ জন্য আপনাকে জার্মান ভাষার B2 Course (European Framework Level 2) পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। এই ভিসায় আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী মাধ্যমে পড়তে পারবেন না এবং আপনার Part Time/ Full Time Job করার সুযোগ নেই।

  1. Student Visa (Direct Admission to University)

এটাই সেই ভিসা যেখানে আপনার ইংরেজী মাধ্যমে পড়াশুনা এবং কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন। তাই কষ্ট হলেও আপনার এই ভিসা অর্জনের চেষ্টা করা শ্রেয়।

জার্মানীতে পড়তে যাবার বিভিন্ন বিষয়াবলী

(১) যোগ্যতা

অনেকেই মনে করে জার্মানীতে পড়তে যাবার জন্য আপনার CGPA ৩.০০ এর উপরে লাগে। এটা সম্পূর্ণ ভুল- কারণ ৩.০০ এর চেয়েও কম CGPA নিয়েও অনেক অনেক শিক্ষার্থী পাড়ি জমাচ্ছে জার্মানীতে। তবে, CGPA ৩.০০ এর বেশী থাকলে অবশ্যই আপনি অনেকের চেয়ে এগিয়ে যাবেন। তাই চেষ্টা করুন CGPA ৩.০০ এর বেশি রাখার। আর একেবারেই যদি তা সম্ভব না হয়, অন্যান্য কো-কারিকুলাম এক্টিভিটির মাধ্যমে নিজেকে তৈরী করে নেওয়া উচিত।

(২) কোর্স বাছাই

প্রথমে  https://www.daad.de/deutschland/studienangebote/international-programs/en/  – Link এ গিয়ে Course Type (Bachelor’s, Master’s and Phd), Course Language (English or Germany) এবং Field of Study সঠিক মত বাছাই করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, আপনি কোন ভাষায় পড়াশুনা করতে চান সেটা সঠিকভাবে নির্বাচন করেছেন কি না। এবার কোর্স বাছাই ও বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই শেষ হলে আপনাকে দ্বারস্থ হতে হবে Google, Wiki বা বৃহৎ ভাবে Internet সার্চের। আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের Ranking সহ যাবতীয় তথ্য খুঁজে নিতে ভুল করা যাবে না। কারণ এই বিশ্বাবিদ্যালয় আপনার পরবর্তী জীবনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর সঠিক কোর্স না বেছে নিলে, আপনাকে ভুগতে হবে নানা ভাবে। তাই এমন কোর্স নির্বাচন করুন যা আপনার ভালো লাগে আর আপনি যে কোর্সের মাধ্যমে নিজেকে দাঁড় করাতে পারবেন।

(৩) ভাষাগত যোগ্যতা

Student Visa Regulation, Update- April, 2015 অনুযায়ী বর্তমানে জার্মানীতে Student Visa এর জন্য IELTS/ TOEFL- এর প্রয়োজন হয়। তবে High Ranking University-তে GRE-ও চাইতে পারে। তবে এই সব দেখে ভেঙ্গে পড়লে চলবে না, ব্যাচেলরের ৪ বছরের Medium of Instruction যদি হয় English, তবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই আপনি IELTS ছাড়াই Admission পাবেন। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য Interview-এ ডাকে। এসব Interview-এ খুব জেনারেল বিষয় নিয়েই কথা হয়। তবে Visa Interview-এ আপনাকে অবশ্যই ইংরেজীতে পারদর্শিতা দেখাতে হবে। IELTS এ ৬.৫ স্কোর (কোন সেকশনেই ৬.০ এর নিচে নয়), থাকলে আপনি অনেক অংশে এগিয়ে যাবেন।

Sprechen Sie Deutsch
Image Source: Internet
এখন আসি আপনি আপনার পড়াশুনা কোন ভাষায় করবেন (জার্মান নাকি ইংরেজী) সেটা সম্পূর্ণ আপনার বিষয়। তবে আমার ব্যক্তিগত মতামত হবে,যেহেতু জার্মানির অফিসিয়াল ভাষা জার্মান/ডয়েচ সেহেতু জার্মান ভাষায় কোর্স নেওয়া।  জার্মানিতে বসবাস, চাকুরি অথবা লেখাপড়ার ক্ষেত্রে ইংরেজী ভাষা আপনাকে খুব বেশি একটা সাহায্য করবে না।  তাছাড়া কোর্স সমাপ্তির পর ফুল টাইম জব অথবা পারমানেন্ট রেসিডেন্টশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে জার্মান ভাষা এর বিকল্প নাই।  

(৪) সেমিস্টার ও আবেদনের ডেডলাইন

প্রথমতঃ আপনি যে কোর্সটি করবেন বলে ঠিক করেছেন, সেটা কোন সেমিস্টারে (Winter/ Summer/ Both) অফার করা হয়েছে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল ডেডলাইন ফলো করা। কোর্সটি কবে শুরু হল, কবে শেষ হবে এবং কবে এপ্লাই করতে হবে, কোর্সের বিবরণ, কোর্সের ক্রেডিট সবটার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে হবে- নতুবা অনেক সময় বড় ভুল হয়ে যেতে পারে। ভিসা ইন্টারভিউ এর সময় এই বিষয়ে জানতে চাইতে পারে।

(Semester Fee এবং Living Cost

মজার বিষয় হল, জার্মানীতে টিউশন ফি, এনরোলমেন্ট ফি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগে না। আবার কোথাও কোথাও সেটা ৫০০-৭০০ ইউরো-ও হয়ে থাকে। আদতে, এই ফি গুলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, কোর্স থেকে কোর্স- এগুলোর ভিন্নতা দেখা যায়। অফিসিয়ালি যদিও বলা হয় জার্মানিতে থাকা খাওয়া বাবদ ৮০০ ইউরো মত খরচ হবে, কিন্তু আপনি চাইলে অনায়াসে ৫০০ ইউরোর মধ্যে সব খরচ মিটিয়ে ফেলতে পারবেন। আবার, অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষার্থীদের কার্ড দেয়, যার মাধ্যমে তারা অনায়সে যাতায়াত করতে পারে। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে ট্রান্সপোর্টেশন অথরিটির চুক্তি থাকে- এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলো তাদের টিউশন ফি-এর সাথে এই অর্থ কেটে নেয়। এমনকি অনেক বিশ্ববিদ্যালয় যাদের টিউশন ফি নাই, তারাও এই সুবিধা দিয়ে থাকে।

এখানে একটি খসড়া এস্টিমেট দেওয়া হল আপনাদের সুবিধার জন্যঃ

  1. Application Fee: Free of Cost/ 68 Euro [Depending on any assistance you take]
  2. Blocked Account: 10236 Euro
  3. Airfare: 600-750 Euro
  4. Hand Cash: 2000 Euro (Approximately)

So, total Cost: 13,000 Euro (Approx.)

Monthly Expense:

  1. Rent: 300 + Euro
  2. Health Insurance: 80+ Euro
  3. Food: 60+ Euro
  4. Telephone, Internet & Television License: 20- 35 Euro
  5. Leisure Activities: 10 -60 Euro

Approximately 535 + Euro

Study in Germany- Accommodation
Image Source: pexels.com

আর জার্মানীতে হোস্টেল বা বাসা খোজার চিন্তা করবেননা- কারণ আপনার সহায়তায় আছে DAAD Accommodation Finder, studenten ইত্যাদি।  এজন্য ব্রাউজ করুনঃ

১। https://www2.daad.de/deutschland/nach-deutschland/bewerbung/en/22222-student-residence-hall/

২।  https://www.studentenwerke.de/en

(৬) বিশ্ববিদ্যালয় ও শহর বাছাই পর্ব

আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের Ranking এর পাশাপাশি সেটা কোন শহরে অবস্থিত সে বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে, কারণ অনেক শহরের ক্ষেত্রে লেখা থাকে “Only a little Chance of Part-time Job”- এসব শহর এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

(৭) পার্ট টাইম জব, পি-আর ও নাগরিকত্ব

জার্মানীতে পার্ট টাইম জব করার সুযোগ রয়েছে- তবে সে সুযোগ একজন বিদেশি নাগরিক হিসেবেই পাবেন। আর সেমিস্টার ব্রেকে পাবেন ফুল টাইম জব করার সুযোগ। এ ক্ষেত্রে জার্মান ভাষায় দক্ষতা থাকলে খুবই ভালো হয়।

জার্মানীতে পড়াশুনার শেষে আপনি ১.৫ বছরের জব সার্চ ভিসা পাবেন। আপনি যদি একটানা ৫ বছরের বেশি জার্মানীতে থাকেন তাহলে পি-আর এর জন্য এবং ৮ বছর পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

(৮) ব্লকড একাউন্টস (Blocked Account)

জার্মানীতে একটি ব্লকড একাউন্টসে আপনার থাকা খাওয়া বাবদ ১০,২৩৬ ইউরো ফিক্সড করে রাখতে হবে। এজন্য কমার্শিয়াল ব্যাঙ্ক অব সিলন ব্যাঙ্কের সুখ্যাতি রয়েছে। তবে ব্লকড একাউন্টস করার সময় ব্যাঙ্কের ফি, সুবিধা অসুবিধা ইত্যাদি ভালো করে বিবেচনা করে নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ। ভয়ের কারণ নাই, ভিসা পেলে প্রতি মাসে ৮৫৩ ইউরো করে আপনি টাকা তুলে ফেলতে পারবেন। এবং এক বছর পর গোটা টাকাটাই তুলে ফেলতে পারবেন। যেসব শিক্ষার্থী সাধারণত ব্লকড একাউন্টসে টাকা রেখে জার্মানীতে যান, তাদের এই টাকায় সাধারণত হাত দিতে হয় না। পার্ট টাইম জব করেই খরচ মেটাতে পারবেন। এটা মূলত একটা ভিসা ফরমালিটি। এক্ষেত্রে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, ব্লকড একাউন্টের টাকা যেহেতু জার্মানীতে যাবে সেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতির বিষয় আছে- তাই হাতে সময় নিয়ে আবেদন করতে হবে।

(৯) প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

লিঙ্কঃ https://dhaka.diplo.de/contentblob/4989256/Daten/7335126/2017ChecklistStudent.pdf

এখানে আপনি পেয়ে যাবেন কি কি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপনার প্রয়োজন পড়বে। নিম্নে একটি তালিকা দেওয়া হলঃ

  • Valid Passport (with a Validity of at least 12 months)
  • Three Nos. Recent Biometrical Passport Photographs (Not Older than 6 months)
  • Two Completed Visa Forms (including 2 Pictures)
  • Admission Letter (Original+2 Copies)
  • Blocked Account Confirmation (Original+2 Copies)
  • Health Insurance (Original+2 Copies)
  • All Academic Certificates (Original+2 Copies)
  • IELTS Certificate (Original+2 Copies)
  • GRE Certificate, if required (Original+2 Copies)
  • Photocopy of Passport (2 Copies)
  • German language Course Certificate (Original+2 Copies) [ If Applicable]
  • Police Clearance (If required)
  • Birth Certificate (If required)

ভিসা আবেদনের জন্য আপনাকে Appointment নিতে হবে – আর একটা ফোন কলে আপনি সেটা পেয়েও যাবেন। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, E-mail বা Fax এর মধ্যমে কোন Appointment দেওয়া হয় না।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন পর্ব

আবেদন করার পূর্বে আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ হবে, University Website – এ গিয়ে Admission Section এর E-mail নিয়ে তাদের কাছ থেকে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যে, তাদের আসলে কি কি ডকুমেন্টস লাগবে। জার্মানীর অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে Hard Copy দিতে হয়, সে জন্য তাদের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে True Cope নাকি Notarized Copy দিতে হবে। আপনি সব কাগজ চাইলে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মাধ্যমে পাঠাতে পারেন- সেক্ষেত্রে খরচ অনেক কম লাগবে (আনুমানিক ২০০ টাকা মাত্র)। তবে ডাক বিভাগের মাধ্যমে পাঠাতে সময় লেগে যাবে প্রায় ৭-১৫ দিন। তাই হাতে সময় না থাকলে আপনাকে যেতে হবে DHL বা FedEx এর কাছে। DHL বা FedEx সাধারণত ৪-৫ দিনের মধ্যেই কাগজপত্র জার্মানীতে পাঠিয়ে দিবে।

Study in Germany - Admission
Image Source: pexels.com

তাহলে এখন বুঝতেই পারছেন জার্মানীতে আবেদন করা কঠিন মোটেও নয়। তাই, অন্যের কাছে না গিয়ে নিজেই করে ফেলুন নিজের আবেদন। শুভ কামনা রইলো আমাদের পক্ষ থেকে।

তথ্যসুত্রঃ

error: Alert: Content selection is disabled!!