Loading...
November 21, 2022

মালেয়েশিয়া এশিয়ার অন্যতম একটি দেশ- আর এই দেশ পরিচিত এর উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য। যদি আপনি উচ্চ শিক্ষার জন্য পাড়ি জমাতে চান বিদেশে, আর যদি বেছে নেন মালয়েশিয়া- জ্বী হ্যাঁ, আপনি কোন ভুল করেন নি- বরং সবচেয়ে যথার্থ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চলুন যাই, আজ আলোচনায় বসি কিভাবে মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা যায় আর করে ফেলি নিজেই নিজের আবেদন।

কেন মালয়েশিয়া পড়তে যাবেন?

আধুনিক মালয়েশিয়ার জনক মাহাতির বিন মোহাম্মদ অতি সুনিপুণ পারদর্শিতা ও দক্ষ শাসকের ন্যায় গড়ে তুলেছেন আজকের এই উন্নত মালয়েশিয়া। এই দেশ আজ বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশের কাতারে নাম লিখিয়েছে- আর বিশ্বের দরবারে কড়িয়েছে নিজের সুনাম। মালয়েশিয়া দক্ষিন এশিয়ার গর্ব আর রাজধানী কুয়ালালামপুর। এদেশের অফিশিয়াল ভাষা মালায় ও মুদ্রা রিঙ্গিত। এই দেশের আয়তন ৩,৩০,৮০৩ বর্গ কিলোমিটার আর সার্বিক জিডিপি ৩৮১.৫২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই দেশের মোট ১৩টি প্রদেশ রয়েছে। এই দেশে প্রতিটি স্তরে যেমনঃ শিক্ষা, যোগাযোগ, স্থাপত্য, শিল্প ইত্যাদিতে রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া। তাইতো, প্রতি বছর ভ্রমণ পিপাসু থেকে জ্ঞান পিপাসুরা ভিড় জমায় এই দেশে- আর প্রতি বছর এই ভিড় যেন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে ইউরোপ, আমেরিকার সাথে টেক্কা দেওয়ার মত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে মালয়েশিয়া। আর তাই আপনিও যদি পড়তে চান উন্নত কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাহলে মালয়েশিয়া হতে পারে আপনার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য।

Twin Tower - Malaysia
Image Source: pixabay.com

মালয়েশিয়া পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

ডিপ্লোমা কোর্স: ডিপ্লোমা কোর্সের জন্য নূনতম উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়।
আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্স: আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্সের জন্য ন্যূনতম ১২ বৎসরের পূর্বতন শিক্ষা অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক সমমানের শিক্ষা
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রী: পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের জন্য ন্যূনতম ১৬ বৎসরের পূর্বতন শিক্ষা অর্থাৎ ব্যাচেলর ডিগ্রীধারী।
ডক্টরাল (PhD) ডিগ্রী:ডক্টরাল (PhD) কোর্সের জন্য পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিগ্রী এবং ব্যাপক গবেষণালব্ধ অভিজ্ঞতা দরকার হয়।

এছাড়া ব্যচেলর পাশ করেও মালয়েশিয়াতে ডিপ্লোমা অথবা পূনরায় ব্যচেলরে যাওয়া যায়। কারণ মালয়েশিয়াতে স্টাডি গ্যাপ গ্রহনযোগ্য।

ভাষাগত যোগ্যতা

মালয়েশিয়ায় IELTS ছাড়া পড়তে  যাওয়া যায়- তবে বর্তমানে IELTS স্কোরের চাহিদা বাড়ছে। সাধারনত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ৬.০ IELTS স্কোর চায়, কিন্তু নাম-করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ৬.৫ IELTS স্কোর চায়।

কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

মালয়েশিয়ায় রয়েছে ওয়াল্ড র‍্যাঙ্কিং-এর উপররের দিকে থাকা বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের বেশ কিছু নাম করা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা খুলেছে এই দেশে। এই দেশের লেখা পড়ার সকল কারিকুলাম USA, UK, Australia- কে মাথায় রেখে করা হয়েছে। স্টুডেন্টদের উচ্চ শিক্ষার সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। যেমনঃ উন্নত রিসার্চ ল্যাব, লাইব্রেরী, ক্যাম্পাস, আধুনিক শিক্ষা সরঞ্জাম, দক্ষ শিক্ষক ইত্যাদি। মোট কথা, ইউরোপ-আমেরিকায় না গিয়ে সেই দেশের মানের ও গুণের শিক্ষা পেতে পারেন মালয়েশিয়ায়। আবার ইউরোপ ও আমেরিকার তুলনায় এইদেশে শিক্ষার জন্য আপনাকে ওই পরিমাণ অর্থও খরচ করতে হবে না।

মালয়েশিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা ৪টি পর্যায়ে ভাগ করা হয়:
১. ডিপ্লোমা কোর্স: এটি ২ থেকে ৩ বৎসর সময় লাগে।
২. আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্স: এটি ৩ থেকে ৫ বৎসর মেয়াদী।
৩. পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিগ্রী: ১.৫ থেকে ২ বৎসর মেয়াদী।
৪. ডক্টরাল (PhD) ডিগ্রী: ৩-৫ বৎসর মেয়াদী।

Monash University - Malaysia
Image Source: Internet

এই দেশে আপনি ইংরেজী ভাষায় পড়াশুনা করতে পারবেন প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়েই। মালয়েশিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে অসংখ্য বিষয়ে পাঠদান করা হয় যেমন,বিজনেস ম্যানেজমেন্ট,ইনফরমেশন সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি,ইঞ্জিনিয়ারিং,মেডিসিন (এম বি বি এস),বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন,মর্ডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ এন্ড কমিউনিকেশন,ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স,হেলথ সায়েন্সেস,চার্টার্ড একাউন্টেন্সি,এগ্রিকালচার,ফরেস্ট্রি,ইসলামিক ষ্টাডিজ,এনভায়রোনমেন্টাল সায়েন্স,ডিজাইন এন্ড আর্কিটেকচার, ইত্যাদি।

 

এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আপনাকে ব্রাউজ করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট।

নিচে কিছু নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেওয়া হলঃ

১। Universiti Malaya (UM)

২। Universiti Kebangsaan Malaysia (UKM)

৩। Universiti Putra Malaysia

৪। Universiti Sains Malaysia (USM)

৫। Universiti Teknologi Malaysia

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমা, প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

মালয়েশিয়ায় বছরে তিনটি সেমিস্টার পড়ানো হয়। প্রথম সেমিস্টারটি চলে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত। দ্বিতীয় সেমিস্টারটি চলে মে থেকে আগস্ট। আর বছরের তৃতীয়টি বা বছরের শেষটি হল সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর।

অন্যান্য অনেক দেশের মত এই দেশে বসতে হবে না আপনাকে কোন ভর্তি পরীক্ষায়। কোন স্কাইপি বা অনলাইন ইন্টারভ্যুয়ের বালাই এই দেশে নেই। আবেদনের শুরুতেই আপনার কাজ হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করা। যদি আপনি সরকারী বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেন তাহলে অনেকগুলো ধাপ পার হতে হবে আর অনেক সময় লাগবে। অন্যদিকে আপনি যদি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেন, তাহলে অনেক কম সময়ে আর অত্যন্ত দ্রুত গতিতে পেয়ে যাবেন এডমিশন। সকল কাগজপত্র ঠিক থাকলে, বিশ্ববিদ্যালয় একটি অফার লেটার ইস্যু করে আর সেটা পাঠিয়ে দেয় EMGS-এ আর সেখান থেকে ইস্যু করা হয় আপনার Approval Letter. এই EMGS এর পূর্ণ রূপ হল Education Malaysia Global Service. এই প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়, ইমিগ্রেশন ও শিক্ষার্থীদের মাঝে সমন্বয় সাধন করে। মালায়েশিয়ার কোন বিশ্ববিদ্যালয় ইমিগ্রেশনের সাথে সরাসরি কাজ করতে পারে না। তাই তারা শিক্ষার্থীদের সকল কাগজ পাঠিয়ে দেয় EMGS-এ আর এই EMGS সকল ডকুমেন্টস ভেরিফাই করে সত্যতা যাচাই করে পাঠিয়ে দেয় ইমিগ্রেশনে। ইমিগ্রেশন একটি Approval Letter প্রদান করে- এবং বিশ্ববিদ্যালয় সেই Approval Letter সংগ্রহ করে শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠিয়ে দেয়।

 

নিচে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিয়া দেওয়া হলঃ

১। সকল একাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট

২। CV, মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার

৩। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনপত্র ও আবেদন ফি-প্রদানের ডকুমেন্টস

৪। পাসপোর্টের কপি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি

৫। রেফারেন্স লেটার

৬। IELTS

৭। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র

Students in Malaysia
Image Source: Internet

পড়াশোনার খরচ ( টিউশন ফি) ও স্কলারশিপ

মালয়েশিয়ায় টিউশন ফি ৪৫০০ থেকে ২৫,০০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিছু লো র‍্যাঙ্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫০০ থেকে ৭০০০ রিঙ্গিত হয়ে থাকে। তবে মান সম্পন্ন শিক্ষার জন্য আপনাকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। EMGS এর ফি দিতে হবে ১০০০ রিঙ্গিত। মনে রাখবেন এই ফি অফেরতযোগ্য। এছাড়া ইনস্যুরেন্স ফি ৫০০ থেকে ৮৫০ রিঙ্গিত, মেডিকেল ফি ২৫০ রিঙ্গিত দিতে হবে।

এই দেশে কিছু সরকারি ও বেসরকারি স্কলারশিপ আছে। এই সব স্কলারশিপের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ঘেটে দেখতে হবে।

স্কলারশিপ লাভের সূযোগ:

মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য নানা ধরনের স্কলারশিপের ব্যবস্থা আছে। তবে স্কলারশিপ লাভের জন্য খুব ভালো একাডেমিক রেজাল্ট থাকতে হয়। এবং ইংরেজিতে ভালো দক্ষতার প্রমাণ দিতে হয়। খারাপ রেজাল্ট নিয়ে স্কলারশিপের জন্য শুধু শুধু প্রচেষ্টা করে লাভ নেই। তবে ফুল স্কলারশিপ না পেলেও আংশিক স্কলারশিপের সুযোগ আছে। নিচে মালয়েশিয়ায় পড়ালেখার জন্য যে সকল প্রতিষ্ঠান বৃত্তি দিয়ে থাকে তার একটি তালিকা দেওয়া হল-

  • মালয়েশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল বৃত্তি: (Malaysian International Scholarship (MIS)
    ওয়েব সাইট: biasiswa.mohe.gov.my/INT/
  • কমোনওয়েল্থ শিক্ষা বৃত্তি: (COMMONWEALTH Scholarship and Fellowship plan (CSFP)।
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ফান্ড: Example: Nilai University Offering 50% scholarship

UCSI University offering 45% scholarship, Xiamen University70%, Manipal university, Mahsa University, KDU offering 30% এছাড়াও গবেষণা সহযোগী (Research Assistance ship) লাভ করা যায়।

আর্থিক স্বচ্ছলতা

আপনাকে ভিসা আবেদনের সময় আপনাকে ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে হবে। আর মালয়েশিয়ায় এক বছরের থাকা খাওয়া ও টিউশন ফি-এর বাবদ যত অর্থ প্রয়োজন সেটা ব্যাংকে গচ্ছিত দেখাতে হবে।

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও ডকুমেন্টস চেকলিস্ট

মালয়েশিয়ায় ভিসা আবেদনের জন্য আপনাকে ঢাকায় অবস্থিত মালয়েশিয়ার এম্বেসীতে যোগাযোগ করতে হবে। সেখানে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রদান করে ভিসার আবেদন করতে হবে। ভিসা আবেদনের জন্য মূখ্যত প্রয়োজন পরবে EMGS থেকে প্রাপ্ত Approval Letter. এই Approval Letter ও অন্যান্য ডকুমেন্টস জমা দেওয়ার পর যাচাই বাছাই শেষ হলে আপনাকে ৩ মাসের ভিসা দেওয়া হবে। এরপর মালয়েশিয়ায় যাবার পর রেজিস্ট্রেশন ও মেডিক্যাল চেক-আপ ও কার্যক্রম শেষ করার পর ১ বছরের ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

Visa Application - Malaysia
Image Source: Internet

নিচে কাগজপত্রের জন্য প্রয়োজনীয় তালিকা দেওয়া হলঃ

১। পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম

২। পাসপোর্ট ও  ফটোগ্রাফ

৩। CV, Statement of Purpose (SOP)  ও রেফারেন্স

৪।সকল মার্কশিট ও সনদ, IELTS (যদি প্রয়োজন হয়)

৫। No Objection  Certificate [শেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে]

৬।  Approval Letter

৭। ব্যাংক সলভেন্সি পেপ্যার

৮। ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট

৯। পুলিশ ক্লিয়ারান্স

১০। হেলথ ইন্স্যুরেন্স

ভিসা পেতে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে। আরা ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ফি ৩০ মার্কিন ডলার।

মালয়েশিয়ার এম্বেসীর ঠিকানাঃ

High Commission of Malaysia, Dhaka

House No. 19 Road No. 6, Baridhara Diplomatic Enclave, Dhaka
Telephone: (0088) 02 984 7759 (0088) 02 984 7760 (0088) 02 4108 1380

Fax: (0088) 02 9847761, (0088) 02 9843115
Email: [email protected] / [email protected] (Visa Section)

Working Days: Sunday – Thursday
Working Hours: 8.30 a.m – 4.30 p.m (Lunch Break: 12.30 pm – 1.30 pm)
Public Holidays: Friday & Saturday

মালয়েশিয়ায় আবাসন ব্যবস্থা

মালয়েশিয়ায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব আবাসন ব্যবস্থা। এজন্য আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে। তারা আপনার হোস্টেলের ব্যবস্থা করে দিবে।

মোটামুটি ৮-১০ হাজার টাকার ভেতরেই থাকার বিষয়টি সেরে ফেলা যাবে। ভাড়া কেমন হবে তা নির্ভর করছে এলাকা, বাসস্থানের ধরন (স্টুডেন্ট হল, ক্যাম্পাসের বাইরের কোনো এপার্টমেন্ট, একতলা বাড়ি, দোতলা বাড়ি প্রভৃতি), বাসায় থাকা সুবিধাদি, এবং অবশ্যই কতজন মিলে একসাথে থাকছে তার উপর।

Life in Malaysia
Image Source: Internet

পার্ট টাইম জব এর সুযোগ ও জীবনযাত্রার ব্যয়

পড়াশুনা চলাকালীন সময়ে ৭ দিনের অধিক ছুটিতে পার্ট টাইম জবের সুযোগ রয়েছে, যা সপ্তাহে ২০ ঘন্টা। এছাড়া পার্ট টাইম কাজের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবশ্যই আবেদন করতে হবে। আর কাজ করার জন্য আপনার কাছে থাকতে হবে স্টুডেন্ট পাস। মিনি মার্কেট, রেস্টুরেন্ট, হোটেল, ক্যাফে এবং পেট্রোল পাম্পগুলোতে কাজ করার সুযোগ আছে।

তবে কাজ করে খুব কম আয় করা যায় এখানে। এই অর্থ দিয়ে টিউশন ফি প্রদান করা সম্ভব হয়ে উঠবে না।

বিশ্বের আধুনিক দেশগুলোর তুলনায় মালয়েশিয়ায় থাকা-খাওয়ার খরচ তুলনামূলক কম হওয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বাড়তি আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু এখন মালয়েশিয়া।

জীবন ধারণ বাবদ আপনাকে খরচ করতে হবে মাসিক ৫০০-৬০০ রিঙ্গিত। এই অর্থে আপনি মাসিক থাকা-খাওয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত মিটিয়ে ফেলতে পারবেন। তবে মাসিক খরচ নির্ভর করে ব্যক্তি বিশেষের উপর। আপনার জীবন ধারণের ব্যয় অনুযায়ী এই খরচ বাড়তে বা কমতে পারে।

মালয়েশিয়ায় স্থায়ী বসবাস

পড়াশুনা শেষে মালয়েশিয়ায় জব করতে গেলে প্রয়োজন পড়বে Employment Pass। এই পাস পেতে আপনার দুই বছরের কন্ট্রাক্ট পেপার লাগবে আর বার্ষিক স্যালারি হতে হবে ১২০৫ মার্কিন ডলার। আর স্থায়ী PR এর জন্য আপনাকে থাকতে হবে একটানা ৫ বছর।

তবে দেরী কেন? আজই প্রস্তুতি নিন আর করে ফেলুন নিজেই নিজের আবেদন।

Life in Malaysia
Image Source: Internet

তথ্যসুত্রঃ

November 21, 2022

জাপান উচ্চশিক্ষার এক অন্যতম জনপ্রিয় স্থান। আর এই দেশে উচ্চশিক্ষায় প্রণোদনা দেওয়ার জন্য দেওয়া হয় অনেক স্কলারশিপ। জাপানের অন্যতম জনপ্রিয় ও প্রথিতযশা স্কলারশিপ প্রোগ্রাম হল মনবুকাগাকুশো বা মেক্সট বৃত্তি। এটি মনবুশো, মেক্সট নামেও পরিচিত। এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামে যাত্রা শুরু করে ১৯৫৪ সাল থেকে। জাপান সরকারের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জাপানী বিশ্বিদ্যালয়ে অধ্য্যনের জন্য এই স্কলারশিপের ব্যবস্থা করেছে। বাংলাদেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করা যায়। অথবা, সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমেও আবেদন করা যায়।

স্কলারশিপ এর নাম

মনবুকাগাকুশো বা মেক্সট বৃত্তি (জাপান)

যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে

এই স্কলারশিপে ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সের জন্য শিক্ষা সহায়তা পাওয়া যায়। এই স্কলারশিপ প্রোগ্রাম সাতটি ক্যাটেগরীতে দেওয়া হয়, যেমনঃ রিসার্চ স্টুডেন্ট, টিচার্স ট্রেনিং স্টুডেন্ট, আন্ডারগ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট, জাপানীজ স্টাডিস স্টুডেন্ট, কলেজ অফ টেকনোলোজী স্টুডেন্ট, প্রোফেশন্যাল ট্রেনিং কলেজ স্টুডেন্ট এবং ইয়াং লিডার প্রোগ্রাম স্টুডেন্ট।

দেশ এবং কর্তৃপক্ষ

জাপান। Ministry of Education, Culture, Sports, Science and Technology  (MECSST)

বৃত্তির সুযোগ সুবিধাসমূহ

মনবুকাগাকুশো বা মেক্সট বৃত্তি-এর  আওতায় আপনি যা যা পাবেনঃ

১। টিউশন ফি ও পরীক্ষার ফি

২। জীবনযাত্রা নির্বাহের জন্য মাসিক ভাতা

৩। যাতায়ত এর বিমান ভাড়া

আবেদনের যোগ্যতা

মনবুকাগাকুশো বা মেক্সট বৃত্তির জন্য আপনার থাকতে হবে নিম্নোক্ত যোগ্যতাঃ

১। PhD. বা Masters এ আবেদনের জন্য আপনার বয়স সীমা ৩৫ বছরের নীচে থাকতে হবে। আর অন্য প্রোগ্রামে আবেদন করতে ১৭/১৮ থেকে ২৫/৩০ বছরের মধ্যে থাকতে হবে।

২। মাস্টার্স বা পিএইচডি তে আবেদনের জন্য মেক্সটের নিজস্ব সিজিপিএ মানদন্ডে মোট ৩ এর মধ্যে ২.৩০ থাকতে হবে। তাও সেই ফল আবার সর্বেশেষ দুই একাডেমিক বছরের গড় হতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা

মনবুকাগাকুশো বা মেক্সট বৃত্তি আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয় মার্চের শেষে বা এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়। আবেদনের হালনাগাদ সময়সীমা জানতে নিম্মোক্ত ওয়েবসাইট এর সাহায্য নিতে পারেন-

https://www.bd.emb-japan.go.jp/itpr_en/education.html

MEXT Scholar
Image Source: Internet

যেসকল দেশের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য

১৯৫৪ সাল থেকে শুরু করে এখন সারা বিশ্বের প্রায় ১৬০টির মতন দেশ থেকে আসা ছাত্রদের জন্য এই বৃত্তির ব্যবস্থা করেছে জাপানি সরকার। জাপান সরকার প্রদত্ত বৃত্তিগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে খ্যাতনামা আর সবচেয়ে সম্মানিত।

আবেদন প্রক্রিয়া

আবেদনের প্রথম পদ্ধতিঃ প্রথমে অনলাইনে ফর্ম পূরণ করে তারপর সকল কাগজপত্র দিয়ে বাংলাদেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। মনে রাখবেন, ডকুমেন্টস খামে প্রেরক ও প্রাপকের নাম/ ঠিকানা, আইডি ও ট্রাকিং নাম্বার ও প্রোগ্রামের নাম বাংলায় নিম্নোক্ত ঠিকানায় পাঠাতে হবেঃ

Joint Secretary (Scholarship)
Ministry of Education, Room No-1706, Building No-06
Bangladesh Secretariat, Dhaka- 1000

এই বৃত্তির সার্কুলার বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

বিস্তারিত জানতে জাপান দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করুনঃ [email protected]

আবেদনের দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ প্রথমে জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও ল্যাব প্রধানকে ই-মেইল করে নিজের গবেষণা সমন্ধে জানাতে হবে। যদি প্রফেসর রাজী হন, তাহলে আপনি মনবুকাগাকুশো বা মেক্সট বৃত্তির মাধ্যমে জাপানে পড়তে আসতে চান, এ ব্যাপারে কনভিন্স করুন। তখন তারা আপনআকে ইন্টারভ্যু নিবে এবং আপনি তাদের কনভিন্স করতে পারলে প্রফেসর বিশ্ববিদ্যালয়কে জানাবে আর তারাই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করে আপনাকে স্কলারশিপ পাওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা করবে।

ই-মেইলের আপনার Academic Transcript ও Curriculum Vitae অবশ্যই যুক্ত করবে। আর ই-মেইলে Self- Introduction, Academic Degree, Result, Research Interest and Why you interest to him (Professor) সম্পর্কে ২০০-২২০ শব্দের মধ্যে লিখলেই ভাল।

মনবুকাগাকুশো বা মেক্সট বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আপনাকে জমা দিতে হবেঃ

১। আবেদন ফর্ম

২। সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশীট

২। রিকমেন্ডেশন লেটার (২ টি) – সাইন করে সীলড অবস্থায় দিতে হবে।

৭। NID

৮। পাসপোর্টের কপি

 

প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের নাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করবে। এরপর জাপান দূতাবাস লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা নেবে এবং চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করবে।

আবেদন করার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটটির লিঙ্ক হলঃ

Official website: https://www.mext.go.jp/

তথ্যসুত্রঃ

November 21, 2022

সূর্যোদয়ের দেশ জাপান এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দেশ আর সভ্যতা, জ্ঞান-বিজ্ঞানে ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির বিবেচনায় এই দেশের জুড়ি মেলা ভার। বরাবরই দেখা যায়, বিদেশে শিক্ষার্থীরা যেতে ব্যর্থ হয় তার মূল কারণ হল, সঠিক তথ্য না জানা। তাই আমাদের চেষ্টা থাকে আপনাদের কাছে, তথ্যসমৃদ্ধ লেখা তুলে ধরার। এই চেষ্টা থেকেই আমরা আজ সাজিয়েছি, জাপানে উচ্চশিক্ষা। তাহলে আর দেরী কেনো? চলুন, নিজেই করি নিজের আবেদন।

কেন জাপানে পড়তে যাবেন?

বিশ্বে জাপানী মানুষের খ্যাতি আছে- কাজ পাগল হিসেবে। জাপান সমৃদ্ধ এক দেশ এবং আছে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, সংস্কৃতি ও শিক্ষার অসাধারণ পরিবেশ। বর্তমানে জাপানের শিক্ষা ব্যবস্থা এতোটাই উন্নত যে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা পাড়ি যমাচ্ছে প্রাচ্যের এই সমৃদ্ধ দেশে। বিশাল এই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভিড়ে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা কম নয়।

জাপান মূলত দ্বীপ রাষ্ট্র- অনেকগুলো দ্বীপ নিয়েই জাপান। জাপানের রাজধানী টোকিও আর মুদ্রা ইয়েন। এই দেশের আয়তন ১,৪৫,৯৩৭ বর্গমাইল আর এই আয়তনে বসবসা করে ১২.৫৯ কোটি লোক। বিশ্বে ১১তম ঘন বসতিপূর্ণ দেশ। অর্থনৈতিক বিচারে জ্যায়ান্ট এই দেশের জিডিপি ৫.৪১৩ ট্রিলিয়ন (বিশ্বে চতুর্থ)। জাপানী শিক্ষা ব্যবস্থা পড়াশুনার জন্য অনেক সহায়ক। আপনি চাইলে মনবুশো বা সেন্টার ফর এক্সিলেন্স বৃত্তির জন্যও আবেদন করতে পারবেন।

বুঝতেই পারছেন, জাপান আসলেই শিক্ষা বান্ধব একটি দেশ।

Study in Japan
Image Source: pexels.com

জাপানে পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

জাপানের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়েই ইংরেজীতে কোর্স অফার করা হয়। তবে ইংরেজী ভাষায় কোর্স করলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনাকে জাপানী ভাষা শিখে যেতে অনুপ্রাণিত করবে। জাপানী ভাষা জানা থাকলে আপনি যেমন সংস্কৃতির সাথে মিশে যেতে পারবেন, সাথে পার্ট টাইম জব পেতেও সুবিধা হবে। জাপানে উচ্চশিক্ষা শুরু হয় সাধারণত ১২ বছর মেয়াদী প্রথাগত শিক্ষা শেষ হবার পর। সমস্যা নেই- কারণ বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে আপনি HSC পাশ করলেই উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত। জাপানে পড়তে যেতে আপনাকে সাধারণত কিছু সাধারণ পরীক্ষার মুখোমুখিও হতে পারে, যেমনঃ Examination for Japanese University Admission for International Students (EJU), Japanese Language Proficiency Test (JLPT), TOEFL, IELTS, TOEIC ইত্যাদি। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান টোফেল সিবিটি স্কোর ১৫০-এর ওপর অথবা টোফেল আইবিটি স্কোর ৫২-এর ওপর চায়- আর এই স্কোরের পরিপূরক স্কোর হিসেবে IELTS 6.5/ 7.0 গ্রহণযোগ্য। যেহেতু, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরাসরি TOEFL (CBT/ iBT) চায়, তাই জাপানের জন্য TOEFL (CBT/ iBT) পরীক্ষায় বসাই উত্তম। তবে সব কোর্সে আর সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব পরীক্ষার প্রয়োজন পড়েনা। তাই আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে ঘুরে দেখে নিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষা আসলে কি কি যোগ্যতা তাদের শিক্ষার্থীদের থেকে আশা করে।

কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

জাপানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বেশ কিছু উন্নত মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জাপানে রয়েছে পেশাদার প্রশিক্ষণ কলেজ, জুনিয়র কলেজ, প্রযুক্তি কলেজ, গ্রাজুয়েট স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়। এসব প্রতিষ্ঠানের সবগুলোতেই বিদেশী শিক্ষার্থী পড়তে পারে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি গ্রাজুয়েট, মাস্টার্স, এসোসিয়েট ডিগ্রী, পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা এমনকি পিএইচডি ডিগ্রীও পেতে পারেন।

জাপানের সব ভার্সিটিতেই পড়াশুনার সিস্টেম একই। তবে স্কলারশিপের জন্য পাবলিক ভার্সিটি ও ন্যাশনাল ভার্সিটি সিলেক্ট করাই উত্তম। কারণ এইসব ভার্সিটিতে স্কলারশিপ এর সংখ্যা সাধারণত বেশি থাকে। তাই গুগলে List of Public University / National university in Japan লিখে সার্চ দিলেই সব ভার্সিটি পাওয়া যাবে। সব ভার্সিটির ওয়েব পেইজ জাপান, কোরিয়ান, চাইনিজ ও ইংরেজিতে লিখা।

লিঙ্ক: http://www.mext.go.jp/en/about/relatedsites/title01/detail01/sdetail01/1375122.htm

জাপানে আপনি পড়তে পারবেন হিউমান স্টাডিজ, মানববিদ্যা, ভাষাশিক্ষা, ইতিহাস, এডুকেশনাল সায়েন্স, ল অ্যান্ড সোসাইটি, পাবলিক ল অ্যান্ড পলিসি, ট্রান্সন্যাশনাল ল অ্যান্ড পলিসি, অর্থনীতি, ব্যবস্থাপনা, হিসাববিজ্ঞান, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, জোতির্বিদ্যা, ভূ-প্রকৃতিবিদ্যা, রসায়ন, ভূ-বিজ্ঞান, মেকানিক্যাল সিস্টেমস অ্যান্ড ডিজাইন, ন্যানোমেকানিকস, এডুকেশনাল ইনফরমেটিকস, পরিবেশবিদ্যা, এনভায়রনমেন্টাল লাইফ সায়েন্স, ফলিত তথ্যবিজ্ঞান, আন্তসাংস্কৃতিক সম্পর্ক, এরিয়া স্টাডিজ, বায়োসায়েন্স ও বায়োটেকনোলজি, প্রাণবিজ্ঞান, স্থাপত্য ও ভবনবিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োমলিকুলার ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স, হিউম্যান-সোশ্যাল ইনফরমেশন সায়েন্স, বায়োলজি অ্যান্ড নিউরোসাওেয়ন্স, কম্পিউটার অ্যান্ড ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্সসহ  ইত্যাদি বিষয়ে।

জাপানে প্রায় ৭০০ এর মতো ইউনিভার্সিটি রয়েছে। সাড়া বিশ্বের সেরা ইউনিভার্সিটির র‍্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ৫০টি ইউনিভার্সিটির মধ্যে আছে জাপানের “দ্যা ইউনিভার্সিটি অফ টোকিও” আর “কিয়োটো ইউনিভার্সিটি”। সেরা ৫০০ ইউনিভার্সিটির মধ্যে কেবল জাপানেই আছে  ১৬টি ( ARWU)।

এই লিঙ্কে গেলেই  জাপানিজ ইউনিভার্সিটির র‍্যাংকিং সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পারবে।

লিঙ্কঃhttp://www.shanghairanking.com/World-University-Rankings-2018/Japan.html

নীচে জাপানের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা দেওয়া হলঃ

১। Tohoku University

২। Kyoto University

৩। University of Tokyo

৪। Tokyo Institute of Technology

৫। Kyushu University

University in Japan
Image Source: Internet

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

জাপানে বছরে ২টি সেমিস্টার পড়ানো হয়। যথাঃ এপ্রিল ১ থেকে সেপ্টেম্বর ৩০ এবং ১ অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চ। তবে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বেশি সুযোগ থাকে, Fall Semester অর্থাৎ, ১ অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চ সেমিস্টারে।

জাপানে বিশ্ববিদ্যালয় বা যেকোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলে আপনাকে সাধারণত বসতে হবে স্কাইপি বা যেকোন ধরণের অনলাইন বা স্পট ইন্টারভিউতে। আর এই ইন্টারভিউতে পাশ করলেই মিলবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ। পাশ করার পর কর্তৃপক্ষ জাপানী ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে আপনার ডকুমেন্টস গ্রহন করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য যেসকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দরকার পরবে তার তালিকা নিচে দেওয়া হলঃ

১। একাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট

২। TOEFL/ JLPT 5 এর সনদ

৩। CV, মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার

৪। শেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ছাড়পত্র

৫। পাসপোর্টের কপি

University in Japan
Image Source: Internet

পড়াশোনার খরচ ( টিউশন ফি) ও স্কলারশিপ

জাপানের টিউশন ফি নির্ভর করে আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করবেন তার উপর। আপনি যদি ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন তাহলে আপনার বছরে খরচ হবে ১০,০০০ মার্কিন ডলারের মত। লোকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার খরচ ১১,৩৭৭ মার্কিন ডলার। আর যদি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন তাহলে এই টিউশন ফি হবে ৭,৯৫৯ থেকে ৬১,১২৩ মার্কিন ডলার প্রতি বছর।

জাপানে আপনি অনেক ধরণের বৃত্তির সুযোগ পাবেন। সরকারী বৃত্তির পাশাপাশি রয়েছে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রদত্ত স্কলারশিপ।

জাপানে মূলত নিম্নোক্ত স্কলারশিপ সমূহ পাওয়া যায়-

 

১. MEXT স্কলারশিপ: MEXT scholarship এর জন্য দুইভাবে আবেদন করা যায়।
ক) জাপান এম্বাসি বাংলাদেশ এর মাধ্যমে: আবেদনের সময় প্রতি বছরের মে মাসে জাতীয় পত্রিকায় আবেদন ডাকা হয়। সীমিত সংখ্যক স্কলারশিপ।
লিঙ্ক: https://www.bd.emb-japan.go.jp/en/education/scholarshipNotice.html

খ) জাপানিজ ভার্সিটির মাধ্যমে: আবেদনের সময় ১ নভেম্বরের থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ভার্সিটি রিকমেন্ডেশনের মাধ্যমে সুযোগ ও স্কলারশিপের সংখ্যাও অনেক বেশী। ২০১৮ সালে ২৬৭ জন বাংলাদেশি MEXT scholarship পায় ।

 

২. ADB স্কলারশিপ: এইখানে জিপিএ এর চাইতে বেশি দরকার ২ বছর অভিজ্ঞতা। যাদের পাশ করার পর দুইবছর জব এক্সপেরিয়েন্স নাই তারা অ্যাপ্লাই করতে পারবেনা। আর আপ্লিকেশনের তারিখ ভার্সিটির উপর নির্ভর করে।
লিঙ্ক: https://www.adb.org/site/careers/japan-scholarship-program/jsp-institutions

 

৩. World Bank স্কলারশিপ: আপ্লিকেশনের সময় সাধারণত প্রতি বছরের মার্চ মাসে।
লিঙ্ক: http://www.worldbank.org/en/programs/scholarships#3

জাপানে অনেক প্রাইভেট স্কলারশিপ আছে যা শুধু ভর্তিকৃত আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের জন্য। লিংক https://www.jasso.go.jp/index.html

জাপানিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপগুলোর ধরণ সম্পর্কে জানতে চাইলে এই লিঙ্কটি থেকে ঘুরে আসতে পারো।
লিঙ্কঃ https://www.studyjapan.go.jp/en/toj/toj0302e.html

Temple in Japan
Image Source: pexels.com

জাপানের আবাসন ব্যবস্থা

এলাকাভেদে জাপানে জীবনধারণের খরচে ভিন্নতা দেখা যায়। শহরতলি এলাকায় খরচটা গ্রামীণ এলাকা থেকে একটু বেশি। জাপানে একজন শিক্ষার্থীর জীবনধারণের খরচের বেশির ভাগই ব্যয় হয় খাদ্য ও বাড়িভাড়ার পেছনে। এ ছাড়া অন্যান্য খরচের মধ্যে রয়েছে চিকিৎসা, বীমা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও বিনোদন খরচ।

জাপানে আবাসিক খাতে আপনাকে খরচ করতে হবে বছরে ৪৫,০০ ইয়েন থেকে ৭৪,২৫০ ইয়েন। আর খাবার থেকে শুরু করে অন্যান্য ব্যয়, যেমনঃ যাতায়াত, টেলিফোন, ওয়াই-ফাই ইত্যাদি বাবদ বছরে খরচ পড়বে ১,৩১,৮৭৮ থেকে ১,৭৮,০৯২ ইয়েন।

হেলথ ইন্স্যুরেন্স এ বছরে সাধারণত ১৮,০০০ ইয়েন লাগবে।

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও ডকুমেন্টস চেকলিস্ট

জাপানে ভিসা আবেদনের প্রথম ধাপে আপনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি কনফার্ম হওয়ার পর আপনাকে জাপান ইমিগ্রেশন দপ্তরে জমা দিতে হবে আপনার প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র। তারা ডকুমেন্টস গ্রহণ করবে আর Ministry of Justice in Japan- এর মাধ্যমে Pre-Visa (COE) প্রদান করবে। এই Pre-Visa (COE) নিয়ে আপনি ভিসার জন্য বাংলাদেশে অবস্থিত জাপান এম্বেসীতে আবেদন করবেন।

ভিসা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের লিস্ট নীচে তুলে ধরা হলঃ

১। Pre-Visa (COE)

২। সকল ডকুমেন্টস, মার্কশিট ও সকল সনদ

৩। পাসপোর্ট ও ফটোগ্রাফ

৪। রিকমেন্ডেশন বা রেফারেন্স লেটার

৫। ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও আর্থিক স্বচ্ছলতার ডকুমেন্টস

৬। মেডিকেল রিপোর্ট

৭। TOEFL/ JLPT 5 এর সনদ (যদি থাকে)

৮।স্কলারশিপের পেপার (যদি থাকে)

City life in Japan
Image Source: Internet

পার্ট টাইম জব এর সুযোগ ও স্থায়ী বসবাস

জাপানে আপনি সপ্তাহে ২৮ ঘন্টা আর মাসে আপনি ১২০ ঘন্টা পার্ট টাইম জব করতে পারবেন। আর ছুটির সময় পারবেন ফুল টাইম জব করতে। পার্ট টাইম জবে জাপানে ঘন্টায় ৯০০-১২০০ ইয়েন পাওয়া যায়, বাংলাদেশী টাকায় ৭০০-৯০০ টাকার সমতুল্য।

পড়াশুনা শেষে আপনি স্টুডেন্ট ভিসাকে পরিবর্তন করতে পারবেন ফুল টাইম জব ভিসায়। এই ভিসা নিয়ে আপনি যত দিন ইচ্ছা, জাপানে থাকতে পারবেন। ৩ বছরের পর স্থায়ী বসবাসের জন্য জাপানের নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়।

তাহলে, জাপানে আবেদনে রইলো না আর কোন বাঁধা। তাই প্রস্তুতি নেই আর করে ফেলুন নিজেই নিজের আবেদন।

Sumo - Japan
Image Source: pexels.com

তথ্যসুত্রঃ

November 21, 2022

আমেরিকা, ইউকে, অস্ট্র্রেলিয়া ও কানাডার পাশাপাশি এশিয়ার দেশ চীনও এখন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দিয়ে আকর্ষণ করতে শুরু করেছে।চাইনিজ গভঃ স্কলারশিপ (সিজিএস) হলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য চীন সরকারের দেয়া স্কলারশিপ। এই স্কলারশিপ এর যাবতিয় বিষয় দেখভাল করে চাইনিজ স্কলারশিপ কাউন্সিল (সিএসসি)। সিজিএস/সিএসসি (CGS/CSC) নামে অধিক পরিচিত এই স্কলারশিপের বিস্তারিত নিয়েই আজকের আয়োজন।

ব্যাচেলরে সিজিএস/সিএসসি স্কলারশিপ মানেই চাইনিজ মাধ্যম, ইংরেজিতে পড়ার কোনো সুযোগ নেই।

আর মাস্টার্সে ইংলিশ এবং চাইনিজ দুই মাধ্যমেই পড়ার সুযোগ আছে। তবে মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা ইংরেজি মাধ্যমকেই বেশি প্রাধান্য দেয়।

আপনি এই স্কলারশিপের আওতায় করতে পারবেন ব্যাচেলর, মাস্টার্স, কিংবা পিএইচডি।

স্কলারশিপ এর নাম

চাইনিজ গভঃ স্কলারশিপ ( সি জি এস )

যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে

চাইনিজ গভঃ স্কলারশিপ (সিজিএস) আওতায় আপনি পড়তে পারবেন ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্স। এখান থেকে প্রথমে আপনার পছন্দের বিষয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে নিন। সিএসসি বি-টাইপের জন্য  – http://www.campuschina.org/universities/categories.html

আমাদের দেশ থেকে যারা পড়ালেখার জন্য চীনে আসে তাদের শতকরা ৫০ ভাগই ইঞ্জিনিয়ারিং, ৩০ ভাগ মেডিকেল, ১৫ ভাগ কলা (ভাষা-সাহিত্য বা অন্যান্য), এবং সর্বশেষ ৫ ভাগ ব্যাবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পড়তে আসে।

দেশ এবং কর্তৃপক্ষ

চাইনিজ সরকার। চাইনিজ স্কলারশিপ কাউন্সিল (সিএসসি)

বৃত্তির সুযোগ সুবিধাসমূহ

স্কলারশিপের আওতায় আপনি যা যা পাবেনঃ

১। টিউশন ফি

২। মাসিক ভাতা

৩। বিমান ভাড়া

৪। স্বাস্থ্য বীমা

৫। ফ্রি আবাসন

আবেদনের যোগ্যতা

১) বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। অবশ্যই সু-স্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে।
২) অন্য কোনো স্কলারশিপ বা ফান্ডিং এর জন্য মনোনীত হওয়া যাবে না।

৩) স্নাতক প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পাশ এবং বয়স অবশ্যই ২৫ এর চেয়ে কম হতে হবে।

৪) মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য স্নাতক ডিগ্রিধারী এবং বয়স অবশ্যই ৩৫ এর চেয়ে কম হতে হবে।

৫) ডক্টরেল প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য উচ্চ মাস্টার্স ডিগ্রিধারী এবং বয়স অবশ্যই ৪০ এর চেয়ে কম হতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা

আবেদন শুরু হয় সাধারণত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আর শেষ হয় জুন-জুলাইয়ের দিকে। তবে বিস্তারিত জানতে ও পিন পয়েন্ট তথ্যের জন্য আপনাকে সাহায্য নিতে হবে অফিসিয়াল ওয়েব সাইটের।

https://studyinchina.csc.edu.cn/

বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করতে হলে নিচের ওয়েবসাইট থেকে করতে হবে।

http://www.shed.gov.bd/site/view/scholarship

আবেদনের বিজ্ঞপ্তি প্রতি বছরই প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।

Chinese government scholarship
Image Source: Internet

যেসকল দেশের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য

চাইনিজ গভঃ স্কলারশিপ (সিজিএস) এ বিশ্বের যে কোন দেশের সুস্থ নাগরিক আবেদন করতে পারবে।

আবেদন প্রক্রিয়া

এই স্কলারশিপে আবেদন করার উপায় হচ্ছে,

(১) বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে (টাইপ – এঃ সবোর্চ্চ ২টি বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারণ)

(২) চাইনিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে (টাইপ – বিঃ সবোর্চ্চ ৩ টি বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারণ)

 

Type A তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করতে হয় এবং Type B তে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হয়।

প্রথম পদ্ধতিঃ বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট – http://www.shed.gov.bd/site/view/scholarship

সকল ডকুমেন্টস ও আবেদন পত্র জমা দিতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। এরপর প্রাথমিক বাছাই-এর সকল কাগজপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হবে চাইনিজ এম্বেসীতে এবং সেখানে আপনাকে ভাইভা দিতে হবে। পরবর্তীতে রেজাল্ট জানিয়ে দেওয়া হবে। আর আপনি এই প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ ২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ টি সাবজেক্টে আবেদন করতে পারবনে। আর এডমিশন কার্য শেষ হলে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এখানে স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার এইস,এস,সি এর ফলাফল অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ এছাড়া ভাল কোনো শিক্ষকের প্রসংসা পত্র, কো-কারিকুলার এক্টিভিটিজ এবং চাইনিজ জানা থাকলে আপনি সেটাতে বেনিফিট পেতে পারেন। এখানে ভাইবা ও একটা মূখ্য ভূমিকা পালন করে। কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফল হতে একটু দেরী হয় ,সাধারনত জুলাই এর শেষ সপ্তাহ বা আগস্ট এর প্রথম সপ্তাহে ফলাফল প্রকাশ হয়ে থাকে।

দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ চাইনিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে

প্রথমেই আপনাকে চাইনীজ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিতে হবে এবং দেখে নিতে হবে এই সকল বিশ্ববিদ্যালয় চাইনিজ গভঃ স্কলারশিপ (সিজিএস) প্রদান করে কি না। তো আপনারা যারা এই মাধ্যমে আবেদন করতে চান তারা নভেম্বর- ডিসেম্বর থেকেই বিভিন্ন ভার্সিটির ওয়েব সাইটে তথ্য খোজা শুরু করুন। বিভিন্ন ভার্সিটির ওয়েব সাইট,সেখানে আবেদনের প্রক্রিয়া,তাদের রিকোয়ারমেন্ট দেখলে আপনি নিজেই সব কিছু বুঝে যাবেন। চীনের অধিকাংশ ভালমানের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে চাইনিজ গভঃ স্কলারশিপ (সিজিএস) বৃত্তির জন্য আবেদন করা যায়।  এরপর সকল কাগজপত্র ও আবেদন ফর্মসহ আবেদন করতে হবে স্কলারশিপের জন্য। এবার সকল কাগজপত্র কুরিয়ার করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানায় আর যদি এপ্লিকেশন ফি দেবার প্রয়োজন হয় তবে সেটাও দিতে হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রেজাল্ট দিলে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় খোজার ক্ষেত্রে https://www.topuniversities.com/universities/region/asia/country/china অথবা http://www.campuschina.org/ এই ওয়েব সাইটের সহায়তা নিতে পারেন।

স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য আপনাকে জমা দিতে হবেঃ

১. অ্যাপ্লিকেশন ফরম।
২. পাসপোর্ট।
৩. পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
৪. সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্টের নোটারাইজ কপি।
৫. স্টাডি প্ল্যান।
৬. রিকোমেন্ডেশন লেটার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন প্রফেসরের কাছ থেকে রিকোমেন্ডেশন লেটার বা সুপারিশপত্র নিতে হবে।
৭. মেডিকেল রিপোর্ট।
৮. IELTS বা TOFFEL সার্টিফিকেট (যদি থাকে)।

আবেদন করতে ভিজিট করুণঃ

http://www.campuschina.org/

সিএসসি স্কলারশিপ এর আবেদনের জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এজেন্সি নাম্বার কোড জানার জন্য ভিজিট করুনঃ

https://scholarshipfellow.com/agency-numbers-of-all-universities-for-csc-scholarship-china/

অন্যান্য তথ্যের জন্য

https://www.chinesescholarshipcouncil.com

তথ্যসুত্রঃ

November 21, 2022

জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রয়োজন হলে সুদূর চীনে যাওয়া উচিত- এই প্রবাদ আমরা সবাই জানি। এই প্রবাদ শুনে সবাই বুঝতেই পারছেন পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বৃহৎ দেশ চীন জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চায় বেশ এগিয়ে, সেই অতীত থেকেই। পাহাড়, পর্বত, নদী, সমউদ্র, তৃণভূমি, মরুভূমি- কি নেই এই বৃহদাকার দেশের থলের মধ্যে। মহা প্রাচীরের দেশ চীনে, আমেরিকা ও ইংল্যান্ডের পর সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী পাড়ি জমাই প্রাচ্যের এই দেশে। হিসাব অনুযায়ী দেখা গেছে, এক ২০১৬ সালেই তাবদ দুনিয়া থেকে ৪,৪০,০০০ শিক্ষার্থী পড়তে এসেছে চীনে। চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বেশ সুনাল অর্জন করেছে এবং চীন সরকারের উদার নীতির কারণে এ দেশে দিনে দিনে অন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

কেন চীনে পড়তে যাবেন?

“পিপলস রিপাবলিক অব চায়না” – আয়তন ও জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্বের বৃহত্তম দেশটির রাজধানী বেইজিং, ভাষা মান্দারিন আর মুদ্রা ইউয়েন। উৎপাদন, শিল্প, কৃষি থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই যেন এক নম্বর এই দেশ। আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব, উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা, খেলাধূলা ও গবেষণা থেকে শুরু করে কি নেই এই সব সম্ভবের দেশে। প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে চীন উৎকর্ষতার শিখরে- ফলে এই দেশে পড়াশুনা করলে বিশ্বের প্রযুক্তি বিষয়ে নিজের দৃষ্টিসীমা প্রসারিত হবে। কিন্তু, চীনের চাকুরির বাজার ক্রমে সংকুচিত হচ্ছে- আবার, অপর দিকে, এই দেশে ব্যবসা করার পথ দিন দিন আরো খুলে যাচ্ছে। তাই অবারিত দ্বার এই দেশে নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য হয়ত আপনারও দৃষ্টিসীমা প্রসারিত হবে।

Great wall - China
Image Source: pixabay.com

চীনে পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

ইউরোপ বা আমেরিকার মত চীনে পড়াশুনা করতে GRE/ GMAT/ SAT/ ACT কিম্বা নিদেন পক্ষে IELTS/ TOEFL জাতীয় কোন পরীক্ষায় বসতে হবে না।

চীনে যেহেতু পাশ মার্ক ৬০%। তাই আপনার একাডেমিক পরীক্ষায় ৬০% এর অধিক মার্ক থাকলে আপনি চীনে যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারবেন। তবে আপনি ৮০% মার্ক পেলে স্কলারশিপ পেতে আপনার সুবিধা হবে। আর ডিপ্লোমা কোর্সে আবেদন করতে আপনার থাকতে হবে HSC- তে ৪.৪৩ পয়েন্ট। ব্যাচেলরে আবেদন করতে আপনাকে SSC ও HSC তে আপনার সব মিলিয়ে থাকতে হবে ৮.০ পয়েন্ট। মাস্টার্সে আবেদন করতে থাকতে হবে ৩.২০ আর পিএইচডি প্রোগ্রামে আবেদন করতে হবে ৩.৪০ পয়েন্ট সাথে থাকতে হবে পাবলিশড রিসার্চ পেপার। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা ফি বছর পরিবর্তন হয়। তাই দেখে নিন, বুঝে নিন – বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আদতে কি চাচ্ছে।

কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

চীন বছরে দুইটি সেমিস্টারের মাধ্যমে অফার করে বিভিন্ন ধরণের কোর্স। আপনি গ্রাজুয়েশন, পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা, মাস্টার্স, সিনিয়র স্কলার, জেনারেল স্কলার অথবা পিএইচডি সহ যে কোন প্রোগ্রামে যেতে পারেন ।

চীনে অবস্থিত বিশ্বমানের প্রায় ১১০০ এর অধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রোগ্রামের আওতায় বিভিন্ন কোর্স অফার করে থাকে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, সব বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের পড়ার সুযোগ দেয় না। আবার অনেক নামী- দামী বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেখানে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের পড়ার সুযোগ দেওয়া হয় না। তাই আবেদনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমন্ধে একটু জেনে নিতে হবে। আর এই দেশে প্রকৌশল, কৃষি, মেডিকেল ও স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, বিজনেস ও ম্যানেজমেন্টসহ অনেক ধরণের বিষয়ে পড়ানো হয়। তবে, প্রকৌশল বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় চীনে উন্নত শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে।

বর্তমানে চীনে মেডিকেল ও স্বাস্থ্যবিষয়ে পড়াশোনার জন্য বেশি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। চীনের যেকোন রেজিস্টার্ড মেডিকেল স্কুল থেকে পড়াশুন শেষ করে এসে আপনি বাংলাদেশে প্রকটিস করতে পারবেন। শুধু আপনাকে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) থেকে সম্মতিপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ও এখন বেশ উন্নত ও তারা বিশ্বায়নের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত শিক্ষা প্রদান করে আসছে। নিম্নে চীনের কিছু নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা দেওয়া হলঃ

১। Tsinghua University

২। Peking University

৩। University of Science and Technology of China

৪। Zhejiang University

৫। Fudan University

Students in China
Image Source: Internet

চাইনিজ ইউনিভার্সিটির র‍্যাংকিং নিয়ে  আরও ভালো ভাবে জানতে চাইলে তুমি এই লিঙ্কটিতে ঘুরে আসতে পারো। আশা করি র‍্যাংকিং নিয়ে তোমার আর কোনো প্রশ্ন থাকবে না।

 

লিঙ্কঃ https://www.mastersportal.com/ranking-country/105/china.html

কোন ভাষায় পড়বেন?

চাইনিজ কিংবা ইংলিশ দুই ভাষাতেই পড়তে পারবেন । ডিপ্লোমাতে সারাধরণ চাইনিজে পড়ানো হয়। ইংলিশ কোর্স খুব একটা পাওয়া যায়না। অনার্স , মাস্টার্স, পিএইচডি চাইনিজ কিংবা ইংলিশে করতে পারেন । বেশির ভাগ ইউনিভার্সিটি এখন IELTS চাচ্ছে। সর্বনিম্ন ৬.০ ব্যান্ড। তবে, আপনার প্রোফাইল সমৃদ্ধ হলে সেই সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও IELTS ছাড়াই আবেদন গ্রহণ করছে। চীনা ভাষায় দক্ষতা প্রমাণের জন্য HSK 4 পরীক্ষার স্কোর প্রয়োজন পড়ে আর যদি খোদ চাইনিজ ভাষায় পড়তে চান তাহলে প্রয়োজন পড়বে HSK 5 । তবে, এই স্কোরও বাধ্যতামূলক নয়। চীনে সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনাকে দিয়ে এই সংক্রান্ত কোর্স করিয়ে নেবে। তাই, এই বিষয়েও কোন চিন্তা নেই।

ডকুমেন্টস সত্যায়ন

চীনে আবেদনের জন্য সকল ডকুমেন্টস নোটারাইজড করে দিতে হবে। কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয় আবার আপনার সার্টিফিকেট চাইনীজ ভাষা/ মান্দারিন ভাষায় চেয়ে থাকে। তাদের জন্য আপনাকে অনুবাদক দিয়ে আপনার ডকুমেন্টস অনুবাদ করিয়ে নিতে হবে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এখন ইংরেজীতে প্রদত্ত সকল সার্টিফিকেট এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করে থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

আগেই বলেছি চীনে দুইটি সেমিস্টার পড়ানো হয় প্রতি বছরঃ যার একটি মার্চে শুরু হয় আর অপরটি সেপ্টেম্বরে শুরু হয়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা বেশ কষ্টকর- তাই, আবেদন করার জন্য যদি চীনে অবস্থিত কোন পরিচিত বন্ধু বা আত্মীয়ের সাহয্য নেন তাহলে অনেকটাই সুবিধা হবে। যেহেতু, আবেদন করতে টাকা-পয়সা খরচ হবে, তাই বিশ্বস্ত না হলে এই বিষয়ে না এগোনোই ভালো।

Students in China
Image Source: Internet

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য যেসকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দরকার পরবে তার তালিকা নিচে দেওয়া হলঃ

১। সকলএকাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট (অবশ্যই নোটারাইজড)

২। Study Plan ও ২ টি রিকমেন্ডেশন লেটার (সহযোগী অধ্যাপক বা অধ্যাপকের কাছ থেকে নিতে হবে)

৩। পাসপোর্টের কপি ও সাদা ব্যাক-গ্রাউন্ডের ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (নোটারাইজড)

৪। স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট

৫। জন্ম সনদ, জাতীয় পরিচয় পত্র, বায়ো-ডাটা

পড়াশোনার খরচ ( টিউশন ফি) ও স্কলারশিপ

সাধারণত চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশুনা করতে বছরে খরচ হবে ২-৩ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে এই ফি-এর তারতম্য হয়। আর মেডিকেল বিষয়ে পড়তে খরচ হবে ৩-৬ লাখ টাকা। চীনে মেডিকেল কোর্স ৫ বছরের আর সাথে ১ বছরের ইন্টার্নশীপ।

 

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে চীনা সরকার প্রচুর পরিমাণে স্কলারশিপের ব্যবস্থা করেছে, যেগুলো আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও পোস্টগ্র্যাজুয়েট লেভেলে টিউশন ফি’র জন্য ফুল ও পার্শিয়াল ফান্ডিংয়ে দেয়া হয়ে থাকে। এর মাঝে রয়েছে-

১। Chinese Government Scholarship

২। University/ Presidential Scholarship

৩। Confucius Institute Scholarship

৪। Local Government Scholarship / Provincial Scholarship

৫। Enterprise Scholarship

তাই, যোগ্যতা থাকলে এই দেশে স্কলারশিপের সুযোগ অনেক বেশি।

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও ডকুমেন্টস চেকলিস্ট

চীনের বিশ্ববিদ্যালয় আপনার আবেদন গ্রহণ করলে তারা আপনাকে প্রদান করবে JW202 (চীনা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সীলযুক্ত) । আর এই JW 202 ভিসা আবেদনের জন্য একান্ত প্রয়োজন। সকল ডকুমেন্ট নিয়ে বাংলাদেশে অবস্থিত চীন এম্বেসীতে করতে হবে ভিসার জন্য আবেদন।

ভিসা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের লিস্ট নীচে তুলে ধরা হলঃ

১। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো Admission Letter এবং JW 202

২। সকল নোটারাইজড ডকুমেন্টস, মার্কশিট ও সকল সনদ

৩। পাসপোর্ট ও ফটোগ্রাফ

৪। রিকমেন্ডেশন বা রেফারেন্স লেটার

৫। ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও আর্থিক স্বচ্ছলতার ডকুমেন্টস

৬। মেডিকেল রিপোর্ট

৭। IELTS এর সনদ (যদি থাকে)

৮।স্কলারশিপের পেপার (যদি থাকে)

City life in China
Image Source: Internet

চীনের আবাসন ব্যবস্থা ও জীবনযাত্রার ব্যয়

চীনে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে হোস্টেল। হোস্টেলে থাকতে আপনাকে দিতে হবে ভার্সিটিভেদে বাৎসরিক ৩০,০০০ থেকে ৮০,০০০ টাকা।

সকল দেশের মত এই দেশেও খরচ নির্ভর করে ব্যক্তি বিশেষের মত। তবে নিজে রান্না করে খেলে আপনি প্রভিন্সভেদে মাসিক ৪০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকায় সেরে নিতে পারবেন। আর যদি বাইরে খান তাহলে এই খরচ মাসিক ২৫,০০০ টাকার মত লেগে যাবে।

চীনের যাতায়াত ব্যবস্থা যেমন বেশ ভালো, তেমনই বেশ সাশ্রয়ী। এখন চলুন বিভিন্ন যানবাহনে খরচ কেমন হতে পারে সেই সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক:

মেট্রো: ৪০ টাকা (প্রায়)

ট্যাক্সি/কি.মি: ৩০ টাকা (প্রায়)

সিটি বাস: ২৫ টাকা (প্রায়)

পাবলিক ট্রান্সপোর্টে স্টুডেন্ট পাস থাকলে মাসে তাতে খরচ হবে মাত্র ১৩০০ টাকা

পার্ট টাইম জব ও স্থায়ী বসবাস এর সুযোগ

চীনে পড়াশুনার পাশাপাশি জব করা সকল প্রদেশে বৈধ নয়। তাই, আপনি জব করতে পারবেন কি না সেটা আপনার বিশ্ববিদ্যালয় যে প্রদেশে সেটার উপর নির্ভর করবে। আর চীনে চাকুরীর বাজারে বিদেশী হিসেবে চাকুরী পাওয়া কঠিন। তাই, আপনি স্থায়ী বসবাসের কথা ভাবলে এই দেশ খুব একটা ভালো ডেস্টিনেশন হবে না। কিন্তু, জ্ঞান অর্জনের জন্য এই দেশ সমৃদ্ধ।

City life in china
Image Source: Internet

আপনারা চীনে উচ্চশিক্ষা নিয়ে অনেক কিছুই জেনে গেলেন। বাকিটা আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ঘেটে জানতে হবে। তাহলে আর দেরী কেন? এখনি করুন- নিজেই নিজের আবেদন।

তথ্যসুত্রঃ

error: Alert: Content selection is disabled!!