Loading...
November 23, 2022

বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক স্কলারশীপগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্য সরকার প্রদত্ত কমনওয়েলথ স্কলারশীপ অন্যতম। কমনওলেথ স্কলারশিপ দেওয়া হয় কমনওলেথ ভিত্তিক অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের। এই স্কলারশিপের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৩ সাল থেকে আর এই প্রোগ্রামের অর্থায়ন করে Department of International Development। প্রায় ৩৫০০০ জন এখন পর্যন্ত কমনওয়েলথ স্কলারশিপ ও ফেলোশিপ পেয়েছেন। প্রতি বছর প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। বাংলাদশ কমনওলেথের আওতায় হওয়ায় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারে। এই বৃত্তি উদ্যোমী ও প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগের জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে।

স্কলারশিপ এর নাম

কমনওয়েলথ স্কলারশীপ

যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে

বিবেচিত বিষয় সমুহ সম্পর্কে জানতে নিম্মোক্ত ওয়েবসাইট স মুহের সাহায্য নিতে পারেন –

www.cscuk.dfid.gov.uk (কমনওয়েলথ বৃত্তি–সংক্রান্ত বেশির ভাগ তথ্য পাওয়া যাবে এই অফিশিয়াল ওয়েবপেজে)

www.ugc.gov.bd । www.britishcouncil.org.bd

একজন আবেদনকারীকে মাস্টার্স অথবা পিএইচডি যেকোনো একটি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

দেশ এবং কর্তৃপক্ষ

কমনওয়েলথ কমিশন সচিবালয়, লন্ডনের মাধ্যমে আর্থিক অনুদান দেয় যুক্তরাজ্য সরকারের ‘আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ বা ডিএফআইডি’

বৃত্তির সুযোগ সুবিধাসমূহ

কমনওয়েলথ বৃত্তির আর্থিক সুবিধা

১. স্নাতকোত্তর বা পিএইচডির সম্পূর্ণ টিউশন ফি বহন করবে কমনওয়লেথ কমিশন

২. যুক্তরাজ্যে যাওয়া–আসার বিমানের টিকিট।

৩. লন্ডন অথবা লন্ডনের বাইরে বসবাসের মাসিক ভাতা

৪. মাসিক ভাতার বাইরেও এককালীন টাকা পাওয়া যায়

৫. ‘স্টাডি ট্রাভেল গ্র্যান্ট’

৬ ‘থিসিস গ্র্যান্ট’

৭. এ ছাড়া কমনওয়েলথ কমিশন কর্তৃক আয়োজিত যেকোনো প্রশিক্ষণ, স্বল্পমেয়াদি কোর্স, ওয়েলকাম ইভেন্ট ও আঞ্চলিক সম্মেলন যোগদানের জন্য ট্রেনের টিকিট, থাকা ও খাওয়ার সুব্যবস্থা করা হয়।

আর এ খরচ বহন করা হয় পুরো কোর্স সময়কালে।

আবেদনের যোগ্যতা

কমনওলেথ স্কলারশিপে আবেদনের জন্য আপনার নিম্নোক্ত যোগ্যতা থাকতে হবেঃ

১। কমনওলেথ দেশের নাগরিক অথবা শরণার্থী হতে হবে

২। UK-এ কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের আবেদন করতে হবে আর আবেদনের জন্য প্রয়োজইনীয় সকল যোগ্যতা থাকতে হবে

৩। দ্বিতীয় মাস্টার্স করতে চাইলে, কেন দ্বিতীয় মাস্টার্স করতে চাচ্ছেন তার কারণ দর্শাতে হবে

৪। আবেদনকারীর কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির (২:১) স্নাতক বা স্নাতকোত্তর থাকতে হবে, যা সিজিপিএ ৩.০–এর সমতুল্য। তবে সিজিপিএ যত বেশি হবে, বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি।

৫। যাঁরা আগে বিদেশে থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন, তাঁরা স্নাতকোত্তরের জন্য বিবেচিত হবেন না। তবে অন্য কোনো বৃত্তির অধীনে স্নাতকোত্তর করে থাকলে পিএইচডিতে আবেদন করতে পারবেন।

৬। দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠানে পিএইচডির জন্য নিবন্ধন করলে বৃত্তির জন্য বিবেচিত হবেন না।

৭।  কমনওয়েলথভুক্ত বা নিজ দেশের বাইরে অবস্থানকালে কেউ আবেদন করলে গ্রহণযোগ্য হবেন না।

৮। যুক্তরাজ্যে কেউ শিক্ষারত অবস্থায় এই স্কলারশিপের জন্য বিবেচিত হবেন না।

আবেদনের সময়সীমা

আবেদনের হালনাগাদ সময়সীমা জানতে নিম্মোক্ত ওয়েবসাইট এর সাহায্য নিতে পারেন-

www.cscuk.dfid.gov.uk (কমনওয়েলথ বৃত্তি–সংক্রান্ত বেশির ভাগ তথ্য পাওয়া যাবে এই অফিশিয়াল ওয়েবপেজে)

www.ugc.gov.bd | www.britishcouncil.org.bd

যেসকল দেশের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য

কমনওয়েলথভুক্ত ৫৩টি দেশের তরুণ শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের জন্য দেওয়া হয় ৮০০টি বৃত্তি (স্নাতকোত্তর, পিএইচডি ও স্প্লিট–সাইট স্টাডি)

Commonwealth Scholarship - UK
Image Source: Internet

আবেদন প্রক্রিয়া

কমনওয়েলথ স্কলারশীপের নির্বাচন প্রক্রিয়াও দীর্ঘমেয়াদী যা কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়। ১ বছরেরও বেশি সময় লাগে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে।

কমনওলেথ স্কলারশিপের আবেদন শুরু হয় প্রতি বছর নভেম্বর মাস থেকে। এপ্লিকেশন প্রথম দিকে করাই ভালো। পরে এপ্লিকেশনের প্রেশার বাড়লে সার্ভার অনেক সময় স্লো হয়ে যায়। তাই হাতে সময় নিয়ে আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে ব্রাউজ করুনঃ

http://cscuk.dfid.gov.uk/apply/masters-scholarships/

প্রতিটি দেশের জন্য পৃথক মনোনীত প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত আছে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটি হলো আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। প্রতিবছর ইউজিসি কমনওয়েলথ স্কলারশিপের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দরখাস্ত আহ্বান করে। www.ugc.gov.bd

আবেদনের নিয়মাবলীঃ

১। যুক্তরাজ্যের যেসকল বিশ্ববিদ্যালয় কমনওয়েলথের এই স্কলারশিপের সাথে চুক্তিবদ্ধ, সেসকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে সিএসসি অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম ব্যবহার করে আবেদন করতে হবে।

২। সকল ফাইল স্ক্যান করে PDF ফরম্যাটে সাবমিট করতে হবে আর ডকুমেন্ট সাইজ ৫ মেগাবাইটের বেশী হতে পারবে না।

আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ

১। পাসপোর্ট/ নাগরিকত্ব সনদ

২। একাডেমিক সকল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট

৩। রেফারেন্স লেটার- পরবর্তীতে যিনি রেফারেন্স দিয়েছেন, তাকে মেইল করা হবে।

তথ্যসুত্রঃ

November 23, 2022

ওয়েস্টমিনিস্টার বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত অন্যতম একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়নশীল দেশ ও মধ্যম আয়ের দেশের মেধাবী নাগরিকদের জন্য স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে। এই স্কলারশিপের মধ্যে শিক্ষার্থীগণ ফুল, হাফ বা পারশিয়াল স্কলারশিপের ব্যবস্থা রিয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে আপনি শুধু একটি মাত্র স্কলারশিপেই আবেদন করতে পারবেন। এই স্কলারশিপে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বাধ্যতামূলকভাবে কয়েক ঘন্টা ভলেন্টিয়ারিং করতে হয়। প্রথম বছর স্কলারশিপ পাওয়ার পর যদি আপনি ভালো ফলাফল না করেন, তাহলে এই স্কলারশিপ বাতিল করে দেওয়া হবে।

স্কলারশিপ এর নাম

ওয়েস্টমিনিস্টার ফুল ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ।

যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে

আপনি এই স্কলারশিপের আওতায় ব্যাচেলর বা মাস্টার্স করতে পারবেন। আর কোর্স পছন্দ করতে হবে আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট – https://www.westminster.ac.uk

দেশ এবং কর্তৃপক্ষ

যুক্তরাজ্য। ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্ট মিনিস্টার।

বৃত্তির সুযোগ সুবিধাসমূহ

স্কলারশিপের আওতায় আপনি যা যা পাবেনঃ

১। টিউশন ফি

২। মাসিক জীবনযাত্রার ব্যায়

৩। আবাসন  ভাতা

৪। যাতায়ত বিমান ভাড়া

৪। স্বাস্থ্য বীমা

আবেদনের যোগ্যতা

১। ব্যাচেলর কোর্স করতে আপনার পেতে হবে ৪.৫ সিজিপিএ আর মাস্টার্স করতে আপনার সিজিপএ লাগবে ৩.০। আর আপনি যদি ফুল স্কলারশিপ পেতে চান তাহলে আপনাকে পেতে হবে ৩.৭৫ সিজিপিএ।

২। ব্যাচেলর কোর্স এর জন্য IELTS এ থাকতে হবে 6.0 আর মাস্টার্স কোর্সে থাকতে হবে 6.5। আপনি যে বিষয়ে আবেদন করছেন সে অনুযায়ী আপনার IELTS Score প্রয়োজন পড়বে।

আপনাকে এই স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আর্থিক ভাবে অসচ্ছল হতে হবে।

westminster full international scholarship
Image Source: Internet

আবেদনের সময়সীমা

ওয়েস্টমিনিস্টার ফুল ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ শুরু হয় এপ্রিল মে মাসে। তবে বিস্তারিত জানতে আবশ্যই চোখ রাখতে হবে ওয়েব সাইট এ – https://www.westminster.ac.uk

যেসকল দেশের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য

বিশ্বে যেকোন উন্নয়নশীল দেশ অথবা মধ্যম আয়ের দেশের নাগরিক এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে। এই তালিকায় বাংলাদেশও রয়েছে।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থিকে প্রথমেই অনলাইনে আবেদন করতে হবে আপনার পছন্দের প্রোগ্রামের জন্য। এরপর আপনি কন্ডিশন্যাল এডমিশন পাওয়ার পর আবেদন করবেন স্কলারশিপের জন্য। পরবর্তীতে আপনার পোর্ট ফোলিও দেখে আপনাকে স্কলারশিপ প্রদান করা হবে।

এই ক্ষেত্রে মাস্টার্সে আবেদন করতে কোন ফী দিতে হয় না তবে ব্যাচেলরে আবেদন করতে ১৩ মার্কিন ডলার খরচ করতে হবে।

আবেদন করতে আন্ডারগ্র্যাজুয়েটের জন্য –https://www.ucas.com/ এবং গ্র্যাজুয়েটের জন্য – https://pgapp.ukpass.ac.uk/ukpasspgapp/login.jsp?institution=W50&course=018455&source=http://d8.westminster.ac.uk

গিয়ে একাউন্ট খুলে আবেদন করতে হবে।

স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য আপনাকে জমা দিতে হবেঃ

১। Offer Letter

২। সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশীট

৩। রিকমেন্ডেশন লেটার –আবেদনের জন্য ও স্কলারশিপের জন্য আলাদা রিকোমেন্ডেশন লেটার ব্যবহার করতে হবে।

৪। Motivation Letter and CV

৫। IELTS এর সনদ

৬। Work Experience Certificate

৭। পাসপোর্টের কপি

সকল ডকুমেন্টস ডাক যোগে ওয়েস্ট মিনিস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিতে হবে।

Scholarships Office
University of Westminster
Cavendish House
101 New Cavendish Street
London W1W 6XH
United Kingdom

আরোও বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট করুণঃ

https://www.westminster.ac.uk/study/fees-and-funding/scholarships

তথ্যসুত্রঃ

November 23, 2022

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় শিক্ষা অর্জনের ডেস্টিনেশন হল ইংল্যান্ড, যাকে সাংবিধানিক ভাষায় বলা হয় United Kingdom of Great Britain and Northern Ireland. সভ্যতা, জ্ঞান-বিজ্ঞানে এই দেশের ইতিহাস বহু সমৃদ্ধ- বহু প্রাচীন। জ্ঞানের অন্যতম পীঠ হল এই দেশ। তাই তাবদ দুনিয়ার জ্ঞান পিপাসুরা ভিড় জমায় এই দেশে এসে। আর শিক্ষার্থীদের চাহিদার দিকে তাকিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তাদের বিভিন্ন রকম প্রতরণার ফাঁদে ফেলছে। অনেকে আবার না বুঝে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে নাম-সর্বস্ব বিশ্ববিদ্যালয়ে। যখন তাদের ভুল তারা বুঝতে পারে, ততদিনে অনেক দেরি হয়ে যায়। তাই আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে যাচ্ছি, ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য আপনার যা যা প্রয়োজন হবে তার বিস্তারিত বিবরণ। তাই, যদি স্বপ্ন হয় ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা তাহলে আর দেরি না করে আর্টিকেলটা পড়ে দেখুন, বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে দিন আর নিজেই করুন নিজের আবেদন।

কেন ইংল্যান্ডে পড়তে যাবেন?

ইংল্যান্ড বিশ্বজুড়ে পড়াশুনা করার জন্য অন্যতম স্থান। প্রতি বছর এই পূন্যভূমিতে বিদ্যার্জনের জন্য পাড়ি দেয় প্রায় ৫,০০,০০০ জ্ঞানপিপাসু। এখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অফার করা হয় ৫০,০০০ এর বেশি কোর্স আর আছে ২৫ এর বেশি সাবজেক্ট এরিয়া। আর বিশ্বে চাকুরীদাতা থেকে শুরু করে সকল নামী-দামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংল্যান্ডের ডিগ্রীর কদরও কম নয়। তাই বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে ও নিজেকে বৈশ্বিক পরিমন্ডলে তুলে ধরার জন্য আপনার গন্তব্যও হতে পারে ইংল্যান্ড।

Study in England
Image Source: pexels.com

ইংল্যান্ডে পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

ইংল্যান্ডে ৩-৪ বছরের ব্যাচেলর কোর্সে ভর্তি হতে প্রয়োজন পড়বে ১২ বছরের শিক্ষা জীবনের আর সাথে প্রয়োজন পড়বে IELTS স্কোর কমপক্ষে ৬.০ -৬.৫। আর মাস্টার্স প্রোগ্রামে পড়তে যেতে প্রয়োজন পড়বে ১৬ বছরের শিক্ষা জীবন ও সাথে IELTS স্কোর ৬.৫ – ৭.০। এদেশে পড়াশুনা করতে আপনাকে আপনার একাডেমিক কোর্সে ৫০-৫৫ শতাংশের বেশি মার্ক্স অর্জন করে আসতে হবে।

কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

ইংল্যান্ডে নানা ধরণের কোর্স অফার করা হয়। আর আপনি ডিপ্লোমা, কারিগরী কোর্স, ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পোস্ট গ্রাডুয়েট ডিপ্লোমা, পিএইচডি- সব ধরণের কোর্সের জন্য আসতে পারেন ইংল্যান্ডে। আপনি আপনার ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে বেছে নিবেন আপনার জন্য বেস্ট কোর্স। সাধারণত ইংল্যান্ডে Business School, Hospitality, Tourism and Hotel Management, Pure Science and Engineering, Education Science, Law ও Health & Medicine – এই সব স্কুলের কোর্সগুলো খুবই জনপ্রিয়। MBA, MSC, BBA, ACCOUNTING, MARKETING, HRM, ENGINEERING, LAW, IT, SOCIAL SCIENCE, PUBLIC HEALTH, PHARMACY, DIPLOMA সহ আরও নানা ধরনের বিষয়ে পড়াশুনা করতে পারবেন ।আপনি এই ইন্ডান্স্ট্রিতে অনেক জবও পাবেন। তাই, ভেবে দেখুন ও সময় নিয়ে ঠান্ডা মাথায় নিজের পছন্দের কোর্স বেছে নিন।

ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী ছাত্রছাত্রীকে প্রথমে ব্রিটিশ কাউন্সিলে যোগাযোগ করতে হয়।ইংল্যান্ডে পড়াশোনার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ কাউন্সিল একটি তথ্য সম্ভার হিসেবে কাজ করে। ব্রিটিশ কাউন্সিল শিক্ষার্থীদের ইংল্যান্ডের কোর্সগুলো ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে থাকে।

ইংল্যান্ডে বিশ্ববিদ্যালয়েরও অন্ত নেই। তবে যে বিশ্ববিদ্যালয়েই যান-না-কেন, সে বিশ্ববিদ্যালয় সমন্ধে আগে একটু অন-লাইন রিসার্চ করে নিতে ভুলবেন না। কারণ, অনেকেই ভুলে করে এমন অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেন, যাদের কোর্স অফার করার লিগাল অথরিটি নেই। World Ranking-এ আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান দেখে নিন। আপনাদের সুবিধার্থে নিচে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেওয়া হল, খুঁজে দেখুন আর পছন্দ করে দেখুন আপনার জন্য প্রযোজ্য কোর্স কোনটি হবেঃ

  1. University of Oxford
  2. University of Cambridge
  3. Imperial College London
  4. UCL
  5. London School of Economics and Political Science
  6. University of Edinburgh
  7. King’s College London
  8. University of Manchester
  9. University of Warwick
  10. University of Bristol
University in England
Image Source: pexels.com

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

ইংল্যান্ডে বছরে দুইটি সেশন আছেঃ

১। অটাম সেশন ও

২। স্প্রিং সেশন

অটাম সেশন শুরু হয় সাধারণত সেপ্টেম্বর – জানুয়ারি মাসে আর স্প্রিং সেশন শুরু হয় জানুয়ারি – জুন মাসে। ইংল্যান্ডে বিভিন্ন ধরণের ও বিভিন্ন ক্যাটাগরীর বিশ্ববিদ্যালয় আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট খুঁজে দেখলে আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় তথ্য পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে পাবেন ভর্তির আবেদন পত্র, সেখান থেকে ডাউনলোড করে নিয়ে করতে পারবেন আবেদন। আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আবার দেয় অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ। আপনি যে কোন তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারবেন এডমিশন অফিসের সাথে- তারা আপনাকে সার্বিক সহায়তা প্রদান করবে। ইংল্যান্ডে ভর্তির আবেদন বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার- প্রায় ৭-৮ মাস সময় লেগে যায়, সব কিছু প্রসেস করতে। তাই হাতে প্রায় ১ বছর সময় নিয়ে আবেদন করতে হবে।

নিচে ইংল্যান্ডে আবেদনের জন্য মূল ডকুমেন্টসগুলোর তালিকা দেওয়া হলঃ

১। একাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট- অবশ্যই ইংরেজীতে ও নোটারাইজ করে দিতে হবে।

২। IELTS এর সনদ

৩। CV, মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার

৪। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ছাড়পত্র

৫। পাসপোর্টের কপি

পড়াশোনার খরচ ( টিউশন ফি) ও স্কলারশিপ

বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্সভেদে ইংল্যান্ডে পড়াশুনার ব্যয় অনেক কম-বেশি হয়। এই দেশে পড়াশুনার ব্যয় ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই বেশি মূলত ফাউন্ডেশন কোর্স বা প্রিলিমিনারি কোর্সে পড়তে প্রতি বছর খরচ হয় ৪,০০০-১২,০০০ পাউন্ড। কলা বিষয়ে পড়তে প্রতি বছর খরচ হবে অনুমানিক ৭,০০০ – ৯,০০০ পাউন্ড। আবার, বিজ্ঞান বিষয়ে পড়তে আপনার প্রয়োজন পড়বে ৭,০০০ – ১২,০০০ পাউন্ড। মেডিক্যাল বিষয়ে পড়তে সব জায়গায় খরচ একটু বেশিই হয়। সাধারণত মেডিক্যাল সাইন্সে আপনার খরচ ১০,০০০ – ২১,০০০ পাউন্ড। ইংল্যান্ডে বিজনেস স্কুল বেশ জনপ্রিয়। এখানে বিজনেস স্কুলে পড়তে প্রতি বছর ৪,০০০ পাউন্ড থেকে ৩০,০০০ পাউন্ড খরচ হবে।

Students in England
Image Source: pixabay.com

ইংল্যান্ডে পড়াশুনার খরচ বেশি হলেও এখানে অনেক ধরণের স্কলারশিপেরও সুযোগ আছে। সরকারি স্কলারশিপের পাশাপাশি রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন স্কলারশিপ প্রোগ্রাম। আপনি বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েব সাইটেই পাবেন বিভিন্ন স্কলারশিপের খবরা-খবর।

আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ

ইংল্যান্ডে পড়তে আপনাকে টিউশন ফি ও লিভিং কস্ট বাবদ ব্যাংকে ১০,০০০ – ১৫,০০০ পাউন্ড দেখাতে হবে। এই পরিমাণ অর্থ আপনাকে কমপক্ষে ১ মাস আপনার একাউন্টসে আছে এমন দেখাতে হবে। তবে চিন্তা নেই- ভিসা পাওয়ার পর এই টাকা আপনি তুলে ফেলতে পারবেন। জার্মানীর মত ব্লক একাউন্টসে টাকা রাখতে হবে না আপনাকে।

ভিসার জন্য আবেদন

ইংল্যান্ডে ভিসার কাজ শেষ করতে ৩ থেকে ৩.৫ মাস সময় লাগে। তাই সময় নিয়ে আবেদন করতে হবে।

ইংল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসা নামে কোনো ভিসা দেওয়া হয় না। মূলত, স্টাডি পারমিট দেওয়া হয়, যেটাকে স্টুডেন্ট ভিসা বলা হয়। এই স্টাডি পারমিট দিয়ে আপনি ইংল্যান্ডে বসবাস করতে পারবেন না। ইংল্যান্ডে ভ্রমণ ও বসবাসের জন্য আপনাকে টেম্পোরারি রেসিডেন্ট ভিসা অথবা ইলেকট্রনিক ট্র্যাভেল অথোরাইজেশন (ইটিএ) নামক ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

Visa Application - England
Image Source: Internet

এবার জেনে নিন ভিসা আবেদনর জন্য কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন পড়বেঃ

১। পাসপোর্ট ও  ফটোগ্রাফ

২। CV, মোটিভেশন ও রেফারেন্স

৩। সকল মার্কশিট ও সনদ

৪। No Objection  Certificate [শেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে]

৫।  বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার ও টিউশন ফি প্রদানের রশিদ

৬। ব্যাংক সলভেন্সি পেপার

৭। পুলিশ ক্লিয়ারান্স ও হেলথ ইন্স্যুরেন্স ডকুমেন্টস

৮।IELTS এর কপি

৯। মেডিকেল চেক আপ রিপোর্ট

ইংল্যান্ডে থাকাকালীন আপনার খরচ চালানোর জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক যোগান রয়েছে তার প্রমাণপত্র হিসেবে যুক্ত করুন

১. ইংল্যান্ডের ব্যাংকে আপনার নিজের নামের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।

২. ব্যাংক স্টেটমেন্ট।

৩. ব্যাংক ড্রাফট।

৪. এক বছরের থাকা ও পড়ার খরচ পরিশোধ হয়েছে, তার প্রমাণপত্র।

৫. যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আপনার ফান্ডিং দিবে, সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদানকৃত চিঠি।

৬. আপনি যদি কোন স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন, তবে তার প্রমানপত্র।

ইংল্যান্ডে পার্ট টাইম জব ও জীবনযাত্রার ব্যয়

ইংল্যান্ডে আপনি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজ করার সুযোগ পাবেন আর ছুটিতে আপনি ফুল টাইম কাজ করার সুযোগ পাবেন। আবার আপনার সাথে আপনার স্পাউস থাকলে তিনিও কাজ করার সুযোগ পাবেন। বর্তমানে ইউকে গভারন্মেন্ট স্টুডেন্টদেরকে ক্যাম্পাসের বাইরে কাজ করার অনুমতি দিচ্ছে ।

ইংল্যান্ডে আপনি কোথায় বসবাস করছেন তার উপর নির্ভর করবে আপনার দৈনন্দিন খরচ ও আবাসিক ব্যবস্থার জন্য কত খরচ হবে। আপনি চাইলে আবাসিক ব্যবস্থা ও জীবন ধারণের খরচ ৪০০ – ৫০০ পাউন্ডের মধ্যে মেটাতে পারবেন।আপনি কি মানের লাইফ লিড করতে চান তার উপর এটা ডিপেন্ড করে ।

Road in London
Image Source: pexels.com

ইংল্যান্ডে স্থায়ী বসবাস এর সুযোগ

আর আপনি বৈধভাবে ৮ থেকে ১০ বছর থাকার পর PR এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করে রাখি ইংল্যান্ড ২০২১ সাল থেকে তাদের PR সংক্রান্ত নীতিমালায় বেশ কিছু আমূল পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। যদি ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন শিক্ষার্থী পড়াশুন শেষ করেন, তাহলে তিনি ২ বছর মেয়াদী Post Study Work (PSW) ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে। আর আপনি যদি কমপ্লিট করেন পিএইচডি, তাহলে আপনি ৩ বছর মেয়াদী PSW ভিসা। যদি দুর্ভাগ্যবশত এই ভিসার এই সময়ে যদি আপনি কোন জব ম্যানেজ করতে না পারেন, তাহলে আপনি আবার কোন কোর্সে পড়া শুরু করতে পারেন এবং ডবল ডিগ্রী অর্জন করতে পারেন। পরবর্তীতে আবার আপনি PSW ভিসায় আবেদন করতে পারবেন। এই সময়ের মধ্যে আপনি চাইলে, আপনার বেটার-হাফ (স্বামী/ স্ত্রী)- কে ইংল্যান্ডে নিয়ে আসতে পারেন আর আগেই তো বলেই, আপনার স্পাউস এলে তিনি ফুল-টাইম জব করার সুযোগ পাবেন।

ইংল্যান্ড অপার সম্ভবনার দেশ। এই দেশে আপনি আপনার নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে পারবেন। কিন্তু, ইংল্যান্ডে যেমন সম্ভবনা তৈরী হয়েছে, তেমনি প্রতারক চক্রও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তাই যাচাই বাছাই করে আবেদন করুন আর গড়ে তুলুন নিজের ভবিষ্যৎ।

City of London
Image Source: pixabay.com

তথ্যসুত্রঃ

November 22, 2022

বিশ্বের ছোট মহাদেশ ওসেনিয়া আর সেই মহাদেশের সবচেয়ে বড়দেশ অস্ট্রেলিয়া। আবহাওয়া, পরিবেশ, শিক্ষা ব্যবস্থা, স্থায়ী বসবাস অনেক কারণে অনেকে অস্ট্রেলিয়াকে পড়াশুনা করতে যাবার জন্য বিশেষত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা পছন্দের তালিয়ায় সর্বাগ্রে রাখেন। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতি বছর ৬-৭ লক্ষ শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যায়। এই দেশে রয়েছে ১২ হাজারের বেশি সমুদ্র সৈকত। শান্তিপূর্ণ এই দেশ শিক্ষার্থীদের জন্য শুধু নয় পড়াশুনা শেষে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্যও অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর দেশ। গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্বে তৃতীয় দেশ হল অস্ট্রেলিয়া। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আজ আলোচনা করবো অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা নিয়ে। আসুন জেনে নিই খুঁটিনাটি সব কিছু তারপর নিজেই করুন, নিজের আবেদন।

কেন অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যাবেন?

অস্ট্রেলিয়ায় বর্তমানের ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান বিশ্বের শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে। অর্থাৎ, এটা স্পষ্ট যে, অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বের অন্যতম। শুধু তাই নয়, পড়াশুনা শেষে বসবাসের সুযোগ আছে। আপনি আস্ট্রেলিয়ার PR পেলে নিউজিল্যান্ডেও থাকতে পারবেন। আপনার জন্য সম্ভবনা আরো বেড়ে যাচ্ছে।

Opera House Australia
Image Source: pixabay.com

কমনওয়েলথভুক্ত দেশ অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা আর সবচেয়ে বড় শহর হল সিডনি। অস্ট্রেলিয়ায় সবচেয়ে বেশি বাঙ্গালী বসবাস করে পার্থ শহরে। অস্ট্রেলিয়া পৃথিবীর ১৪-তম বৃহৎ অর্থনীতি আর পার ক্যাপিটা ইনকামের দিক দিয়ে এই দেশ বিশ্বে দশম। এই দেশের আয়তন ৭৬ লক্ষ ৯২ হাজার বর্গকিলোমিটার- আর এই দেশে বসবাস করে ২ কোটি ৫৬ লক্ষ । মজার ব্যাপার এই জনসংখ্যার ৩০% মূলত অভিবাসী, তারা বিভিন্ন দেশ থেকে এসে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন। সমুদ্রে ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশ আর নিজের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার অপরিসীম সম্ভবনা- এই তো অস্ট্রেলিয়া।

অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

অস্ট্রেলিয়ায় অবেদন করতে প্রয়োজন পড়ে না GRE/ GMAT। তবে আপনার IELTS/ PTE থাকতে হবে। অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশুনা করতে আপনার পূর্ববর্তী একাডেমিক পরীক্ষায় কমপক্ষে ৬০% নম্বরের প্রয়োজন পড়বে। আপনাকে ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে IELTS-এ পেতে হবে ৬.৫ বা ৭.০ স্কোর। আর PTE পরীক্ষায় অর্জন করতে হবে ৫৮ – ৬০ মার্ক্সের। এই যোগ্যতা থাকলে আপনি অস্ট্রিলিয়ার বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই আবেদন করতে পারবেন।

কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

ব্যবসা প্রশাসন, প্রকৌশল, নার্সিং, স্বাস্থ্য, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তিসহ সকল বিষয়েই অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন ডিপ্লোমা, স্নাতক, স্নাতোকোত্তর ও পিএইচডি করার যথেষ্ঠ সুযোগ রয়েছে। তাই কোর্স নিয়ে ভাবনার কারণ নেই। আপনি আপনার পছন্দের কোর্স এই দেশে পাবেন। শুধু তাই নয়, যে কোন কোর্সে যে কোন প্রোগ্রামে পড়তে পারবেন। আর এজন্যই দরকার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়। আপনাদের সুবিধার জন্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিচে তুলে ধরা হলঃ

১।  Australian National University (ANU)

২। University of Sydney

৩। University of Melbourne

৪। University of New South Wales (UNSW)

৫। University of Queensland (UQ)

৬। Monash University

৭। University of Western Australia (UWA)

৮। University of Adelaide

৯। University of Technology Sydney (UTS)

১০। University of Wollongong

[উপোরক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা QS Top Universities of 2021 অনুসারে দেওয়া হয়েছে]

National University, Australia
Image Source: Internet

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

অস্ট্রেলিয়ায় বছরে দুইটি সেশন পড়ানো হয়। একটি সেশন ফেব্রুয়ারি ও অন্যটি সেশন জুলাই- এ শুরু হয়।

ভর্তির জন্য প্রথমেই আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং আবেদন ফি জমা দিতে হবে। সাধারণত আবেদন ফি জমা না দেওয়া পর্যন্ত আবেদন প্রসেস শুরু হবে না। আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে কোন আবেদন ফি-এর প্রয়োজন পড়ে না।

এই দেশে আপনি ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডি, পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা থেকে শুরু করে সকল ধরণের প্রোগ্রামে যাবার সুযোগ আছে। আমেরিকা, কানাডার মত অস্ট্রেলিয়ায়ও মাস্টার্স কোর্স দুই ধরণেরঃ কোর্স-বেজড ও থিসিস-বেজড। কোর্স বেজড মাস্টার্স প্রোগ্রামে সাধারণত স্কলারশিপ পাওয়া যায় না। সাধারণত নিজের অর্থায়নে পড়তে হয়। তবে কোর্স-বেইজড মাস্টার্সেও আপনি পাবেন স্কলারশিপ। অন্যদিকে, থিসিস-বেজড বা রিসার্চ-বেজড মাস্টার্স প্রোগ্রামে গেলে আপনার ফান্ড বা স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ আছে। থিসিস-বেজড মাস্টার্স প্রোগ্রামে গেলে অবশ্যই প্রফেসরের সাথে যোগাযোগ করে কথা বলে নিতে হবে।

এই প্রফেসর খোঁজা বেশ জটিল ও কষ্টসাধ্য প্রক্রিয়া। কারণ আপনাকে প্রফেসরদের খুঁজে তাদের রিসার্চ এরিয়া-ভিত্তিক নিজের পোর্ট-ফোলিও সাজিয়ে তাকে মেইল করতে হবে এবং তাকে কনভিন্স করতে হবে। প্রফেসররা সাধারণত স্কাইপি, অথবা অন্য মিডিয়ামে আপনার ইন্টারভিউ নিয়ে থাকে। এই ব্যাপারে বলে রাখি, প্রোফেসরদের মেইল করার সময় সাবধান থাকবেন। অনেকেই একই মেইল বহু প্রফেসরকে করে। এইভাবে ফান্ডিং পাওয়া বেশ কষ্ট্যসাধ্য আর গদ বাঁধা মেইল আপনার সাথে সাথে আপনার দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। প্রফেসর যে শুধু স্কলারশিপ প্রাপ্তিতে সহায়তা করেন- তা নয়, বরং তার কাছে বরাদ্দ রিসার্চ ফান্ড থেকে আপনাকে RA (Research Assistant) পোস্ট অফার করে থাকে অথবা আপনাকে TA (Teacher’s Assistant) অফার করে।

 

অস্ট্রেলিয়ায় কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য নিচের ডকুমেন্টস গুলো প্রয়োজন হয়ঃ

১। সকলএকাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট

২। CV, মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার [প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী]

৩। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র

৪। পাসপোর্টের কপি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি

৫। রেফারেন্স লেটার- এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনার সম্পর্কে ভালো রিমার্ক্স থাকতে হবে।

৬। IELTS এবং GRE/GMAT [কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়ছে বর্তমানে]

৭। Statement of Purpose (SOP)

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ভালো করে ঘেটে আপনি দেখে নিবেন, আসলে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন পড়বে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটের পেছনে পর্যাপ্ত সময় দেওয়াটা তাই খুবই জরুরী।

University of Melbourne, Australia
Image Source: Internet

পড়াশোনার খরচ ( টিউশন ফি) ও স্কলারশিপ

অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাচেলর পড়তে খরচ হবে ১৫,০০০ থেকে ৩৩,০০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার। আর যদি মাস্টার্স বা ডক্টোরাল প্রোগ্রামে পড়তে যান তাহলে খরচ হবে ২০,০০০ থেকে ৪০,০০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার।

বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো অস্ট্রেলিয়াতেও বিভিন্ন স্কলারশিপের সুযোগ আছে। মাস্টার্স ও পিএইচডির জন্য এ সুযোগটা একটু বেশি। এই স্কলারশিপগুলো কয়েকপ্রকারের হতে পারে- ১) ফুল ফান্ডিং ও লিভিং এক্সপেন্সেস স্টাইপেন্ডসহ স্কলারশিপ ২) ফুল ফান্ডিং স্কলারশিপ ৩) পার্শিয়াল ফান্ডে স্কলারশিপ (১০% থেকে ৮০%)। যত ভালো মানের স্কলারশিপের জন্য আপনি চেষ্টা করবেন আপনার প্রোফাইল তত ভালো হওয়া উচিত এবং আপনি তত বেশি প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হবেন।

স্কলারশিপের জন্য ব্রাউজ করতে পারেন নিম্নোক্ত ওয়েব সাইটঃ

বাংলাদেশিরদের জন্য নির্ধারিত ওয়েবসাইটঃ

http://dfat.gov.au/about-us/publications/Pages/bangladesh-information-for-intake.aspx

অফিসিয়াল ওয়েবসাইটঃ

http://dfat.gov.au/people-to-people/australia-awards/Pages/australia-awards-scholarships.aspx

November 22, 2022

আমেরিকায় পড়াশুনার জন্য প্রদত্ত অন্যতম সম্মানজনক ও খ্যাতমান স্কলারশিপ প্রোগ্রাম হল ফুলব্রাইট স্কলারশিপ প্রোগ্রাম। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সিনেটর জেমস উইলিয়াম ফুলব্রাইট সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫ সালে সিনেটে স্কলারশিপ দেওয়ার জন্য বিল উত্থাপন করেন এবং ১৯৪৬ সাল থেকে উনার নাম অনুসারে এই স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু হয়।

আমেরিকায় পড়তে আসা প্রতিভাবান গবেষক, ইয়াং প্রোফেশন্যালদের এই স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। ফুলব্রাইট  স্কলারশিপ হোল্ডারের ৫৪ জন নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন আর ৮২ জন পেয়েছেন পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছেন।

স্কলারশিপ এর নাম

ফুলব্রাইট ফরেন স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম

যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে

যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাস্টার্স এবং পিএইচডি ডিগ্রি লাভের সুযোগ পান।

বিজনেসের ক্ষেত্রে এমবিএ ইন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট/ ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস/ অপারেশন্স ম্যানেজমেন্ট/ হেলথ কেয়ার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। আর বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে- বায়োলজি/ কেমিস্ট্রি/ ফিজিক্স/ ফার্মাসি। ইকোনমিকসে-ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকস/ট্রেড অ্যান্ড ফিন্যান্স/পলিসি/এনভায়রনমেন্টাল/ন্যাচারাল রিসোর্সেস ইকোনমিকস। অ্যাডুকেশনে-হায়ার অ্যাডুকেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন/ অ্যাডুকেশন পলিসি, প্ল্যানিং এবং ম্যানেজমেন্ট/ কারিকুলাম অ্যান্ড ইনস্ট্রাকশন্স। অ্যানভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, ফ্যাশন অ্যান্ড টেক্সটাইল ডিজাইন পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন/ পাবলিক পলিসি সাইকোলজি : ক্লিনিক্যাল/কাউন্সেলিং সিকিউরিটি স্টাডিজ, সোশ্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ-পলিটিক্যাল সায়েন্স/ সোশিওলজি/ হিস্টোরি/ লিটারেচার আরবান প্ল্যানিং : জেনারেল প্ল্যানিং/ল্যান্ড ইউজ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল প্ল্যানিং/ ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেম/ আরবান/ কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট।

দেশ এবং কর্তৃপক্ষ

United States Education Foundation (আমেরিকা)

বৃত্তির সুযোগ সুবিধাসমূহ

ফুলব্রাইট স্কলারশিপের আওতায় আপনি যা যা পাবেনঃ

১। আসা-যাওয়া বিমান ভাড়া ও অতিরিক্ত ব্যাগেজ অ্যালাউন্স

২। টিউশন এবং সংশ্লিষ্ট একাডেমিক ফি ও বুক এ্যালাউন্স

৩। হেলথ ও এক্সিডেন্ট ইনস্যুরেন্স

৪। ট্রাভেল ও বসবাসের জন্য মাসিক স্টাইপেন্ডসহ অন্যান্য

৫। আকস্মিক ব্যয়ের জন্য মাসিক স্টাইপেন্ড

আর এ খরচ বহন করা হয় পুরো কোর্স সময়কালে।

আবেদনের যোগ্যতা

ফুলব্রাইট স্কলারশিপের জন্য আপনার থাকতে হবে নিম্নোক্ত যোগ্যতাঃ

১। এই স্কলারশিপ মাস্টার্স প্রোগ্রামে দেওয়া হয়। তাই আপনার প্রয়োজন পরবে ৪- বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রী ও খুব ভালো একাডেমিক প্রোফাইল থাকতে হবে।

২। পূর্বের কোন US ডিগ্রী থাকতে পারবে না। এমনকি তৃতীয় কোন দেশ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী থাকলে তিনি এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য বিবেচিত হবেন না।

৩। কমপক্ষে দুই বছরের প্রফেশনাল জব এক্সপেরিয়েন্স থাকতে হবে।

৪। স্কলারশিপে আবেদন করতে কমপক্ষে TOEFL iBT স্কোর ৮০ বা IELTS স্কোর ৭.০ থাকতে হবে।

৫। ফুল ব্রাইটের জন্য আপনাকে বাংলাদেশী, ইংরেজীতে দক্ষ ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে।

৬। আবেদনের সময়ে বাংলাদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে।

ফুলব্রাইট স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য আপনার বয়স হতে হবে ২৪ থেকে ৩০ বছর।

আবেদনের সময়সীমা

সাধারণত এপ্রিল-মে-জুন মাসে এই প্রোগ্রামের জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হয়। ফুলব্রাইট ফরেন স্টুডেন্ট প্রোগ্রামসংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য ঢাকার আমেরিকান সেন্টারে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

Fullbright Scholar
Image Source: Internet

যেসকল দেশের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য

বাংলাদেশ সহ আরোও ১৬০ টি দেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থী ফুলব্রাইট স্কলারশিপ পেয়ে থাকে।

আবেদন প্রক্রিয়া

অনলাইনের মাধ্যমে আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস ও ট্রান্সক্রিপ্ট স্ক্যান করে আপলোড করে আবেদন করতে হবে। সাধারণত এপ্রিল – মে মাসে আবেদন কার্যক্রম শুরু করতে হয়। তাই, এই সময়টা একটু ওয়েব সাইটে ঘুরে ঘুরে দেখতে হবে। আর সকল সময়ই আবেদন হাতে সময় রেখে করা উচিত।

নিচে উল্লিখিত লিংক থেকে অনলাইন আবেদন ফরম সংগ্রহ ও তা পূরণের বিস্তারিত নির্দেশাবলি পাওয়া যাবে। সম্ভাবনাময়ী প্রার্থীদের আবেদনপত্র পূরণের আগে আবেদনপত্র পূরণের নির্দেশাবলি ভালোভাবে পড়ে বুঝে নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। https://bd.usembassy.gov/education-culture/student-exchange-programs/ প্রার্থীরা সরাসরি এই ওয়েবসাইট থেকেও অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন https://iie.embark.com/ apply/ffsp

ফুলব্রাইট স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য আপনাকে জমা দিতে হবেঃ

১। সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশীট

২। রিকমেন্ডেশন লেটার (৩ টি)

৩। একাডেমিক রিপোর্ট ফর্ম (ওয়েব সাইটে পাওয়া যাবে)

৪। সিগনেচার ফর্ম (ওয়েব সাইটে পাওয়া যাবে)

৫। IELTS/ TOEFL স্কোর

৬। GRE/ GMAT স্কোর (এই কম্পিটিটিভ টেস্টের রেজাল্টও জমা দিতে হবে। এই স্কোর আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রয়োজন। আর ভালো GRE/GMAT স্কোর থাকলে আপনি স্কলারশিপ পাওয়ার দৌড়েও এগিয়ে থাকবেন)

আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুনঃ https://foreign.fulbrightonline.org

আবেদন করতে ভিজিট করুনঃ  https://apply.iie.org/ffsp2021

আর আবেদনের বিষয়ে বা কোন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে বাংলাদেশে অবস্থিত আমেরিকা সেন্টারের রেহানা সুলতানা’র সাথে মেইলে যোগাযোগ করতে পারেন, তার মেইল এড্রেসঃ
[email protected]

ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ প্রোগ্রাম অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সম্মানজনক স্কলারশিপ। বেশ প্রতিযোগিতা পেড়িয়ে আপনাকে ছিনিয়ে নিতে হবে এই সম্মানজনক স্কলারশিপ প্রোগ্রাম। তাই, নিজেকে তৈরী করুন আর সব কিছু গুছিয়ে আবেদন করুন ফুল ব্রাইট স্কলারশিপের জন্য।

তথ্যসুত্রঃ

November 22, 2022

পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী, অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ আমেরিকা। বলা যেতে পারে, সব সম্ভবের দেশ হল আমেরিকা। আর রিসার্চ, পড়াশুনা, জ্ঞানচর্চার আর এরপর ভালো সুযোগ ও বেতনের চাকুরির জন্য সবচেয়ে ভালো ডেস্টিনেশন এখন আমেরিকা। আর বিশ্বের সকল দেশের একগুচ্ছ ভালো শিক্ষার্থী প্রতি বছর জড়ো হচ্ছে এই United Stated of America-এ আর গড়ে তুলছে নিজেরদের ভবিষ্যৎ। অন্যভাবে দেখলে বলা যায়, বিশ্বে পরিশ্রমী ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আমেরিকা তৈরী করেছে অপার সুযোগ ও নিশ্চিত ভবিষ্যৎ- আর এই শক্তিশালী মেধাবীরাই গড়ে তুলেছে উন্নত আমেরিকা। বিশ্বের সব দেশের সব ভাষার শিক্ষার্থীদের আমেরিকা নিয়ে উৎসাহের কমতি নেই- আর সেই উৎসাহের ও উদ্দীপনার কথা মাথায় রেখে আজ আমরা আপনাদের তুলে ধরছি আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার বিষয়ে।

কেন আমেরিকায় পড়তে যাবেন?

জ্ঞান-বিজ্ঞানের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, আগে প্রাচ্য ছিল জ্ঞানের আধার। চীন, ভারতীয় উপমহাদেশে মানুষ আসত জ্ঞান লাভের জন্য। কালের পরিক্রমায় আজ পাশ্চাত্যের আমেরিকা হয়েছে জ্ঞান ও বিজ্ঞানের আখড়া। শুধু আপনি জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা করে আনন্দিত হবেন আমেরিকায় তাই নয়- পরবর্তীতে ভালো চাকুরী প্রাপ্তির সম্ভবনা ও সুযোগ সবটাই আছে এই দেশে। সাধারণ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা বাৎসরিক ৫০-৬০ হাজার ডলার রেমুনারেশন পেয়ে থাকে। আর ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা এই দেশে আরো কিঞ্চিৎ বেশি। অনেক ক্ষেত্রে আপনার বাৎসরিক বেতন আরো বেশি হতে পারে। বুঝতেই পারছেন- এই দেশে টেকনিক্যাল বিষয়ে চাকুরীর সুযোগ অনেক অনেক বেশি ও সম্ভবনাময়।

Statue of Liberty
Image Source: pixabay.com

আমেরিকা ৫০ টি স্টেটস বা অঙ্গরাজ্য নিয়ে গঠিত যার আয়তন ৯৮,৩৩,৫২০ বর্গকিলোমিটার আর জনসংখ্যা ৩২৮ মিলিয়ন। এই দেশের রাজধানী ওয়াশিংটন ডি,সি আর সবচেয়ে বড় শহর নিউ ইয়র্ক। অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ এই দেশের জিডিপি ২২.৩ ট্রিলিয়ন। আর আবহাওয়া এই দেশের অঞ্চলভেদে পরিবর্তন করে আর এই দেশের মধ্যেই আছে ৯টি স্টান্ডার্ড টাইম জোন। তাহলে বুঝতেই পারছেন, এই দেশ কতটা বড় আর কতটা বৈচিত্র্যময়।

আমেরিকায় পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

আপনি যদি অনার্স বা ব্যাচেলর পড়তে যেতে চান, তাহলে SAT বা ACT পরীক্ষায় বসতে হবে। এরপর আপনার পছন্দের কলেজ কিম্বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফর্ম ফিলাপ করে আবেদন করতে হবে। ব্যাচেলরে বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজগুলো মূলত তাদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে- কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে ভর্তি করে না। আর ব্যাচেলর কোর্সে প্রথম দুই বছর সব ডিসিপ্লিনে একই বিষয় পড়ানো হয়। তাই, কোন নির্দিষ্ট বিষয় না সিলেক্ট করেই আপনি প্রথম দুই বছর পার করে দিতে পারেন। পরবর্তীতে আপনি আপনার যোগ্যতা ও মেধা অনুযায়ী, আপনার কোর্স বেছে নিতে পারবেন।  আর মাস্টার্স করতে গেলে আপনাকে GRE/ GMAT স্কোর প্রয়োজন পরবে। মাস্টার্সে গেলে আপনাকে আপনার ব্যাচেলরের ডিগ্রীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যে কোন বিষয় নির্বাচন করে নিতে হবে। মাস্টার্সে দুইটি ক্যাটেগরী থাকেঃ কোর্স বেজড ও থিসিস বেজড।

আমেরিকায় পড়তে যাবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নূন্যতম রিকোয়ারমেন্ট থাকে GRE/GMAT আর  IELTS/TOEFL। অর্থাৎ, বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার জন্য এই যোগ্যতা থাকতে হবে- মূলত এই স্কোর আপনার ভর্তি নিশ্চিত করে না। যদিও ভালো GRE/ GMAT স্কোর ভর্তির দৌড়ে আপনাকে এগিয়ে রাখবে। আমেরিকায় বিভিন্ন রেঞ্জের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে- আপনি আপনার সুবিধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী অনেক বিশ্ববিদ্যালয় পেয়ে যাবেন।

কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

আমেরিকায় আপনি পড়তে পাড়বেন যেকোন বিষয়। বিজ্ঞানের যে কোন শাখায়, ইঞ্জিনিয়ারিং-এর যেকোন অঙ্গনে, বিজনেস স্কুলের যেকোন অলি-গলি কিম্বা মেডিকেল টেকনোলজী বা সাইন্স সব বিষয়েই পড়তে পারবেন। তবে আমেরিকায় কেমিস্ট্রি, ফিজিক্স, ম্যাথ, বায়োলোজী, বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন, আইন, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বা মূলত গবেষণামুলক বিষয়ে পড়তে বেশি উৎসাহিত করা হয়। প্রযুক্তিবিদ্যা ও এপ্লাইড সায়েন্সর কদর এই মুলুকে একটু বেশি।

কোন ইউনিভার্সিটি বেছে নেবেন? কেন বেছে নেবেন?এ ব্যাপারে কখন কিভাবে আগাবেন? ব্যাপারগুলো খুব কনফিউজিং বলে মনে হতে পারে। কিন্তু একটু পরিচিত হয়ে গেলে সেটা সহজ হয়ে আসবে আপনার জন্য।

Harvard University USA
Image Source: Internet

কোন ইউনিভার্সিটি সেরা এটা একটা খুব সাধারন জিজ্ঞাসা। আর এই জিজ্ঞাসাকে সামনে রেখে ইউএসনিউজ প্রতিবছর একটা র‍্যাঙ্ক লিস্ট (https://www.usnews.com/best-graduate-schools) প্রকাশ করে। এই র‍্যাঙ্ক লিস্টকে মোটামুটি সবাই বেশ ভাল বলেই মেনে নেয়। এই র‌্যাঙ্কিং করার সময় ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকের কোয়ালিটি, তাদের মোট প্রকাশ করা পেপার, সেই পেপারগুলোর মান, ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রদের দেয়া আর্থিক সাহায্য এই সবকিছুকে বিবেচনা করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটিতে পার্কিং সুবিধার মত অদরকারী বিষয়গুলোও বিবেচনা করা হয়, সেজন্য অনেকে এই র‌্যাঙ্কিং প্রথার বিরুদ্ধে মতামত দিয়ে থাকেন। এই র‍্যাঙ্ক লিস্টটা দেখতে হলে পয়সা দিতে হয়। তাই কেবল উপরের দিকের কয়েকটা ইউনিভার্সিটির নাম দেখা ছাড়া আর কিছুই করা যায় না এ দিয়ে।

 

আমেরিকায় বিশ্বমানের অনেক অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এই দেশে গড়ে উঠেছে বিশ্বের নামী দামী বিশ্ববিদ্যালয়। আপনি আপনার যোগ্যতা ও মেধা দিয়ে নিজের আসন জোগাড় করে নিতে পারবেন এইসব বিশ্ববিদ্যালয়ে। নিচে আমেরিকার কয়েকটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম তুলে ধরা হলঃ

১। Massachusetts Institute of Technology

২। Stanford University

৩। Harvard University

৪। California Institute of Technology

৫। University of Chicago

ফান্ড বা স্কলারশিপ এর সুযোগ

ফান্ড বা স্কলারশিপ পেতে গেলে আপনাকে থিসিস বেজড মাস্টার্স নির্বাচন করে প্রফেসর খুঁজে নিয়ে তার আন্ডারে রিসার্চ করার জন্য যেতে হবে।  আপনাকে প্রফেসরদের খুঁজে তাদের রিসার্চ এরিয়া-ভিত্তিক নিজের পোর্ট-ফোলিও সাজিয়ে তাকে মেইল করতে হবে এবং তাকে কনভিন্স করতে হবে। প্রফেসররা সাধারণত স্কাইপি, অথবা অন্য মিডিয়ামে আপনার ইন্টারভিউ নিয়ে থাকে। আমেরিকায় প্রফেসররা অনেক ক্ষমতার অধিকারী। তারা চাইলে আপনাকে ডিরেক্ট এডমিশন দিতে পারেন। প্রফেসর আপনাকে রিকমেন্ডেশন করলে, বিশ্ববিদ্যালয় অথরিটি আপনাকে ভর্তির বিষয়ে অনেক সহায়তা করে থাকে আর স্কলারশিপ পেতে আর কোন বাধা থাকে না। অনেক সময় প্রফেসর তার কাছে বরাদ্দ রিসার্চ ফান্ড থেকে আপনাকে RA (Research Assistant) পোস্ট অফার করে থাকে অথবা আপনাকে TA (Teacher’s Assistant) অফার করে কোর্স ফি দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। অন্যদিকে পিএইচডি মাত্রই রিসার্চ বেজড। তাই রিসার্চ করার মন ও মানসিকতা নিয়েই আপনাকে পিএইচডি-তে এপ্লাই করতে হবে।

ভাষাগত দক্ষতা

ভাষাগত দক্ষতার জন্য আপনাকে বসতে হবে TOEFL অথবা IELTS পরীক্ষায়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রিকোয়ারমেন্ট ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই আপনি আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চান, সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তির জন্য কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন পরবে দেখে নিন। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভর্তির জন্য TOEFL/ IELTS চায় না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় না চাইলেও এই পরীক্ষা দিয়ে রাখা ভালো- তাহলে ভিসা প্রাপ্তিতে সুবিধা হবে।

Image Source: Internet

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

আমেরিকায় ভর্তির জন্য প্রথমেই আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং আবেদন ফি জমা দিতে হবে। আবেদন ফি জমা না দেওয়া পর্যন্ত আবেদন প্রসেস শুরু হবে না। আমেরিকায় আপনি ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডি সকল ধরণের প্রোগ্রামে যাবার সুযোগ আছে।

আমেরিকায় বছরে তিনটি সেমিস্টার থাকে, যথাঃ Spring সেমিস্টার, Summer সেমিস্টার ও Fall সেমিস্টার। Spring সেমিস্টার জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত আর Summer সেমিস্টার মে থেকে জুলাই পর্যন্ত হয়ে থাকে। মূলত Fall Semester এ International Student ভর্তি কয়া হয়ে থাকে এবং এই সময়েই বেশি স্কলারশিপ অফার করা হয়ে থাকে। Fall Semester এর ব্যাপ্তি আগস্ট থেকে ডিসেম্বর। মনে রাখবেন প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়সীমা আলাদা। তাই আবেদনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে দেখে নেওয়া উচিত আর কোন বিভ্রান্তি থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন আফিসে যোগাযোগ করা উচিত।

নিচে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিয়া দেওয়া হলঃ

১। সকল একাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট [অবশ্যই ইংরেজীতে হতে হবে]

২। রিকমেন্ডেশন বা রেফারেন্স লেটার- এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনার সম্পর্কে ভালো কমেন্ট থাকতে হবে।

৩। Statement of Purpose (SOP)

৪। পাসপোর্টের কপি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি

৫। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র

৬। TOEFL/IELTS এবং GRE/GMAT [For Post-Grad] বা SAT/ACT [For Under graduation]

আমেরিকার অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য রিকোমেন্ডেশন লেটার প্রয়োজন পরে- তাই আপনার সমন্ধে যিনি পজিটিভ লিখবেন সেরকম কোন স্বনামধন্য প্রফেসরের কাছ থেকে রিকোমেন্ডেশন লেটার নেওয়ার চেষ্টা করুন। রিকোমেন্ডেশন লেটার আপনার ভর্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অপর যে ডকুমেন্টসটি আপনার প্রয়োজন পরবে সেটা হল স্টেটমেন্ট অব পারপাস। তাই অত্যন্ত যত্নশীল হয়ে স্টেটমেন্ট অব পারপাস লেখার চেষ্টা করুন।এ ব্যাপারে জানতে  http://www.statementofpurpose.com/ ।

এই সমস্ত জিনিস ছাড়াও অনেক ইউনিভার্সিটি স্পেশাল জিনিস পত্র চাইতে পারে। যেমন অনেকের আপনার ইউনিভার্সিটির নম্বরের আর্ন্তজাতিক ইক্যুইভ্যালেন্ট নম্বর চাইতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাকে ডব্লিউ.ই.এস. (http://www.wes.org/) বলে একটি সার্ভিসের শরনাপন্ন হতে হবে। তাদের কাছে আপনার রেজালটের এক কপি পাঠালে তারা আপনার ইউনিভার্সিটির কাছ থেকে আরো এক কপি চাইবে। এই দুই কপিকে যাচাই করে ইউএস ইকুইভ্যালেন্ট নাম্বার পাঠাবে আপনার পছন্দের ইউনিভার্সিটিতে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৬ থেকে ৮ মাসের মত সময় নেয় ভর্তি বিষয়ক তাদের ফলাফল জানানোর জন্য। তাই হাতে কমপক্ষে ১ বছর সময় নিয়ে আবেদন করুন।

সাহায্য নিতে পারেন নিম্মোক্ত ওয়েবসাইট সমুহের –

১। https://educationusa.state.gov/

২। https://www.commonapp.org/

Students- USA
Image Source: Internet

পড়াশোনার খরচ ( টিউশন ফি) ও স্কলারশিপ

আমেরিকায় ব্যাচেলর প্রোগ্রামে আপনার সব মিলিয়ে খরচ হবে ১৫ – ২০ লাখ টাকা। আর মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য প্রতি টার্মে ৩০,০০০ থেকে ৭০,০০০ টাকা খরচ হবে।

আমেরিকায় ব্যাচেলর লেভেলে স্কলারশিপের সুযোগ ক্ষীণ। কিন্তু মাস্টার্স প্রোগ্রামে স্কলারশিপের সু্যোগ তুলনামূলক বেশি। আমেরিকায় ন্যাশনাল স্কলারশিপ প্রোগ্রামের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও স্কলারশিপ পাওয়া যায়।

ভিসার জন্য আবেদন

আমেরিকার এম্বেসী বাংলাদেশে আছে তাই আপনি ঢাকাস্থ আমেরিকান এম্বেসী থেকে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত অফার লেটার ও প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সমেত আবেদন করতে হবে ভিসার জন্য।

নিচে কাগজপত্রের জন্য প্রয়োজনীয় তালিকা দেওয়া হলঃ

১। পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম

২। পাসপোর্ট ও  ফটোগ্রাফ

৩। CV, Statement of Purpose (SOP)  ও রেফারেন্স

৪।সকল মার্কশিট ও সনদ, IELTS-GRE সনদ

৫। No Objection  Certificate [শেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে]

৬।  অফার লেটার

৭। ব্যাংক সলভেন্সি পেপ্যার

৮। ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট

৯। পুলিশ ক্লিয়ারান্স

১১। হেলথ ইন্স্যুরেন্স ও মেডিক্যাল রিপোর্ট

সব কিছু ঠিকমত রুল অনুযায়ী জমা দিতে হবে। ছোট খাট ভুলের জন্যই ভিসা রিজেক্ট হয়।

Hollywood Sign - USA
Image Source: pexels.com

আমেরিকায় আবাসন ব্যবস্থা ও জীবন-যাপন খরচ

আমেরিকায় যাবার আগেই আপনাকে করতে হবে সেইদেশে থাকার ব্যবস্থা। সাধারণত প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব হোস্টেল ব্যবস্থা। কিন্তু এইসব হোস্টেল তুলনামূলক ব্যয়বহুল। তাই আপনি চাইলে যাতায়াত ব্যবস্থা, দূরত্ব ও অন্যান্য হিসেব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আসে-পাশে আপনার স্বাচ্ছন্দ্য অনুযায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারেন। এজন্য আপনি পাবেন মোড়েল। শেয়ারড ফ্ল্যাট, পেইং গেস্ট সুবিধাসহ অনেক ব্যবস্থা।

পার্ট টাইম জব ও স্থায়ী বসবাসের সুযোগ

আমেরিকায় পার্ট টাইম জবের সুযোগ রয়েছে সপ্তাহে ২০ ঘন্টা। ব্যাচেলর স্টুডেন্টদের প্রথম ১ বছর জব করার সুযোগ থাকে না। ইউনিভার্সিটিতে ঘন্টা ভিত্তিক কাজ খুব সুলভ না হলেও মোটামুটি পেতে খুব সমস্যা হয় না। ব্যাচেলরের স্টুডেন্টগণ চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ করতে পারেন। এসব কাজ করলে আপনি ঘন্টায় ৬-২৫ ডলার করে আয় করতে পারবেন।  সমস্যা এখানে থাকা-খাওয়ার খরচটা উঠে আসলেও টিউশনটা আপনাকেই পরিশোধ করতে হবে।

আমেরিকায় পড়াশুনার শেষে ১-৩ বছরের Work Permit পাবেন। এরপর বিভিন্ন শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আপনি নাগরিকত্ব পাবেন। আমেরিকায় নাগরিকত্ব পেতে আপনাকে সেখানে থাকতে হবে কমপক্ষে বছর দশেক।

Life in USA
Image Source: Internet

তথ্যসুত্রঃ

November 22, 2022

কানাডায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ইচ্ছুক এমন শিক্ষার্থীদের কাছে সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি বৃত্তি হচ্ছে ভেনিয়ার কানাডা গ্রাজুয়েট স্কলারশিপ। পিএইচডি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের কানাডাতে পড়ালেখা করার সুযোগ করে দিতেই কানাডার সরকার এ বৃত্তি দিয়ে থাকে। আর প্রতি বছর দেওয়া হয়ে থাকে ১৬৭টি বৃত্তি। সাধারণত পিএইচডি গবেষণার জন্য এ বৃত্তি দেয়া হয়। বৃত্তির মেয়াদ তিন বছর।

স্কলারশিপ এর নাম

ভেনিয়ার কানাডা গ্রাজুয়েট স্কলারশিপ (Vanier Canada Graduate Scholarships)

যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে

এই স্কলারশিপের আওতায় পিএইচডি প্রোগ্রাম করানো হয়। হেলথ রিসার্চ, ন্যাচারাল সাইন্স রিসার্চ, ইঞ্জিনিয়ারিং সাইন্স রিসার্চ, সোশ্যাল সাইন্স রিসার্চ ও হিউমানিটি রিসার্চ করা যাবে এই প্রোগ্রামে।

সকল বিষয় এর লিষ্ট জানতে ভিজিট করুন অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://vanier.gc.ca/en/home-accueil.html

দেশ এবং কর্তৃপক্ষ

কানাডা। কানাডিয়ান সরকার।

বৃত্তির সুযোগ সুবিধাসমূহ

এই স্কলারশিপের আওতায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বছরে ৫০,০০০ কানাডিয়ান ডলার দেওয়া হবে, ৩ বছরের জন্য।

আবেদনের যোগ্যতা

স্কলারশিপের জন্য আপনার থাকতে হবে নিম্নোক্ত যোগ্যতাঃ

১. একাডেমিক এক্সিলেন্স (৮০% মার্কস) থাকতে হবে।
২. রিসার্চ এবিলিটি (জার্নাল পাবলিকেশন) থাকতে হবে।
৩. ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফিসিয়েন্সি (স্কোর ৭.৫) থাকতে হবে।
৪. কমিউনিকেশন ও লিডারশিপ দক্ষতা থাকতে হবে।

Vanier Canada Graduate Scholarship
Image Source: Internet

আবেদনের সময়সীমা

আবেদনের সময় প্রতি বছর মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে হালনাগাদ ডেডলাইন জানতে নজর রাখতে হবে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ- https://vanier.gc.ca/en/home-accueil.html

যেসকল দেশের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য

এই স্কলারশিপটি সকলের জন্য উন্মুক্ত। বিশ্বের সকল দেশের শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আবেদন প্রক্রিয়া

প্রার্থীরা যে কানাডিয়ান ইন্সটিটিউশনে পড়তে চান, তাদের দ্বারা অবশ্যই মনোনীত হতে হবে। আপনাকে প্রথমে কানাডিয়ান কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে। কানাডার বিখ্যাত কিছু বিশ্ববিদ্যালয় -টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়, আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি।

স্কলারশিপের অফিশিয়াল লিঙ্কঃ

https://vanier.gc.ca/en/home-accueil.html

তথ্যসুত্রঃ

November 22, 2022

উচ্চশিক্ষার স্বর্গরাজ্য কানাডায় অনেকেই যাবার স্বপ্ন দেখেন,দেখেছেন হয়তবা দেখছেন। কিন্তু সঠিক দিক নির্দেশনা ও বিষয়গুলো সমন্ধে ভালোমত না জানার কারণে স্বপ্ন হয়ত রয়ে যাচ্ছে অধরা। কিন্তু আর চিন্তা নেই? আমরা প্রস্তুত আপনার স্বপ্নকে বাস্তবতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে। চলুন, শুরু করি স্বপ্নরাজ্য কানাডার দিকে পথ বাড়ানোর জন্য আমাদের আজকের আয়োজন।

কেন কানাডায় পড়তে যাবেন?

নর্থ আমেরিকার দেশ কানাডা  দ্বিতীয় পৃথিবীর সর্ববৃহৎ দেশ। এই দেশের আয়োতন ৯.৯৮ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার আর জনসংখ্যা ৩,৭৯,৭১,০২০ জন। এই দেশের অফিসিয়াল ভাষা ফ্রেঞ্চ ও ইংরেজী এবং মুদ্রা কানাডিয়ান ডলার। এই দেশের জিডিপি $১.৮১২ ট্রিলিয়ন আর পার কাপিটা জিডিপি হল ৪৯,৯৩১ ডলার। এই দেশের রাজধানী অটোয়া আর সর্ববৃহৎ শহর টরেন্টো। এই দেশ মূলত শীত প্রধান।

Niagra Waterfall Canada
Image Source: pixabay.com

কানাডায় পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

কানাডায় পরাশুনা করতে কমপক্ষে ৭০% নম্বরের প্রয়োজন পড়বে। কানাডায় ব্যাচেলর করতে আপনার HSC এ ভালো মার্ক্স ও IELTS এ ৬.০ কিন্তু কোন সাব-সেকশনে ৫.৫ এর নিচে পেলে চলবে না। আবার আপনি যদি মাস্টার্স প্রোগ্রামে যেতে চান, তাহলে ব্যাচেলরে আপনার ৭০% নম্বরের বেশি থাকতে হবে, IELTS এ থাকতে হবে ৬.৫, কিন্ত কোন সাব-সেকশনে ৬.০ এর নিচে নয়। ব্যাচেলরে অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ GRE / GMAT চাইতে পারে। কিন্তু স্কলারশিপ পেতে গেলে আপনার GRE/ GMAT থাকাটা আবশ্যকীয়। পিএইচডি প্রোগ্রামে অংশ নিতে মাস্টার্স থাকতে হবে এবং অন্যান্য যোগ্যতা মাস্টার্স করতে গেলে যেসব যোগ্যতা লাগে তার সমতুল্য।

কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

বিশ্বে অনেক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় এই কানাডায় অবস্থিত। তাইতো, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে, প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ লোক বিদ্যার্জনের আশায় পাড়ি জমায় কানাডায়। কিছু নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিচে দেওয়া হলঃ

সেরা  টি বিশ্ববিদ্যালয়

১) University of Toronto

২) Mcgill University

৩) University of British Columbia

৪) Mcmaster University

৫) University of Alberta

৬) University of Waterloo

মধ্যম সারির বিশ্ববিদ্যালয়

৭) Ottawa University

৮) University of Western Ontario

৯) York University

১০) University of Montreal

১১) Dalhousie University

১২) Carleton University

১৩) Queens University

১৪) Simon Fraser University

১৫) University of Manitoba

১৬) University of Victoria

১৭) Memorial University

১৮) University of Saskatchewan

আবেদন করার সময় অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ভালো করে দেখে নেওয়া উচিত। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ও র‍্যাঙ্কিং বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটের উপর নির্ভর করা উচিত নয়। অনেক সময় ওয়েবসাইটে কিছু Misleading তথ্য দেওয়া থাকে- যা শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে। অনেকেই প্রতারণার শিকার হয়ে অনেক টাকা খুইয়ে ফেলেন। তাই, সবসময় বিভিন্ন সোর্স থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সমন্ধে জানার চেষ্টা করা উচিত। আর গুগল সার্চতো আছেই।

এই দেশে পড়াশুনার মাধ্যম ইংরেজী ও ফ্রেঞ্চ। তবে আবেদনের সময় অবশ্যই আপনাকে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিতে হবে আপনি কোন মাধ্যমে পড়তে চান।

University in Canada
Image Source: Internet

কানাডায় আপনি আপনার পছন্দের সকল কোর্সই পেয়ে যাবেন। কম্পিউটার সায়েন্স, বায়োলজি, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ফুড সায়েন্স, কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড রিসোর্সেস, ইলেকট্রনিক্স, মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড সার্ভিসেস, মেরিন অ্যাফেয়ার্স, এগ্রিকালচার, ইকোনোমিক্স, অ্যাপ্লায়েড কম্পিউটার সায়েন্স, ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট, অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাসট্রোনমি, অ্যাপ্লায়েড জিওগ্রাফি, আর্কিটেকচারাল সায়েন্স, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল হেলথ, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, এডুকেশন, হোম ইকোনোমিক্স, মিউজিক, ফিলোসফি, হিস্ট্রি অ্যান্ড রিলিজিওন, ইংলিশ, ল, থিয়েটারসহ আন্ডার র্গ্যাজুয়েট পর্যায়ে প্রায় দশ হাজার বিষয় এবং পোস্ট র্গ্যাজুয়েট পর্যায়ে প্রায় তিন হাজার বিষয় পড়তে পারবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

কানাডায় ভর্তির জন্য প্রথমেই আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং আবেদন ফি জমা দিতে হবে। আবেদন ফি জমা না দেওয়া পর্যন্ত আবেদন প্রসেস শুরু হবে না। কান্ডায় আপনি ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডি সকল ধরণের প্রোগ্রামে যাবার সুযোগ আছে। কানাডায় মাস্টার্স কোর্স দুই ধরণেরঃ কোর্স-বেজড ও থিসিস-বেজড। কোর্স বেজড মাস্টার্স প্রোগ্রামে সাধারণত স্কলারশিপ পাওয়া যায় না। তবে থিসিস-বেজড মাস্টার্স প্রোগ্রামে গেলে আপনার ফান্ড বা স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ আছে। থিসিস-বেজড মাস্টার্স প্রোগ্রামে গেলে অবশ্যই প্রফেসরের সাথে যোগাযোগ করে কথা বলে নিতে হবে। এই প্রফেসর খোঁজা বেশ জটিল ও কষ্টসাধ্য প্রক্রিয়া। কারণ আপনাকে প্রফেসরদের খুঁজে তাদের রিসার্চ এরিয়া-ভিত্তিক নিজের পোর্ট-ফোলিও সাজিয়ে তাকে ইমেইল করতে হবে এবং তাকে কনভিন্স করতে হবে। প্রফেসররা সাধারণত স্কাইপি, অথবা অন্য মিডিয়ামে আপনার ইন্টারভিউ নিয়ে থাকে। কানাডায় প্রফেসর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি আপনাকে রিকমেন্ডেশন করলে, বিশ্ববিদ্যালয় অথরিটি আপনাকে ভর্তির বিষয়ে অনেক সহায়তা করে থাকে আর স্কলারশিপ পেতে আর কোন বাধা থাকে না। অনেক সময় প্রফেসর তার কাছে বরাদ্দ রিসার্চ ফান্ড থেকে আপনাকে RA (Research Assistant) পোস্ট অফার করে থাকে অথবা আপনাকে TA (Teacher’s Assistant) অফার করে কোর্স ফি দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।

কানাডায় বছরে তিনটি সেমিস্টার থাকে, যথাঃ Winter সেমিস্টার, Summer সেমিস্টার ও Fall সেমিস্টার। Winter সেমিস্টার জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত আর Summer সেমিস্টার মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত হয়ে থাকে। মূলত Fall Semester এ International Student ভর্তি কয়া হয়ে থাকে এবং এই সময়েই বেশি স্কলারশিপ অফার করা হয়ে থাকে। Fall Semester এর ব্যাপ্তি সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর- আর ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয় মার্চ-এপ্রিল থেকে আর ডেডলাইন থাকে জুন মাসে। মনে রাখবেন প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়সীমা আলাদা। তাই আবেদনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে দেখে নেওয়া উচিত আর কোন বিভ্রান্তি থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন আফিসে যোগাযোগ করা উচিত।

নিচে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিয়া দেওয়া হলঃ

১। সকলএকাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট

২। CV, মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার

৩। Statement of Purpose (SOP)

৪। পাসপোর্টের কপি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি

৫। রেফারেন্স লেটার- এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনার সম্পর্কে ভালো রিমার্ক্স থাকতে হবে।

৬। IELTS এবং প্রয়োজনে GRE/GMAT

৭। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র

সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে আপনার ভর্তি কার্যক্রম নিশ্চিত করে। তাই হাতে ১ বছর সময় নিয়ে আবেদন করা উচিত। মনে রাখবেন, আপনার পড়াশুনার মাঝে গ্যাপ ২ বছরের বেশি হলে আপনি বিপদে পড়তে পারেন। তাই এই বিষয়ে সতর্ক থাকুন।

Niagra Waterfall Canada
Image Source: Internet

পড়াশোনার খরচ ( টিউশন ফি) ও স্কলারশিপ

কানাডায় ব্যাচেলর প্রোগ্রামে আপনার খরচ হবে প্রতি বছর ১৪,০০০ থেকে ২৭,০০০ কানাডিয়ান ডলার। মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য প্রতি বছর ১৬,০০০ থেকে ২০,০০০ কানাডিয়ান ডলার খরচ হবে।

কানাডায় ব্যাচেলর লেভেলে স্কলারশিপের সুযোগ ক্ষীণ। কিন্তু মাস্টার্স প্রোগ্রামে স্কলারশিপের সু্যোগ তুলনামূলক বেশি। কানাডায় ন্যাশনাল স্কলারশিপ প্রোগ্রামের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও স্কলারশিপ পাওয়া যায়।

ভেনিয়ার কানাডা গ্রাজুয়েট স্কলারশিপ: কানাডায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ইচ্ছুক এমন শিক্ষার্থীদের কাছে সর্বাধিক জনপ্রিয় বৃত্তি এটি। কানাডার সরকার এই বৃত্তি দিয়ে থাকে।বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে বছরে ৫০ হাজার কানাডীয় ডলার দেওয়া হয়। মেয়াদ তিন বছর।

আইডিআরসি ডক্টরাল রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড: এই বৃত্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পায়। প্রতিবছরই এই বৃত্তি প্রদান করা হয়।

আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ

কানাডায় পড়ালেখার জন্য শক্ত পৃষ্ঠপোষক দেখাতে হয়। শিক্ষার্থীকে তাঁর পৃষ্ঠপোষকের ন্যূনতম ৩০ লাখ টাকা ব্যাংক হিসাব দেখাতে হবে এবং এই টাকা ন্যূনতম ৬ মাস থেকে এক বছর ব্যাংকে থাকতে হবে।

যদি স্পন্সর (মা অথবা বাবা) থাকে, তাহলে তার ট্যাক্সের কাগজ-পত্র ও ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে।

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

ভিসা পেতে আপনাকে দ্বারস্থ হতে হবে ঢাকায় অবস্থিত কানাডিয়ান এম্বেসী-এর। আপনার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত অফার লেটার ও প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সমেত আবেদন করতে হবে ভিসার জন্য।

নিচে কাগজপত্রের জন্য প্রয়োজনীয় তালিকা দেওয়া হলঃ

১। পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম

২। পাসপোর্ট ও  ফটোগ্রাফ

৩। CV, Statement of Purpose (SOP)  ও রেফারেন্স

৪।সকল মার্কশিট ও সনদ, IELTS-GRE সনদ

৫। No Objection  Certificate [শেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে]

৬।  অফার লেটার

৭। ব্যাংক সলভেন্সি পেপ্যার

৮। ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট

৯। পুলিশ ক্লিয়ারান্স

১১। হেলথ ইন্স্যুরেন্স ও মেডিক্যাল রিপোর্ট

সব কিছু ঠিকমত রুল অনুযায়ী জমা দিতে হবে। ছোট খাট ভুলের জন্যই ভিসা রিজেক্ট হয়।

University in Canada
Image Source: Internet

কানাডিয়ান হাই কমিশনের ঠিকানা:

High Commission of Canada

United Nations Road, Baridhara, Dhaka-1212, Bangladesh

Telephone: +880 2 988 7091 to 988 7097

Fax: +880 2 882 3043  +880 2 882 6585

Email: [email protected] | www.vfs-canada.com.bd

ইমিগ্রেশন এ্যাণ্ড সেটেলমেন্ট টিমের ভলান্টিয়ারগণ বিনামূল্যে তাদের ওয়েবসাইট এবং ফোরামের মাধ্যমে কানাডার স্টুডেন্ট ভিসা এবং ইমিগ্রেশনের সহযোগিতা দিয়ে আসছেন। আপনিও চাইলে তাদের ওয়েবসাইট এবং ফোরাম থেকে ঘুরে আসতে পারেন:

ওয়েবসাইট:  http://immigrationandsettlement.org/Home/Index

ফোরাম: http://forum.immigrationandsettlement.org/

কানাডায় আবাসন ব্যবস্থা ও জীবন-যাপন খরচ

কানাডায় ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের ৬ মাস হোস্টেলে থাকা বাধ্যতামূলক। এখানে থাকা বাবদ প্রতি ৪ মাসের জন্য দিতে হয় ৪,০০০ থেকে ৭,০০০ কানাডিয়ান ডলার। কিন্তু বাইরে আপনি খুব কম খরচে রুম পেয়ে যাবেন। বাইরে থাকা- খাওয়া আপনি প্রতি মাসে ৬০০ – ৮০০ কানাডিয়ান ডলারে মিটিয়ে ফেলতে পারবেন। তবে এই খরচ নির্ভর করবে আপনি কোন শহরে আছেন আর কিভাবে জীবন যাপন করছেন।

পার্ট টাইম জব এর সুযোগ

কানাডায় পার্ট টাইম জবের সুযোগ রয়েছে সপ্তাহে ২০ ঘন্টা। ব্যাচেলর স্টুডেন্টদের প্রথম ১ বছর জব করার সুযোগ থাকে। না তবে ব্যাচেলরের স্টুডেন্টগণ চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে TA, RA, Office Assistance- হিসেবে জব করতে পারে। কিন্তু মূলত এই জবগুলো মাস্টার্স বা পিএইচডি-এর শিক্ষার্থীদের অফার করা হয়।

এ ছাড়াও অফ ক্যাম্পাস ওয়ার্ক পারমিট-এর সুবিধা আছে। এই সুবিধা পেতে অবশ্য প্রায় এক বছর অপেক্ষা করতে হবে। ৬ মাস ফুল টাইম পড়া শুনার পরে আপনি এপ্লাই করতে পারবেন, কিন্তু কাগজ যোগাড় করতে সময় লাগায় মোট ৭-৮ মাস লেগে যায়। সম্প্রতি বাংলাদেশ-কে সন্দেহজনক দেশ-এর তালিকায় যুক্ত করায় প্রসেসিং সময় ১৫ দিনের বদলে কমপক্ষে ৩ মাস লাগে। সব মিলিয়ে প্রায় এক বছর অপেক্ষা করতে হবে কাজ করার পারমিশন এর জন্য।এর আগে ক্যাম্পাসের বাইরে কাজ করা অবৈধ। তার আগে এবং পরে অন ক্যাম্পাসে ২০ ঘন্টা কাজ করতে পারেন যা পাওয়ার সম্ভাবনা শুরুর দিকে খুবই ক্ষীণ। অফ/অন ক্যাম্পাস কাজ করে থাকা খাওয়ার খরচ তোলা সম্ভব হলেও টিউশন ফী দেওয়া সম্ভব না।

Students in Canada
Image Source: pixabay.com

স্থায়ী বসবাসের সুযোগ

পড়াশুনা শেষ করে শিক্ষার্থীরা ১-৩ বছরের ওয়ার্কপারমিট পান এবং পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্যে আবেদন করতে পারেন। কানাডার প্রভিন্সগুলোর মধ্যে সাসকাচুয়ান, ম্যানিটোবা, নিউ ফাউণ্ডল্যান্ড এ্যাণ্ড ল্যাব্রাডরে শিক্ষার্থীদের স্থায়ীভাবে আবাসনের সুযোগ রয়েছে। একইসঙ্গে অন্টারিও প্রভিন্সের মাস্টার্স প্রোগ্রাম কমপ্লিট করার পরেও একজন শিক্ষার্থী স্থায়ীভাবে থেকে যাবার জন্যে আবেদন করতে পারেন। সম্প্রতি রুরাল এ্যাণ্ড নর্দার্ন পাইলট প্রোগ্রামটিও শিক্ষার্থীদেরকে আশার আলো দেখাচ্ছে।

কিছু প্রয়োজনীয় সাইট-এর এড্রেস

১। http://www.ouac.on.ca – এটি অন্টারিওর বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তির অনলাইন সাইট। এটার মাধ্যমে এপ্লাই করতে পারেন অথবা সরাসরি এপ্লাই করতে পারেন। এটা নির্ভরযোগ্য। খরচ একটু বেশী- কিন্তু টাকা কোথায় ঢাললেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবেনা এবং অনলাইনে আপনার ভর্তির স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। এপ্লাই করার পর এই সাইট নিয়মিত চেক করা উচিত। গুরুত্বপূর্ণ: সঠিক ফরম পূরণ করবেন।

২। http://www.aucc.ca/index_e.html – কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাইট। এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন। কিন্তু সব সঠিক নয় (কিছুটা এদিক সেদিক)।

৩। http://oraweb.aucc.ca/dcu_e.html – প্রোগ্রাম অনুসারে সার্চ করে, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর একটি লিস্ট বানাতে পারেন।

৪। http://cic.gc.ca/english/study/index.asp  – সরকারী সাইট- এখানে স্টাডি পারমিট এবোং পড়াশুনা বিষয়ক সব ধরণের ফর্ম এবং সরকারী সিদ্ধান্ত জানতে পারবেন।

৫। http://www.studyincanada.com/english/index.asp – আরেকটি উপকারী সাইট।

Life in Australia
Image Source: pexels.com

অপার সম্ভবনার দেশ কানাডা। আপনার নিজের সম্ভবনা তৈরীর জন্য কানাডায় পাড়ি জমাতে পারেন। শুভ কামনা রইলো আমাদের পক্ষ থেকে।

তথ্যসুত্রঃ

November 22, 2022

Donde fueres, haz lo que vieres” – এটি একটি স্প্যানিশ প্রবাদ যাকে ইংরেজীতে বলা যেতে পারেঃ Wherever you go, do whatever you see আর সোজা বাংলায়, যেমন দেশ, তেমন বেশ আর তেমনি হওয়া উচিত কার্য-কলাপ। শুরুতেই আপনাদের স্পানিশ জ্ঞান সাগরের তীরে নিয়ে ফেললাম। অন্যভাবে, স্পানিশ ফুটবল, খাবার অথবা স্পানিশ মুভি পৃথিবীয় অন্যতম ক্লাসিক ব্যাপারের একটি যেন। এতো স্পানিশ চর্চা করছি, নিশ্চই বুঝতে পারছেন- আজ আপনাদের সাথে আলোচনায় বসবো স্পেনের উচ্চশিক্ষা নিয়ে। আর দেরী না করে শুরু করে দেই- স্পেনে উচ্চশিক্ষাঃ নিজেই করুন নইজের আবেদন।

কেন স্পেনে পড়তে যাবেন?

পড়াশুনার জন্য যদি যেতে চান ইউরোপ, আর গন্তব্য যদি হয় স্পেন- তাহলে মনে রাখবেন, স্পেন আপনাকে বিশাল হৃদয় নিয়ে অভ্যর্থনা জানাবে। পড়াশুনার পরিবেশ, চর্চার জায়গা ও বিকাশ ও সার্বক সুযোগ ও মানের বিচারে এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয় অনেক এগিয়ে আছে। শুধু কি তাই- খোদ আমেরিকা থেকেও এই দেশে পড়তে আসে অনেক শিক্ষার্থী। তাহলে, বুঝতেই পারছেন- স্পেন অনেকটাই এগিয়ে বিদ্যার্জনের পীঠস্থান হিসেবে।

Study in Spain
Image Source: pixabay.com

পশ্চিম ইউরোপের সেঞ্জেনভুক্ত দেশ স্পেনের সাংবিধানিক নাম Reino de España, ভাষা স্প্যানিস, মুদ্রা ইউরো আর রাজধানী মাদ্রিদ- এদেশের সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র। আইবেরীয় উপদ্বীপে অবস্থিত স্পেনের আয়তন ৫,০৫,৯৯০ বর্গ কিলোমিটার যা বিশ্বর ৫১তম বৃহৎ, ও লোকসংখ্যার গণনায় এই দেশে বসবাস করে ৪৭ মিলিয়ন লোক। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের মনে, পর্তুগাল বিশ্বে ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতি। ২.৬% জিডিপি প্রবৃদ্ধির এই দেশ পৃথিবীর অন্যতম উন্নত অর্থিনীতির দেশ। তাই, এই দেশ আপনাকেও এনে দিতে পারে সাফল্য।

কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

স্পেনের শিক্ষার মান বিশ্বমানের- আর এজন্যই বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থী এই দেশে পড়তে আসেন। প্রতিবছর সারাবিশ্বের হাজার হাজার শিক্ষার্থী স্পেনের মোট ৭৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে আসেন। স্পেনের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে।  স্পেনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয় স্প্যানিশ ভাষায়। কিন্তু শুধু স্প্যানিশ নয়, এদেশে ইংরেজী ভাষায়ও পাঠ দান করা হয়ে থাকে। ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি সব প্রোগ্রামই ইংরেজী ভাষায় করার সুযোগ আছে। এজন্য আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ঘেটে যেনে নিতে হবে। কিন্তু যদি আপনার জানা থাকে স্প্যানিশ ভাষা তাহলে আপনার জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বার উন্মোচন আরো সহজ হবে- সুযোগের দিগন্ত হবে অনেক সুদূর প্রসারী।

নিচে আপনাকে স্পেনের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা দেওয়া হল:

  1. Universitat de Barcelona
  2. Universidad Complutense de Madrid
  3. Universitat de València
  4. Universidad de Granada
  5. Universitat Autónoma de Barcelona
  6. Universidad Politécnica de Madrid
  7. Universidad de Sevilla
  8. Universidad de La Rioja

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাঙ্কিং ও তালিকা আরো বিস্তারিত জানতে ব্রাউজ করে দেখুন নিচের ওয়েবসাইটঃ

https://www.4icu.org/es/

স্পেনে পড়াশুনার জন্য অনেক বিষয় রয়েছে। আপনি আপনার পছন্দ ও যোগ্যতা অনুযায়ী আপনার কোর্স বেছে নিতে পারেন। অন্যতম কিছু কোর্সঃ

ফিজিকোলজি, ফিলোসফি, অডিওলজি, আরলি চাইল্ডহুড এডুকেশন, লাইব্রেরি সায়েন্স, বায়োটেকনোলজি অকুপেশনাল থেরাপি প্রোগ্রাম, ফুড সায়েন্স, স্পেশালিষ্ট টিচার এডুকেশন, ফার্মাসি, ফিশারিস, এডমিনিস্ট্রেটিভ ল, সিভিল ল, পাবলিক ল, ম্যাথমেটিক্স, ফিজিওথেরাপি, ইঞ্জিনিয়ারিং, ল, আর্ট এন্ড ডিজাইন, এগ্রিকালচারাল সায়েন্স, মেরিটাইম সায়েন্স, আর্টটেকচার, অটোলজি, সয়েল সায়েন্স,  জার্নালিজম, মেডিক্যাল সায়েন্স, বায়োলজি, ফিজিক্স, ডেনটিসট্রি, অর্থোপেডিকস, রেডিওলোজী, ন্যাচারাল সায়েন্স, সোশাল সায়েন্স, আর্কিটেকচার, আর্টস, বিজনেস স্টাডিজ, ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স, সোশাল ওয়ার্ক, নার্সিং, ভেটেরিনারি মেডিসিন ইত্যাদি বিষয়ে ব্যাচেলর্স ও মাস্টার্স কোর্সে পড়াশোনা করতে পারেন।

Study in Spain
Image Source: Internet

স্পেনে পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

স্পেনে ব্যাচেলর পড়তে গেলে আপনার ১২ বছরের শিক্ষা জীবনের অর্থাৎ HSC পাশ করে আসতে হবে, মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য ১৬ বছরের শিক্ষা জীবনের  অর্থাৎ, ব্যাচেলর ডিগ্রী থাকতে হবে এবং পিএইচডি করার জন্য থাকতে হবে মাস্টার্স ডিগ্রী। এরপর আপনার দরকার হবে ভাষাগত দক্ষতার। আপনি ইংরেজী ভাষায় কোর্স করতে চাইলে আপনাকে IELTS এ ৫.৫/৬.০ – ৭.০ স্কোর পেতে হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে এই স্কোর পরিবর্তিত হয়। আর আপনি যদি স্প্যানিশ ভাষায় কোর্স নিতে চান তাহলে আপনাকে স্প্যানিশে আপনার B1/B2 বা DELE (Diploma of Spanish as a Foreign Language) Intermediate বা DELE B1/B2 থাকতে হবে। DELE সার্টিফিকেটটি ইস্যু করে Cervantes Institute, Spain.

উল্লেখ্য যে, স্প্যানিশ ভাষায় সরাসরি ব্যাচেলর প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীকে স্প্যানিশ ভাষায় ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করতে হবে।

স্প্যানিশ ভাষা শিক্ষা

বাংলাদেশে স্প্যানিশ ভাষা শিক্ষার জন্য কিছু ইন্সিটিউট রয়েছে বিশেষ করে আধুনিক ভাষা ইন্সিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ স্প্যানিশ ডিপার্টমেন্টে জুনিয়র এবং সিনিয়র কোর্স নামে ১বছর করে স্প্যানিশ ভাষা শিক্ষা কোর্স চালু রয়েছে যা সাধারনত প্রতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে ভর্তির আবেদন গ্রহন করা হয়। তাছাড়া ঢাকার আর কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্প্যানিশ ভাষা শিক্ষাদান করা হয় যেমন ব্রাক ইউনিভার্সিটি, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি।

এখানে স্প্যানিশ ভাষা শিক্ষা সম্পর্কিত কিছু লিংক দেওয়া হল যেখানে স্প্যানিশ ভাষা শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয় সম্বন্ধে জানা যাবে।

https://iml.du.ac.bd/

https://www.facebook.com/catedra.inditex.du/

https://elebengali.wordpress.com

https://elebangla.wordpress.com

ডকুমেন্টস সত্যায়ন

স্পেনে আবেদনের জন্য আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রথমে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তারপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়ন করিয়ে নিতে হবে। এরপর, ঢাকাস্থ স্পেনের দূতাবাস থেকে সকল ডকুমেন্টস সত্যায়ন করাতে হবে। অনলাইনে আবেদনের সময় অনেক সময় হার্ডকপিও চায়। তাই এজন্য সত্যায়িত ফটোকপি আপনাকে পাঠাতে হতে পারে। আপনার ডকুমেন্টস যেন সঠিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানায় পৌছায় এজন্য হাতে সময় নিয়ে ডকুমেন্টস পাঠানো ও আবেদনের কাজ শুরু করা উচিত।

University in Spain
Image Source: Internet

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

ডিপ্লোমা, স্নাতক, স্নাতোকত্তর অথবা পিএইচডি সব ধরণের প্রোগ্রামে পড়ার সুযোগ আছে স্পেনে।

স্পেনে তিন ধাপে ছাত্র-ছাত্রী বিভিন্ন কোর্সে ভর্তির আবেদন গ্রহন করা হয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে।

১ম ধাপে স্নাতক কোর্সে ভর্তি নেওয়া হয় যা সাধারনত বছরের শুরুর(ফেব্রুয়ারী-জুন) দিকে ভর্তির আবেদন গ্রহন করা হয়।

২য় ধাপে স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তি নেওয়া হয় যা সাধারনত বছরের মাঝখানের (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) দিকে ভর্তির আবেদন গ্রহন করা হয়।

৩য় ধাপে গবেষণামূলক/PhD কোর্সে ভর্তি নেওয়া হয় যা সাধারনত এপ্রিল-অক্টোবর পর্যন্ত ভর্তির আবেদন গ্রহন করা হয়।

স্পেনে দুই ধরণের মাস্টার্স কোর্স আছেঃ একটি অফিসিয়াল মাস্টার্স, যা স্পেনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্বারা অনুমোদিত আর দ্বিতীয়টি হল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত ও অফারকৃত মাস্টার্স প্রোগ্রাম, যা তুলনামূলক ব্যয়বহুল। মাস্টার্স প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে আপনার ব্যাচেলরের মার্ক্স স্পেনের সমতুল্য স্কেলে রূপান্তর করিয়ে নিতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য যেসকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দরকার পরবে তার তালিকা নিচে দেওয়া হলঃ

১। সকলএকাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট (স্পেনের স্কেলে রূপান্তরকৃত)

২। মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার

৩। CV

৪। পাসপোর্টের কপি ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি

৫। আপ্লিকেশন ফি পরিশোধের প্রমাণ

সকল ডকুমেন্টস ঠিক ঠাক মত জমা দিতে হবে। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেইল করে জেনে নিতে হবে।

আপনার ডকুমেন্টস সব কিছু ঠিক-ঠাক থাকলে, ১-২ মাসের মধ্যে আপনাকে মেইল করে জানিয়ে দেওয়া হবে। Acceptance Letter আপনার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এরপর আবেদন কনফার্ম করার জন্য টিউশন ফি-এর পুরোটা বা আংশিক অংশ বিশ্ববিদ্যালয়রের প্রদত্ত ব্যাংক একাউন্টসে পাঠিয়ে দিতে হবে। টিউশনের ফি-এর কতটুকু অংশ জমা দিতে হবে, সেটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ভিন্ন হতে পারে। এই টিউশন ফি (আংশিক/ পূর্ণ) জমা দেওয়ার পরে, বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে Acceptance Letter -এর হার্ডকপি ও ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র পাঠাবে।

Students in Spain
Image Source: Internet

পড়াশোনার খরচ ( টিউশন ফি) ও স্কলারশিপ

স্পেনে পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। আপনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাইলে আপনার বার্ষিক ফি দিতে হবে ৬,০০-১,২৮০ ইউরো। আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হলে বার্ষিক ফি-এর পরিমাণ হবে ৫,৫০০-১৮,০০০ ইউরো পর্যন্ত।

বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স ভেদে এই টিউশন ফি-এর তারতম্য হয়ে থাকে। নন-ইউরোপীয় শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে প্রতি ক্রেডিট ৫৫-৮০ ইউরো হয়ে থাকে আর মাস্টার্স বা পিএইচডি প্রোগ্রামে এই প্রতি ক্রেডিট ফি হয়ে থাকে ২২-৩৬ ইউরো।

স্পেনের পাবলিক ও প্রাইভেট সকল বিশ্ববিদ্যালয়েই আছে বৃত্তির সুবিধা। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেই থাকে সকল স্কলারশিপের খবরা-খবর। নিচে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে স্কলারশিপের জন্য নিচের ওয়েব সাইট ঘুরে আসতে পারেনঃ

https://www.aecid.es/ES/becas-y-lectorados/convocatorias-maec-aecid

স্পেনের আবাসন ব্যবস্থা

স্পেনে আপনি কোথায় আছেন সেটার উপর নির্ভর করবে আপনাকে আবাসন বাবদ কত খরচ করতে হবে। মাদ্রিদ বা বার্সেলোনার মত শহরে থাকতে আপনাকে ৩৫০ – ৯০০ ইউরো দিতে হতে পারে শেয়ারড ফ্ল্যাটের জন্য। কিন্তু আপনি যদি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূরে স্যালামাঙ্কা, স্যান্টিয়াগো ডি কম্পোসটেলা ও গ্র্যানাডা শহরে থাকেন আপনি ৩০০ ইউরোতে আপনার ফ্ল্যাট পেয়ে যাবেন। শুধু তাই নয়, অন্যান্য খরচও এখানে কম। সমস্যা হবে আপনাকে রোজ বেশ খানিকটা রাস্তা কমিউট করে বিশ্ববিদ্যালয় পৌছাতে হবে।

আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলেও আবেদন করতে পারেন। দ্রুত আবেদন করলে আপনার হোস্টেলে থাকার সম্ভবনা বেড়ে যাবে। আপনি যেখানেই থাকেন না কেন, ভিসার জন্য আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে হাউজিং কন্ট্রাক্ট ডকুমেন্টস।

Students in Spain
Image Source: Internet

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও ডকুমেন্টস চেকলিস্ট

স্পেনের ভিসা পেতে আপনার সময় লাগবে ৩ মাসের বেশি, তাই আগে ভাগেই আপনাকে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ভিসা পাওয়ার প্রথম ধাপ হবে আপনাকে ঢাকাস্থ স্পেনের দূতাবাস থেকে ভিসা প্রাপ্তির জন্য আবেদন করতে হবে। এজন্য নিচের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এপয়েন্টমেন্ট নিনঃ

http://www.exteriores.gob.es/embajadas/dhaka/es/Paginas/inicio.aspx

আপনি সকল কাগজ নিয়ে সময়মত এম্বেসীতে উপস্থিত হয়ে ডকুমেন্টস সাবমিট করবেন। যদি সকল ডকুমেন্টস ঠিক থাকে, তাহলে ভিসা ফি ব্যাংকে জমা দিয়ে রশীদসহ সকল ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের লিস্ট নিচে দেওয়া হলঃ

১। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো Offer Letter

২। সকল সত্যায়িত ডকুমেন্টস, মার্কশিট ও সকল সনদ

৩। পাসপোর্ট ও ফটোগ্রাফ

৪। CV, মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন বা রেফারেন্স লেটার

৫। ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও আর্থিক স্বচ্ছলতার ডকুমেন্টস

৬। IELTS / DELE B1-B2 এর সনদ

৭। হাউজিং সার্টিফিকেট/ ডকুমেন্টস

১১। ফ্লাইট বুকিং টিকিট

১২।স্কলারশিপের পেপার (যদি থাকে)

Life in Spain
Image Source: pexels.com

পার্ট টাইম জব ও জীবনযাত্রার খরচ

স্পেনে একজন বিদেশী শিক্ষার্থীর সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজ করার সুযোগ থাকে। তবে, পার্ট টাইম জবের টাকায় নিজের খরচ চালানো সম্ভব হলেও টিউশ্ন ফি দেওয়া সম্ভব হবে না। স্পেনে থাকা-খাওয়া বাবদ মাসিক খরচ প্রায় ৪০০-৫০০ ইউরো, এটা নির্ভর করে শহর, ব্যক্তির লাইফ স্টাইল এর উপর।

স্পেনে স্থায়ী বসবাস এর সুযোগ

গত সেপ্টেম্বর ২০১৮ সাল থেকে স্পেনে একটি নতুন ইমিগ্রেসন আইন অনুমোদন করা হয়েছে, এই আইনের অধীনে স্পেনে উচ্চশিক্ষারত বিদেশী শিক্ষার্থীরা তাদের উচ্চশিক্ষা সমাপ্তির পর স্পেনে একটি চাকরি খোঁজার জন্য অথবা নিজস্ব ব্যবসায়িক প্রকল্প তৈরি/ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে সর্বোচ্চ ১২-মাস স্পেনে থাকার অনুমতি পাবেন।

 

এখানে ৫ বছর থাকার পর Temporary Resident Permit এর জন্য আবেদন করার সুযোগ থাকে। তবে এজন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে যেমনঃ সফলভাবে স্পেনে কোর্স শেষ করতে হবে, স্বাস্থ্যবীমা থাকতে হবে এবং চাকুরী পাওয়ার আগ-পর্যন্ত চলার মত আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণপত্র। আর টানা ১০ বছর থাকার পর, আপনি Permanent Residence এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

Life in Spain
Image Source: Internet

যাই হোক, স্বপ্নের স্পেন হোক আপনার সম্ভবনার নতুন দুয়ার। শুরু করে দিন আজই স্পেনে ভর্তির আবেদন।

তথ্যসুত্রঃ

November 22, 2022

মধ্য ইউরোপের অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি যেখানে জন্ম নিয়েছিলেন কিংবদন্তি নেতা মার্শাল টিটো সেই দেশের নাম স্লোভেনিয়া। আর এই দেশই আজ আমাদের কেন্দ্রবিন্দু। উচ্চশিক্ষার জন্য যারা ইউরোপের স্বপ্ন দেখছেন- এই লেখাটি আসলে তাদেরই জন্য। তাহলে আর দেরি কেন? শুরু করি আজকের পর্ব।

কেন স্লোভেনিয়ায় পড়তে যাবেন?

পাহাড়-নদী-হ্রদ বেষ্টিত স্লোভেনিয়ায় প্রতি বছর হাজার হাজার লোকের ঢল নামে এর অনাবিল সৌন্দর্য্য উপভোগের জন্য। এই দেশের আয়তন ৭,৮৮৭.৪ বর্গ মাইল এবং রাজধানী লুবলিয়ানা। এই শহর কার্যত স্লোভেনিয়ার সকল প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু- যদিও আয়তনের বিচারে শহরটি বেশ ছোট। এই দেশের মুদ্রার নাম ইউরো এবং ভাষা স্লোভিন- আর দ্বিতীয় ভাষা ইংরেজী। এখানে সকলেই প্রায় ইংরেজী ভাষায় কথা বলতে পারে। এ দেশের মোট জনসংখ্যা ২০,৮১,৯৪৫ জন। এই দেশের মোট জিডিপি ৫৪ বিলিয়ান মার্কিন ডলার আর কমপক্ষে গড়ে ৮৮৬ ইউরো এই দেশে বেতন দেওয়া হয়।

Study in Slovenia
Image Source: pixabay.com

সামগ্রিক বিচারে এই দেশ হতেই পারে আপনাদের পছন্দের ডেস্টিনেশন।

কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

স্লোভেনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো World Ranking এর তালিকায় উপরের দিকে অবস্থিত হওয়ায় অনেকেই এই দেশে পড়াশুন ও উচ্চ শিক্ষার জন্য আসতে চায়। তাই নিঃসন্দেহে এই দেশে পড়তে আসার জন্য মনস্থির করতে পারেন।

কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিচে দেওয়া হলঃ

  • University of Ljubljana‎
  • University of Maribor‎
  • University of Nova Gorica‎
  • University of Novo Mesto‎
  • University of Primorska‎

এই দেশে আপনি সকল সাবজেক্টেই পড়াশুনা করার সুযোগ পাবেন। আর্টস, বিজনেস অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং যে কোন বিষয়েই পড়াশুনা করার সুযোগ পাবেন। এখানে কোর্সসমূহ স্লোভেনিয়া আর ইংরেজী ভাষায় অফার করা হয়। বিভিন্ন কোর্স বিভিন্ন ভাষায় হওয়ায় আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ঘুরে দেখে নিন আপনার কাঙ্ক্ষিত কোর্স কোন ভাষায় অফার করা হয়েছে?

স্লোভেনিয়াতে পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

স্লোভেনিয়ায় পড়াশুনার জন্য আপনার জন্য প্রয়োজন পড়বে ইংরেজী ভাষাগত যোগ্যতা। পড়তে যেতে আপনাকে অর্জন করতে হবে B2 গ্রেডের বা IELTS এ ৬.০ অর্জনের প্রমাণপত্র। আর স্বাভাবিকভাবে আপনাকে ব্যাচেলর প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে অর্জন করতে হবে HSC আর মাস্টার্স প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে আপনার থাকতে হবে ব্যাচেলর আর পিএইচডি প্রোগ্রামে অংশ নিতে আপনার থাকতে হবে মাস্টার্স ডিগ্রী।

ভর্তি আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

স্লোভেনিয়ায় Autumn সেশনে বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হয়ে থাকে। অক্টোবার মাস থেকে ক্লাস শুরু হয় এই সেশনের এবং ফেব্রুয়ারী থেকে এপ্লিকেশন নেওয়া শুরু হয়- আর শেষ হয় জুন মাসে। অন্যদিকে Winter সেশনে কম সংখ্যক ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট নেওয়া হয়। এদেশে আবেদন করতে হয় একটি কমন ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে, যার লিংক নিচে দেওয়া হলঃ

https://portal.evs.gov.si/prijava/?locale=en

এরপর, এপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে আর দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের চয়েস লিস্ট। এরপর, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আপনাকে মেইল করে আপনাকে একটি ডকুমেন্ট দেওয়া হবে, এই ডকুমেন্ট নিজ হস্তে স্বাক্ষর করে অন্যান্য সত্যায়িত ডকুমেন্টসের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে হবে।

University in Slovenia
Image Source: Internet

নিচে প্রায়শঃ আবশ্য ডকুমেন্টসের তালিকা দেওয়া হলঃ

১। যথাযথভাবে সত্যায়িত সকল একাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট

২। সহস্তে স্বাক্ষরিত আবেদনপত্র

৩। IELTS এর সনদ

৪। CV,

৫। মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার

এরপর আপনার আবেদন গৃহীত হলে আপনাকে Letter of Acceptance দেওয়া হবে। যদি এটিতে উল্লেখ থাকে, ভিসা আবেদনের পূর্বে আপনাকে টিউশন ফি দিতে হবে তাহলে আগে টিউশন ফি দিয়েই আপনাকে আবেদন করতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়ে থাকে, তারা ভিসা প্রাপ্তির পর টিউশন দিতে বলে। তাই আপনার জন্য কোনটি হচ্ছে, সেটা Letter of Acceptance পড়ে ভালো করে বুঝে নিতে হবে।

ডকুমেন্টস সত্যায়ন

স্লোভেনিয়ার জন্য ডকুমেন্টস সত্যায়ন একটি জটিল প্রক্রিয়া।

(১) প্রথমে আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আপনার ডকুমেন্টস সত্যায়ন করিয়ে নিতে হবে।

(২) তারপর যেতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ডকুমেন্টস সত্যায়নের জন্য।

(৩) এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডকুমেন্টস সত্যায়ন করতে হবে।

(৪) এবার এই ডকুমেন্টস অস্ট্রিয়াতে অবস্থিত বাংলাদেশের এম্বেসী থেকে সত্যায়ন করাতে হবে- এজন্য ফি দিতে হবে প্রতি পেজ ১০ ইউরো। মনে রাখবেন, অরিজিনাল কাগজ ছাড়া তারা ডকুমেন্টস সত্যায়ন করে না। তাই অস্ট্রিয়াতে অবস্থিত আপনার কোন বন্ধু বা আত্মীয়-স্বজনকে অথরাইজ করে দিতে হবে এবং তিনি আপনার অরিজিন্যাল ডকুমেন্টস দেখিয়ে সত্যায়িত করিয়ে আনবেন।

(৫) এরপর সত্যায়ন করাতে হবে মিনিস্ট্রি অব ফরেন এফেয়ার্স অব স্লোভেনিয়া থেকে। এখানে প্রতি পেজ সত্যায়ন করাতে ক্ষরচ হবে ৩ ইউরো। এরা কোন কুরিয়ার কপি গ্রহণ করে না। তাই আপনাকে আবার দ্বারস্থ হতে হবে প্রবাসী বন্ধু বা আত্মীয় স্বজনের। আপনি চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়েরও সহযোগিতা নিতে পারেন। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই জন্য আপনার কাছ থেকে চার্জ নিবে।

এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ভিয়েনায় অবস্থিত বাংলাদেশ এম্বেসী যদি ডকুমেন্টস সত্যায়ন না করে তাহলে মিনিস্ট্রি অব ফরেন এফেয়ার্স অব স্লোভেনিয়া এই ডকুমেন্টস সত্যায়ন করবে না। আর বিশ্ববিদ্যালয়ও আপনার ডকুমেন্টস গ্রহণ করবে না।
Students in Slovenia
Image Source: Internet

টিউশন ফি

স্লোভেনিয়ায় আপনাকে পড়াশুনার জন্য আপনাকে দিতে হবে ২,৫০০-৪০০০ ইউরো। আবার আপনার বিশ্ববিদ্যালয় যদি স্বনামধন্য ও প্রথিতযশা হয়ে থাকে তাহলে টিউশন ফি হতে পারে ৮,০০০ ইউরো পর্যন্ত।

স্লোভেনিয়ায় আবাসন ব্যবস্থা

প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই রয়েছে হোস্টেলের ব্যবস্থা। আবাসনের জন্য আগে থেকেই আবেদন করা বুদ্ধিমানের কাজ। স্লোভেনিয়ায় থাকা- খাওয়া বাবদ আপনার মাসিক খরচ হবে ৩০০-৩৫০ ইউরো।

আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ

স্লোভেনিয়ায় ভিসা প্রাপ্তির জন্য আপনাকে ব্যাংকে সেদেশে এক বছর চলার মত পর্যাপ্ত অর্থের সংস্থান দেখাতে হবে। সাধারণত এই দেশে একজনের জন্য বার্ষিক প্রায় ৬০০০-৭০০০ ইউরো দেখাতে হবে। আর যদি আপনার খরচ বহন করে অন্য কোন স্পন্সর, তাহলে তাকে নোটারাইজড অংগীকারনামা দিতে হবে যে তিনি আপনার সকল খরচ বহন করবেন। তার জন্য প্রয়োজন পরবে, আপনার স্পন্সরের ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও ডকুমেন্টস চেকলিস্ট

বাংলাদেশে স্লোভেনিয়ার এম্বেসী না থাকায় আপনাকে যেতে হবে ভারতের দিল্লিস্থ স্লোভেনিয়ার এম্বেসীতে। এজন্য আপনাকে আগে থেকেই নিতে হবে এপয়েন্টমেন্ট। ভিসা ফি দিতে হবে ৮০ ইউরো। এখানে আপনাকে টেম্পোরারী রেসিডেন্স পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

ই-মেইলের মাধ্যমেও আপনি স্লোভেনিয়ার দূতাবাসে ভিসার জন্য অ্যাপোয়েনমেন্ট পেতে পারেন। দিল্লিতে অবস্থিত স্লোভেনিয়ার দূতাবাসের ওয়েবসাইট (http://www.newdelhi.embassy.si)।

Students in Slovenia
Image Source: Internet

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের লিস্ট নিচে দেওয়া হলঃ

১। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো Offer Letter

২। স্লোভেনিয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো Observation Letter, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ফর্মালিটি শেষ হবার পর পাঠানো হয়ে থাকে

৩। পাসপোর্ট [কমপক্ষে ৩ মাস মেয়াদ ও ২ টি ফাকা পেজ থাকতে হবে]

৪। ফটোগ্রাফ (৪.৫ সেঃমিঃ x ৩.৫সেঃমিঃ) – দুইটি

৫। মেডিক্যাল ইনস্যুরেন্স ও পুলিশ ক্লিয়ারান্স সার্টিফিকেট [অনধিক ৩ মাসের পুরাতন]

৬। ফ্লাইট রিজার্ভেসনের ডকুমেন্টস

৭। ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও আর্থিক স্বচ্ছলতার ডকুমেন্টস

৮। জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট [ইংরেজীতে হতে হবে]

৯। IELTS এর সনদ

১০। CV, মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন বা রেফারেন্স লেটার

১১। সকল সত্যায়িত ডকুমেন্টস, মার্কশিট ও সকল সনদ

১২।স্কলারশিপের পেপার (যদি থাকে)

ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে বসতে হবে ইন্টারভ্যিউ-এ। আর ভিসা পেতে সময় লাগবে ৪-৬ সপ্তাহ।

ভারতের দিল্লিস্থ স্লোভেনিয়ার এম্বেসীর ঠিকানাঃ

A – 5/4, Vasant Vihar, New Delhi 110 057, India

T: + 91 11/ 41662891

Visa section:

T: + 91 11/ 41662893 F: + 91 11 /41662895 E: [email protected]

পার্ট টাইম জব ও জীবন-যাপন ব্যয়

অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, নিউজিল্যান্ডে যে রকম নিয়ম আছে যে স্টুডেন্ট অবস্থায় একজন ব্যক্তি এক সপ্তাহে বৈধভাবে বিশ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে পারবেন না, স্লোভেনিয়ার আইনে এ রকম সুনির্দিষ্ট করে এখনো কিছু উল্লেখ নেই। তাই এখানে চাইলে একজন শিক্ষার্থী ফুলটাইম কাজ করতে পারেন। MJob Service আর E-studentski Servis নামক দুইটি সংস্থা শিক্ষার্থীদের জব খোঁজার ব্যাপারে সহায়তা প্রদান করে থাকে।

মাসিক খরচ নির্ভর করে আপনার জীবন যাপনের উপর। সাধারনত স্লোভেনিয়ায় আপনি ৩০০-৩৫০ ইউরো দিয়ে ১মাস চলতে পারবেন।

Life in Slovenia
Image Source: Internet

স্থায়ী বসবাস এর সুযোগ

আপনি যদি ফুল টাইম কাজের অভিজ্ঞতা ও টানা ৫ বছর এই দেশে থাকেন তাহলে আপনি পেয়ে যাবেন PR -এ আবেদন করার সুযোগ। আর যদি আপনি শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন, টানা ১০ বছর থাকতে হবে।

অর্থাৎ শিক্ষার্থী অবস্থায় পার্মানেন্ট রেসিডেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে দুই বছরকে এক বছর হিসেবে বিবেচনা হয়। উদাহরণস্বরূপ: কেউ যদি তিন বছরের ব্যাচেলর কোর্স সম্পন্ন করেন স্লোভেনিয়া থেকে, তাহলে এ তিন বছরকে অর্ধেক অর্থাৎ দেড় বছর এবং সেই সঙ্গে আরও সাড়ে তিন বছর ফুলটাইম কাজ করার অভিজ্ঞটা দেখাতে পারলেই তিনি স্লোভেনিয়ার পার্মানেন্ট রেসিডেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

তাহলে , শুরু স্লোভেনিয়া যাত্রার শুভ সূচনা।

Life in Slovenia
Image Source: pixabay.com

তথ্যসুত্রঃ

1 2 3 5
error: Alert: Content selection is disabled!!