Loading...
November 22, 2022

কানাডায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ইচ্ছুক এমন শিক্ষার্থীদের কাছে সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি বৃত্তি হচ্ছে ভেনিয়ার কানাডা গ্রাজুয়েট স্কলারশিপ। পিএইচডি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের কানাডাতে পড়ালেখা করার সুযোগ করে দিতেই কানাডার সরকার এ বৃত্তি দিয়ে থাকে। আর প্রতি বছর দেওয়া হয়ে থাকে ১৬৭টি বৃত্তি। সাধারণত পিএইচডি গবেষণার জন্য এ বৃত্তি দেয়া হয়। বৃত্তির মেয়াদ তিন বছর।

স্কলারশিপ এর নাম

ভেনিয়ার কানাডা গ্রাজুয়েট স্কলারশিপ (Vanier Canada Graduate Scholarships)

যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে

এই স্কলারশিপের আওতায় পিএইচডি প্রোগ্রাম করানো হয়। হেলথ রিসার্চ, ন্যাচারাল সাইন্স রিসার্চ, ইঞ্জিনিয়ারিং সাইন্স রিসার্চ, সোশ্যাল সাইন্স রিসার্চ ও হিউমানিটি রিসার্চ করা যাবে এই প্রোগ্রামে।

সকল বিষয় এর লিষ্ট জানতে ভিজিট করুন অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://vanier.gc.ca/en/home-accueil.html

দেশ এবং কর্তৃপক্ষ

কানাডা। কানাডিয়ান সরকার।

বৃত্তির সুযোগ সুবিধাসমূহ

এই স্কলারশিপের আওতায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বছরে ৫০,০০০ কানাডিয়ান ডলার দেওয়া হবে, ৩ বছরের জন্য।

আবেদনের যোগ্যতা

স্কলারশিপের জন্য আপনার থাকতে হবে নিম্নোক্ত যোগ্যতাঃ

১. একাডেমিক এক্সিলেন্স (৮০% মার্কস) থাকতে হবে।
২. রিসার্চ এবিলিটি (জার্নাল পাবলিকেশন) থাকতে হবে।
৩. ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফিসিয়েন্সি (স্কোর ৭.৫) থাকতে হবে।
৪. কমিউনিকেশন ও লিডারশিপ দক্ষতা থাকতে হবে।

Vanier Canada Graduate Scholarship
Image Source: Internet

আবেদনের সময়সীমা

আবেদনের সময় প্রতি বছর মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে হালনাগাদ ডেডলাইন জানতে নজর রাখতে হবে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ- https://vanier.gc.ca/en/home-accueil.html

যেসকল দেশের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য

এই স্কলারশিপটি সকলের জন্য উন্মুক্ত। বিশ্বের সকল দেশের শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আবেদন প্রক্রিয়া

প্রার্থীরা যে কানাডিয়ান ইন্সটিটিউশনে পড়তে চান, তাদের দ্বারা অবশ্যই মনোনীত হতে হবে। আপনাকে প্রথমে কানাডিয়ান কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে। কানাডার বিখ্যাত কিছু বিশ্ববিদ্যালয় -টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়, আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি।

স্কলারশিপের অফিশিয়াল লিঙ্কঃ

https://vanier.gc.ca/en/home-accueil.html

তথ্যসুত্রঃ

November 22, 2022

উচ্চশিক্ষার স্বর্গরাজ্য কানাডায় অনেকেই যাবার স্বপ্ন দেখেন,দেখেছেন হয়তবা দেখছেন। কিন্তু সঠিক দিক নির্দেশনা ও বিষয়গুলো সমন্ধে ভালোমত না জানার কারণে স্বপ্ন হয়ত রয়ে যাচ্ছে অধরা। কিন্তু আর চিন্তা নেই? আমরা প্রস্তুত আপনার স্বপ্নকে বাস্তবতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে। চলুন, শুরু করি স্বপ্নরাজ্য কানাডার দিকে পথ বাড়ানোর জন্য আমাদের আজকের আয়োজন।

কেন কানাডায় পড়তে যাবেন?

নর্থ আমেরিকার দেশ কানাডা  দ্বিতীয় পৃথিবীর সর্ববৃহৎ দেশ। এই দেশের আয়োতন ৯.৯৮ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার আর জনসংখ্যা ৩,৭৯,৭১,০২০ জন। এই দেশের অফিসিয়াল ভাষা ফ্রেঞ্চ ও ইংরেজী এবং মুদ্রা কানাডিয়ান ডলার। এই দেশের জিডিপি $১.৮১২ ট্রিলিয়ন আর পার কাপিটা জিডিপি হল ৪৯,৯৩১ ডলার। এই দেশের রাজধানী অটোয়া আর সর্ববৃহৎ শহর টরেন্টো। এই দেশ মূলত শীত প্রধান।

Niagra Waterfall Canada
Image Source: pixabay.com

কানাডায় পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

কানাডায় পরাশুনা করতে কমপক্ষে ৭০% নম্বরের প্রয়োজন পড়বে। কানাডায় ব্যাচেলর করতে আপনার HSC এ ভালো মার্ক্স ও IELTS এ ৬.০ কিন্তু কোন সাব-সেকশনে ৫.৫ এর নিচে পেলে চলবে না। আবার আপনি যদি মাস্টার্স প্রোগ্রামে যেতে চান, তাহলে ব্যাচেলরে আপনার ৭০% নম্বরের বেশি থাকতে হবে, IELTS এ থাকতে হবে ৬.৫, কিন্ত কোন সাব-সেকশনে ৬.০ এর নিচে নয়। ব্যাচেলরে অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ GRE / GMAT চাইতে পারে। কিন্তু স্কলারশিপ পেতে গেলে আপনার GRE/ GMAT থাকাটা আবশ্যকীয়। পিএইচডি প্রোগ্রামে অংশ নিতে মাস্টার্স থাকতে হবে এবং অন্যান্য যোগ্যতা মাস্টার্স করতে গেলে যেসব যোগ্যতা লাগে তার সমতুল্য।

কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

বিশ্বে অনেক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় এই কানাডায় অবস্থিত। তাইতো, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে, প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ লোক বিদ্যার্জনের আশায় পাড়ি জমায় কানাডায়। কিছু নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিচে দেওয়া হলঃ

সেরা  টি বিশ্ববিদ্যালয়

১) University of Toronto

২) Mcgill University

৩) University of British Columbia

৪) Mcmaster University

৫) University of Alberta

৬) University of Waterloo

মধ্যম সারির বিশ্ববিদ্যালয়

৭) Ottawa University

৮) University of Western Ontario

৯) York University

১০) University of Montreal

১১) Dalhousie University

১২) Carleton University

১৩) Queens University

১৪) Simon Fraser University

১৫) University of Manitoba

১৬) University of Victoria

১৭) Memorial University

১৮) University of Saskatchewan

আবেদন করার সময় অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ভালো করে দেখে নেওয়া উচিত। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ও র‍্যাঙ্কিং বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটের উপর নির্ভর করা উচিত নয়। অনেক সময় ওয়েবসাইটে কিছু Misleading তথ্য দেওয়া থাকে- যা শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে। অনেকেই প্রতারণার শিকার হয়ে অনেক টাকা খুইয়ে ফেলেন। তাই, সবসময় বিভিন্ন সোর্স থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সমন্ধে জানার চেষ্টা করা উচিত। আর গুগল সার্চতো আছেই।

এই দেশে পড়াশুনার মাধ্যম ইংরেজী ও ফ্রেঞ্চ। তবে আবেদনের সময় অবশ্যই আপনাকে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিতে হবে আপনি কোন মাধ্যমে পড়তে চান।

University in Canada
Image Source: Internet

কানাডায় আপনি আপনার পছন্দের সকল কোর্সই পেয়ে যাবেন। কম্পিউটার সায়েন্স, বায়োলজি, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ফুড সায়েন্স, কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড রিসোর্সেস, ইলেকট্রনিক্স, মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড সার্ভিসেস, মেরিন অ্যাফেয়ার্স, এগ্রিকালচার, ইকোনোমিক্স, অ্যাপ্লায়েড কম্পিউটার সায়েন্স, ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট, অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাসট্রোনমি, অ্যাপ্লায়েড জিওগ্রাফি, আর্কিটেকচারাল সায়েন্স, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল হেলথ, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, এডুকেশন, হোম ইকোনোমিক্স, মিউজিক, ফিলোসফি, হিস্ট্রি অ্যান্ড রিলিজিওন, ইংলিশ, ল, থিয়েটারসহ আন্ডার র্গ্যাজুয়েট পর্যায়ে প্রায় দশ হাজার বিষয় এবং পোস্ট র্গ্যাজুয়েট পর্যায়ে প্রায় তিন হাজার বিষয় পড়তে পারবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

কানাডায় ভর্তির জন্য প্রথমেই আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং আবেদন ফি জমা দিতে হবে। আবেদন ফি জমা না দেওয়া পর্যন্ত আবেদন প্রসেস শুরু হবে না। কান্ডায় আপনি ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডি সকল ধরণের প্রোগ্রামে যাবার সুযোগ আছে। কানাডায় মাস্টার্স কোর্স দুই ধরণেরঃ কোর্স-বেজড ও থিসিস-বেজড। কোর্স বেজড মাস্টার্স প্রোগ্রামে সাধারণত স্কলারশিপ পাওয়া যায় না। তবে থিসিস-বেজড মাস্টার্স প্রোগ্রামে গেলে আপনার ফান্ড বা স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ আছে। থিসিস-বেজড মাস্টার্স প্রোগ্রামে গেলে অবশ্যই প্রফেসরের সাথে যোগাযোগ করে কথা বলে নিতে হবে। এই প্রফেসর খোঁজা বেশ জটিল ও কষ্টসাধ্য প্রক্রিয়া। কারণ আপনাকে প্রফেসরদের খুঁজে তাদের রিসার্চ এরিয়া-ভিত্তিক নিজের পোর্ট-ফোলিও সাজিয়ে তাকে ইমেইল করতে হবে এবং তাকে কনভিন্স করতে হবে। প্রফেসররা সাধারণত স্কাইপি, অথবা অন্য মিডিয়ামে আপনার ইন্টারভিউ নিয়ে থাকে। কানাডায় প্রফেসর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি আপনাকে রিকমেন্ডেশন করলে, বিশ্ববিদ্যালয় অথরিটি আপনাকে ভর্তির বিষয়ে অনেক সহায়তা করে থাকে আর স্কলারশিপ পেতে আর কোন বাধা থাকে না। অনেক সময় প্রফেসর তার কাছে বরাদ্দ রিসার্চ ফান্ড থেকে আপনাকে RA (Research Assistant) পোস্ট অফার করে থাকে অথবা আপনাকে TA (Teacher’s Assistant) অফার করে কোর্স ফি দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।

কানাডায় বছরে তিনটি সেমিস্টার থাকে, যথাঃ Winter সেমিস্টার, Summer সেমিস্টার ও Fall সেমিস্টার। Winter সেমিস্টার জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত আর Summer সেমিস্টার মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত হয়ে থাকে। মূলত Fall Semester এ International Student ভর্তি কয়া হয়ে থাকে এবং এই সময়েই বেশি স্কলারশিপ অফার করা হয়ে থাকে। Fall Semester এর ব্যাপ্তি সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর- আর ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয় মার্চ-এপ্রিল থেকে আর ডেডলাইন থাকে জুন মাসে। মনে রাখবেন প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়সীমা আলাদা। তাই আবেদনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে দেখে নেওয়া উচিত আর কোন বিভ্রান্তি থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন আফিসে যোগাযোগ করা উচিত।

নিচে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিয়া দেওয়া হলঃ

১। সকলএকাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট

২। CV, মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার

৩। Statement of Purpose (SOP)

৪। পাসপোর্টের কপি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি

৫। রেফারেন্স লেটার- এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনার সম্পর্কে ভালো রিমার্ক্স থাকতে হবে।

৬। IELTS এবং প্রয়োজনে GRE/GMAT

৭। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র

সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে আপনার ভর্তি কার্যক্রম নিশ্চিত করে। তাই হাতে ১ বছর সময় নিয়ে আবেদন করা উচিত। মনে রাখবেন, আপনার পড়াশুনার মাঝে গ্যাপ ২ বছরের বেশি হলে আপনি বিপদে পড়তে পারেন। তাই এই বিষয়ে সতর্ক থাকুন।

Niagra Waterfall Canada
Image Source: Internet

পড়াশোনার খরচ ( টিউশন ফি) ও স্কলারশিপ

কানাডায় ব্যাচেলর প্রোগ্রামে আপনার খরচ হবে প্রতি বছর ১৪,০০০ থেকে ২৭,০০০ কানাডিয়ান ডলার। মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য প্রতি বছর ১৬,০০০ থেকে ২০,০০০ কানাডিয়ান ডলার খরচ হবে।

কানাডায় ব্যাচেলর লেভেলে স্কলারশিপের সুযোগ ক্ষীণ। কিন্তু মাস্টার্স প্রোগ্রামে স্কলারশিপের সু্যোগ তুলনামূলক বেশি। কানাডায় ন্যাশনাল স্কলারশিপ প্রোগ্রামের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও স্কলারশিপ পাওয়া যায়।

ভেনিয়ার কানাডা গ্রাজুয়েট স্কলারশিপ: কানাডায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ইচ্ছুক এমন শিক্ষার্থীদের কাছে সর্বাধিক জনপ্রিয় বৃত্তি এটি। কানাডার সরকার এই বৃত্তি দিয়ে থাকে।বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে বছরে ৫০ হাজার কানাডীয় ডলার দেওয়া হয়। মেয়াদ তিন বছর।

আইডিআরসি ডক্টরাল রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড: এই বৃত্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পায়। প্রতিবছরই এই বৃত্তি প্রদান করা হয়।

আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ

কানাডায় পড়ালেখার জন্য শক্ত পৃষ্ঠপোষক দেখাতে হয়। শিক্ষার্থীকে তাঁর পৃষ্ঠপোষকের ন্যূনতম ৩০ লাখ টাকা ব্যাংক হিসাব দেখাতে হবে এবং এই টাকা ন্যূনতম ৬ মাস থেকে এক বছর ব্যাংকে থাকতে হবে।

যদি স্পন্সর (মা অথবা বাবা) থাকে, তাহলে তার ট্যাক্সের কাগজ-পত্র ও ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে।

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

ভিসা পেতে আপনাকে দ্বারস্থ হতে হবে ঢাকায় অবস্থিত কানাডিয়ান এম্বেসী-এর। আপনার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত অফার লেটার ও প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সমেত আবেদন করতে হবে ভিসার জন্য।

নিচে কাগজপত্রের জন্য প্রয়োজনীয় তালিকা দেওয়া হলঃ

১। পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম

২। পাসপোর্ট ও  ফটোগ্রাফ

৩। CV, Statement of Purpose (SOP)  ও রেফারেন্স

৪।সকল মার্কশিট ও সনদ, IELTS-GRE সনদ

৫। No Objection  Certificate [শেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে]

৬।  অফার লেটার

৭। ব্যাংক সলভেন্সি পেপ্যার

৮। ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট

৯। পুলিশ ক্লিয়ারান্স

১১। হেলথ ইন্স্যুরেন্স ও মেডিক্যাল রিপোর্ট

সব কিছু ঠিকমত রুল অনুযায়ী জমা দিতে হবে। ছোট খাট ভুলের জন্যই ভিসা রিজেক্ট হয়।

University in Canada
Image Source: Internet

কানাডিয়ান হাই কমিশনের ঠিকানা:

High Commission of Canada

United Nations Road, Baridhara, Dhaka-1212, Bangladesh

Telephone: +880 2 988 7091 to 988 7097

Fax: +880 2 882 3043  +880 2 882 6585

Email: [email protected] | www.vfs-canada.com.bd

ইমিগ্রেশন এ্যাণ্ড সেটেলমেন্ট টিমের ভলান্টিয়ারগণ বিনামূল্যে তাদের ওয়েবসাইট এবং ফোরামের মাধ্যমে কানাডার স্টুডেন্ট ভিসা এবং ইমিগ্রেশনের সহযোগিতা দিয়ে আসছেন। আপনিও চাইলে তাদের ওয়েবসাইট এবং ফোরাম থেকে ঘুরে আসতে পারেন:

ওয়েবসাইট:  http://immigrationandsettlement.org/Home/Index

ফোরাম: http://forum.immigrationandsettlement.org/

কানাডায় আবাসন ব্যবস্থা ও জীবন-যাপন খরচ

কানাডায় ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের ৬ মাস হোস্টেলে থাকা বাধ্যতামূলক। এখানে থাকা বাবদ প্রতি ৪ মাসের জন্য দিতে হয় ৪,০০০ থেকে ৭,০০০ কানাডিয়ান ডলার। কিন্তু বাইরে আপনি খুব কম খরচে রুম পেয়ে যাবেন। বাইরে থাকা- খাওয়া আপনি প্রতি মাসে ৬০০ – ৮০০ কানাডিয়ান ডলারে মিটিয়ে ফেলতে পারবেন। তবে এই খরচ নির্ভর করবে আপনি কোন শহরে আছেন আর কিভাবে জীবন যাপন করছেন।

পার্ট টাইম জব এর সুযোগ

কানাডায় পার্ট টাইম জবের সুযোগ রয়েছে সপ্তাহে ২০ ঘন্টা। ব্যাচেলর স্টুডেন্টদের প্রথম ১ বছর জব করার সুযোগ থাকে। না তবে ব্যাচেলরের স্টুডেন্টগণ চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে TA, RA, Office Assistance- হিসেবে জব করতে পারে। কিন্তু মূলত এই জবগুলো মাস্টার্স বা পিএইচডি-এর শিক্ষার্থীদের অফার করা হয়।

এ ছাড়াও অফ ক্যাম্পাস ওয়ার্ক পারমিট-এর সুবিধা আছে। এই সুবিধা পেতে অবশ্য প্রায় এক বছর অপেক্ষা করতে হবে। ৬ মাস ফুল টাইম পড়া শুনার পরে আপনি এপ্লাই করতে পারবেন, কিন্তু কাগজ যোগাড় করতে সময় লাগায় মোট ৭-৮ মাস লেগে যায়। সম্প্রতি বাংলাদেশ-কে সন্দেহজনক দেশ-এর তালিকায় যুক্ত করায় প্রসেসিং সময় ১৫ দিনের বদলে কমপক্ষে ৩ মাস লাগে। সব মিলিয়ে প্রায় এক বছর অপেক্ষা করতে হবে কাজ করার পারমিশন এর জন্য।এর আগে ক্যাম্পাসের বাইরে কাজ করা অবৈধ। তার আগে এবং পরে অন ক্যাম্পাসে ২০ ঘন্টা কাজ করতে পারেন যা পাওয়ার সম্ভাবনা শুরুর দিকে খুবই ক্ষীণ। অফ/অন ক্যাম্পাস কাজ করে থাকা খাওয়ার খরচ তোলা সম্ভব হলেও টিউশন ফী দেওয়া সম্ভব না।

Students in Canada
Image Source: pixabay.com

স্থায়ী বসবাসের সুযোগ

পড়াশুনা শেষ করে শিক্ষার্থীরা ১-৩ বছরের ওয়ার্কপারমিট পান এবং পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্যে আবেদন করতে পারেন। কানাডার প্রভিন্সগুলোর মধ্যে সাসকাচুয়ান, ম্যানিটোবা, নিউ ফাউণ্ডল্যান্ড এ্যাণ্ড ল্যাব্রাডরে শিক্ষার্থীদের স্থায়ীভাবে আবাসনের সুযোগ রয়েছে। একইসঙ্গে অন্টারিও প্রভিন্সের মাস্টার্স প্রোগ্রাম কমপ্লিট করার পরেও একজন শিক্ষার্থী স্থায়ীভাবে থেকে যাবার জন্যে আবেদন করতে পারেন। সম্প্রতি রুরাল এ্যাণ্ড নর্দার্ন পাইলট প্রোগ্রামটিও শিক্ষার্থীদেরকে আশার আলো দেখাচ্ছে।

কিছু প্রয়োজনীয় সাইট-এর এড্রেস

১। http://www.ouac.on.ca – এটি অন্টারিওর বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তির অনলাইন সাইট। এটার মাধ্যমে এপ্লাই করতে পারেন অথবা সরাসরি এপ্লাই করতে পারেন। এটা নির্ভরযোগ্য। খরচ একটু বেশী- কিন্তু টাকা কোথায় ঢাললেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবেনা এবং অনলাইনে আপনার ভর্তির স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। এপ্লাই করার পর এই সাইট নিয়মিত চেক করা উচিত। গুরুত্বপূর্ণ: সঠিক ফরম পূরণ করবেন।

২। http://www.aucc.ca/index_e.html – কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাইট। এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন। কিন্তু সব সঠিক নয় (কিছুটা এদিক সেদিক)।

৩। http://oraweb.aucc.ca/dcu_e.html – প্রোগ্রাম অনুসারে সার্চ করে, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর একটি লিস্ট বানাতে পারেন।

৪। http://cic.gc.ca/english/study/index.asp  – সরকারী সাইট- এখানে স্টাডি পারমিট এবোং পড়াশুনা বিষয়ক সব ধরণের ফর্ম এবং সরকারী সিদ্ধান্ত জানতে পারবেন।

৫। http://www.studyincanada.com/english/index.asp – আরেকটি উপকারী সাইট।

Life in Australia
Image Source: pexels.com

অপার সম্ভবনার দেশ কানাডা। আপনার নিজের সম্ভবনা তৈরীর জন্য কানাডায় পাড়ি জমাতে পারেন। শুভ কামনা রইলো আমাদের পক্ষ থেকে।

তথ্যসুত্রঃ

November 22, 2022

Skype এর নাম শুনিনি এমন মানুষ খুব কমই আছে। অনলাইন অডিও- ভিডিও কলের প্রথম পর্যায়ের দিসারী স্কাইপি ছিল এস্তোনিয়া ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। সেই এস্তোনিয়া নিয়ে আজ  আপনাদের সামনে আমরা হাজির হয়েছি। ইউরোপে পাড়ি জমানো স্বপ্ন হলে আপনি এস্তোনিয়াকেও রাখতে পারবেন নিজের পছন্দের তালিকায়। শুধু কি তাই? অসাধারণ সমুদ্র আর অনাবিল প্রাকৃতিক পরিবেশের দেশ এস্তোনিয়া বিদ্যার্জনের জন্য যেন এক স্বপ্নরাজ্য। আজ আপনাদের এস্তোনিয়ায় পড়াশুনা ও ক্যারিয়ারের যাবতীয় বিষয়গুলো তুলে ধরব।

কেন এস্তোনিয়াতে পড়তে যাবেন?

বাল্টিক সাগরের তীরবর্তী এস্তোনিয়ার উত্তরদিকে ফিনল্যান্ড ,দক্ষিণে রয়েছে লাতভিয়া, পূর্বে রাশিয়া, এবং পশ্চিমে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। এই দেশের সরকারি নাম এস্তোনিয়া প্রজাতন্ত্র, রাজধানী তাল্লিন, মুদ্রা ইউরো ও ভাষা এস্তোনিয়ান। প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছবির মত সুন্দর এই দেশ যার পরতে পরতে সাজানো আছে নানা গীর্জা, টাউন হল, ওল্ড টাউন, জাদুঘরসহ প্রাচীন অনেক ঐতিহ্য। সেনজেনভুক্ত এ দেশটির আয়তন ৪৫,৩৩৯ বর্গ কিঃমিঃ আর বসবাস প্রায় ১৪ লক্ষ লোকের। ডিজিটাল পদ্ধতির জন্য বিখ্যাত এই দেশকে বলা হয় বিশ্বের প্রথম “e- Country”। প্রাচীন ও আধুনিকতার এস্তোনিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা খুব উন্নত।

Study in Estonia
Image Source: pixabay.com
এই দেশের বছরে তিন মাস মেয়াদী চারটা ঋতু দেখা যায়। এই দেশে গরমে তাপমাত্রা থাকে ১৮-২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস আর শীতকালে থাকে -৩.৫ থেকে -৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ দেশের মাথাপিছু জিডিপি ২৯,৩১২ মার্কিন ডলার।
ইংরেজি ভাষা ব্যাপকভাবে প্রচলিত হওয়ায় ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় এদেশে ভাষাগত বিরম্বনা কিছুটা কম পোহাতে হয়।

এস্তোনিয়ায় পড়তে যাবার নূন্যতম যোগ্যতা

এস্তোনিয়ায় বছরে একটা সেমিস্টারই পড়ানো হয় এবং এই সেমিস্টার চলে ডিসেম্বর থেকে মে পর্যন্ত। তাই এই সময়কে মাথায় রেখে আবেদন করতে হবে।এদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এস্তোনিয়ান ও ইংরেজি উভয় মাধ্যমে পড়ানো হয়। এখানে ১০০টির বেশি ইংরেজি কোর্স রয়েছে।

সাধারণত এস্তোনিয়ায় পড়তে আপনার একাডেমিক পরীক্ষায় ৫১% নম্বর অর্জন করতে হবে আর IELTS- এ থাকতে হবে 5.5 -6.5 স্কোর। এই যোগ্যতা বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তাই আপনাকে অনুসরণ করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট আর সে বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন অফিস। এই ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, তাল্লিন বিশ্ববিদ্যালয় ও তাল্লিন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র ব্যাচেলরে আবেদনের জন্য প্রয়োজন পড়বে ৬০% নম্বরের। কিন্তু অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম কোন নিয়ম নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সার্বিক তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে।

কোর্স সার্চ ও কোর্স নির্বাচন

এস্তোনিয়ায় আপনি পড়তে পারবেন সব বিষয়েই। তবে আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী নিজের কোর্স নির্বাচন করতে হবে। বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে, প্রযুক্তি বিদ্যার দিকে বিশ্বের মানুষের অনেক ঝোঁক আর চাকুরীর বাজারেও বেশ চাহিদা। সেই একই প্রেক্ষাপটে এস্তোনিয়ায়ও বর্তমানে প্রযুক্তিবিদ্যা বিষয়ক প্রোগ্রামগুলোর চাহিদা বেশি। আপনি চাইলে এই দেশে ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডি, এমনকি বিভিন্ন শর্ট কোর্স করতে পারবেন। এস্তোনিয়ায় মোট ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার গ্রহণের সুযোগ রয়েছে, যার মধ্যে ৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ১টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, ৮টি স্টেইট প্রফেশনাল হাইয়ার এডুকেশনাল ইন্সটিটিউশন, ৫টি প্রাইভেট প্রফেশনাল হায়ার এডুকেশনাল ইন্সটিটিউশন।

এস্তোনিয়াতে অধ্যয়নের জন্য উপযুক্ত কোর্স খুঁজতে নিম্মোক্ত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এর সাহায্য নিতে পারেন: www.estonia.dreamapply.com

কোর্স সম্পর্কে আপনার অতিরিক্ত প্রশ্ন থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করুন।

এস্তোনিয়ার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় হলঃ

University in Estonia
Image Source: Internet

যে সব বিষয় পড়ানো হয়,

ব্যাচেলর প্রোগ্রামঃ

কোর্সগুলোর মধ্যে রয়েছে ভেটেনেরানি মেডিসিন, মিউজিক, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ক্রিয়েটিভটি এন্ড বিজনেস ইনোভেশন, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন,সফটওয়্যার ডেভেলাপমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং, সাইবার সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ারিং, গেম ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট, সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, অডিও ভিজ্যুয়াল মিডিয়া, ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন, সোশ্যাল সায়েন্স, পলিটিক্স, ল, মেডিসিন ইত্যাদি।

মাস্টার্স প্রোগ্রামঃ

কোর্সগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যানিমেশন, ডিজাইন, ক্রাফট,বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, ইকোনমিক্স, কালচারাল ম্যানেজমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং, ফিলোসফি ইত্যাদি।

পিএচডি প্রোগ্রামঃ

ডক্টরাল কোর্সের মধ্যে রয়েছে কেমিস্ট্রি, ডেমোগ্রাফি, ইকোলজি, হেলথ, হিস্টোরি,ইকোনমিক্সসহ আরো নানা বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে এস্তোনিয়ায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়সীমা

এস্তোনিয়ায় ইউরোপিয়ান এবং নন-ইউরোপিয়ান ছাত্র/ছাত্রী দের জন্য ভর্তির সময়সীমা ভীন্ন।

বিস্তারিত হালনাগাদ  সময়সীমা জানতে নিম্মোক্ত ওয়েবসাইটেইর সাহায্য নিতে পারেন: www.studyinestonia.ee/deadlines

ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া একেক রকম। তবে কম বেশি প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে কাছাকাছি নিয়মেই আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করানো হয়ে থাকে।

নিম্নলিখিত ওয়েবসাইটে অনলাইন ভর্তি সিস্টেমের মাধ্যমে আপনার আবেদন জমা দিতে হবে: www.estonia.dreamapply.com

এবং নিম্মোক্ত ওয়েবসাইট এ বর্নিত নির্দেশ অনুযায়ী ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

http://www.studyinestonia.ee/en/how-apply

কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়/প্রোগ্রাম এর ক্ষেত্রে আপনার একাডেমিক দক্ষতা ও ইংরেজি দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য স্কাইপ ইন্টারভিউ নিতে পারে। স্কাইপ ইন্টারভিউ দেওয়ার ০৩ সপ্তাহের মধ্যে আপনার ই-মেইলে ভর্তির ফলাফল জানানো হবে।

এস্তোনিয়ায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কাগজপত্র চাওয়া হয়। আবেদনের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হলঃ

১। একাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট

২। IELTS এর সনদ

৩। মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার

৪। ইউরোপাস ফরম্যাটে CV

৫। পাসপোর্টের কপি ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি

৬। আপ্লিকেশন ফি পরিশোধের রশিদ

৭। জব এক্সপেরিয়েন্স সার্টফিকেট (যদি থাকে)

Students in Estonia
Image Source: Internet

কিভাবে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাবেনঃ

ডকুমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর পদ্ধতি অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হতে হবে । যদি আপনি নিজে প্রেরক হয়ে পাঠাতে চান তাহলে অবশ্যই নোটারাইজ কপি পাঠাতে হবে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ নির্দেশনা থাকে এইরূপ যে, “আপনার সর্বশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আপনার পক্ষ থেকে ( প্রেরক হয়ে ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব খামে সকল ডকুমেন্ট(নোটারাইজ করার দরকার নেই) পোস্ট বা কুরিয়ারে ইস্তোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের এড্রেসে পাঠাতে হবে” তখন ব্যাক্তিগত নিজের নাম ব্যাবহার করে ডকুমেন্ট পাঠালে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

পড়াশোনার খরচ ( টিউশন ফি)

এস্তোনিয়ায় পড়াশুনার খরচ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় অনেকটা কম। এদেশে পড়াশুনা করতে আপনার প্রতি বছরে টিউশন ফি প্রয়োজন হবে ১,৭০০-৭,৫০০ ইউরো পর্যন্ত। মেডিকেল বিষয়ে পড়তে বাৎসরিক ১০,০০০ ইউরো পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স ভেদে এই টিউশন ফি কম ও বেশি হতে পারে।

এস্তোনিয়ায় কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু কোর্সে ফ্রি’তে পড়ারও সুযোগ রয়েছে। যদি কোনো শিক্ষার্থীর আর্থিকভাবে অসচ্ছল থাকে বা কোনো শিক্ষার্থীর একাডেমিক পারফরমেন্স ভালো থাকে অথবা এস্তোনিয়ান ভাষার কোনো কোর্সে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করেন তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্রিতে পড়াশোনা করার সুযোগ দেওয়া হয়।

এ দেশে পিএইচডি প্রোগ্রামে কোন টিউশন ফি নেই।

স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ

এস্তোনিয়ায় বিভিন্ন ধরণের স্কলারশিপ রয়েছে। সরকারি অথবা বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক স্কলারশিপ রয়েছে অনেক। একটু কষ্ট করলেই মিলে যাবে স্কলারশিপ। আর সেই স্কলারশিপ খুঁজে পেতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ

http://haridus.archimedes.ee/en/scholarships

http://www.studyinestonia.ee/en/scholarships

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও ডকুমেন্টস চেকলিস্ট

এস্তোনিয়ায় আবেদন করার জন্য আপনাকে ভারতে অবস্থিত এম্বেসীতে যেতে হবে। এরজন্য প্রথমেই আপনাকে নিচের লিঙ্ক-এ আবেদন করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
https://eelviisataotlus.vm.ee/

ভিসার জন্য আপনাকে জমা দিতে হবে নিম্নোক্ত কাগজপত্রঃ

১। পাসপোর্ট ও রিসেন্ট ছবি

২। মার্কশিট ও সকল সনদ

৩। IELTS স্কোরের কপি

৪। এডমিশন লেটার

৫। ভিসা আবেদন ফর্ম ও টেম্পোরারী রেসিডেন্স আবেদন ফর্ম

যোগাযোগের জন্য দিল্লী অফিসের ঠিকানা দেওয়া হলঃ

C15, Malcha Marg, Chanakyapuri
New Delhi, 110 021, India

Website: http://www.newdelhi.vm.ee

Tel +91 11 4948 8650 । Tel (+372) 613 4850 (calls from Estonia)
Fax +91 11 4948 8651 । Email: [email protected]
Visa queries: [email protected]

[ছুটি ব্যতীত সাধারণত সোমবার, বুধবার ও শুক্রবার ১০ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত ভিসা আবেদন গ্রহণ করা হয়]

Old Town in Estonia
Image Source: pixabay.com

আবাসন ব্যাবস্থা, মাসিক খরচ এবং পার্ট টাইম জব এর সুযোগ

এস্তোনিয়ায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হোস্টেল সুবিধা আছে। আপনি ১০০ ইউরোর মধ্যে থাকার জন্য হোস্টেল পেয়ে যাবেন। আর যদি আপনি থাকতে চান একক কোন ফ্লাটে, তাহলে আপনার দিতে হবে ১৮০ থেকে ৪৫০ ইউরো। আর অন্য দিকে আপনি ৩০০ থেকে ৫০০ ইউরোর মধ্যে আপনার দৈনন্দিন খরচ মেটাতে পারবেন।

ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থী হিসেবে আপনি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা চাকুরী করার সুযোগ পাবেন। যদি জানা থাকে এস্তোনিয়ান ভাষা তাহলে আপনার জব পেতে সুবিধা হবে। তাই, এই দেশে যাবার আগে এই দেশের ভাষা জেনে নেওয়াটা হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

কোর্স শেষে চাকুরী ও স্থায়ী বসবাস এর সুযোগ

কোর্সে শেষে এস্তোনিয়ায় আপনি ৬ মাসের জব সার্চ ভিসা পাবেন। এই সময়ে আপনি জব পেয়ে গেলে আপনি আবেদন করে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কাজ করতে পারবেন। আর এই দেশে আপনি একটানা ৯ বছর থাকলে আপনি নাগরিকত্ব পাবার জন্য আপ্লিকেবল হবেন।তবে এর জন্য আপানকে ইস্তোনিয়ান ভাষা, পার্মানেন্ট জব সহ আর কিছু রিকুয়ারমেন্ট পূরণ করতে হবে।

এস্তোনিয়া হতে পারে আপনার জন্য সবচেয়ে বেস্ট ডেস্টিনেশন। তাই, আবেদন করুন এস্তোনিয়ায়।

Life in Estonia
Image Source: pixabay.com

তথ্যসুত্রঃ

error: Alert: Content selection is disabled!!