Loading...
November 21, 2022

VLIR-UOS স্কলারশিপ একটি বেলজিয়াম ভিত্তিক স্কলারশিপ, যার মাধ্যমে এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার ৩১টি দেশের শিক্ষার্থীরা ট্রেনিং ও মাস্টার্স কোর্স করতে পারবে বেলজিয়ামের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এক বা দুই বৎসর মেয়াদি মাস্টার্স প্রোগ্রাম । মাস্টার্স প্রোগ্রামে চাকরি অভিজ্ঞতা প্রয়োজন নেই, তবে চাকরি অভিজ্ঞতা থাকলে বৃত্তি পেতে অগ্রাধিকার পাওয়া যায়। এক বৎসর মেয়াদি মাস্টার্স প্রোগ্রাম গুলো মাল্টিডিসিপ্লিনারী কোর্স।

স্কলারশিপ এর নাম

VLIR-UOS স্কলারশিপ

যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে

VLIR-UOS স্কলারশিপ প্রোগ্রামে যে সকল বিষয় অধ্যয়ন করা যাবে, তার একটি লিস্ট নিচে দেওয়া হলঃ

মাস্টার্স প্রোগ্রাম

https://cdn.webdoos.io/vliruos/801faa32f16c6868fe93108ebd3bc951.pdf

ট্রেনিং প্রোগ্রাম

https://cdn.webdoos.io/vliruos/d57f3d1e80e95561504e064b0204e918.pdf

দেশ এবং কর্তৃপক্ষ

বেলজিয়াম

বৃত্তির সুযোগ সুবিধাসমূহ

VLIR-UOS স্কলারশিপের আওতায় আপনি যা যা পাবেনঃ

১। টিউশন ফি

২। মাসিক ভাতা (1150 Euro করে)

৩। বিমান ভাড়া

৪। স্বাস্থ্য ভাতা

৫। রিসার্চের সকল খরচ

আবেদনের যোগ্যতা

VLIR-UOS স্কলারশিপের জন্য আপনার থাকতে হবে নিম্নোক্ত যোগ্যতাঃ

১। লিস্টেড দেশের নাগরিক হতে হবে।

২। Initial Masters প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর বয়স হতে পারবে আর Advanced Masters এর জন্য সর্বোচ্চ ৪০ বছর বয়স হতে পারবে।

৩। আবেদনকারীর কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তিনি স্কলারশিপ প্রাপ্তির জন্য বিবেচিত হবেন। আর এই কাজের অভিজ্ঞতা যদি রিসার্চ প্রতিষ্ঠান, NGO, অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়, তাহলে সেটা বিশেষভাবে গন্য হবে।

৪। যদি কোন ব্যক্তি আগেই বেলজিয়ামে কোন স্কলারশিপ গ্রহণ করে থাকে, তবে তিনি আর এই স্কলারশিপে আবেদন করতে পারবেন না।

VLIR-UOS Scholar
Image Source: Internet

আবেদনের সময়সীমা

VLIR-UOS স্কলারশিপের জন্য আবেদন সাধারণত ফেব্রুয়ারি অথবা মার্চ মাসে শুরু হয়। তবে সাবজেক্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।

আবেদনের হালনাগাদ সময় সীমা জানতে নিম্মোক্ত ওয়েবসাইট এর সাহায্য নিতে পারেন-

https://www.vliruos.be/en/scholarships/6

যেসকল দেশের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য

এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার ৩১টি দেশের শিক্ষার্থীরা এই প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারেন। কিন্তু, বর্তমানে বাংলাদেশের নাম এই লিস্টে নেই।

আবেদন প্রক্রিয়া

প্রথমেই আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হবে। সেখানে নির্দিষ্ট বিষয়ে ভর্তির আবেদন শেষ করার পর আপনি এই স্কলারশিপে আবেদন করতে পারবেন। এরপর আপনি সিলেক্টেড হলে ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

VLIR-UOS স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য আপনাকে জমা দিতে হবেঃ

১। Online আবেদন ফর্ম

২। সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশীট

২। রিকমেন্ডেশন লেটার (২ টি) – সাইন করে সীলড অবস্থায় দিতে হবে।

৩। Euro-pass Format এ CV

৪। SOP (Statement of Purpose)

৫। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার পেয়ে থাকলে সেটা দিতে হবে

৬। IELTS এর সনদ

৭। Work Experience Certificate

৮। পাসপোর্টের কপি

স্কলারশিপের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.vliruos.be/en/home/1

তথ্যসুত্রঃ

November 21, 2022

ইউরোপ- পাশ্চাত্যের জ্ঞানের সাগর, পাশ্চাত্যের কেন্দ্রস্থল। ইউরোপ ভ্রমণের স্বপ্ন দেখেননি, এমন মানুষ কি আদৌ আছে? অনেকে আবার রীতিমত ইউরোপের জ্ঞানের সাগরে ডুব দেবার স্বপ্ন দেখেন। ইউরোপের পাড়ি জমানোর রাস্তা সহজ করতে তাই আজ আমরা আলোচনা করবো ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর যেদেশে অবস্থিত সেই দেশ- বেলজিয়াম নিয়ে। বেলজিয়াম মূলত পশ্চিম ইউরোপের দেশ। সুন্দর এই দেশে আবেদনের বিস্তারিত এখন জেনে নেওয়া যাক- তাহলে চলুন শুরু করি।

Study in Belgium
Image Source: pixabay.com

দেশ পরিচিতি – বেলজিয়াম

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বেলজিয়াম ইউরোপের ছোট ও ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। ৩০,৬৮৯ বর্গ কিলোমিটারের এই দেশে বসবাস করে ১ কোটি ১৪ লক্ষ লোকের বসবাস (২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী)। ১৮৩০ সালে স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস, মুদ্রা ইউরো ও এই দেশের অফিসিয়াল ভাষা তিনটি- ফ্রেঞ্চ, ডাচ ও জার্মান। অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে এই দেশের ৩৯০.২ বিলিয়ন ইউরো। শীতকালের গড় তাপমাত্রা ৩.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস আর গ্রীষ্মকালের গড় তাপমাত্রা ১৮.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। মূলত বেলজিয়াম শীত প্রধান দেশ ও আটলান্টিক সাগরের কারণে এই দেশে বাতাসের আদ্রতা বেশি।

বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স নির্বাচন

বেলজিয়ামে বিশ্বমানের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এখানে পড়াশুনার মাধ্যম হল ডাচ। এদেশে ব্যাচেওর প্রোগ্রাম সাধারণত ডাচ ভাষাতেই পরিচালিত হয়। কিন্তু মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রাম ইংরেজী মাধ্যমে অফার করা হয়ে থাকে। এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল, পরিবেশ বিজ্ঞান, মেডিকেল সাইন্স সহ ব্যবসায় প্রশাসনের বিভিন্ন কোর্স অফার করা হয়ে থাকে। এজন্য আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইট খুঁজতে হবে- আর বাছাই করে নিতে হবে আপনার পছন্দের কোর্স।

আপনাদের সুবিধার্থে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিচে দেওয়া হলঃ

Katholieke Universiteit Leuven (KU Leuven)

https://www.kuleuven.be/english

University of Ghent

http://www.ugent.be/en

Université Catholique de Louvain (UCL)

https://www.uclouvain.be/en-index.html

Vrije Universiteit Brussel (VUB)

http://www.vub.ac.be/en/

Universite Libre de Bruxelles (ULB)

http://www.ulb.ac.be/ulb/presentation/uk.html

University in Belgium
Image Source: Internet

ভাষাগত যোগ্যতা

ইংরেজী মাধ্যমে পড়তে আপনাকে IELTS পরীক্ষা দেবার প্রয়োজন পড়বে। আপনাকে IELTS-এ অর্জন করতে হবে ন্যূনতম ৬.০ থেকে ৬.৫ । যদি আপনি ৬.৫ পান তাহলে আপনার আবেদন সহজেই গৃহীত হবে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে আপনার পূর্ব ডিগ্রী (যেমনঃ ব্যাচেলর)-এ আপনার Medium of Instruction যদি ইংরেজী হয় তাহলে আপনি IELTS ছাড়াই আবেদন করতে পারবেন।

ডকুমেন্ট সত্যায়ন

সকল একাডেমিক কাগজপত্র সত্যায়িত করতে হবে যথাক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বেলজিয়াম এম্বেসী কনস্যুলেট দ্বারা।

ঢাকা বেলজিয়াম কনস্যুলেটরের ঠিকানা নিচে দেওয়া হলঃ

Honorary Consulate Dhaka

ACI Centre – 245 Tejgaon Industrial Area, 1208 Dhaka Bangladesh

+8802 88 786 03 (Ext. 280)

[email protected]

www.consubel.net (under construction)

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া

ভর্তির জন্য প্রথমেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট থেকে Admission Office এ যোগাযোগ করে মেইল এর মাধ্যমে সকল বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করুন। সেই অনুযায়ী কাগজপত্র গুছিয়ে ফেলতে হবে আর আবেদন করতে হবে। আর প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস বেলজিয়ামের কনস্যুলেটর মহোদয়ের কাছ থেকে সত্যায়িত করে আনতে হবে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হয় ডাকযোগে- সেক্ষেত্রে হাতে সময় নিয়েই আবেদন করতে হবে। আবার যদি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন আবেদন গ্রহণ করে, তাহলে তো কথাই নেই স্ক্যান করে ডকুমেন্টস দিয়ে আবেদন করে ফেলুন।

আপনার কাগজপত্র সব ঠিক ঠাক থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে পাঠিয়ে দিবে Acceptance Letter. এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের Dutch Language Centre-এ আবেদন করতে হবে (যদি ডাচ মাধ্যমে পড়তে চান)। ডাচ ভাষা শেখার জন্য আপনাকে ২৫০০ থেকে ৪০০০ ইউরো খরচ করতে হবে। Dutch Language Centre থেকেও আপনাকে একটি Acceptance Letter পাঠাবে।  যদি ইংরেজী মাধ্যমে পড়াশুনা করতে চান তাহলে IELTS এর কপি দিলেই চলবে।

এবার এই দুইটি Acceptance Letter পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে ব্যাংক একাউন্টস নাম্বার প্রদান করবে টিউশন ফি প্রদান করার জন্য। তারপরেই আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

Students in Belgium
Image Source: pixabay.com

এডমিশনের জন্য যেসকল কাগজপত্র আপনাকে প্রেরণ করতে হবে তার একটি লিস্ট নিচে দেওয়া হল।

১। পূরণকৃত আবেদন ফর্ম

২। পরিচিতি ডকুমেন্ট

৩। সকল সার্টিফিকেট ও মার্কশীট

৪। মোটিভেশন লেটার/ সিভি/ রেফারেন্স লেটার

৫। আইইএলটিএস / মিডিয়াম অফ ইন্সট্রাকশন সার্তফিকেট

টিউশন ফি

বেলজিয়ামে বার্ষিক টিউশন ফি ৮৩৫ ইউরো থেকে ৯০০০ ইউরো পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই ফি বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে তৃতীয় বিশ্বে দেশের জন্য বিশেষ কিছু ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এই সকল তথ্যাদি আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে পেয়ে যাবেন।

এই দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন স্কলারশিপের সুযোগ রয়েছে- আর এই সকল স্কলারশিপগুলো আংশিক বা পুরো টিউশন ফি সহ মাসিক ভাতা দিয়ে থাকে। এই সকল তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে স্কলারশিপ সেকশনে পেয়ে যাবেন।

আর্থিক সচ্ছলতার প্রমান/ব্যাংক সলভেন্সি

ব্যাংক সলভেন্সির জন্য আপনাকে নিজে একাউন্টসে (৬৭০ ইউরো x ১২) = ৮০৪০ ইউরো রাখতে হবে। যাতে ঐ দেশে দিয়ে থাকা খাওয়া হেলথ কেয়ার নিয়ে কোন সমস্যায় পড়তে না হয়।

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

বাংলাদেশে ভিসা কনস্যুলেট থাকলেও ভিসা অফিস নেই। তাই ভিসার জন্য আপনাকে যেতে হবে ইন্ডিয়ার দিল্লীতে। ইন্ডিয়ায় অবস্থিত ভিসা অফিসের ঠিকানা নিচে দেওয়া হলঃ

Embassy New Delhi

50-N Shantipath, Chanakyapuri, 110021 New Delhi, India.

T: +91 11 424 280 00 – Embassy

T: +91 11 424 280 40 – Visa matters every working day between 11.30am and 1pm (check status of applications in process)

Mail: [email protected]

[email protected]

[email protected] (visa)

F: +91 11 424 280 02

Opening hours:

The embassy is open to the public from Monday to Friday between 9am and 1pm and between 1.30 and 5pm.

ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের চেকলিস্ট নিচে দেওয়া হলঃ

১। পূরণকৃত আবেদন ফর্ম ও সাথে সংযুক্ত পাসপোর্ট সাইজের ছবি

২। পাসপোর্ট (১ বছরের ভ্যালিডিটি থাকতে হবে)

৩। অফার লেটার

৪। সিভি বা জীবন বৃত্তান্ত/ মোটিভিশন লেটার

৫। সকল সার্টিফিকেট ও মার্কশীট

৬। আইইএলটিএস কপি

৭। ব্যাংক সলভেন্সি ডকুমেন্টস (ইনকাম ট্যাক্স ও আয়ের উৎস)

৮। টিউশন ফি পেমেন্ট-এর কপি

৮। মেডিকেল সার্টফিকেট

৯। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (আপনার বয়স ২১ বছরের বেশি হলে)

Life in Belgium
Image Source: pixabay.com

আবাসন ব্যবস্থা এবং জীবন যাত্রার ব্যয়

বেলজিয়ামে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রায় হোস্টেল সুবিধা রয়েছে। তবে আপনি বাইরে থাকতে চাইলে তাও পাবেন। শেয়ারড কিম্বা সিঙ্গেল ফ্লাট সব সুবিধাই রয়েছে এই দেশে।

বেলজিয়ামে থাকা খাওয়ার বাবদ ৪০০-৮০০ ইউরো খরচ হবে। তবে এই খরব ব্যক্তি বিশেষের উপর নির্ভর করে। আপনার রুচি ও জীবনযাত্রা ও কোথায় কিভাবে আছেন তার উপরে এই খরচ ১০০০ ইউরোর উপরেও যেতে পারে।

পার্ট টাইম জব

ইউরোপের এই দেশে আপনি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা পার্ট টাইম চাকুরী করার সুযোগ পাবেন। আর সামারে চাইলে পুরো দস্তুর কাজ করার সুযোগ পাবেন। বেলজিয়ামে যদিও অফিসিয়ালি ৩ টি ভাষা আছে, তবে ডাচ ভাষার প্রাধান্য বেশি। আর এই ডাচ ভাষা জানা না থাকলে আপনার পার্ট টাইম চাকুরীর আশা অনেকটাই গুড়ে বালি।

কোর্স শেষে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ

বেলজিয়ামে একটানা ৫ বছরের বেশি সময় থাকলে আপনি এই দেশে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বেলজিয়াম নিয়ে আলোচনা আমার আজ এখানেই শেষ করছি। এই সুন্দর দেশে আবেদন করতে চাইলে দেরি না করে নিজেকে তৈরী করে আবেদন করুন- এখনি। শুভ কামনা রইলো।

Life in Belgium
Image Source: Internet

তথ্যসুত্রঃ

error: Alert: Content selection is disabled!!