Loading...
November 23, 2022

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় শিক্ষা অর্জনের ডেস্টিনেশন হল ইংল্যান্ড, যাকে সাংবিধানিক ভাষায় বলা হয় United Kingdom of Great Britain and Northern Ireland. সভ্যতা, জ্ঞান-বিজ্ঞানে এই দেশের ইতিহাস বহু সমৃদ্ধ- বহু প্রাচীন। জ্ঞানের অন্যতম পীঠ হল এই দেশ। তাই তাবদ দুনিয়ার জ্ঞান পিপাসুরা ভিড় জমায় এই দেশে এসে। আর শিক্ষার্থীদের চাহিদার দিকে তাকিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তাদের বিভিন্ন রকম প্রতরণার ফাঁদে ফেলছে। অনেকে আবার না বুঝে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে নাম-সর্বস্ব বিশ্ববিদ্যালয়ে। যখন তাদের ভুল তারা বুঝতে পারে, ততদিনে অনেক দেরি হয়ে যায়। তাই আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে যাচ্ছি, ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য আপনার যা যা প্রয়োজন হবে তার বিস্তারিত বিবরণ। তাই, যদি স্বপ্ন হয় ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা তাহলে আর দেরি না করে আর্টিকেলটা পড়ে দেখুন, বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে দিন আর নিজেই করুন নিজের আবেদন।

কেন ইংল্যান্ডে পড়তে যাবেন?

ইংল্যান্ড বিশ্বজুড়ে পড়াশুনা করার জন্য অন্যতম স্থান। প্রতি বছর এই পূন্যভূমিতে বিদ্যার্জনের জন্য পাড়ি দেয় প্রায় ৫,০০,০০০ জ্ঞানপিপাসু। এখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অফার করা হয় ৫০,০০০ এর বেশি কোর্স আর আছে ২৫ এর বেশি সাবজেক্ট এরিয়া। আর বিশ্বে চাকুরীদাতা থেকে শুরু করে সকল নামী-দামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংল্যান্ডের ডিগ্রীর কদরও কম নয়। তাই বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে ও নিজেকে বৈশ্বিক পরিমন্ডলে তুলে ধরার জন্য আপনার গন্তব্যও হতে পারে ইংল্যান্ড।

Study in England
Image Source: pexels.com

ইংল্যান্ডে পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

ইংল্যান্ডে ৩-৪ বছরের ব্যাচেলর কোর্সে ভর্তি হতে প্রয়োজন পড়বে ১২ বছরের শিক্ষা জীবনের আর সাথে প্রয়োজন পড়বে IELTS স্কোর কমপক্ষে ৬.০ -৬.৫। আর মাস্টার্স প্রোগ্রামে পড়তে যেতে প্রয়োজন পড়বে ১৬ বছরের শিক্ষা জীবন ও সাথে IELTS স্কোর ৬.৫ – ৭.০। এদেশে পড়াশুনা করতে আপনাকে আপনার একাডেমিক কোর্সে ৫০-৫৫ শতাংশের বেশি মার্ক্স অর্জন করে আসতে হবে।

কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

ইংল্যান্ডে নানা ধরণের কোর্স অফার করা হয়। আর আপনি ডিপ্লোমা, কারিগরী কোর্স, ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পোস্ট গ্রাডুয়েট ডিপ্লোমা, পিএইচডি- সব ধরণের কোর্সের জন্য আসতে পারেন ইংল্যান্ডে। আপনি আপনার ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে বেছে নিবেন আপনার জন্য বেস্ট কোর্স। সাধারণত ইংল্যান্ডে Business School, Hospitality, Tourism and Hotel Management, Pure Science and Engineering, Education Science, Law ও Health & Medicine – এই সব স্কুলের কোর্সগুলো খুবই জনপ্রিয়। MBA, MSC, BBA, ACCOUNTING, MARKETING, HRM, ENGINEERING, LAW, IT, SOCIAL SCIENCE, PUBLIC HEALTH, PHARMACY, DIPLOMA সহ আরও নানা ধরনের বিষয়ে পড়াশুনা করতে পারবেন ।আপনি এই ইন্ডান্স্ট্রিতে অনেক জবও পাবেন। তাই, ভেবে দেখুন ও সময় নিয়ে ঠান্ডা মাথায় নিজের পছন্দের কোর্স বেছে নিন।

ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী ছাত্রছাত্রীকে প্রথমে ব্রিটিশ কাউন্সিলে যোগাযোগ করতে হয়।ইংল্যান্ডে পড়াশোনার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ কাউন্সিল একটি তথ্য সম্ভার হিসেবে কাজ করে। ব্রিটিশ কাউন্সিল শিক্ষার্থীদের ইংল্যান্ডের কোর্সগুলো ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে থাকে।

ইংল্যান্ডে বিশ্ববিদ্যালয়েরও অন্ত নেই। তবে যে বিশ্ববিদ্যালয়েই যান-না-কেন, সে বিশ্ববিদ্যালয় সমন্ধে আগে একটু অন-লাইন রিসার্চ করে নিতে ভুলবেন না। কারণ, অনেকেই ভুলে করে এমন অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেন, যাদের কোর্স অফার করার লিগাল অথরিটি নেই। World Ranking-এ আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান দেখে নিন। আপনাদের সুবিধার্থে নিচে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেওয়া হল, খুঁজে দেখুন আর পছন্দ করে দেখুন আপনার জন্য প্রযোজ্য কোর্স কোনটি হবেঃ

  1. University of Oxford
  2. University of Cambridge
  3. Imperial College London
  4. UCL
  5. London School of Economics and Political Science
  6. University of Edinburgh
  7. King’s College London
  8. University of Manchester
  9. University of Warwick
  10. University of Bristol
University in England
Image Source: pexels.com

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

ইংল্যান্ডে বছরে দুইটি সেশন আছেঃ

১। অটাম সেশন ও

২। স্প্রিং সেশন

অটাম সেশন শুরু হয় সাধারণত সেপ্টেম্বর – জানুয়ারি মাসে আর স্প্রিং সেশন শুরু হয় জানুয়ারি – জুন মাসে। ইংল্যান্ডে বিভিন্ন ধরণের ও বিভিন্ন ক্যাটাগরীর বিশ্ববিদ্যালয় আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট খুঁজে দেখলে আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় তথ্য পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে পাবেন ভর্তির আবেদন পত্র, সেখান থেকে ডাউনলোড করে নিয়ে করতে পারবেন আবেদন। আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আবার দেয় অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ। আপনি যে কোন তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারবেন এডমিশন অফিসের সাথে- তারা আপনাকে সার্বিক সহায়তা প্রদান করবে। ইংল্যান্ডে ভর্তির আবেদন বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার- প্রায় ৭-৮ মাস সময় লেগে যায়, সব কিছু প্রসেস করতে। তাই হাতে প্রায় ১ বছর সময় নিয়ে আবেদন করতে হবে।

নিচে ইংল্যান্ডে আবেদনের জন্য মূল ডকুমেন্টসগুলোর তালিকা দেওয়া হলঃ

১। একাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট- অবশ্যই ইংরেজীতে ও নোটারাইজ করে দিতে হবে।

২। IELTS এর সনদ

৩। CV, মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার

৪। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ছাড়পত্র

৫। পাসপোর্টের কপি

পড়াশোনার খরচ ( টিউশন ফি) ও স্কলারশিপ

বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্সভেদে ইংল্যান্ডে পড়াশুনার ব্যয় অনেক কম-বেশি হয়। এই দেশে পড়াশুনার ব্যয় ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই বেশি মূলত ফাউন্ডেশন কোর্স বা প্রিলিমিনারি কোর্সে পড়তে প্রতি বছর খরচ হয় ৪,০০০-১২,০০০ পাউন্ড। কলা বিষয়ে পড়তে প্রতি বছর খরচ হবে অনুমানিক ৭,০০০ – ৯,০০০ পাউন্ড। আবার, বিজ্ঞান বিষয়ে পড়তে আপনার প্রয়োজন পড়বে ৭,০০০ – ১২,০০০ পাউন্ড। মেডিক্যাল বিষয়ে পড়তে সব জায়গায় খরচ একটু বেশিই হয়। সাধারণত মেডিক্যাল সাইন্সে আপনার খরচ ১০,০০০ – ২১,০০০ পাউন্ড। ইংল্যান্ডে বিজনেস স্কুল বেশ জনপ্রিয়। এখানে বিজনেস স্কুলে পড়তে প্রতি বছর ৪,০০০ পাউন্ড থেকে ৩০,০০০ পাউন্ড খরচ হবে।

Students in England
Image Source: pixabay.com

ইংল্যান্ডে পড়াশুনার খরচ বেশি হলেও এখানে অনেক ধরণের স্কলারশিপেরও সুযোগ আছে। সরকারি স্কলারশিপের পাশাপাশি রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন স্কলারশিপ প্রোগ্রাম। আপনি বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েব সাইটেই পাবেন বিভিন্ন স্কলারশিপের খবরা-খবর।

আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ

ইংল্যান্ডে পড়তে আপনাকে টিউশন ফি ও লিভিং কস্ট বাবদ ব্যাংকে ১০,০০০ – ১৫,০০০ পাউন্ড দেখাতে হবে। এই পরিমাণ অর্থ আপনাকে কমপক্ষে ১ মাস আপনার একাউন্টসে আছে এমন দেখাতে হবে। তবে চিন্তা নেই- ভিসা পাওয়ার পর এই টাকা আপনি তুলে ফেলতে পারবেন। জার্মানীর মত ব্লক একাউন্টসে টাকা রাখতে হবে না আপনাকে।

ভিসার জন্য আবেদন

ইংল্যান্ডে ভিসার কাজ শেষ করতে ৩ থেকে ৩.৫ মাস সময় লাগে। তাই সময় নিয়ে আবেদন করতে হবে।

ইংল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসা নামে কোনো ভিসা দেওয়া হয় না। মূলত, স্টাডি পারমিট দেওয়া হয়, যেটাকে স্টুডেন্ট ভিসা বলা হয়। এই স্টাডি পারমিট দিয়ে আপনি ইংল্যান্ডে বসবাস করতে পারবেন না। ইংল্যান্ডে ভ্রমণ ও বসবাসের জন্য আপনাকে টেম্পোরারি রেসিডেন্ট ভিসা অথবা ইলেকট্রনিক ট্র্যাভেল অথোরাইজেশন (ইটিএ) নামক ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

Visa Application - England
Image Source: Internet

এবার জেনে নিন ভিসা আবেদনর জন্য কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন পড়বেঃ

১। পাসপোর্ট ও  ফটোগ্রাফ

২। CV, মোটিভেশন ও রেফারেন্স

৩। সকল মার্কশিট ও সনদ

৪। No Objection  Certificate [শেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে]

৫।  বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার ও টিউশন ফি প্রদানের রশিদ

৬। ব্যাংক সলভেন্সি পেপার

৭। পুলিশ ক্লিয়ারান্স ও হেলথ ইন্স্যুরেন্স ডকুমেন্টস

৮।IELTS এর কপি

৯। মেডিকেল চেক আপ রিপোর্ট

ইংল্যান্ডে থাকাকালীন আপনার খরচ চালানোর জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক যোগান রয়েছে তার প্রমাণপত্র হিসেবে যুক্ত করুন

১. ইংল্যান্ডের ব্যাংকে আপনার নিজের নামের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।

২. ব্যাংক স্টেটমেন্ট।

৩. ব্যাংক ড্রাফট।

৪. এক বছরের থাকা ও পড়ার খরচ পরিশোধ হয়েছে, তার প্রমাণপত্র।

৫. যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আপনার ফান্ডিং দিবে, সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদানকৃত চিঠি।

৬. আপনি যদি কোন স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন, তবে তার প্রমানপত্র।

ইংল্যান্ডে পার্ট টাইম জব ও জীবনযাত্রার ব্যয়

ইংল্যান্ডে আপনি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজ করার সুযোগ পাবেন আর ছুটিতে আপনি ফুল টাইম কাজ করার সুযোগ পাবেন। আবার আপনার সাথে আপনার স্পাউস থাকলে তিনিও কাজ করার সুযোগ পাবেন। বর্তমানে ইউকে গভারন্মেন্ট স্টুডেন্টদেরকে ক্যাম্পাসের বাইরে কাজ করার অনুমতি দিচ্ছে ।

ইংল্যান্ডে আপনি কোথায় বসবাস করছেন তার উপর নির্ভর করবে আপনার দৈনন্দিন খরচ ও আবাসিক ব্যবস্থার জন্য কত খরচ হবে। আপনি চাইলে আবাসিক ব্যবস্থা ও জীবন ধারণের খরচ ৪০০ – ৫০০ পাউন্ডের মধ্যে মেটাতে পারবেন।আপনি কি মানের লাইফ লিড করতে চান তার উপর এটা ডিপেন্ড করে ।

Road in London
Image Source: pexels.com

ইংল্যান্ডে স্থায়ী বসবাস এর সুযোগ

আর আপনি বৈধভাবে ৮ থেকে ১০ বছর থাকার পর PR এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করে রাখি ইংল্যান্ড ২০২১ সাল থেকে তাদের PR সংক্রান্ত নীতিমালায় বেশ কিছু আমূল পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। যদি ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন শিক্ষার্থী পড়াশুন শেষ করেন, তাহলে তিনি ২ বছর মেয়াদী Post Study Work (PSW) ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে। আর আপনি যদি কমপ্লিট করেন পিএইচডি, তাহলে আপনি ৩ বছর মেয়াদী PSW ভিসা। যদি দুর্ভাগ্যবশত এই ভিসার এই সময়ে যদি আপনি কোন জব ম্যানেজ করতে না পারেন, তাহলে আপনি আবার কোন কোর্সে পড়া শুরু করতে পারেন এবং ডবল ডিগ্রী অর্জন করতে পারেন। পরবর্তীতে আবার আপনি PSW ভিসায় আবেদন করতে পারবেন। এই সময়ের মধ্যে আপনি চাইলে, আপনার বেটার-হাফ (স্বামী/ স্ত্রী)- কে ইংল্যান্ডে নিয়ে আসতে পারেন আর আগেই তো বলেই, আপনার স্পাউস এলে তিনি ফুল-টাইম জব করার সুযোগ পাবেন।

ইংল্যান্ড অপার সম্ভবনার দেশ। এই দেশে আপনি আপনার নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে পারবেন। কিন্তু, ইংল্যান্ডে যেমন সম্ভবনা তৈরী হয়েছে, তেমনি প্রতারক চক্রও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তাই যাচাই বাছাই করে আবেদন করুন আর গড়ে তুলুন নিজের ভবিষ্যৎ।

City of London
Image Source: pixabay.com

তথ্যসুত্রঃ

November 22, 2022

পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী, অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ আমেরিকা। বলা যেতে পারে, সব সম্ভবের দেশ হল আমেরিকা। আর রিসার্চ, পড়াশুনা, জ্ঞানচর্চার আর এরপর ভালো সুযোগ ও বেতনের চাকুরির জন্য সবচেয়ে ভালো ডেস্টিনেশন এখন আমেরিকা। আর বিশ্বের সকল দেশের একগুচ্ছ ভালো শিক্ষার্থী প্রতি বছর জড়ো হচ্ছে এই United Stated of America-এ আর গড়ে তুলছে নিজেরদের ভবিষ্যৎ। অন্যভাবে দেখলে বলা যায়, বিশ্বে পরিশ্রমী ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আমেরিকা তৈরী করেছে অপার সুযোগ ও নিশ্চিত ভবিষ্যৎ- আর এই শক্তিশালী মেধাবীরাই গড়ে তুলেছে উন্নত আমেরিকা। বিশ্বের সব দেশের সব ভাষার শিক্ষার্থীদের আমেরিকা নিয়ে উৎসাহের কমতি নেই- আর সেই উৎসাহের ও উদ্দীপনার কথা মাথায় রেখে আজ আমরা আপনাদের তুলে ধরছি আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার বিষয়ে।

কেন আমেরিকায় পড়তে যাবেন?

জ্ঞান-বিজ্ঞানের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, আগে প্রাচ্য ছিল জ্ঞানের আধার। চীন, ভারতীয় উপমহাদেশে মানুষ আসত জ্ঞান লাভের জন্য। কালের পরিক্রমায় আজ পাশ্চাত্যের আমেরিকা হয়েছে জ্ঞান ও বিজ্ঞানের আখড়া। শুধু আপনি জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা করে আনন্দিত হবেন আমেরিকায় তাই নয়- পরবর্তীতে ভালো চাকুরী প্রাপ্তির সম্ভবনা ও সুযোগ সবটাই আছে এই দেশে। সাধারণ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা বাৎসরিক ৫০-৬০ হাজার ডলার রেমুনারেশন পেয়ে থাকে। আর ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা এই দেশে আরো কিঞ্চিৎ বেশি। অনেক ক্ষেত্রে আপনার বাৎসরিক বেতন আরো বেশি হতে পারে। বুঝতেই পারছেন- এই দেশে টেকনিক্যাল বিষয়ে চাকুরীর সুযোগ অনেক অনেক বেশি ও সম্ভবনাময়।

Statue of Liberty
Image Source: pixabay.com

আমেরিকা ৫০ টি স্টেটস বা অঙ্গরাজ্য নিয়ে গঠিত যার আয়তন ৯৮,৩৩,৫২০ বর্গকিলোমিটার আর জনসংখ্যা ৩২৮ মিলিয়ন। এই দেশের রাজধানী ওয়াশিংটন ডি,সি আর সবচেয়ে বড় শহর নিউ ইয়র্ক। অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ এই দেশের জিডিপি ২২.৩ ট্রিলিয়ন। আর আবহাওয়া এই দেশের অঞ্চলভেদে পরিবর্তন করে আর এই দেশের মধ্যেই আছে ৯টি স্টান্ডার্ড টাইম জোন। তাহলে বুঝতেই পারছেন, এই দেশ কতটা বড় আর কতটা বৈচিত্র্যময়।

আমেরিকায় পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

আপনি যদি অনার্স বা ব্যাচেলর পড়তে যেতে চান, তাহলে SAT বা ACT পরীক্ষায় বসতে হবে। এরপর আপনার পছন্দের কলেজ কিম্বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফর্ম ফিলাপ করে আবেদন করতে হবে। ব্যাচেলরে বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজগুলো মূলত তাদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে- কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে ভর্তি করে না। আর ব্যাচেলর কোর্সে প্রথম দুই বছর সব ডিসিপ্লিনে একই বিষয় পড়ানো হয়। তাই, কোন নির্দিষ্ট বিষয় না সিলেক্ট করেই আপনি প্রথম দুই বছর পার করে দিতে পারেন। পরবর্তীতে আপনি আপনার যোগ্যতা ও মেধা অনুযায়ী, আপনার কোর্স বেছে নিতে পারবেন।  আর মাস্টার্স করতে গেলে আপনাকে GRE/ GMAT স্কোর প্রয়োজন পরবে। মাস্টার্সে গেলে আপনাকে আপনার ব্যাচেলরের ডিগ্রীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যে কোন বিষয় নির্বাচন করে নিতে হবে। মাস্টার্সে দুইটি ক্যাটেগরী থাকেঃ কোর্স বেজড ও থিসিস বেজড।

আমেরিকায় পড়তে যাবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নূন্যতম রিকোয়ারমেন্ট থাকে GRE/GMAT আর  IELTS/TOEFL। অর্থাৎ, বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার জন্য এই যোগ্যতা থাকতে হবে- মূলত এই স্কোর আপনার ভর্তি নিশ্চিত করে না। যদিও ভালো GRE/ GMAT স্কোর ভর্তির দৌড়ে আপনাকে এগিয়ে রাখবে। আমেরিকায় বিভিন্ন রেঞ্জের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে- আপনি আপনার সুবিধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী অনেক বিশ্ববিদ্যালয় পেয়ে যাবেন।

কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

আমেরিকায় আপনি পড়তে পাড়বেন যেকোন বিষয়। বিজ্ঞানের যে কোন শাখায়, ইঞ্জিনিয়ারিং-এর যেকোন অঙ্গনে, বিজনেস স্কুলের যেকোন অলি-গলি কিম্বা মেডিকেল টেকনোলজী বা সাইন্স সব বিষয়েই পড়তে পারবেন। তবে আমেরিকায় কেমিস্ট্রি, ফিজিক্স, ম্যাথ, বায়োলোজী, বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন, আইন, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বা মূলত গবেষণামুলক বিষয়ে পড়তে বেশি উৎসাহিত করা হয়। প্রযুক্তিবিদ্যা ও এপ্লাইড সায়েন্সর কদর এই মুলুকে একটু বেশি।

কোন ইউনিভার্সিটি বেছে নেবেন? কেন বেছে নেবেন?এ ব্যাপারে কখন কিভাবে আগাবেন? ব্যাপারগুলো খুব কনফিউজিং বলে মনে হতে পারে। কিন্তু একটু পরিচিত হয়ে গেলে সেটা সহজ হয়ে আসবে আপনার জন্য।

Harvard University USA
Image Source: Internet

কোন ইউনিভার্সিটি সেরা এটা একটা খুব সাধারন জিজ্ঞাসা। আর এই জিজ্ঞাসাকে সামনে রেখে ইউএসনিউজ প্রতিবছর একটা র‍্যাঙ্ক লিস্ট (https://www.usnews.com/best-graduate-schools) প্রকাশ করে। এই র‍্যাঙ্ক লিস্টকে মোটামুটি সবাই বেশ ভাল বলেই মেনে নেয়। এই র‌্যাঙ্কিং করার সময় ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকের কোয়ালিটি, তাদের মোট প্রকাশ করা পেপার, সেই পেপারগুলোর মান, ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রদের দেয়া আর্থিক সাহায্য এই সবকিছুকে বিবেচনা করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটিতে পার্কিং সুবিধার মত অদরকারী বিষয়গুলোও বিবেচনা করা হয়, সেজন্য অনেকে এই র‌্যাঙ্কিং প্রথার বিরুদ্ধে মতামত দিয়ে থাকেন। এই র‍্যাঙ্ক লিস্টটা দেখতে হলে পয়সা দিতে হয়। তাই কেবল উপরের দিকের কয়েকটা ইউনিভার্সিটির নাম দেখা ছাড়া আর কিছুই করা যায় না এ দিয়ে।

 

আমেরিকায় বিশ্বমানের অনেক অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এই দেশে গড়ে উঠেছে বিশ্বের নামী দামী বিশ্ববিদ্যালয়। আপনি আপনার যোগ্যতা ও মেধা দিয়ে নিজের আসন জোগাড় করে নিতে পারবেন এইসব বিশ্ববিদ্যালয়ে। নিচে আমেরিকার কয়েকটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম তুলে ধরা হলঃ

১। Massachusetts Institute of Technology

২। Stanford University

৩। Harvard University

৪। California Institute of Technology

৫। University of Chicago

ফান্ড বা স্কলারশিপ এর সুযোগ

ফান্ড বা স্কলারশিপ পেতে গেলে আপনাকে থিসিস বেজড মাস্টার্স নির্বাচন করে প্রফেসর খুঁজে নিয়ে তার আন্ডারে রিসার্চ করার জন্য যেতে হবে।  আপনাকে প্রফেসরদের খুঁজে তাদের রিসার্চ এরিয়া-ভিত্তিক নিজের পোর্ট-ফোলিও সাজিয়ে তাকে মেইল করতে হবে এবং তাকে কনভিন্স করতে হবে। প্রফেসররা সাধারণত স্কাইপি, অথবা অন্য মিডিয়ামে আপনার ইন্টারভিউ নিয়ে থাকে। আমেরিকায় প্রফেসররা অনেক ক্ষমতার অধিকারী। তারা চাইলে আপনাকে ডিরেক্ট এডমিশন দিতে পারেন। প্রফেসর আপনাকে রিকমেন্ডেশন করলে, বিশ্ববিদ্যালয় অথরিটি আপনাকে ভর্তির বিষয়ে অনেক সহায়তা করে থাকে আর স্কলারশিপ পেতে আর কোন বাধা থাকে না। অনেক সময় প্রফেসর তার কাছে বরাদ্দ রিসার্চ ফান্ড থেকে আপনাকে RA (Research Assistant) পোস্ট অফার করে থাকে অথবা আপনাকে TA (Teacher’s Assistant) অফার করে কোর্স ফি দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। অন্যদিকে পিএইচডি মাত্রই রিসার্চ বেজড। তাই রিসার্চ করার মন ও মানসিকতা নিয়েই আপনাকে পিএইচডি-তে এপ্লাই করতে হবে।

ভাষাগত দক্ষতা

ভাষাগত দক্ষতার জন্য আপনাকে বসতে হবে TOEFL অথবা IELTS পরীক্ষায়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রিকোয়ারমেন্ট ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই আপনি আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চান, সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তির জন্য কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন পরবে দেখে নিন। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভর্তির জন্য TOEFL/ IELTS চায় না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় না চাইলেও এই পরীক্ষা দিয়ে রাখা ভালো- তাহলে ভিসা প্রাপ্তিতে সুবিধা হবে।

Image Source: Internet

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

আমেরিকায় ভর্তির জন্য প্রথমেই আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং আবেদন ফি জমা দিতে হবে। আবেদন ফি জমা না দেওয়া পর্যন্ত আবেদন প্রসেস শুরু হবে না। আমেরিকায় আপনি ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডি সকল ধরণের প্রোগ্রামে যাবার সুযোগ আছে।

আমেরিকায় বছরে তিনটি সেমিস্টার থাকে, যথাঃ Spring সেমিস্টার, Summer সেমিস্টার ও Fall সেমিস্টার। Spring সেমিস্টার জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত আর Summer সেমিস্টার মে থেকে জুলাই পর্যন্ত হয়ে থাকে। মূলত Fall Semester এ International Student ভর্তি কয়া হয়ে থাকে এবং এই সময়েই বেশি স্কলারশিপ অফার করা হয়ে থাকে। Fall Semester এর ব্যাপ্তি আগস্ট থেকে ডিসেম্বর। মনে রাখবেন প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়সীমা আলাদা। তাই আবেদনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে দেখে নেওয়া উচিত আর কোন বিভ্রান্তি থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন আফিসে যোগাযোগ করা উচিত।

নিচে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিয়া দেওয়া হলঃ

১। সকল একাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট [অবশ্যই ইংরেজীতে হতে হবে]

২। রিকমেন্ডেশন বা রেফারেন্স লেটার- এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনার সম্পর্কে ভালো কমেন্ট থাকতে হবে।

৩। Statement of Purpose (SOP)

৪। পাসপোর্টের কপি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি

৫। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র

৬। TOEFL/IELTS এবং GRE/GMAT [For Post-Grad] বা SAT/ACT [For Under graduation]

আমেরিকার অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য রিকোমেন্ডেশন লেটার প্রয়োজন পরে- তাই আপনার সমন্ধে যিনি পজিটিভ লিখবেন সেরকম কোন স্বনামধন্য প্রফেসরের কাছ থেকে রিকোমেন্ডেশন লেটার নেওয়ার চেষ্টা করুন। রিকোমেন্ডেশন লেটার আপনার ভর্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অপর যে ডকুমেন্টসটি আপনার প্রয়োজন পরবে সেটা হল স্টেটমেন্ট অব পারপাস। তাই অত্যন্ত যত্নশীল হয়ে স্টেটমেন্ট অব পারপাস লেখার চেষ্টা করুন।এ ব্যাপারে জানতে  http://www.statementofpurpose.com/ ।

এই সমস্ত জিনিস ছাড়াও অনেক ইউনিভার্সিটি স্পেশাল জিনিস পত্র চাইতে পারে। যেমন অনেকের আপনার ইউনিভার্সিটির নম্বরের আর্ন্তজাতিক ইক্যুইভ্যালেন্ট নম্বর চাইতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাকে ডব্লিউ.ই.এস. (http://www.wes.org/) বলে একটি সার্ভিসের শরনাপন্ন হতে হবে। তাদের কাছে আপনার রেজালটের এক কপি পাঠালে তারা আপনার ইউনিভার্সিটির কাছ থেকে আরো এক কপি চাইবে। এই দুই কপিকে যাচাই করে ইউএস ইকুইভ্যালেন্ট নাম্বার পাঠাবে আপনার পছন্দের ইউনিভার্সিটিতে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৬ থেকে ৮ মাসের মত সময় নেয় ভর্তি বিষয়ক তাদের ফলাফল জানানোর জন্য। তাই হাতে কমপক্ষে ১ বছর সময় নিয়ে আবেদন করুন।

সাহায্য নিতে পারেন নিম্মোক্ত ওয়েবসাইট সমুহের –

১। https://educationusa.state.gov/

২। https://www.commonapp.org/

Students- USA
Image Source: Internet

পড়াশোনার খরচ ( টিউশন ফি) ও স্কলারশিপ

আমেরিকায় ব্যাচেলর প্রোগ্রামে আপনার সব মিলিয়ে খরচ হবে ১৫ – ২০ লাখ টাকা। আর মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য প্রতি টার্মে ৩০,০০০ থেকে ৭০,০০০ টাকা খরচ হবে।

আমেরিকায় ব্যাচেলর লেভেলে স্কলারশিপের সুযোগ ক্ষীণ। কিন্তু মাস্টার্স প্রোগ্রামে স্কলারশিপের সু্যোগ তুলনামূলক বেশি। আমেরিকায় ন্যাশনাল স্কলারশিপ প্রোগ্রামের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও স্কলারশিপ পাওয়া যায়।

ভিসার জন্য আবেদন

আমেরিকার এম্বেসী বাংলাদেশে আছে তাই আপনি ঢাকাস্থ আমেরিকান এম্বেসী থেকে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত অফার লেটার ও প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সমেত আবেদন করতে হবে ভিসার জন্য।

নিচে কাগজপত্রের জন্য প্রয়োজনীয় তালিকা দেওয়া হলঃ

১। পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম

২। পাসপোর্ট ও  ফটোগ্রাফ

৩। CV, Statement of Purpose (SOP)  ও রেফারেন্স

৪।সকল মার্কশিট ও সনদ, IELTS-GRE সনদ

৫। No Objection  Certificate [শেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে]

৬।  অফার লেটার

৭। ব্যাংক সলভেন্সি পেপ্যার

৮। ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট

৯। পুলিশ ক্লিয়ারান্স

১১। হেলথ ইন্স্যুরেন্স ও মেডিক্যাল রিপোর্ট

সব কিছু ঠিকমত রুল অনুযায়ী জমা দিতে হবে। ছোট খাট ভুলের জন্যই ভিসা রিজেক্ট হয়।

Hollywood Sign - USA
Image Source: pexels.com

আমেরিকায় আবাসন ব্যবস্থা ও জীবন-যাপন খরচ

আমেরিকায় যাবার আগেই আপনাকে করতে হবে সেইদেশে থাকার ব্যবস্থা। সাধারণত প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব হোস্টেল ব্যবস্থা। কিন্তু এইসব হোস্টেল তুলনামূলক ব্যয়বহুল। তাই আপনি চাইলে যাতায়াত ব্যবস্থা, দূরত্ব ও অন্যান্য হিসেব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আসে-পাশে আপনার স্বাচ্ছন্দ্য অনুযায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারেন। এজন্য আপনি পাবেন মোড়েল। শেয়ারড ফ্ল্যাট, পেইং গেস্ট সুবিধাসহ অনেক ব্যবস্থা।

পার্ট টাইম জব ও স্থায়ী বসবাসের সুযোগ

আমেরিকায় পার্ট টাইম জবের সুযোগ রয়েছে সপ্তাহে ২০ ঘন্টা। ব্যাচেলর স্টুডেন্টদের প্রথম ১ বছর জব করার সুযোগ থাকে না। ইউনিভার্সিটিতে ঘন্টা ভিত্তিক কাজ খুব সুলভ না হলেও মোটামুটি পেতে খুব সমস্যা হয় না। ব্যাচেলরের স্টুডেন্টগণ চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ করতে পারেন। এসব কাজ করলে আপনি ঘন্টায় ৬-২৫ ডলার করে আয় করতে পারবেন।  সমস্যা এখানে থাকা-খাওয়ার খরচটা উঠে আসলেও টিউশনটা আপনাকেই পরিশোধ করতে হবে।

আমেরিকায় পড়াশুনার শেষে ১-৩ বছরের Work Permit পাবেন। এরপর বিভিন্ন শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আপনি নাগরিকত্ব পাবেন। আমেরিকায় নাগরিকত্ব পেতে আপনাকে সেখানে থাকতে হবে কমপক্ষে বছর দশেক।

Life in USA
Image Source: Internet

তথ্যসুত্রঃ

November 22, 2022

নিজেই করুণ নিজের আবেদনের আজকের পর্ব সাজানো হয়েছে বিশ্বের অন্যতম এক ধনী দেশকে নিয়ে, যে দেশ উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে অবস্থিত এবং ১৯২১ সালে যুক্তরাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। আমার আশা অনেকেই বুঝতে পেরেছেন আজ  আমরা কথা বলবো আয়্যারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা নিয়ে। তাহলে আর দেরী না করে শুরু করে দেই আজকের আলোচনা আর আপনারাও তৈরি হয়ে যান আয়্যারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষার জন্য – নিজেরাই করে ফেলুন নিজের আবেদন।

কেন আয়ারল্যান্ডে পড়তে যাবেন?

ইউরোপের অন্যতম ধনী দেশ আয়ারল্যান্ড। বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী এখন পাড়ি জমাচ্ছেন আয়ারল্যান্ডে। আয়ারল্যান্ড দেশটির অফিসিয়াল নাম “রিপাবলিক অফ আয়ারল্যান্ড” আর অফিসিয়াল ভাষা আইরিশ ও ইংরেজী। এই দেশটির বৃহত্তম শহর ও রাজধানী হল ডাবলিন। ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতির উৎকর্ষে অবস্থিত এই দেশে মুদ্রা ইউরো। এই দেশ মূলত শীত প্রধান এবং এই দেশের তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। আয়ারল্যান্ডের আয়তন ৭০,২৭৩ বর্গকিঃমিঃ আর  লোকসংখ্যা ৪৭,৫৭,৯৭৬ জন। এই দেশের মাথাপিছু আয় প্রায় ৬৯,০০০ মার্কিন ডলার। তবে আপনাদের জ্ঞাতার্থে বলে রাখি, আয়ারল্যান্ড সেঞ্জেনভুক্ত দেশ নয়। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে উচ্চশিক্ষার আশায় চলে আসছে আয়ারল্যান্ডে।

এই দেশের অন্যতম অফিসিয়াল ভাষা ইংরেজী হওয়ায় অনেক কোর্স রয়েছে ইংরেজী ভাষায়। এই দেশে ব্যাচেলর ডিগ্রি সাধারণত ৩ – ৪ বছরের হয়ে থাকে, মাস্টার্স ১.৫ – ২ বছর এবং ডক্টরেট ৩-৪ বছরের হয়ে থাকে। তাই আপনার জন্যও হতে পারে এই দেশ বিদ্যাশিক্ষার অন্যন্য স্থান।

Study in Ireland
Image Source: internet

কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

আয়ারল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো World Ranking এর তালিকায় উপরের দিকে অবস্থিত হওয়ায় অনেকেই এই দেশে পড়াশুন ও উচ্চ শিক্ষার জন্য আসতে চায়। এদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জনপ্রিয় কিছু কোর্স –

অ্যাকাউন্টিং, অ্যাগ্রিকালচার, অ্যানাটমি, অ্যাপ্লায়েড ম্যাথমেটিক্স, আর্কিটেকচার, ডিজাইন, আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ, অডিও ইঞ্জিনিয়ারিং, অটোমোটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং, এভিয়েশন স্টাডিজ, ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োলজিক্যাল অ্যান্ড ফিজিক্যাল সায়েন্স, বায়োমেডিকেল সায়েন্স, বায়োটেকনোলজি, সিরামিকস, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া, ডান্স, ড্রামা, ই-কর্মাস, ইকোনমিকস, একাউনট্যান্সি, এবরোজিনাল এন্ড ইনডিজিনাস স্টাডি, অলটারনেটিভ মেডিসিন, এনথ্রপলজি, অ্যাপায়েড ম্যাথমেটিকস, একুয়াকালচার, কেমিষ্ট্রি, এনভায়রোনমেন্টাল স্টাডিজ, বিজনেস এন্ড ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করা যায়।

কয়েকটি জনপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ঃ

১. ডাবলিন সিটি ইউনিভার্সিটি (www.dcu.ie )
২. ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব অ্যায়ারল্যান্ড (www.nuigalway.ie )
৩. ট্রিনিটি কলেজ, ডাবলিন (www.tcd.ie )
৪. ইউনিভার্সিটি কলেজ, ডাবলিন (www.ucd.ie )
৫. রকওয়েল কলেজ (www.rockwellcollege.ie )
৬. গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটি (www.gcd.ie )
৭. অ্যাথোলেন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (www.ait.ie )

Study in Ireland
Image Source: internet

আয়ারল্যান্ডে পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

আয়ারল্যান্ডে বছরে দুইটি সেমিস্টার পড়ানো হয়। একটি ফল সেমিস্টার অপরটি স্প্রিং সেমিস্টার। ফল সেমিস্টার চলে আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আর স্প্রিং সেমিস্টার চলে জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত।

ব্যাচেলর প্রোগ্রামে যদি এই দেশে পড়তে চান তাহলে আপনার থাকতে হবে ১২ বছরের শিক্ষাজীবন অর্থাৎ এইচএসসি পাস হতে হবে। আর আপনাকে IELTS-এ ৫.৫ থেকে ৬.০ পয়েন্ট পেতে হবে অথবা TOEFL-এর CBT-তে ২১৩ বা IBTতে ৭৯ থেকে ৮০ পয়েন্ট হতে হবে। অন্যদিকে, আপনি যদি মাস্টার্স প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে চান তাহলে আপনার থাকতে হবে ১৬ বছরের শিক্ষাজীবন অর্থাৎ, আপনাকে শেষ করতে হবে ব্যাচেলর ডিগ্রী। এবং আপনাকে IELTS-এ ৬.০ থেকে ৬.৫ পয়েন্ট পেতে হবে অথবা TOEFL-এর CBT-তে ২১৩ থেকে ২৩৭ বা IBT-তে ৭৯ থেকে ৯৩ পয়েন্ট থাকতে হবে। আপনার GRE/GMAT প্রয়োজন হবে কি না সেটা নির্ভর করবে আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছেন তার উপর।

আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

সাধারণত ফল সেমিস্টারে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয় আয়ারল্যান্ডে। স্প্রিং সেমিস্টারে কোন কোন কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ে অল্প পরিমানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। আবেদন করতে আপনাকে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভর্তি শাখা’ বরাবর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফিসহ আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।

ইউনিভার্সিটিতে আবেদনের জন্য ডকুমেন্টস চেকলিস্টঃ

১। সকল একাডেমিক ডকুমেন্টস ও মার্কশীট

২। পাসপোর্ট/জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি

৩।  অ্যাপ্লিকেশন ফরম

৪। আইইএলটিএস এর সার্টিফিকেট

৫। এপ্লিকেশন ফি পরিশোধের প্রমাণ কপি

University in Ireland
Image Source: internet

আয়ারল্যান্ডে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন ফি বিভিন্ন রকমের। সাধারণত এই ফি ৪৫ থেকে ৯০ ইউরো পর্যন্ত হয়ে থাকে। আবেদন করার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবেদন যাচাই বাছাই করে এবং যোগ্য শিক্ষার্থীদের আয়ারল্যান্ডে পড়াশুনা করার সুযোগ দিয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদনকে যথার্থ মনে করলে তারা সরাসরি আপনাকে Offer Letter পাঠিয়ে দিতে দেরি করবে না।

পড়াশোনার খরচ ( টিউশন ফি) ও স্কলারশিপ

আয়ারল্যান্ডে ব্যাচেলর ডিগ্রির ক্ষেত্রে বছরে ১০ হাজার ৫০০ থেকে ১৫ হাজার ১৫০ ইউরো এবং মাস্টার ডিগ্রির ক্ষেত্রে সাত হাজার ৪০০ থেকে ১৫ হাজার ৭২০ ইউরো টিউশন ফি লাগে। তবে কলেজে পড়াশোনা করতে প্রায় ৩০ শতাংশ খরচ কম হয়। প্রতি মাসে ৩০০ থেকে ৫০০ ইউরো দিয়েই অনায়াসে থাকা, খাওয়া, যাতায়াত ও অন্যান্য খরচ মেটাতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

আয়ারল্যান্ডে ব্যাচেলর লেভেলে স্কলারশিপের সুযোগ ক্ষীণ। কিন্তু মাস্টার্স প্রোগ্রামে স্কলারশিপের সু্যোগ তুলনামূলক বেশি। আয়ারল্যান্ডে ন্যাশনাল স্কলারশিপ প্রোগ্রামের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও স্কলারশিপ পাওয়া যায়। এই দেশে প্রায় ১০০ এর মত বিভিন্ন ধরণের স্কলারশিপ অফার করা হয়ে থাকে।

নিচের লিঙ্কে স্কলারশিপ সম্পর্কে বিস্তারিত পাবেনঃ
http://www.educationinireland.com/en/How-Do-I-Apply-/Tuition-Costs-Scholarships/Scholarships/

আয়ারল্যান্ডে আবাসন ব্যবস্থা ও জীবন-যাপন খরচ

আয়ারল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে নিজস্ব আবাসন ব্যবস্থা। এই আবাসন ব্যবস্থা অনেক উন্নত। কিন্তু, বাইরের শেয়ারড এপার্টমেন্ট থেকে এই আবাসন ব্যবস্থা কিছুটা ব্যয়বহুল। তাই অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে থাকে।  জীবনযাত্রার খরচ হিসাব করতে বসলে, আয়ারল্যান্ড অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলির অনুরূপ- বেশ খানিকটা ব্যয়বহুল। তবে, আপনি যদি বড় শহরে বাস করেন, তবে আপনার খরচ বেশি হবে। অন্যদিকে,  আপনি ছোট শহরে বসবাস করেন তাহলে ব্যয় বেশ খানিকটা কমে যাবে। এই দেশে আপনাকে প্রতিমাসে জীবন ধারণের জন্য ৫০০ থেকে ৮০০ ইউরো খরচ করতে হতে পারে। আর শিক্ষার্থীদের জন্য অন্য একটি ব্যয় হলে স্বাস্থ্যবীমা।

আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ

আয়ারল্যান্ডে ভিসা প্রাপ্তির জন্য আপনাকে ব্যাংকে প্রায় ১০,০০০ ইউরো দেখাতে হবে। আর যদি আপনার খরচ বহন করে অন্য কোন স্পন্সর, তাহলে তাকে নোটারাইজড অংগীকারনামা দিতে হবে যে তিনি আপনার সকল খরচ বহন করবে। তার জন্য প্রয়োজন পরবে, আপনার স্পন্সরের ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।

Students in Ireland
Image Source: internet

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও ডকুমেন্টস চেকলিস্ট

আয়ারল্যান্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার ভর্তি নিশ্চিত হবার পর আপনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবেন একটি Offer Letter. এই Offer Letter পাবার পর আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু আয়ারল্যান্ডের এম্বেসী বাংলাদেশে নেই। তাই আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে দিল্লীস্থ আয়ারল্যান্ড এম্বেসীর সাথে।

দিল্লীস্থ আইরিশ এম্বেসীর ঠিকানা নিম্নে দেওয়া হলঃ

230 Jor Bagh, New Delhi-110003, India

For Visa: +91-11 462671

আপনি ফোন করে তাদের সাথে যাবতীয় সহযোগিতা নিতে পারেন। এছাড়া আপনি অনলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন নিচের ওয়েব লিঙ্কের মাধ্যমেঃ

https://www.dfa.ie/irish-embassy/india/contact-us/

এবং এই পিডিএফ ফাইলটা  ভিসার যাবতীয় তথ্যের জনঃ
http://www.vfsglobalirelandvisa.com/india/pdf/bangladesh_271115.pdf

ভিসা সংক্রান্ত সকল তথ্য ও ডকুমেন্টসঃ 

http://www.inis.gov.ie/en/INIS/Pages/Study

http://www.inis.gov.ie/en/INIS/Student%20Finances.pdf/Files/Student%20Finances.pdf

নিচে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা দেওয়া হলঃ

১। পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম

২। পাসপোর্ট ও  ফটোগ্রাফ

৩। CV, Statement of Purpose (SOP)  ও রেফারেন্স

৪।  সকল মার্কশিট ও সনদ, IELTS-GRE সনদ

৫।  No Objection  Certificate [শেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে]

৬।  অফার লেটার

৭। ব্যাংক সলভেন্সি পেপ্যার

৮। ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট

৯। পুলিশ ক্লিয়ারান্স

১১। হেলথ ইন্স্যুরেন্স ও মেডিক্যাল রিপোর্ট ইত্যাদি

Life in Ireland
Image Source: internet

পার্ট টাইম জব ও স্থায়ী বসবাস এর সুযোগ

আয়ারল্যান্ডে আপনি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা জব করার সুযোগ পাবেন। আর আপনি সামারে সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা জব করার সুযোগ পাবেন।  রেস্টুরেন্ট, দোকান, শপিং মলে কাজ করে ঘণ্টায় ৭ থেকে ১২ ইউরো পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।  আয়ারল্যান্ডে আপনি পার্ট টাইম জব করার সুযোগ পাবেন কিন্তু এই পার্ট টাইম জব করে পুরো টিউশন ফি জোগাড় করা সম্ভব হয়ে উঠবে না।

আর ৫ বছর আয়ারল্যান্ডে বৈধভাবে বসবাস করলে আপনি আবেদন করতে পারবেন PR এর জন্য।

আয়ারল্যান্ড ইউরোপের পশ্চিম উপকূলের অন্যতম সুন্দর দেশ। আপনি এই দেশে অনেক সুবিধা পাবেন। হয়ত আয়ারল্যান্ড আপনার জন্য উন্মোচন করবে সুন্দর ভবিষ্যতের অনেক সম্ভবনা। তাই আজই  করুন নিজের আবেদন নিজেই- আর সেরে নিন আয়ারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা।

Life in Ireland
Image Source: internet

তথ্যসুত্রঃ

error: Alert: Content selection is disabled!!