বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক স্কলারশীপগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্য সরকার প্রদত্ত কমনওয়েলথ স্কলারশীপ অন্যতম। কমনওলেথ স্কলারশিপ দেওয়া হয় কমনওলেথ ভিত্তিক অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের। এই স্কলারশিপের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৩ সাল থেকে আর এই প্রোগ্রামের অর্থায়ন করে Department of International Development। প্রায় ৩৫০০০ জন এখন পর্যন্ত কমনওয়েলথ স্কলারশিপ ও ফেলোশিপ পেয়েছেন। প্রতি বছর প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। বাংলাদশ কমনওলেথের আওতায় হওয়ায় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারে। এই বৃত্তি উদ্যোমী ও প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগের জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে।
আমেরিকায় পড়াশুনার জন্য প্রদত্ত অন্যতম সম্মানজনক ও খ্যাতমান স্কলারশিপ প্রোগ্রাম হল ফুলব্রাইট স্কলারশিপ প্রোগ্রাম। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সিনেটর জেমস উইলিয়াম ফুলব্রাইট সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫ সালে সিনেটে স্কলারশিপ দেওয়ার জন্য বিল উত্থাপন করেন এবং ১৯৪৬ সাল থেকে উনার নাম অনুসারে এই স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু হয়।
আমেরিকায় পড়তে আসা প্রতিভাবান গবেষক, ইয়াং প্রোফেশন্যালদের এই স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। ফুলব্রাইট স্কলারশিপ হোল্ডারের ৫৪ জন নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন আর ৮২ জন পেয়েছেন পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছেন।
স্কলারশিপ এর নাম
ফুলব্রাইট ফরেন স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম।
যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে
যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাস্টার্স এবং পিএইচডি ডিগ্রি লাভের সুযোগ পান।
বিজনেসের ক্ষেত্রে এমবিএ ইন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট/ ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস/ অপারেশন্স ম্যানেজমেন্ট/ হেলথ কেয়ার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। আর বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে- বায়োলজি/ কেমিস্ট্রি/ ফিজিক্স/ ফার্মাসি। ইকোনমিকসে-ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকস/ট্রেড অ্যান্ড ফিন্যান্স/পলিসি/এনভায়রনমেন্টাল/ন্যাচারাল রিসোর্সেস ইকোনমিকস। অ্যাডুকেশনে-হায়ার অ্যাডুকেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন/ অ্যাডুকেশন পলিসি, প্ল্যানিং এবং ম্যানেজমেন্ট/ কারিকুলাম অ্যান্ড ইনস্ট্রাকশন্স। অ্যানভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, ফ্যাশন অ্যান্ড টেক্সটাইল ডিজাইন পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন/ পাবলিক পলিসি সাইকোলজি : ক্লিনিক্যাল/কাউন্সেলিং সিকিউরিটি স্টাডিজ, সোশ্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ-পলিটিক্যাল সায়েন্স/ সোশিওলজি/ হিস্টোরি/ লিটারেচার আরবান প্ল্যানিং : জেনারেল প্ল্যানিং/ল্যান্ড ইউজ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল প্ল্যানিং/ ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেম/ আরবান/ কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট।
দেশ এবং কর্তৃপক্ষ
United States Education Foundation (আমেরিকা)
বৃত্তির সুযোগ সুবিধাসমূহ
ফুলব্রাইট স্কলারশিপের আওতায় আপনি যা যা পাবেনঃ
১। আসা-যাওয়া বিমান ভাড়া ও অতিরিক্ত ব্যাগেজ অ্যালাউন্স
২। টিউশন এবং সংশ্লিষ্ট একাডেমিক ফি ও বুক এ্যালাউন্স
৩। হেলথ ও এক্সিডেন্ট ইনস্যুরেন্স
৪। ট্রাভেল ও বসবাসের জন্য মাসিক স্টাইপেন্ডসহ অন্যান্য
৫। আকস্মিক ব্যয়ের জন্য মাসিক স্টাইপেন্ড
আর এ খরচ বহন করা হয় পুরো কোর্স সময়কালে।
আবেদনের যোগ্যতা
ফুলব্রাইট স্কলারশিপের জন্য আপনার থাকতে হবে নিম্নোক্ত যোগ্যতাঃ
১। এই স্কলারশিপ মাস্টার্স প্রোগ্রামে দেওয়া হয়। তাই আপনার প্রয়োজন পরবে ৪- বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রী ও খুব ভালো একাডেমিক প্রোফাইল থাকতে হবে।
২। পূর্বের কোন US ডিগ্রী থাকতে পারবে না। এমনকি তৃতীয় কোন দেশ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী থাকলে তিনি এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য বিবেচিত হবেন না।
৩। কমপক্ষে দুই বছরের প্রফেশনাল জব এক্সপেরিয়েন্স থাকতে হবে।
৪। স্কলারশিপে আবেদন করতে কমপক্ষে TOEFL iBT স্কোর ৮০ বা IELTS স্কোর ৭.০ থাকতে হবে।
৫। ফুল ব্রাইটের জন্য আপনাকে বাংলাদেশী, ইংরেজীতে দক্ষ ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে।
৬। আবেদনের সময়ে বাংলাদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে।
ফুলব্রাইট স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য আপনার বয়স হতে হবে ২৪ থেকে ৩০ বছর।
আবেদনের সময়সীমা
সাধারণত এপ্রিল-মে-জুন মাসে এই প্রোগ্রামের জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হয়। ফুলব্রাইট ফরেন স্টুডেন্ট প্রোগ্রামসংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য ঢাকার আমেরিকান সেন্টারে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
যেসকল দেশের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য
বাংলাদেশ সহ আরোও ১৬০ টি দেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থী ফুলব্রাইট স্কলারশিপ পেয়ে থাকে।
আবেদন প্রক্রিয়া
অনলাইনের মাধ্যমে আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস ও ট্রান্সক্রিপ্ট স্ক্যান করে আপলোড করে আবেদন করতে হবে। সাধারণত এপ্রিল – মে মাসে আবেদন কার্যক্রম শুরু করতে হয়। তাই, এই সময়টা একটু ওয়েব সাইটে ঘুরে ঘুরে দেখতে হবে। আর সকল সময়ই আবেদন হাতে সময় রেখে করা উচিত।
নিচে উল্লিখিত লিংক থেকে অনলাইন আবেদন ফরম সংগ্রহ ও তা পূরণের বিস্তারিত নির্দেশাবলি পাওয়া যাবে। সম্ভাবনাময়ী প্রার্থীদের আবেদনপত্র পূরণের আগে আবেদনপত্র পূরণের নির্দেশাবলি ভালোভাবে পড়ে বুঝে নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। https://bd.usembassy.gov/education-culture/student-exchange-programs/ প্রার্থীরা সরাসরি এই ওয়েবসাইট থেকেও অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন https://iie.embark.com/ apply/ffsp
ফুলব্রাইট স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য আপনাকে জমা দিতে হবেঃ
১। সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশীট
২। রিকমেন্ডেশন লেটার (৩ টি)
৩। একাডেমিক রিপোর্ট ফর্ম (ওয়েব সাইটে পাওয়া যাবে)
৪। সিগনেচার ফর্ম (ওয়েব সাইটে পাওয়া যাবে)
৫। IELTS/ TOEFL স্কোর
৬। GRE/ GMAT স্কোর (এই কম্পিটিটিভ টেস্টের রেজাল্টও জমা দিতে হবে। এই স্কোর আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রয়োজন। আর ভালো GRE/GMAT স্কোর থাকলে আপনি স্কলারশিপ পাওয়ার দৌড়েও এগিয়ে থাকবেন)
আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুনঃ https://foreign.fulbrightonline.org
আবেদন করতে ভিজিট করুনঃ https://apply.iie.org/ffsp2021
আর আবেদনের বিষয়ে বা কোন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে বাংলাদেশে অবস্থিত আমেরিকা সেন্টারের রেহানা সুলতানা’র সাথে মেইলে যোগাযোগ করতে পারেন, তার মেইল এড্রেসঃ
[email protected]
ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ প্রোগ্রাম অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সম্মানজনক স্কলারশিপ। বেশ প্রতিযোগিতা পেড়িয়ে আপনাকে ছিনিয়ে নিতে হবে এই সম্মানজনক স্কলারশিপ প্রোগ্রাম। তাই, নিজেকে তৈরী করুন আর সব কিছু গুছিয়ে আবেদন করুন ফুল ব্রাইট স্কলারশিপের জন্য।
তথ্যসুত্রঃ
VLIR-UOS স্কলারশিপ একটি বেলজিয়াম ভিত্তিক স্কলারশিপ, যার মাধ্যমে এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার ৩১টি দেশের শিক্ষার্থীরা ট্রেনিং ও মাস্টার্স কোর্স করতে পারবে বেলজিয়ামের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এক বা দুই বৎসর মেয়াদি মাস্টার্স প্রোগ্রাম । মাস্টার্স প্রোগ্রামে চাকরি অভিজ্ঞতা প্রয়োজন নেই, তবে চাকরি অভিজ্ঞতা থাকলে বৃত্তি পেতে অগ্রাধিকার পাওয়া যায়। এক বৎসর মেয়াদি মাস্টার্স প্রোগ্রাম গুলো মাল্টিডিসিপ্লিনারী কোর্স।
স্কলারশিপ এর নাম
VLIR-UOS স্কলারশিপ
যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে
VLIR-UOS স্কলারশিপ প্রোগ্রামে যে সকল বিষয় অধ্যয়ন করা যাবে, তার একটি লিস্ট নিচে দেওয়া হলঃ
মাস্টার্স প্রোগ্রাম
https://cdn.webdoos.io/vliruos/801faa32f16c6868fe93108ebd3bc951.pdf
ট্রেনিং প্রোগ্রাম
https://cdn.webdoos.io/vliruos/d57f3d1e80e95561504e064b0204e918.pdf
দেশ এবং কর্তৃপক্ষ
বেলজিয়াম
বৃত্তির সুযোগ সুবিধাসমূহ
VLIR-UOS স্কলারশিপের আওতায় আপনি যা যা পাবেনঃ
১। টিউশন ফি
২। মাসিক ভাতা (1150 Euro করে)
৩। বিমান ভাড়া
৪। স্বাস্থ্য ভাতা
৫। রিসার্চের সকল খরচ
আবেদনের যোগ্যতা
VLIR-UOS স্কলারশিপের জন্য আপনার থাকতে হবে নিম্নোক্ত যোগ্যতাঃ
১। লিস্টেড দেশের নাগরিক হতে হবে।
২। Initial Masters প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর বয়স হতে পারবে আর Advanced Masters এর জন্য সর্বোচ্চ ৪০ বছর বয়স হতে পারবে।
৩। আবেদনকারীর কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তিনি স্কলারশিপ প্রাপ্তির জন্য বিবেচিত হবেন। আর এই কাজের অভিজ্ঞতা যদি রিসার্চ প্রতিষ্ঠান, NGO, অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়, তাহলে সেটা বিশেষভাবে গন্য হবে।
৪। যদি কোন ব্যক্তি আগেই বেলজিয়ামে কোন স্কলারশিপ গ্রহণ করে থাকে, তবে তিনি আর এই স্কলারশিপে আবেদন করতে পারবেন না।
আবেদনের সময়সীমা
VLIR-UOS স্কলারশিপের জন্য আবেদন সাধারণত ফেব্রুয়ারি অথবা মার্চ মাসে শুরু হয়। তবে সাবজেক্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
আবেদনের হালনাগাদ সময় সীমা জানতে নিম্মোক্ত ওয়েবসাইট এর সাহায্য নিতে পারেন-
যেসকল দেশের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য
এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার ৩১টি দেশের শিক্ষার্থীরা এই প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারেন। কিন্তু, বর্তমানে বাংলাদেশের নাম এই লিস্টে নেই।
আবেদন প্রক্রিয়া
প্রথমেই আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হবে। সেখানে নির্দিষ্ট বিষয়ে ভর্তির আবেদন শেষ করার পর আপনি এই স্কলারশিপে আবেদন করতে পারবেন। এরপর আপনি সিলেক্টেড হলে ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
VLIR-UOS স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য আপনাকে জমা দিতে হবেঃ
১। Online আবেদন ফর্ম
২। সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশীট
২। রিকমেন্ডেশন লেটার (২ টি) – সাইন করে সীলড অবস্থায় দিতে হবে।
৩। Euro-pass Format এ CV
৪। SOP (Statement of Purpose)
৫। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার পেয়ে থাকলে সেটা দিতে হবে
৬। IELTS এর সনদ
৭। Work Experience Certificate
৮। পাসপোর্টের কপি
স্কলারশিপের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.vliruos.be/en/home/1
তথ্যসুত্রঃ
ফ্রান্সে পড়াশুনা করার জন্য আপনি যদি স্কলারশিপ চান, তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে প্রেস্টিজিয়াস স্কলারশিপ হল আইফেল এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি ফ্রান্স সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত বেশ জনপ্রিয় একটি স্কলারশিপ। প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীগণ ফ্রান্সের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাস্টার্স এবং পিএইচডি প্রোগ্রামে পড়তে আসেন এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে।
স্কলারশিপ এর নাম
আইফেল এক্সেলেন্স স্কলারশিপ।
যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে
এই স্কলারশিপের আওতায় ১২ মাস থেকে ৩৬ মাস মেয়াদী মাস্টার্স প্রোগ্রাম ও ১০ মাস মেয়াদী পিএইচডি কোর্সের অর্থায়ন করা হয়ে থাকে।এই স্কলারশিপের আধীনে ইঞ্জিনিয়ারিং, ল’, ম্যানেজমেন্ট, পলিটিক্যাল সাইন্স ও ইকোনোমিক্স পড়ার সুযোগ পাওয়া যায়।
দেশ এবং কর্তৃপক্ষ
মিনিষ্ট্রি অফ ফরেন এফেয়ার্স,ফ্রান্স
বৃত্তির সুযোগ সুবিধাসমূহ
স্কলারশিপের আওতায় আপনি যা যা পাবেনঃ
১। মাসিক ভাতা (মাস্টার্সে ১১০০ ইউরো ও পিএইচডি-এ ১৪০০ ইউরো)
২। যাতায়ত বিমান ভাড়া
৩। স্বাস্থ্য বীমা, আবাসিক ও অন্যান্য ভাতা
মজার বিষয় এই স্কলারশিপে আপনাকে টিউশন ফী প্রদান করা হবে না।
আবেদনের যোগ্যতা
এই স্কলারশিপে আবেদন করতে আপনার থাকতে হবে নিম্নোক্ত যোগ্যতাঃ
১। মাস্টার্স কোর্সে ৩০ বছর আর পিএইচডি কোর্সে সর্বোচ্চ ৩৫ বছর বয়স সর্বোচ্চ হতে পারবে।
২। ফ্রান্সের কোন নাগরিক এই স্কলারশিপে আবেদন করতে পারবে না।
৩। পূর্বে কেউ স্কলারশিপ পেয়ে থাকলে আরেকবার আবেদন করতে পারবেন না। কিন্তু পূর্বে কেউ মাস্টার্সে এই স্কলারশিপ পেলে তিনি পিএইচডি-এর জন্য আবার তিনি আবেদন করতে পারবেন।
৪। শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ইংরেজী অথবা ফ্রেঞ্চ ভাষায় পারদর্শী হতে হবে।
আবেদনের সময়সীমা
আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয় ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে।হালনাগাদ ডেডলাইন জানতে ভিজিট করুন অফিসিয়াল ওয়েবসাইট –
https://www.campusfrance.org/en/eiffel-scholarship-program-of-excellence
যেসকল দেশের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য
বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকল দেশের শিক্ষার্থীগণ আইফেল এক্সেলেন্স স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবে।
আবেদন প্রক্রিয়া
আইফেল এক্সেলেন্স স্কলারশিপ প্রাপ্তির জন্য আপনাকে ফ্রান্সের কিছু নমাকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিরেক্ট আবেদন করতে হবে। ডিরেক্ট আবেদনের জন্য ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং তখনি বিশ্ববিদ্যালয়কে জানিয়ে দিতে হবে আপনি আইফেল এক্সেলেন্স স্কলারশিপ-এর জন্য আবেদন করতে চান। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনাকে জানিয়ে দিবে আপনি স্কলারশিপ পেয়েছেন কি না? উল্লেখ্য যে, এই স্কলারশিপে শিক্ষার্থী সরাসরি আবেদন করতে পারবেন না। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা ফ্রেঞ্চ হাইয়ার এডুকেশন ইন্সটিটিউশন্সের মাধ্যমে আবেদন যেতে হবে।
এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য আপনাকে জমা দিতে হবেঃ
১। Online আবেদন ফর্ম
২। সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশীট
৩। রিকমেন্ডেশন লেটার (২ টি) – সাইন করে সীলড অবস্থায় দিতে হবে।
৪। SOP (Statement of Purpose)
৫। IELTS এর সনদ বা ফ্রেঞ্চ ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র
৬। Work Experience Certificate (যদি থাকে)
৭। NID ও পাসপোর্টের কপি
আবেদন ও আরোও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুণঃ
https://www.campusfrance.org/en/eiffel-scholarship-program-of-excellence
ক্যাম্পাস ফ্রান্স বিদেশে ফরাসি উচ্চশিক্ষা প্রচারের এবং ফ্রান্সে বিদেশী শিক্ষার্থীদের এবং গবেষকদের স্বাগত জানানোর কাজে নিয়োজিত একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান।
তথ্যসুত্রঃ
ডেনমার্ক বর্তমানে শিক্ষার্থীদের কাছে এক আকর্ষণীয় বিদ্যালাভের পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত। এ দেশের রাজধানি কোপেনহেগেন আর মুদ্রা হল ডেনিস ক্রোনা এবং ভাষা ডেনিস।
অতি সুন্দর মনোমুগ্ধকর এই দেশে আপনিও যদি পড়তে যেতে চান তাহলে এখনি পড়ে ফেলুন গোটা লেখাটা, কারণ এটা আপনার জন্যই লেখা।
কেন ডেনমার্কে পড়তে যাবেন?
উচ্চ শিক্ষার জন্য অনেক মানুষই দুঃশ্চিন্তায় ভোগেন আর বুঝে উঠতেই পারেন না- কোন দেশ হবে তাদের গন্তব্য? অধিকাংশ মানুষই মনে করেন আমেরিকা, কানাডা অথবা অস্ট্রেলিয়া হবে তাদের জন্য বিদ্যার্জনের গন্তব্য। কিন্তু, এই দেশগুলোতে ভালো CGPA, IELTS, GRE/ GMAT থাকা সত্ত্বেও আপনি নিশ্চিত হয়ে বলতে পারবেন না- আপনি এদেশে ভিসা পেয়ে পড়তে যেতে পারবেন। বরং ইউরোপের এই দেশে আপনার ভালো CGPA ও IELTS স্কোর থাকলেই পেয়ে যাবেন আপনার ডেনমার্কে পড়ার টিকিট। তাই বলে এটা ভাবার কারণ নেই যে, এদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ভালো নয় বা এদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো World Ranking-এর মধ্যে নেই। বরং এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক উন্নতদেশের চেয়ে ভালো।
আপনাদের জন্য World Ranking-এ কিছু ডেনিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিচে দেওয়া হলঃ
- University of Copenhagen
- Roskilde University
- University of Southern Denmark
- IT University of Copenhagen
- Copenhagen Business School
- Copenhagen Business Academy
- VIA International College
- University College Zealand
- Aarhus University
- Technical University of Denmark
- Aalborg University
- Copenhagen University
- Odense University
- Danish University of Education
- Royal Academy of Music
ডেনমার্কে পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা
ডেনিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনি ডেনিশ কিংবা ইংরেজী ভাষায় পড়াশুনা করতে পারবেন। ডেনিশ ভাষায় পড়তে গেলে অবশ্যই আপনাকে “Denisake Foreign Language” বা “Denish Test 2” পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হতে হবে। আর যদি ইংরেজী ভাষায় পড়তে চান, তাহলে IELTS স্কোর 5.5 – 6.5 থাকতে হবে, একাডেমিক পরীক্ষায় অবশ্যই ৫০% মার্ক থাকতে হবে। যদি আপনি ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জনের জন্য যান, তাহলে HSC + ১ বছর বাংলাদেশে পড়াশুনা করতে হবে। আবার মাস্টার্সে আবেদনের জন্য ৪ বছরের ব্যাচেলর এবং পিএইচডি পড়তে যেতে আপনাকে ২ বছরের মাস্টার্স থাকতে হবে।
কোর্স সার্চ ও কোর্স নির্বাচন
কোর্স সার্চের জন্য আপনি বিভিন্ন ডেনিস বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ঘেটে দেখতে পারেন অথবা, ডেনিস বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট আছে ( https://www.optagelse.dk), সেখানে গিয়েও দেখতে পারেন। কোর্স বাছাই-এর ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ইন্টারেস্ট ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা মাথায় রেখে কাজ করবেন। মনে রাখবেন, ডেনিশ ও বাংলাদেশের চাকুরীর বাজার ভিন্ন। তাই ডেনমার্কে থাকবেন নাকি বাংলাদেশে ফিরে আসবেন এইসব ভালো করে চিন্তা করেই আপনি আপনার কোর্স নির্বাচন করবেন।
ব্যাচেলর ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি পিএইচডি সহ ৬শয়েরও বেশি বিষয়ে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে ডেনমার্কে। বিষয়গুলোর মধ্যে আছে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিকস এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স, আর্কিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার, এস্ট্রোনমি, অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োটেকনোলজি, ডিজিটাল মিডিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং, এপ্লায়েড ম্যাথমেটিকস, আইসিটি ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজিস, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, রোবোটিকস, একাউন্টিং এন্ড ফিন্যান্স, ফ্যাশন এন্ড টেক্সটাইলস ডিজাইন, ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ ইত্যাদি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমা
ডেনিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে মূলত সাবজেক্ট ও ইন্সটিটিউটভেদে আবেদনের সময়সীমা পরিবর্তিত হয়। কিন্তু, সাধারণত EEU এর বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদনের শেষ সীমা ১৫ই জানুয়ারি পর্যন্ত হয়ে থাকে আর সব ধরণের ফরমালিটি শেষে ক্লাশ শুরু হয় সেপ্টেম্বর মাস থেকে। কিন্তু, অবশ্যই ওয়েবসাইট ঘেটে আবেদনের সীমা ও এবং ক্লাশ শুরু হবার তারিখ ভাল করে দেখে নেবেন।
আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ডেনমার্কে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য একটি নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে- যার লিঙ্কটি হলঃ
এই লিঙ্কে গিয়ে আপনাকে আবেদন করতে হবে। এছাড়া অন্য কোন উপায়ে আবেদন করা যায় না।
আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হলঃ
১। একাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট
২। IELTS এর সনদ
৩। মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার
৪। CV
৫। পাসপোর্টের কপি
অফার লেটার (Offer Letter) /এডমিশন লেটার(Admission Letter)
যদি ডেনমার্কের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার এডমিশন হয়, তাহলে আপনাকে একটি কনডিশনাল এডমিশন লেটার দেওয়া হবে। এর পর আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টসে টিউশন ফি জমা করতে হবে। তাহলেই আপনি পাবেন এডমিশন লেটার। চিন্তার কোন কারণ নেই- ভিসা না পেলে টিউশন ফি ফেরত পাঠানো হবে। উল্লেখ্য, এডমিশন লেটারের সাথে ST-1 নামক একটি ফর্ম পাঠানো হয়। সেখানে আপনার বিশ্ববিদ্যালয় ও নিজের তথ্য থাকে।
টিউশন ফি
সাধারণতঃ ডেনমার্কে পড়তে গেলে আপনাকে টিউশন ফি গুনতে হবে ৬০০০-১৬,০০০ ইউরো পর্যন্ত। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স ভেদে এই টিউশন ফি কম ও বেশি হতে পারে।
স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ
ডেনমার্কে বিভিন্ন ধরণের স্কলারশিপ রয়েছে। আপনি যদি সেখানে সরকারি স্কলারশিপ পেয়ে যান, তাহলে আপনি শুধু পড়াশুনার নয়, মাসিক খরচও বহন করে থাকে। কিছু স্কলাশিপের নাম নিচে দেওয়া হলঃ
১। NORDPLUS
২। ERASMUS
৩। ERASMUS MUNDUS
৪। Full Bright Commission
স্কলারশিপ খুঁজে পেতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ
https://studyindenmark.dk/study-options/tuition-fees-scholarships
আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ
ডেনমার্কে আপনাকে কোন ব্যাংক সলভেন্সি দেখাতে হবে না। যদি আপনি আপনার স্পাউস নিয়ে যেতে চান, তাহলেই আপনার একাউন্টসে ৭১২৯২ ডেনিস ক্রোনা দেখাতে হবে।
ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও ডকুমেন্টস চেকলিস্ট
ভিসা প্রক্রিয়া চাইলে আপনি অনলাইনে সেরে নিতে পারেন। অথবা, VFS Global Service Pvt. Ltd. তে গিয়েও সরাসরি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এই ভিসা প্রক্রিয়া একটু সময় সাপেক্ষ- ডেনমার্কের ভিসার জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে প্রায় ২ থেকে ৩ মাস। তাই, এই সময় সাপেক্ষ কাজ সারার জন্য হাতে থাকতে হবে পর্যাপ্ত সময়। না হলে, আপনার ভিসা পেতে গিয়ে সেমিস্টার লসও হতে পারে।
ভিসার জন্য আপনাকে জমা দিতে হবে নিম্নোক্ত কাগজপত্রঃ
১। পাসপোর্ট ও রিসেন্ট ছবি
২। মার্কশিট ও সকল সনদ
৩। IELTS স্কোরের কপি
৪। এডমিশন লেটার
৫। সকল তথ্য দিয়ে সঠিকভাবে পূরণকৃত ST-1 ফর্ম
যোগাযোগের জন্য ঢাকা অফিসের লিঙ্ক দেওয়া হলঃ
ডেনমার্কে আবাসিক ব্যবস্থা
চিন্তার কোন কারণ নেই- এই দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়েই আছে আবাসিক হল। বিশেষত আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে অন্তর্জাতিক মানের সু্যোগ সুবিধাসহ হলের। যদি হোস্টেলে সিট না পেয়ে থাকেন কিম্বা হোস্টেলে থাকতে না চান, তাহলে আপনি বাসা ভাড়া করেও থাকতে পারেন।
এজন্য নিচে একটি খরচের এস্টিমেট দেওয়া হলঃ
হোস্টেল – ২৪০ – ৪০০ ইউরো
ফ্যামিলি বাসা- ২০০- ৫০০ ইউরো
শেয়ারড ফ্লাট- এটি আর কম হয়ে থাকে, সাধারণত আপনার ফ্লাটমেটের সংখ্যার উপর নির্ভর করবে।নিচের লিঙ্কে ঘাটলে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেনঃ
https://studyindenmark.dk/live-in-denmark/housing-1/how-to-find-housing
মাসিক খরচ এবং পার্ট টাইম জব এর সুযোগ
ডেনমার্কে থাকা খাওয়া বাবদ ৭৫০-৯০০ ইউরোর মত খরচ করতে হবে। যদিও এই খরচের পুরোটাই ব্যক্তি বিশেষের উপর নির্ভরশীল। অনেকের অনেক কমও লাগতে পারে, আবার অনেক সুময় অনেক বেশিও খরচ হয়ে যায়।
ডেনমার্কে আপনি সাধারণত ২০ ঘন্টা পার্ট টাইম জব করার অনুমতি পাবেন। তবে যে কোন ছুটি বা সামার ভ্যাকেশনে ফুল টাইম জব করার অনুমতি পাবেন।
কোর্স শেষে চাকুরীর সুযোগ ও স্থায়ী বসবাস
এই দেশে Establish Card নামক এক ধরণের কার্ডের প্রচলন রয়েছে। আপনার মাস্টার্স বা পিএইচডি শেষ হবার পর আপনি এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর এই কার্ড থাকলে আপনি দুই বছর চাকুরী খোঁজার বা করার সুযোগ পাবেন।
আর যদি স্থায়ী বসবাস করতে চান, তাহলে আপনাকে টানা ৮ বছর থাকতে হবে। এই ৮ বছর সময়ের শেষের ৪ বছরের মধ্য ৩.৫ বছর আপনাকে ফুল টাইম চাকুরীর সাথে সম্পর্কযুক্ত থাকতে হবে। তাহলেই মিলেবে ডেনমার্কে স্থায়ী নাগরিক হবার সুযোগ।
ডেনমার্ক ইউরোপের একটি সুখী ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র। এদেশে বসবাস করতে এখন অনেকেই আগ্রহী। তাই, আর দেরী কেন? চলুন আবেদন করি এখনি।
তথ্যসুত্রঃ
১। https://worldscholarshipforum.com/bn/study-denmark-tuition-fees-cost-living-admission-requirements/
২। http://www.online-dhaka.com/105_511_28084_0-higher-education-in-denmark.html
৩। http://www.amiopari.com/5047/
৪। https://www.bangladeshistudentscommunity.eu/archives/200
৫। http://studyindenmarkfrombangladesh6.blogspot.com/2019/12/study-in-denmark-with-scholarship.html
৬। http://studyindenmarkfrombangladesh6.blogspot.com/2018/11/blog-post_91.html
৭। http://studyindenmarkfrombangladesh6.blogspot.com/2019/12/study-in-denmark-from-bangladesh.html
উচ্চশিক্ষা ও কর্মক্ষেত্র হিসেবে সুইডেন একটি ভালো গন্তব্য। পুর্বে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সুইডেনে উচ্চশিক্ষা টিউশন ফি ফ্রি থাকলেও ২০১১ সাল থেকে বিদেশি (নন-ইইউ) শিক্ষার্থীদের জন্য সুইডেন সরকার টিউশন ফি আরোপ করেছে।
সুইডিশ ইন্সটিটিউট স্টাডি স্কলারশিপস বর্তমানে সুইডিশ ইন্সটিটিউট স্কলারশিপস ফর গ্লোবাল প্রফেশনালস (SISGP) নামে পরিচিত। মূলত সুইডেনে ১-২ বছর মেয়াদী মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য এই স্কলারশিপ দেয়া হয়ে থাকে। এটি একটি ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ তবে যদি প্রথম বছরে রেজাল্ট ভালো না হয়, তবে দ্বিতীয় বছরে আর বৃত্তি দেওয়া হয় না।
স্কলারশিপ এর নাম
সুইডিশ ইন্সটিটিউট স্টাডি স্কলারশিপস অথবা সুইডিশ ইন্সটিটিউট স্কলারশিপস ফর গ্লোবাল প্রফেশনালস।
যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে
এই স্কলারশিপের আওতায় মাস্টার্স প্রোগ্রাম করানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয় আর কোর্সগুলো সমন্ধে বিস্তারিত জানতে ভিজিত করুনঃ https://www.universityadmissions.se/intl/start
দেশ এবং কর্তৃপক্ষ
সুইডেন সরকার।
বৃত্তির সুযোগ সুবিধাসমূহ
স্কলারশিপের আওতায় আপনি যা যা পাবেনঃ
১। সম্পুর্ন টিউশন ফি
২। মাসিক লিভিং এক্সপেনস
৩। যাতায়ত বিমান ভাড়া
৪। স্বাস্থ্য বীমা
৫। এককালীন ভ্রমন ভাতা
৬। SI Network for the Future Global Leaders (NFGL) নামক সংঘটনের ফ্রী মেম্বারশীপ।
৭। স্কলারশিপ পিরিয়ড শেষে ফ্রী মেম্বারশীপ সুবিধা মিলবে SI Alumni Network এর সাথে যুক্ত হওয়ার যা পেশাগত ক্যারিয়ারে অনেক সুবিধা প্রদান করবে।
আবেদনের যোগ্যতা
স্কলারশিপের জন্য আপনার থাকতে হবে নিম্নোক্ত যোগ্যতাঃ
১। কমপক্ষে ২ বছরের বা ৩০০০ ঘন্টা কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কর্মভিজ্ঞতা শুধু চাকুরী নয়, বরং বিভিন্ন লিডারশীপ প্রোগ্রাম থেকে শুরু করে ইন্টার্নশিপ, সোশ্যাল ওয়ার্কও এই ক্ষেত্রে বিবেচ্য হবে।
২। IELTS এ থাকতে হবে। আপনি যে বিষয়ে আবেদন করছেন সে অনুযায়ী আপনার IELTS Score প্রয়োজন পড়বে। সাধারণত IELTS score 6.0 চাওয়া হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে IELTS ছাড়াও আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে Medium of Instruction (English) সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
আবেদনের সময়সীমা
আবেদন করতে হবে দুইটি ধাপে। প্রথম ধাপে আবেদনের সময় ডিসেম্বর। প্রথম ধাপে উত্তীর্ণ হলে দ্বিতীয় ধাপে আবেদন করতে হবে ফেব্রুয়ারিতে। তারপর যারা বৃত্তি পাবেন তাদের নাম প্রকাশ করা হবে এপ্রিলে (ইমেইল করা হবে)।
হালনাগাদ ডেডলাইন জানতে ভিজিট করুন – https://si.se/en/apply/scholarships/swedish-institute-scholarships-for-global-professionals/
যেসকল দেশের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য
সারা বিশ্বের ৩৪ টি দেশের মোট ৩০০ জনকে এই স্কলারশিপে দেওয়া হয়ে থাকে। আর এই তালিকায় বাংলাদেশও আছে তাই বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারেন।
অন্যান্য দেশ সমুহঃ
বলিভিয়া, ব্রাজিল, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, মিশর, ইথিওপিয়া, গাম্বিয়া, ঘানা, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, ইন্দোনেশিয়া, জর্দান, কেনিয়া, লাইবেরিয়া, মালাউই, মরোক্কো, মায়ানমার (বার্মা), নেপাল, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, পেরু, ফিলিপাইন, রুয়ান্ডা, শ্রীলঙ্কা, সুদান, তাঞ্জানিয়া, তিউনিসিয়া, উগান্ডা, ভিয়েতনাম, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে।
আবেদন প্রক্রিয়া
সুইডেনে ভর্তিপ্রক্রিয়া কেবল একটি অনলাইন এপ্লিকেশন সার্ভিসের (www.universityadmissions.se) মাধ্যমে সম্পন্ন করা যাবে। এটা অত্যন্ত সহজ ও ঝামেলাবিহীন। এই সাইটে একবার অ্যাকাউন্ট করলেই যেকোনো বিষয়ে, যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করা যাবে।
একটা বিষয় ক্লিয়ার হওয়া দরকার যে – Swedish University Admission authority (www.universityadmissions.se) এবং SI Scholarship authority দুইটি আলাদা প্রতিষ্ঠান।
আগ্রহী প্রার্থিকে প্রথমেই অনলাইনে আবেদন করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য। আপনি প্রথম স্টেপে ভর্তি নিশ্চিত করবেন।ভর্তি আবেদন সম্পন্ন করার পর দ্বিতীয় স্টেপে আবেদন করতে হবে স্কলারশিপ এর জন্য।
স্কলারশিপ আবেদনের জন্য ভিজিট করুন – https://si.se/en/apply/scholarships/swedish-institute-scholarships-for-global-professionals/#how-to-apply
এরপর সুইডিশ কাউন্সিল ফর হাইয়ার এডুকেশন তাদের নিরীক্ষা চালিয়ে আপনাকে ফলাফল জানিয়ে দিবে।
আপনি সর্বোচ্চ ৪টি বিষয়ে আবেদন করতে পারবেন। এবং আবেদন ফী ৯০০ সুইডিশ ক্রোনা।
স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য আপনাকে জমা দিতে হবেঃ
১। মোটিভেশন লেটার
২। একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট এবং সার্টিফিকেট।
৩। ইউরোপিয়ান ফরম্যাটে CV । যেটা বলা হয় ইউরোপাস (Europass) ; এই ফরম্যাটে সিভি তৈরির জন্য অনুসরণ করুন এই লিংক: https://europass.cedefop.europa.eu/en/documents/curriculum-vitae
৪। দুটি রেফারেন্স লেটার। অন্তত ১ টি তে আপনার কাজের বা চাকরির বিবরণ থাকতে হবে। অবশ্যই SISGP ফরমে রেফারেন্স নিতে হবে। ফরম অফিয়াল ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে
৫। কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট।
৬। পাসপোর্টের স্ক্যান কপি
৭। IELTS এর সনদ
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনঃ
স্কলারশিপের আবেদনঃ
তথ্যসুত্রঃ
- https://www.kholabakso.com/latestupdate/si
- https://www.prothomalo.com/durporobash/article/680554
- https://www.educarnival.com/swedish-scholarship-for-bangladeshi-students/
- https://youthcarnival.org/bn/সুইডেনে-বিনা-খরচে-পড়াশোন/
- https://www.thedailycampus.com/scholarship/23450/বিনামূল্যে-বিদেশে-শিক্ষার-জন্য-সেরা-৮-শিক্ষাবৃত্তি
- https://www.pikdigg.com/swedish-institute-si-scholarship/
The Germany Academic Exchange Service যাকে সংক্ষেপে বলা হয় ডাড স্কলারশিপ- যা একটি জার্মানভিত্তিক স্কলারশিপ। জার্মানীর অন্যতম প্রেস্টিজিয়াস স্কলারশিপ হল ডাড স্কলারশিপ। যারা উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে চান জার্মানী, তাদের জন্য ডাড একটি লোভনীয় স্কলারশিপ। মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য এই স্কলারশিপ প্রদান করা হয়ে থাকে। এই স্কলারশিপে আপনি ১০ থকে ১৪ মাস মেয়াদী মাস্টার্স বা পিএইচডি করতে পারবেন বা এই সময়ের জন্য সার্বিক সহযোগিতা পাবেন। এটি প্রথম চালু হয় ১৯২৫ সালে আর বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপে আবেদন করতে পারে।
স্কলারশিপ এর নাম
ডাড (DAAD ) স্কলারশিপ
যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে
এই স্কলারশিপে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সের জন্য শিক্ষা সহায়তা পাওয়া যায়। নিচের লিস্টের ফিল্ডসগুলর বিভিন্ন সাবজেক্টের জন্য আপনি স্কলারশিপ আবেদন করতে পারবেনঃ
Economic Sciences/Business Administration/Political Economics, Development Cooperation, Engineering and Related Sciences, Mathematics, Regional and Urban Planning, Agricultural and Forest Sciences, Natural and Environmental Sciences, Medicine and Public Health, Social Sciences, Education and Law, Media Studies
দেশ এবং কর্তৃপক্ষ
জার্মানী। জার্মান সরকার (Deutscher Akademischer Austauschdienst (DAAD))
বৃত্তির সুযোগ সুবিধাসমূহ
ডাড স্কলারশিপের আওতায় আপনি যা যা পাবেনঃ
১। টিউশন ফি ও পরীক্ষার ফি
২। মাসিক ভাতা (মাস্টার্স প্রোগ্রামে ৮৫০ ইউরো, পিএইচডি-র জন্য ১২০০ ইউরো)
৩। বিমান ভাড়া
৪। স্বাস্থ্যবীমা
৫। বিশেষ ক্ষেত্রে বাড়ি ভাড়া এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য মাসিক ভাতার ব্যবস্থা
আবেদনের যোগ্যতা
ডাড স্কলারশিপের জন্য আপনার থাকতে হবে নিম্নোক্ত যোগ্যতাঃ
১। ন্যূনতম বি,এসসি ডিগ্রী থাকতে হবে।
২। কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ২ বছর।
৩। IELTS Score প্রয়োজন পড়বে ৬.৫। তবে বেশ কিছু প্রোগ্রামে আবেদন করতে Medium Instruction English থাকলেই চলবে। তাই অবশ্যই আবেদনের সময় জেনে নিতে হবে আসলে আপনার কি কি লাগছে।
৪। প্রার্থীকে উন্নয়নশীল দেশের হতে হবে।
চেষ্টা করবেন, আপনার স্টাডি গ্যাপ যেন ৬ বছরের বেশি না হয়। ৬ বছরের যত কম হবে, তত ভালো।
আবেদনের সময়সীমা
ডাড (DAAD) স্কলারশিপের বিভিন্ন ফিল্ডের বিভিন্ন সাবজেক্টের আবেদনের সময়সীমা বিভিন্ন। তাই আপনাকে সহযোগিতা নিতে হবে নিচের লিংকের, যার সাহায্যে জেনে নিতে পারবেন আপনাকে কখন আবেদন করতে হবে।
যেসকল দেশের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য
বিশ্বের অনেক দেশ সহ বাংলাদেশের জন্য এই স্কলারশিপ ওপেন আছে।
আবেদন প্রক্রিয়া
প্রথমেই ডাডের অনুমোদিত কোর্সগুলো থেকে কোর্স নির্বাচন করে আপনাকে বেছে নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়। তারপর করে ফেলুন আপনার আবেদন। মনে রাখবেন আপনি সর্বোচ্চ তিনটি কোর্সে আবেদন করতে পারবেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করবে। আর তারাই আপনাকে ডাড স্কলারশিপে আবেদন করতে বলবেন। এরপর আপনি নিচের লিঙ্কে গিয়ে আবেদন করে ফেলুনঃ
ডাড স্কলারশিপের প্রোগ্রামের জন্য আপনাকে জমা দিতে হবেঃ
১। Online আবেদন ফর্ম
২। সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশীট
৩। Euro Pas Formatted CV
৪। SOP
৫। বিশ্ববিদ্যালয়ের offer Letter (যদি থাকেন, তাহলে আবেদনের সাথেই দিতে হবে)
৬। রিকমেন্ডেশন লেটার (২ টি) – সাইন ও সীল দিয়ে সীলড অবস্থায় দিতে হবে।
৭। Work Experience Certificate
৮। IELTS Certificate (যদি প্রয়োজন হয়)
৭। NID
৮। পাসপোর্টের কপি
তথ্যসুত্রঃ
- https://youthcarnival.org/bn/১০টি-স্টেপে-daad-স্কলারশিপ-আব/
- https://www.kholabakso.com/latestupdate/daad
- https://www.kholabakso.com/haatekhori/scholarship-in-germany
- https://www.pikdigg.com/daad-scholarship-germany/
- https://www.bangladeshistudentscommunity.eu/archives/132
- https://en.wikipedia.org/wiki/German_Academic_Exchange_Service