Loading...
November 23, 2022

বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক স্কলারশীপগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্য সরকার প্রদত্ত কমনওয়েলথ স্কলারশীপ অন্যতম। কমনওলেথ স্কলারশিপ দেওয়া হয় কমনওলেথ ভিত্তিক অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের। এই স্কলারশিপের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৩ সাল থেকে আর এই প্রোগ্রামের অর্থায়ন করে Department of International Development। প্রায় ৩৫০০০ জন এখন পর্যন্ত কমনওয়েলথ স্কলারশিপ ও ফেলোশিপ পেয়েছেন। প্রতি বছর প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। বাংলাদশ কমনওলেথের আওতায় হওয়ায় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারে। এই বৃত্তি উদ্যোমী ও প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগের জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে।

স্কলারশিপ এর নাম

কমনওয়েলথ স্কলারশীপ

যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে

বিবেচিত বিষয় সমুহ সম্পর্কে জানতে নিম্মোক্ত ওয়েবসাইট স মুহের সাহায্য নিতে পারেন –

www.cscuk.dfid.gov.uk (কমনওয়েলথ বৃত্তি–সংক্রান্ত বেশির ভাগ তথ্য পাওয়া যাবে এই অফিশিয়াল ওয়েবপেজে)

www.ugc.gov.bd । www.britishcouncil.org.bd

একজন আবেদনকারীকে মাস্টার্স অথবা পিএইচডি যেকোনো একটি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

দেশ এবং কর্তৃপক্ষ

কমনওয়েলথ কমিশন সচিবালয়, লন্ডনের মাধ্যমে আর্থিক অনুদান দেয় যুক্তরাজ্য সরকারের ‘আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ বা ডিএফআইডি’

বৃত্তির সুযোগ সুবিধাসমূহ

কমনওয়েলথ বৃত্তির আর্থিক সুবিধা

১. স্নাতকোত্তর বা পিএইচডির সম্পূর্ণ টিউশন ফি বহন করবে কমনওয়লেথ কমিশন

২. যুক্তরাজ্যে যাওয়া–আসার বিমানের টিকিট।

৩. লন্ডন অথবা লন্ডনের বাইরে বসবাসের মাসিক ভাতা

৪. মাসিক ভাতার বাইরেও এককালীন টাকা পাওয়া যায়

৫. ‘স্টাডি ট্রাভেল গ্র্যান্ট’

৬ ‘থিসিস গ্র্যান্ট’

৭. এ ছাড়া কমনওয়েলথ কমিশন কর্তৃক আয়োজিত যেকোনো প্রশিক্ষণ, স্বল্পমেয়াদি কোর্স, ওয়েলকাম ইভেন্ট ও আঞ্চলিক সম্মেলন যোগদানের জন্য ট্রেনের টিকিট, থাকা ও খাওয়ার সুব্যবস্থা করা হয়।

আর এ খরচ বহন করা হয় পুরো কোর্স সময়কালে।

আবেদনের যোগ্যতা

কমনওলেথ স্কলারশিপে আবেদনের জন্য আপনার নিম্নোক্ত যোগ্যতা থাকতে হবেঃ

১। কমনওলেথ দেশের নাগরিক অথবা শরণার্থী হতে হবে

২। UK-এ কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের আবেদন করতে হবে আর আবেদনের জন্য প্রয়োজইনীয় সকল যোগ্যতা থাকতে হবে

৩। দ্বিতীয় মাস্টার্স করতে চাইলে, কেন দ্বিতীয় মাস্টার্স করতে চাচ্ছেন তার কারণ দর্শাতে হবে

৪। আবেদনকারীর কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির (২:১) স্নাতক বা স্নাতকোত্তর থাকতে হবে, যা সিজিপিএ ৩.০–এর সমতুল্য। তবে সিজিপিএ যত বেশি হবে, বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি।

৫। যাঁরা আগে বিদেশে থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন, তাঁরা স্নাতকোত্তরের জন্য বিবেচিত হবেন না। তবে অন্য কোনো বৃত্তির অধীনে স্নাতকোত্তর করে থাকলে পিএইচডিতে আবেদন করতে পারবেন।

৬। দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠানে পিএইচডির জন্য নিবন্ধন করলে বৃত্তির জন্য বিবেচিত হবেন না।

৭।  কমনওয়েলথভুক্ত বা নিজ দেশের বাইরে অবস্থানকালে কেউ আবেদন করলে গ্রহণযোগ্য হবেন না।

৮। যুক্তরাজ্যে কেউ শিক্ষারত অবস্থায় এই স্কলারশিপের জন্য বিবেচিত হবেন না।

আবেদনের সময়সীমা

আবেদনের হালনাগাদ সময়সীমা জানতে নিম্মোক্ত ওয়েবসাইট এর সাহায্য নিতে পারেন-

www.cscuk.dfid.gov.uk (কমনওয়েলথ বৃত্তি–সংক্রান্ত বেশির ভাগ তথ্য পাওয়া যাবে এই অফিশিয়াল ওয়েবপেজে)

www.ugc.gov.bd | www.britishcouncil.org.bd

যেসকল দেশের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য

কমনওয়েলথভুক্ত ৫৩টি দেশের তরুণ শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের জন্য দেওয়া হয় ৮০০টি বৃত্তি (স্নাতকোত্তর, পিএইচডি ও স্প্লিট–সাইট স্টাডি)

Commonwealth Scholarship - UK
Image Source: Internet

আবেদন প্রক্রিয়া

কমনওয়েলথ স্কলারশীপের নির্বাচন প্রক্রিয়াও দীর্ঘমেয়াদী যা কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়। ১ বছরেরও বেশি সময় লাগে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে।

কমনওলেথ স্কলারশিপের আবেদন শুরু হয় প্রতি বছর নভেম্বর মাস থেকে। এপ্লিকেশন প্রথম দিকে করাই ভালো। পরে এপ্লিকেশনের প্রেশার বাড়লে সার্ভার অনেক সময় স্লো হয়ে যায়। তাই হাতে সময় নিয়ে আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে ব্রাউজ করুনঃ

http://cscuk.dfid.gov.uk/apply/masters-scholarships/

প্রতিটি দেশের জন্য পৃথক মনোনীত প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত আছে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটি হলো আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। প্রতিবছর ইউজিসি কমনওয়েলথ স্কলারশিপের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দরখাস্ত আহ্বান করে। www.ugc.gov.bd

আবেদনের নিয়মাবলীঃ

১। যুক্তরাজ্যের যেসকল বিশ্ববিদ্যালয় কমনওয়েলথের এই স্কলারশিপের সাথে চুক্তিবদ্ধ, সেসকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে সিএসসি অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম ব্যবহার করে আবেদন করতে হবে।

২। সকল ফাইল স্ক্যান করে PDF ফরম্যাটে সাবমিট করতে হবে আর ডকুমেন্ট সাইজ ৫ মেগাবাইটের বেশী হতে পারবে না।

আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ

১। পাসপোর্ট/ নাগরিকত্ব সনদ

২। একাডেমিক সকল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট

৩। রেফারেন্স লেটার- পরবর্তীতে যিনি রেফারেন্স দিয়েছেন, তাকে মেইল করা হবে।

তথ্যসুত্রঃ

November 21, 2022

ফ্রান্সে পড়াশুনা করার জন্য আপনি যদি স্কলারশিপ চান, তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে প্রেস্টিজিয়াস স্কলারশিপ হল আইফেল এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি ফ্রান্স সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত বেশ জনপ্রিয় একটি স্কলারশিপ। প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীগণ ফ্রান্সের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাস্টার্স এবং পিএইচডি প্রোগ্রামে পড়তে আসেন এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে।

স্কলারশিপ এর নাম

আইফেল এক্সেলেন্স স্কলারশিপ।

যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে

এই স্কলারশিপের আওতায় ১২ মাস থেকে ৩৬ মাস মেয়াদী মাস্টার্স প্রোগ্রাম ও ১০ মাস মেয়াদী পিএইচডি কোর্সের অর্থায়ন করা হয়ে থাকে।এই স্কলারশিপের আধীনে ইঞ্জিনিয়ারিং, ল’, ম্যানেজমেন্ট, পলিটিক্যাল সাইন্স ও ইকোনোমিক্স পড়ার সুযোগ পাওয়া যায়।

দেশ এবং কর্তৃপক্ষ

মিনিষ্ট্রি অফ ফরেন এফেয়ার্স,ফ্রান্স

বৃত্তির সুযোগ সুবিধাসমূহ

স্কলারশিপের আওতায় আপনি যা যা পাবেনঃ

১। মাসিক ভাতা (মাস্টার্সে ১১০০ ইউরো ও পিএইচডি-এ ১৪০০ ইউরো)

২। যাতায়ত বিমান ভাড়া

৩। স্বাস্থ্য বীমা, আবাসিক ও অন্যান্য ভাতা

মজার বিষয় এই স্কলারশিপে আপনাকে টিউশন ফী প্রদান করা হবে না।

আবেদনের যোগ্যতা

এই স্কলারশিপে আবেদন করতে আপনার থাকতে হবে নিম্নোক্ত যোগ্যতাঃ

১। মাস্টার্স কোর্সে ৩০ বছর আর পিএইচডি কোর্সে সর্বোচ্চ ৩৫ বছর বয়স সর্বোচ্চ হতে পারবে।

২। ফ্রান্সের কোন নাগরিক এই স্কলারশিপে আবেদন করতে পারবে না।

৩। পূর্বে কেউ স্কলারশিপ পেয়ে থাকলে আরেকবার আবেদন করতে পারবেন না। কিন্তু পূর্বে কেউ মাস্টার্সে এই স্কলারশিপ পেলে তিনি পিএইচডি-এর জন্য আবার তিনি আবেদন করতে পারবেন।

৪। শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ইংরেজী অথবা ফ্রেঞ্চ ভাষায় পারদর্শী হতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা

আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয় ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে।হালনাগাদ ডেডলাইন জানতে ভিজিট করুন অফিসিয়াল ওয়েবসাইট –

https://www.campusfrance.org/en/eiffel-scholarship-program-of-excellence

French students
Image Source: Internet

যেসকল দেশের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য

বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকল দেশের শিক্ষার্থীগণ আইফেল এক্সেলেন্স স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবে।

আবেদন প্রক্রিয়া

আইফেল এক্সেলেন্স স্কলারশিপ প্রাপ্তির জন্য আপনাকে ফ্রান্সের কিছু নমাকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিরেক্ট আবেদন করতে হবে। ডিরেক্ট আবেদনের জন্য ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং তখনি বিশ্ববিদ্যালয়কে জানিয়ে দিতে হবে আপনি আইফেল এক্সেলেন্স স্কলারশিপ-এর জন্য আবেদন করতে চান। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনাকে জানিয়ে দিবে আপনি স্কলারশিপ পেয়েছেন কি না? উল্লেখ্য যে, এই স্কলারশিপে শিক্ষার্থী সরাসরি আবেদন করতে পারবেন না। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা ফ্রেঞ্চ হাইয়ার এডুকেশন ইন্সটিটিউশন্সের মাধ্যমে আবেদন যেতে হবে।

এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য আপনাকে জমা দিতে হবেঃ

১। Online আবেদন ফর্ম

২। সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশীট

৩। রিকমেন্ডেশন লেটার (২ টি) – সাইন করে সীলড অবস্থায় দিতে হবে।

৪। SOP (Statement of Purpose)

৫। IELTS এর সনদ বা ফ্রেঞ্চ ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র

৬। Work Experience Certificate (যদি থাকে)

৭। NID ও পাসপোর্টের কপি

 

আবেদন ও আরোও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুণঃ

https://www.campusfrance.org/en/eiffel-scholarship-program-of-excellence

ক্যাম্পাস ফ্রান্স বিদেশে ফরাসি উচ্চশিক্ষা প্রচারের এবং ফ্রান্সে বিদেশী শিক্ষার্থীদের এবং গবেষকদের স্বাগত জানানোর কাজে নিয়োজিত একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান।

তথ্যসুত্রঃ

error: Alert: Content selection is disabled!!