Loading...
November 22, 2022

ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর ফুটবলের জাদুগরী দেখতে ভালো লাগে না এমন কথা বলা খুব কঠিন। এমনকি যারা পর্তুগালের খেলা পছন্দ করেন না, তারাও তাকে ভালোবাসেন। আপনাদের সামনে আজ নিয়ে আসবো- ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর দেশ পর্তুগাল নিয়ে। কথা হবে আজ আটলান্টিক সাগরের তীরবর্তী ইউরোপের দেশ পর্তুগালে উচ্চশিক্ষাকে কেন্দ্র করে। পর্তুগাল ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ এবং এই দেশ সেনজেন চুক্তির আওতায় রয়েছে। তাই পড়ুন, জানুন এবং দেখে নিন পর্তুগালে উচ্চশিক্ষার সার্বিক দিক।

কেন পর্তুগালে পড়তে যাবেন?

দক্ষিণ- পশ্চিম উপকূলে আটলান্টিক সাগরের তীরে অবস্থিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ পর্তুগালের রাজধানী লিসবন- এদেশের সবচেয়ে বড় শহর। পর্তুগালের ভাষা পর্তুগীজ ও মুদ্রা ইউরো। প্রাচীনকালে এই দেশ শক্তি ও বৃত্তিতে অনেক সমৃদ্ধ ছিল। ১৬শ শতকের দিকে এই সমৃদ্ধিতে ভাটা পড়ে। এদেশের আয়তন ৯২, ২১২ বর্গ কিলমিটার আর জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৩ লাখ।

Study in Portugal
Image Source: pixabay.com

কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

পর্তুগালে অনেক উন্নত্মানের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এইসকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ্লোমা, ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডি- সকল ধরণের কোর্সই করতে পারবেন। এছাড়া এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে হরেক রকমের সাবজেক্ট যেমনঃ সাইন্স, ইকোনমিকস, বাণিজ্য, আইন, ইঞ্জিনিয়ারিং, একাউন্টিং, মেডিকেলসহ বহু ধরণের কোর্স। কিন্তু মনে রাখবেন, বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্তুগীজ ভাষায় কোর্স অফার করা হয়ে থাকে। তাই, কোর্স ও বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করার আগে দেখে নেবেন, সেখানে ইংরেজী মাধ্যমে কোর্স অফার করা হয় কি না?

পর্তুগীজ  বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা পেতে নিম্মোক্ত ওয়েবসাইট গুলোর সাহায্য নিতে পারেনঃ

http://www.4icu.org/pt/

https://www.study-research.pt/

অথবা

https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_universities_and_colleges_in_Portugal

Universities in Porto, Potugal
Image Source: Internet

নিচে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেওয়া হলঃ

  1. University of Lisbon
  2. University of Porto
  3. New University of Lisbon
  4. University of Minho
  5. University of Coimbra
  6. University of Aveiro

পর্তুগালে পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

পর্তুগালে পড়াশুনার জন্য অনেকেরই পছন্দ- কারণ, এদেশে পড়তে যাবার জন্য ইংরেজীতে পারদর্শিতার কোন সার্টিফিকেট দিতে হয় না।  তাই যারা IELTS দিতে ভয় পাচ্ছেন, তাদের জন্য এই দেশ হবে উচ্চশিক্ষার অন্যতম ডেস্টিনেশন। কিন্তু, ইংরেজীতে কথা বলার দক্ষতা ও সার্টিফিকেট থাকলে আপনি ভিসা পাওয়ার জন্য বেশী যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। এদেশে ব্যাচেলর প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করতে উচ্চ মাধ্যমিক, মাস্টার্সে আবেদনের জন্য ৪ বছরের ব্যাচেলর এবং পিএইচডি পড়তে আপনাকে ২ বছরের মাস্টার্স থাকতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

এই দেশে বছরে দুইটি সেশন থাকে। প্রথমটির আবেদনকাল নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি আর দ্বিতীয়টির আবেদনকাল এপ্রিল থেকে জুলাই।

প্রথমেই আপনাকে অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে হবে। এবং অনলাইনেই সকল ডকুমেন্টস পাঠাতে হবে। তারপর যদি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কনফার্মেশন পাঠায়, তাহলে আংশিক টিউশন ফি জমা দিতে হবে। কত টিউশন ফি ও কোথায় জমা দিতে হবে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনাকে জানিয়ে দিবে।

নিচে একটি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসের লিস্ট দেওয়া হলঃ

১। সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট এবং মার্কশীট

২। মোটিভেশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার

৩। ইউরোপাস ফরম্যাটে CV

৪। পাসপোর্টের কপি ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি

৫। আপ্লিকেশন ফি পরিশোধের রশিদ [ সাধারণত ৫০-৬০ ইউরো হয়ে থাকে এবং এই অর্থ ফেরৎযোগ্য নয় ]

সকল ডকুমেন্টস ঠিক ঠাক মত জমা দিতে হবে। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইমেইল করে জেনে নিতে হবে।

University of Porto,Portugal
Image Source: Internet

পড়াশোনার খরচ ( টিউশন ফি)

ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলোনায় এই দেশে টিউশন ফি অনেক কম। এই খানে সাধারণত টিউশন ফি ৯০০-৬,০০০ ইউরো পর্যন্ত হয়ে থাকে। সাবজেক্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে এই টিউশোন ফি ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই টিউশন ফি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে হবে।

ব্যাচেলর, মাস্টার্স এইক্ষেত্রে ৯৫০ – ১২৫০ ইউরো প্রতি একাডেমিক ইয়ার।

পি এইচ ডির ক্ষেত্রে ২৫০০-৩৫০০ ইউরো প্রতি একাডেমিক ইয়ার।

পর্তুগালে আবাসন ব্যবস্থা

এই দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে কম খরচে থাকার জন্য হোস্টেলের ব্যবস্থা রয়েছে। তাই, আগে ভাগে হোস্টেলে আবেদন করে দেওয়াই উত্তম।

ইউরোপের অন্যান্য দেশের চেয়ে পর্তুগাল উন্নয়নে একটু পিছিয়ে আছে। তাই এই দেশে জীবন যাত্রার ব্যয় একটু কম। মাসে আপনি ৩০০-৩৫০ ইউরোতে খাওয়া থাকা মিটিয়ে ফেলতে পারেন।

Portugal Site Scene
Image Source: pixabay.com

আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ

ব্যাংক সলভেন্সি খুব ভালো হতে হবে । পর্তুগালে পড়তে গেলে আপনাকে ৬/৭ লক্ষ টাকা ব্যাংকে দেখাতে হবে।  যে আপনার স্পনসর হবে তার সাথে আপনার সম্পর্ক কি কিংবা তার ইনকাম সোর্স কি সেগুলোর বেপারে যেন আপনি এমবাসির কাছে স্পষ্ট জবাবদিহি করতে পারেন সেটার জন্য তৈরি থাকতে হবে ।

স্পন্সরের একাউন্টে অস্বাভাবিক বড় মাপের লেনদেন হলে সেটার সঠিক ব্যাখ্যা দিতে হবে।

স্কলারশিপের সুযোগ আছে কি না?

পর্তুগালে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ। যা বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারে। যেমনঃ Erasmus mundus Scholarship, এটা ইউরোপিয়ান উনিয়ন কর্তৃক প্রদত্ত উচ্চশিক্ষা বৃত্তি । সবচেয়ে প্রেস্টিজিয়াস স্কলারশিপ হিসাবে গণ্য করা হয়। FCT Scholarship – Fellowships & Grants এটা পর্তুগালের খুব সম্মানজনক একটা বৃত্তি, পি এইচ ডি এবং পোস্ট ডক্টরেট এর জন্য এটা প্রদান করা হয় .প্রতি বছর ২৫০-৩০০ ফাইনাল আবেদন তারা নিয়ে থাকেন। বিস্তারিত জানতে তাদের ওয়েবসাইট কয়েক করুন – https://www.fct.pt/apoios/bolsas/concursos/ ।  তাছাড়া প্রতিটা ইউনিভার্সিটি তাদের Internal Scholarship এর ব্যাবস্থা করে থাকে। ভালো রেজাল্টের ভিত্তিতে আপনি সর্বোচ্চ ৫০%-৭৫% টিউশন ফি ছাড় পেতে পারেন।

Image Source: Internet

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

বাংলাদেশে পর্তুগালের কোন এম্বেসী নেই- শুধু আছে কনস্যুলেট অফিস। তাই অবশ্যই আপনাকে ইন্ডিয়ার দিল্লীতে ভিসার জন্য যেতে হবে। আপনার সুবিধার্থে এম্বেসীর ঠিকানা ও ওয়েবসাইট নিচে দেওয়া হল।

https://www.novadeli.embaixadaportugal.mne.pt/en/

ডকুমেন্টস সত্যায়ন ও ভিসার আবেদন জমা –  https://pt.vfsglobal.co.in/

দিল্লীস্থ পর্তুগালের এম্বেসীর ঠিকানাঃ

No.4, Panchsheel Marg, Block B, Diplomatic Enclave, Chanakyapuri, New Delhi, Delhi 110021, India

Phone: (91) 11 4607 1001 । Email: [email protected]

মনে রাখবেন, ভিসা জমা দেওয়ার পূর্বে আপনাকে একটি এপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। এই ভিসা প্রাপ্তির জন্য ৩০ দিন সময় লাগে, তাই হাতে সময় রেখে কাজ শুরু করবেন। পড়াশুনা ও রিসার্চের জন্য আপনাকে লং টার্ম ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এই লং টার্ম ভিসার মধ্যে আবার দুইটি প্রকারভেদ রয়েছে। একটি হলঃ টেম্পোরারী স্টে ও দ্বিতীয়টি হল রেসিডেন্স ভিসা। আপনাকে অবশ্যই লং টার্ম রেসিডেন্স ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

হেলথ ইনস্যুরেন্সের জন্য বাংলাদেশে অবস্থিত জার্মান এম্বেসী দ্বারা অনুমোদিত যে কোন ইনস্যুরেন্স কোম্পানী থেকে আপনাকে এটি সংগ্রহ করতে হবে। মনে রাখবেন কমপক্ষে ১২০ দিনের ইনস্যুরেন্স করতে হবে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, এই ইনস্যুরেন্স শুরু হবার তারিখ ক্লাস শুরু হবার ৫ দিন আগে থেকেই চালু হতে হবে। অন্যদিকে আপনাকে অন-ওয়ে ফ্লাইট টিকিট এর ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। ডকুমেন্টে আবশ্যই ফ্লাইট কনফার্মড থাকতে হবে। এই ফ্লাইট বুকিং দিতে কোন টাকার প্রয়োজন হয় না। অবশ্যই মনে রাখবেন, এই ফ্লাইটের তারিখ ও ইনস্যুরেন্সের তারিখ একই হয়।

এবার জেনে নিন ভিসা আবেদনর জন্য কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন পড়বেঃ

১। পূরণকৃত আবেদন ফর্ম ও ভিসা ফি প্রদানের রশিদ ৯০ ইউরো [স্কলারশিপধারীদের জন্য মওকুফ করা হয়]

২। পাসপোর্ট ও  ফটোগ্রাফ (৩৫ মি.মি.x৪০ মি.মি. )

৩। CV, মোটিভেশন ও রেফারেন্স

৪।সকল মার্কশিট ও সনদ [অরিজিন্যাল ও সাথে ২ কপি ফটোকপি]

৫। No Objection  Certificate [শেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে]

৬। অফার লেটার ও টিউশন ফি প্রদানের রশিদ

৭।অ্যাকোমোডেশন পেপ্যার

৮।ব্যাংক সলভেন্সি পেপ্যার

৯।৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট [ স্টেটমেন্টে ব্যাংক ম্যানেজারের স্বাক্ষর থাকতে হবে]

১০।পুলিশ ক্লিয়ারান্স

১১।হেলথ ইন্স্যুরেন্স

১২।One – way Flight Booking Copy

সব কিছু ঠিক থাকলে ভিসা পাওয়ার সম্ভবনা আনেক বেশি। বর্তমানে পর্তুগাল সরকার প্রচুর পরিমানে স্টুডেন্ট ভিসা প্রদানের অনুমতি দিয়েছে। তাই বর্তমানে পর্তুগালে বিদেশী স্টুডেন্টের ঢলও নেমেছে।

এখানে উল্লেখ্য যে, পড়াশুনার মধ্যের গ্যাপ ৪ বছরের বেশি হলে ভিসা পেতে সমস্যা হবে। এবং সবচেয়ে ভালো হয় যদি এই গ্যাপ ১-২ বছরের মধ্যে হয়ে থাকে।
Life in Portugal
Image Source: pixabay.com

মাসিক খরচ এবং পার্ট টাইম জব এর সুযোগ

ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় পর্তুগালে জীবন যাপন খরচ একটু কম। আপনি অনায়াসে এই দেশে ৩০০-৩৫০ ইউরোর মধ্যে খাওয়া- থাকা মিটিয়ে ফেলতে পারবেন। ৪০ ইউরো ট্রান্সপোর্ট খরচ প্রতি মাসে যা আপনার পুরো লিসবন জোন কভার করবে, ছাত্র হিসাবে আপনি গেলে আপনার জন্য ট্রান্সপোর্ট খরচ ৩০ ইউরো অনলি ।

আপনি এই দেশে পার্ট টাইম জবের সুযোগ পাবেন ২০ ঘন্টা/ সপ্তাহ। আর ছুটিতে পাবেন ফুল টাইম জব করার সুবিধা।পর্তুগীজ ভাষা জানা থাকলে জব পেতে বেগ পোহাতে হবে না। মনে রাখবেন, পর্ট টাইম জব করে থাকা খাওয়ার খরচ মেটাতে পারলেও টিউশন ফি জোগাড় করা সত্যিই কষ্টসাধ্য।

কোর্স শেষে চাকুরীর সুযোগ ও স্থায়ী বসবাস

পর্তুগালে বৈধভাবে ৫ বছরের বেশি বসবাস করলে আর ট্যাক্স, জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষদ ও আঞ্চলিক স্বাস্থ্য পরিষদে নিবন্ধন ও ভাষা জানা থাকলে আপনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। একে Golden Residence Permit Program বলে।

আপনি পর্তুগালে স্টুডেন্টস ভিসায় আসলে রেসিডেন্স পার্মিট ইস্যুর তারিখ থেকে ৫ বছর থাকতে পারলে যে কোনো ক্যাটাগরিতে আপনি পি আর বা পর্তুগালের নাগরিকত্ব আবেদনের জন্য এলিজিবল হবেন।

তাহলে দেরী কেন? আবেদন করুন পর্তুগালে আজ ই।

Image Source: pixabay.com

তথ্যসুত্রঃ

November 22, 2022

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সেঞ্জেনভুক্ত দেশের লিস্টে অন্যতম এক নাম লিথুয়ানিয়া। শুধু এর সৌন্দর্য্য বিশ্ববাসীকে এর দিকে আকৃষ্ট করে না বরং এর সাথে উচ্চমানের শিক্ষার ব্যবস্থ এই দেশকে সুপরিচিত করে তুলেছে বিশ্ববাসীর কাছে। তবে আর দেরি কেন? চলুন আজ লিথুয়ানিয়ায় উচ্চশিক্ষার সকল বিষয়ের দিকে দৃষ্টপাত করি।

কেন লিথুয়ানিয়ায় পড়তে যাবেন?

বাল্টিক সাগরের পূর্ব উপকূলবর্তী দেশ- যা ঠিক সুইডেনের বিপরীতে অবস্থিত তার নাম লিথুয়ানিয়া। এই দেশের আয়তন ৬৫,৩০০ বর্গকিলোমিটার এবং এর জনসংখ্যা ২.৭৯৪ মিলিয়ন। এই দেশের জিডিপি পার ক্যাপিটা ১,৯১৫৩.৪১ ইউএসডি। লিথুয়ানিয়ার সর্ববৃহৎ শহর ও রাজধানী হল ভিলনিয়াস। অফিসিয়াল ভাষা লিথুয়ানিয়ান এবং মুদ্রা ইউরো। এর প্রতিবেশি দেশগুলো হল লাটভিয়া, পোল্যান্ড, বেলারুশ ও রাশিয়া।

Study in Lithuania
Image Source: pixabay.com

কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কাছে দিন দিন লিথুয়ানিয়া বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর যাত্রা শুরু হয় ২০০৪ সাল থেকে। যদিও সে বছর খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থী গেলেও বর্তমানে কিন্তু অনেক বেড়ে গেছে। যাই হোক, মূল প্রসঙ্গে আসি। লিথুয়ানিয়ায় বিশ্বমানের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এবং ইউরোপের বেশির ভাগ দেশেই যেখানে ব্যাচেলর পড়ানো হয় তাদের নিজ অফিসিয়াল ভাষায় সেখানে লিথুয়ানিয়ায় সিংহভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই রয়েছে ইংরেজীতে ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি করার সুযোগ। এখানে আপনি মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, সাইন্সসহ বিভিন্ন ধরণের কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। এজন্য আপনাকে কষ্ট করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটগুলো ঘেটে দেখতে হবে।

কোর্স খুঁজতে সাহায্য নিতে পারেন এই ওয়েবসাইট এরঃ https://studyin.lt/study-programmes/

আপনাদের সুবিধার্থে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিচে দেওয়া হলঃ

  • Aleksandras Stulginskis University
  • Kaunas University of Technology
  • Vytautas Magnus University
  • Vilnius University
  • Klaipėda University
  • Vilnius Gediminas Technical University
  • Vilnius Academy of Fine Arts
  • Šiauliai University
  • Mykolas Romeris University
  • Lithuanian University of Health Sciences
  • Lithuanian University of Educational Sciences
  • Kaunas University of Technology

লিথুয়ানিয়ায় পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

এদেশে ব্যাচেলর পড়তে HSC, মাস্টার্স করতে ব্যাচেলর আর পিএইচডি করতে প্রয়োজন পড়বে মাস্টার্স ডিগ্রীর। IELTS ছাড়া এদেশে যাওয়া গেলেও ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে IELTS-এ স্কোর থাকতে হবে ৬.০।

University in Lithuania
Image Source: Internet

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়সীমা/ সেশন

অন্যান্য সব দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মতো এখানেও বছরে ২টি সেশনে ভর্তি প্রক্রিয়া চলে। প্রতিবছর- সেপ্টেম্বর ও জানুয়ারি। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেপ্টেম্বর এ বেশি সাবজেক্টে ভর্তির সুযোগ থাকে।

ডকুমেন্টস সত্যায়ন

লিথুয়ানিয়ায় পড়াশুনা করতে অবশ্যই আপনাকে ডকুমেন্টস সত্যায়িত করতে হবে।

(১) প্রথমে সকল সার্টিফিকেট ও মার্কশীট শিক্ষা বোর্ড থেকে সত্যায়িত করতে হবে। এজন্য কমপক্ষে ৩-৫ দিন সময় লাগবে। এই সময়ে ৩/৪ সেট সাথে রাখবেন। এখানে ফি বাবদ ৫০০-৬০০ টাকা খরচ হবে।

(২) এরপর যেতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। এখানেও ৩/৪ কপি ডকুমেন্টস নিয়ে যাবেন। এখানে কাগজ-পত্র সকাল ১১ টা থেকে জমা পড়া শুরু হয় আর বিশেষ কোন সমস্যা না থাকলে ঐ দিন বেলা ৩টা বা ৪টার মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবেন।

(৩) এরপর পাসপোর্টের ফটোকপি নোটারাইজড ৩ কপি আইন মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়ন করতে হবে। এজন্য সময় লেগে যাবে সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ৪টা পর্যন্ত।

(৪) এই সকল কাগজপত্র আপনাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে সত্যায়নের জন্য। আর এইগুলো সত্যায়ন করতে সময় লাগবে ২ দিন। কাগজ জমা নেওয়া শুরু হয় সকাল ১১ টায় আর ফেরৎ দেওয়া হয় বেলা ৩ টায়। তবে মনে রাখবেন, অনেক শিক্ষার্থী এই কাজের জন্য লাইনে দাঁড়ায়- তাই সকাল সকাল এসে লাইনে দাড়ানোই ভালো।

ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

প্রথমে আপনাকে আবেদনের জন্য সকল কাগজপত্র ডাক যোগে বা অনলাইনে পাঠাতে হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে, তারা আপনাকে ৫-৭ দিনের মধ্যে অফার লেটার পাঠাবে। আর এরপর আপনাকে ১ বছরের টিউশন ফি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রদত্ত একাউন্টে জমা করতে হবে। চিন্তা করার কোন কারণ নেই- ভিসা না পেলে আপনি অবশ্যই এই টাকা ফেরৎ পাবেন। তবে এখানে এপ্লিকেশন ফি ১০০-২০০ ইউরো প্রদান করতে হবে, যা অফেরৎযোগ্য। এরপর টিউশন ফি জমা দেওয়ার পর তারা আপনাকে ৩/৪ দিনের মধ্যে অফার লেটার এবং ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস পাঠাবে।

লিথুয়ানিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সকল কাগজপত্র লিথুয়ানিয়ার সেন্টার ফর কোয়ালিটি এসেসমেন্ট ইন হাইয়ার এডুকেশন (SKVC) থেকে রেকগনাইজ করাতে হবে। পূর্বে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের পূর্বেই করা হত কিন্তু ২০১৭ সাল থেকে প্রথমে আপনাকে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এপ্লাই করতে হবে এবং সেখান থেকে পাওয়া কনডিশনাল অফার লেটার প্রুফ অফ পারপাস হিসেবে জমা দিতে হবে। এরপরই আপনি ডকুমেন্টস রিকগনাইজ করানোর সু্যোগ পাবেন। আপনি সকল ডকুমেন্টস রিকগনাইজের জন্য নিজ দেশ থেকে পাঠাতে পারেন। অথবা বিশ্ববিদ্যালয়কে জানালে তারা তাদের অফিশিয়াল ই-মেইল থেকে সকল ডকুমেন্টস SKVC-এ পাঠিয়ে দিবে। SKVC-এ এপ্লিকেশন ফর্মের লিঙ্ক ও সকল কাগজপত্র পাঠাবার ঠিকানা নিচে দেওয়া হলঃ

The Centre for Quality Assessment in Higher Education, SKVC

  1. Goštauto g. 12, LT-01108 Vilnius, Lithuania.

E-mail: [email protected]

Website:https://www.skvc.lt/default/en/60/apply/documentation_requirements

University in Lithuania
Image Source: Internet

SKVC তে যে সকল কাগজপত্র পাঠাতে হবেঃ

১। সকল মার্কশীট ও সার্টিফিকেটের ফটোকপি

২। পাসপোর্টের ফটোকপি

৩। প্রুফ অফ পারপাস

মনে রাখবেন সকল কাগজপত্র নোটারাইজড হতে হবে। SKVC-এ রিকগনাইজের জন্য কোন ফি লাগে না আর পুরো কাজটি করতে ২০-২৫ দিন সময় লাগে।

এবার আসি ভর্তির জন্য যেসকল কাগজপত্র লাগে তা নিয়েঃ

১। একাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট

২। IELTS এর সনদ

৩। মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার

৪। CV

৫। পাসপোর্টের কপি ও ফটোগ্রাফ (৩৫/৪৫)

৬। এপ্লিকেশন ফর্ম ও এপ্লিকেশন ফর্ম জমা দেওয়ার রশিদ

৭। হাউজিং ফর্ম

অনেক ক্ষেত্রে আপনাকে অনলাইনে সাক্ষাতকার দিতে হতে পারে।

টিউশন ফি

লিথুয়ানিয়ায় পড়াশুনার খরচ অনেক কম। বছরে সাধারণত ২৫০০ থেকে ৪৫০০ ইউরো দিতে হয় মাস্টার্স প্রোগ্রামে আর ব্যাচেলরে দিতে হয় ১৩০০-৪৫০০ ইউরো।

আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ

লিথুয়ানিয়ায় পড়াশুনা করতে চাইলে ব্যাংকে ৬-৭ লক্ষ টাকা জমা দেখাতে হবে। যে স্পন্সর করবেন তার আয়ের উৎস দেখাতে হবে আর ব্যবসায়ী হলে ট্রেডিং লাইসেন্স দেখাতে হবে।

Students in Lithuania
Image Source: Internet

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও ডকুমেন্টস চেকলিস্ট

লিথুয়ানিয়ার এম্বেসী বাংলাদেশে না থাকায় অবশ্যই আপনাকে ভারতের দিল্লীতে যেতে হবে। এজন্য আপনাকে আগে ভাগেই নিতে হবে এপয়েন্টমেন্ট। ভিসা আবেদন জমা নেওয়ার সময় আপনার একটি সাক্ষাতকার নেওয়া হবে আপনার ইংরেজী দক্ষতা দেখার জন্য। এই ভিসা পেতে সময় লাগে প্রায় ১৪ দিন। আপনাকে সাধারণত ১ বছর বা ৬ মাসের ভিসা প্রদান করা হবে। এবং পরবর্তীতে লিথুয়ানিয়া গিয়ে ভিসা শেষ হবার ৪ মাস আগে টেম্পোরারী রেসিডেন্স পারমিট (TRP) -এর জন্য এপ্লাই করতে হবে। এই TRP এর জন্য পোল্যান্ডে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সত্যায়িত করতে হবে। TRP নেওয়ার সময় আপনাকে ব্যাংক স্টেটমেন্টও দেখাতে হবে আর এসময় আপনার একাউন্টসে কমপক্ষে ২৩০০ ইউরো ২/৩ সপ্তাহের জন্য থাকতে হবে।

এবার আসি মূল প্রসঙ্গে, ভিসার জন্য আপনাকে নিম্নোক্ত কাগজপত্র জমা দিতে হবেঃ

১। এপ্লিকেশন ফর্ম

২। পাসপোর্ট ও  ফটোগ্রাফ (৩৫/৪৫)

৩। জন্ম নিবন্ধন ও NID কার্ড

৪।সকল সত্যায়িত ডকুমেন্টস, মার্কশিট ও সকল সনদ

৫। অফার লেটার ও ভার্সিটি থেকে প্রাপ্ত অন্যান্য ডকুমেন্টস

৬।অ্যাকোমোডেশন সনদ

৭। ব্যাংক সলভেন্সি পেপ্যার

৮।৩ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট

৯।পুলিশ ক্লিয়ারান্স

১০।হেলথ ইন্স্যুরেন্স

১১।IELTS স্কোরের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

১২। কনফর্মড অন-ওয়ে টিকিট [এটি আপনি রিজার্ভ করবেন কিন্তু খেয়াল রাখবেন যেন ইটেনারিতে যেন কনফর্মড স্ট্যাটাস থাকে]

ভিসা পাবার পর আপনি অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়কে ইমেইল করবেন। তারা আপনাকে এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করার এবং সকল ফর্মালিটিতে হেল্প করার জন্য একজন মেন্টর নিয়োগ করবে।

ইন্ডিয়ায় অবস্থিত লিথুয়ানিয়া এম্বেসীর ঠিকানাঃ

Lithuania Embassy
Address: C-93, Anand Niketan, New Delhi, 110021, India

Phone: +91 11 4313 2200 । https://in.mfa.lt/in/en/

Life in Lithuania
Image Source: Internet

লিথুয়ানিয়ায় আবাসন ব্যবস্থা

প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই রয়েছে হোস্টেলের ব্যবস্থা। মনে রাখবেন ভিসা পাওয়ার পর কয়েক মাসের হোস্টেলের ফি জমা করে দিতে হবে। হোস্টেলের ফি সাধারণত মাসে ৪৫-২০০ ইউরো হয়ে থাকে।

মাসিক খরচ এবং পার্ট টাইম জব এর সুযোগ

লিথুয়ানিয়ায় খুব কম খরচেই আপনি থাকতে পারবেন। ভার্সিটির হোস্টেলে জায়গা পেলে আপনি ১৫০-৩০০ ইউরো খরচের মধ্যে সব কিছু মিটিয়ে ফেলতে পারবেন।

এই দেশে আপনি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজ করতে পারবেন। কিন্তু সামার ভ্যাকেশনে আপনি ফুল টাইম কাজ করতে পারবেন। এখানে কাজ পাওয়া একটু কঠিন- যদি এদেশের ভাষা না জানা থাকে। মনে রাখবেন, এইসব কাজ করে পড়াশুনার খরচ বহন করা প্রায় অসম্ভব।

কোর্স শেষে চাকুরী ও স্থায়ী বসবাস এর সুযোগ

লিথুয়ানিয়ায় সফল ভাবে পড়াশুনা শেষে আপনি ৬ মাসের জব সার্চ ভিসা পাবেন। এই সময়ে জব পেয়ে গেলে আপনি ২ বছরের জন্য TRP (Temporary Resident Permit)  পাবেন। এবং এই ২ বছরের পর PR (Permanent Resident Permit) এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। লিথুয়ানিয়ায় ১০ বছর থাকার পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।

একটি তথ্য না বললেই নয়, লিথুয়ানিয়ায় সফল ভাবে কোর্স সম্পন্ন করার পর আপনি ইউরোপের যেকোন দেশে চাকুরী করতে পারবেন এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাবেন।

তাহলে পাড়ি জমাতে দেরি কেন – স্বপের দেশ লিথুয়ানিয়ায়।

Life in Lithuania
Image Source: Internet

তথ্যসুত্রঃ

November 22, 2022

পূর্ব ইউরোপের অপরূপ সুন্দর ছোট একটি দেশ লাটভিয়া। এই দেশে রয়েছে হাজারো নদী ও হ্রদ। আর এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে হাজার মানুষ প্রতি বছর ভীড় জমায় এই দেশে। শুধু তাই নয়, এখানে উচ্চ শিক্ষার জন্যও অনেক শিক্ষার্থী ভীড় জমাচ্ছে সম্প্রতি কালে। তাই, আমরা আজ লাটভিয়ায় উচ্চশিক্ষা নিয়ে আলোচনা করব।

কেন লাটভিয়াতে পড়তে যাবেন?

বাল্টিক সাগরের পূর্ব উপকূলবর্তী এই দেশের আয়তন ৬৪,৫৮৯ বর্গকিলমিটার এবং জনসংখ্যা ১৯৫,৭০০। এদেশের সবচেয়ে বৃহৎ শহর, বন্দর ও রাজধানী হল রিগা। এই দেশের অফিসিয়াল ভাষা লাটভিয়ান ও মুদ্রা ইউরো। এর প্রতিবেশি দেশগুলো হল লুথিনিয়া, এস্তোনিয়া, রাশিয়া, বেলারুশ, সুইডেন। এই দেশে কৃষি উপোযোগী জমির পরিমাণ ২৫% আর আয়তন বাংলাদেশের অর্ধেক। তবে উন্নয়নের দিক দিয়ে এটি অনেক এগিয়ে আছে। লাটভিয়া উচ্চশিক্ষার জন্য জনপ্রিয় হয়ে ওঠার অন্যতম কারণ হল এই দেশের কম টিউশন ফি। প্রতি বছর বিদেশী শিক্ষার্থীর হার ১০% করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই বাংলাদেশী শিক্ষার্থী যারা বিদেশে পড়তে যেতে চান, তাদের জন্য লাটভিয়া হয়ে উঠতে পারে একটি আদর্শ ডেস্টিনেশন।

Study in Latvia
Image Source: pixabay.com
লাটভিয়ার শিক্ষার মান ভাল এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।

লাটভিয়া পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

যদি আপনি লাটভিয়াতে ব্যাচেলর পড়তে চান তাহলে আপনাকে কমপক্ষে HSC পাশ করতে হবে। এবং সাধারণত ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীরা ইংরেজী মাধ্যমে পড়াশুনা করে- আর তাই আপনাকে IELTS বা TOEFL লাগবে। আর বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে যোগ্যতা ভিন্ন হয়ে থাকে। যদি আপনি মাস্টার্সে যেতে চান, তাহলে কমপক্ষে ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জন করতে হবে। এই দেশে IELTS-এ কমপক্ষে ৬.০ অথবা TOEFL-এ ৫০০ থাকতে হবে বা ibt তে ৯০ স্কোর থাকতে হবে।

কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

উচ্চশিক্ষার প্রথম কাজ হল সাবজেক্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করা। কারণ যদি আপনি ভালো কোর্স ও ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনে ব্যর্থ হন, তাহলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই এই কাজটি অনেক ধৈর্য্য ও সতর্কতার সাথে করবেন। এই ক্ষেত্রে গুগল হতে পারে আপনার পরম বন্ধু। এই দেশে আপনি মেডিকেল, সাইন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজনেস সকল বিষয়েই পড়াশুনা করার সুযোগ পাবেন।

কোর্স নির্বাচন করতে আপনি সাহায্য নিতে পারেনে এই ওয়েবসাইট এরঃ

http://www.studyinlatvia.lv/study-programmes

পাব লিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজতে সাহায্য নিতে পারেনে এই ওয়েবসাইট এরঃ

http://www.studyinlatvia.lv/universities

University of Latvia
Image Source: Internet

লাটভিয়ার কিছু নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের লিস্ট নিচে দেওয়া হলঃ

  • University of Latvia (LU), Riga
  • Riga Technical University
  • Riga Stradiņš University (formerly Medical Academy of Latvia)
  • Daugavpils University
  • University of Liepaja (former Liepaja Pedagogical Higher School)
  • Latvia University of Agriculture
  • Riga International School of Economics and Business Administration
  • Stockholm School of Economics in Riga
  • Baltic International Academy
  • Banking Institution of Higher Education
  • Latvian Academy of Sports Education
  • Latvian Maritime Academy
  • National Academy of Defense of the Republic of Latvia
  • Newport University CED
  • Police Academy of Latvia
  • Psychology Higher School
  • Rezekne Higher School
  • Riga Graduate School of Law (RGSL)
  • Riga Teacher Training and Educational Management Academy
  • School of Business Administration Turiba
  • Transport and Telecommunication Institute
  • Ventspils University College
  • Vidzeme University of Applied Sciences

ভর্তি আবেদনের প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আবেদনের প্রথমেই আমাদের মাথায় আসে আবেদন ডাকযোগে পাঠাবেন নাকি অনলাইনে করবেন সেই বিষয়ে। মজার ব্যাপার হল, এই দেশে এরকম কোন ধরাবাধা নিয়ম নেই। এজন্য প্রথমেই আপনাকে ওয়েব সাইট দেখে ও ভার্সিটিতে মেইল করে আপনাকে জেনে নিতে হবে। আবেদনের জন্য আপনার আবেদন ফি ১০০ থেকে ২০০ ইউরো প্রয়োজন পরবে। এই ক্ষেত্রে উল্লেখ্য, এই আবেদন ফি ফেরৎযোগ্য নহে। অন-লাইন বা অফ-লাইন আবেদন পত্র জমা দেওয়ার পর আপনাকে দেড় মাসের মত অপেক্ষা করতে হবে আপনার ফলাফল জানার জন্য। যদি কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদন গ্রহণ করে তাহলে তারা আপনার সাক্ষাৎকার অথবা অনলাইন এক্সাম নিবে এবং তাতে পাশ করলে আপনি পেয়ে যাবেন সেই কাঙ্ক্ষিত অফার লেটার । আর একই সাথে পাঠানো হবে একটি এগ্রিমেন্ট পেপার যাতে আপনাকে নিজ হাতে সাইন করতে হবে। এরপর আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে একাউন্টস নম্বর দেওয়া হবে, সেখানে টিউশন ফি জমা দিতে হবে।

এখন জেনে নিই আবেদনের সময় কি কি কাগজপত্র জমা দিতে হবেঃ

১। একাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট

২। IELTS এর সনদ

৩। মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার

৪। CV

৫। পাসপোর্টের কপি ও ফটোগ্রাফ

৬। এপ্লিকেশন ফর্ম ও এপ্লিকেশন ফী জমা দেওয়ার রশিদ

ডকুমেন্টস সত্যায়নঃ

লাটভিয়ায় আবেদনের জন্য আপনাকে সকল কাগজপত্র ইংরেজীতে অনুবাদ ও নোটারাইজড করে নিতে হবে। এর পর আপনাকে সকল ডকুমেন্টস লিগ্যালাইজড করতে হবে। এটি কোথা থেকে এবং কিভাবে করবেন এটি বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে বিস্তারিত জানিয়ে দিবে।

Students in latvia
Image Source: Internet

পড়াশোনার খরচ (টিউশন ফি)

ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় এই দেশের টিউশন ফি অনেক কম। বিষয়ভেদে টিউশন ফি ও ভিন্ন হয়ে থাকে যেমনঃ

(১) মেডিকেল প্রোগ্রামঃ ৮,০০০- ১৫,০০০ ইউরো

(২)বিজনেস ম্যানেজমেন্টঃ ২,০০০ – ৬,০০০ ইউরো

(৩)ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামঃ ১,৫০০ – ৪,০০০ ইউরো

লাটভিয়া ইউরোপের একটি দেশ হলেও বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় এই দেশ কিছুটা নিচের দিকে।

পূর্বের বছরগুলোতে কিছু বাংলাদেশী শিক্ষার্থী লাটভিয়াতে ভর্তি হলেও তারা সেই দেশে পড়াশুনা শেষ না করে চলে আসার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশীদের জন্য বিশেষ রিকোয়ারমেন্ট, অর্থাৎ, ২ বছরের টিউশন ফি অগ্রীম প্রদানের শর্ত চালু করেছে।

তবে আপনি যদি প্রকৃতপক্ষেই পড়াশুন করতে চান, তাহলে এটি নিয়ে চিন্তার কারণ নেই। এখানে মাস্টার্স ও পিএইচডিতে স্কলারশিপের সুযোগ রয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে থেকে মেইল করে সব কিছু জেনে নিতে হবে।

আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ

ব্যাংক স্বচ্ছলতার জন্য আপনাকে প্রতি বছরের জন্য ৫,৩০০ ইউরো করে, যত বছরের জন্য আপনি কোর্সে ভর্তি হবেন তত বছরের জন্য অর্থ দেখাতে হবে। এক্ষেত্রে, ২ বছরের জন্য হলে আপনাকে ১০,৬০০ ইউরো ব্যাংকে দেখাতে হবে।

Students in Latvia
Image Source: Internet

লাটভিয়ায় আবাসন ব্যবস্থা

এই দেশে প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই রয়েছে হোস্টেলের ব্যবস্থা। এছাড়া বিভিন্ন স্টুডেন্ট এপার্টমেন্টেরও ব্যবস্থা এই দেশে রয়েছে। ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার আগেই বিষয়টি আপনাকে ফাইনালাইজ করতে হবে। ভর্তি আবেদনের সময় হোস্টেলের জন্যও আবেদন করবেন।

নিচে একুমোডেশন এর জন্য কিছু ওয়েবসাইট দেওয়া হলঃ

http://www.aparta.lv/

http://www.latio.lv/en

http://www.rigaskore.lv/?l=en

http://www.centrum-apartments.com/

http://www.apartments-oldriga.com/

http://www.valdemara-residence.com/students/valdemar_en.html

এপার্টমেন্ট এর অফিসিয়াল ফেইসবুক গ্রুপ (রিগা স্টুডেন্টস এপার্টমেন্ট মার্কেট) – https://www.facebook.com/groups/216085778535871/

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও ডকুমেন্টস চেকলিস্ট

আপনি যদি অফার লেটার পেয়ে থাকেন, তাহলে আশা করা যায় আপনি ভিসাও পেয়ে যাবেন। বাংলাদেশে লাটভিয়ার এম্বেসী না থাকায় আপনাকে পাশের রাষ্ট্র ইন্ডিয়াতে ভিসা জমা দিতে জেতে হবে। এই সময় সকল কাগজপত্র অরিজনাল ও ফটোকপি সাথে নিয়ে যেতে হবে। ভিসা আবেদনের জন্য পূর্বেই আপনাকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।

ভিসা বা রেসিডেন্স পারমিট অ্যাপ্লিকেশান প্রসেসিং সম্পর্কে জানতে এই ওয়েবসাইট এর সাহায্য নিতে পারেনঃ http://www.mfa.gov.lv/en/newdelhi/visas

কমপ্লিট রেসিডেন্স পারমিট অ্যাপ্লিকেশান ফরম; এখানে –

http://www.pmlp.gov.lv/en/home/services/residence-permits/applications.html

https://www.pmlp.gov.lv/en/home/services/residence-permits/doc2/studies2.html

ভিসা সংক্রান্ত তথ্য জানতে ভিসিট করুন লাটভিয়ান ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইট –http://www.pmlp.gov.lv/en/pakalpojumi/vizas.html

Students Visa - Latvia
Image Source: Internet

নিচে এম্বেসীর ঠিকানা ও ওয়েবসাইট লিংক দেওয়া হল।

Embassy of Latvia, New Delhi, India

B-8 Anand Niketan, Deli 110 021
Telephone: +91 1149859100 | Email: [email protected]

Website: https://www.mfa.gov.lv/en/newdelhi

ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের লিস্টঃ

১। রেসিডেন্স পারমিট এপ্লিকেশোন ফর্ম

২। পাসপোর্ট ও  ফটোগ্রাফ

৩। জন্ম নিবন্ধন ও NID কার্ড

৪।সকল লিগ্যালাইজড ডকুমেন্টস, মার্কশিট ও সকল সনদ

৫।  অফার লেটার ও স্টুডেন্ট এগ্রিমেন্ট পেপ্যার

৬। অ্যাকোমোডেশন পেপ্যার

৭। ব্যাংক সলভেন্সি পেপ্যার

৮। ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট

৯। পুলিশ ক্লিয়ারান্স

১০। হেলথ ইন্স্যুরেন্স

হেলথ ইন্স্যুরেন্স সম্পর্কে জানতেঃ  http://www.studyinlatvia.eu/en/living-in-latvia/health-insurance

১১।IELTS স্কোরের কপি

ভিসা এপ্লিকেশন জমা দেওয়ার পর কমপক্ষে ৬০-৭৫ দিন আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে ভিসা পাওয়ার জন্য।

আরও বিস্তারিত জানতে নিম্মোক্ত ওয়েবসাইট এর সাহায্য নিতে পারবেনঃ

www.am.gov.lv/en/ministry/mission
www.pmlp.gov.lv/en

Life in Latvia
Image Source: Internet

মাসিক খরচ এবং পার্ট টাইম জব এর সুযোগ

থাকা ও খাওয়া বাবদ এই দেশে আপনাকে গুণতে হবে ৩০০ থেকে ৪০০ ইউরো। তবে ব্যক্তিবিশেষে তা কম -বেশি হতে পারে। এই দেশে আপনি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজের সু্যোগ পাবেন। কিন্তু পার্ট টাইম জবের সু্যোগ কম থাকায় অনেক স্টুডেন্ট সমস্যায় পড়েছে। কিন্তু চিন্তার কারণ নেই- ধীরে ধীরে এই সুযোগ আগের থেকে বাড়ছে। এক মাস কাজ করলে আপনি বেতন পাবেন আনুমানিক ৪০০ ইউরোর মত।

কোর্স শেষে চাকুরী ও স্থায়ী বসবাস এর সুযোগ

বর্তমান সময়ে একটা বিষয় লক্ষ করার মত – যে সকল বাংলাদেশী এই মুহর্তে লাটভিয়া আসছেন পড়াশুনা করতে তারা কেউ ই লাটভিয়াতে থাকছেন না । কারণ লাটভিয়াতে জব পাওয়া একটু কঠিন আর বেতন বেশি না বলে তারা কেউ ই ওই দেশে থাকতে চাচ্ছেন না। কিন্তু ওই সকল ছাত্র/ছাত্রীদের অভিবাসন নীতি সম্পর্কে কারো কোন সুস্পষ্ট ধারণা না থাকার ফলে এমন ঘটনা ঘটে চলেছে। যারা মূলত পড়াশোনা করতে আসেন তাদের জন্য পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়া অসম্বভ কিছু না। আর পড়াশুনারত অবস্থায় চাইলে আপনি আপনার রেসিডেন্ট পার্মিট ব্যবসায়িক পার্মিট এ পরিবর্তন করতে পারেন। ব্যবসায়িক পার্মিট এ পরিবর্তন করতে হলে আপনাকে ব্যাঙ্ক এ কিছু টাকা দেখাতে হবে।

একটি তথ্য না বললেই নয়, লাটভিয়াতে সফল ভাবে কোর্স সম্পন্ন করার পর আপনি ইউরোপের যেকোন দেশে চাকুরী করতে পারবেন এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাবেন।

কিছু কিছু ইউনিভার্সিটিতে আপনি বৃত্তি নিয়ে  মাস্টার্স ও পি এইচ ডি তে পড়াশুনা করতে পারবেন।

Live in Latvia
Image Source: Internet

তথ্যসুত্রঃ

November 22, 2022

Skype এর নাম শুনিনি এমন মানুষ খুব কমই আছে। অনলাইন অডিও- ভিডিও কলের প্রথম পর্যায়ের দিসারী স্কাইপি ছিল এস্তোনিয়া ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। সেই এস্তোনিয়া নিয়ে আজ  আপনাদের সামনে আমরা হাজির হয়েছি। ইউরোপে পাড়ি জমানো স্বপ্ন হলে আপনি এস্তোনিয়াকেও রাখতে পারবেন নিজের পছন্দের তালিকায়। শুধু কি তাই? অসাধারণ সমুদ্র আর অনাবিল প্রাকৃতিক পরিবেশের দেশ এস্তোনিয়া বিদ্যার্জনের জন্য যেন এক স্বপ্নরাজ্য। আজ আপনাদের এস্তোনিয়ায় পড়াশুনা ও ক্যারিয়ারের যাবতীয় বিষয়গুলো তুলে ধরব।

কেন এস্তোনিয়াতে পড়তে যাবেন?

বাল্টিক সাগরের তীরবর্তী এস্তোনিয়ার উত্তরদিকে ফিনল্যান্ড ,দক্ষিণে রয়েছে লাতভিয়া, পূর্বে রাশিয়া, এবং পশ্চিমে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। এই দেশের সরকারি নাম এস্তোনিয়া প্রজাতন্ত্র, রাজধানী তাল্লিন, মুদ্রা ইউরো ও ভাষা এস্তোনিয়ান। প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছবির মত সুন্দর এই দেশ যার পরতে পরতে সাজানো আছে নানা গীর্জা, টাউন হল, ওল্ড টাউন, জাদুঘরসহ প্রাচীন অনেক ঐতিহ্য। সেনজেনভুক্ত এ দেশটির আয়তন ৪৫,৩৩৯ বর্গ কিঃমিঃ আর বসবাস প্রায় ১৪ লক্ষ লোকের। ডিজিটাল পদ্ধতির জন্য বিখ্যাত এই দেশকে বলা হয় বিশ্বের প্রথম “e- Country”। প্রাচীন ও আধুনিকতার এস্তোনিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা খুব উন্নত।

Study in Estonia
Image Source: pixabay.com
এই দেশের বছরে তিন মাস মেয়াদী চারটা ঋতু দেখা যায়। এই দেশে গরমে তাপমাত্রা থাকে ১৮-২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস আর শীতকালে থাকে -৩.৫ থেকে -৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ দেশের মাথাপিছু জিডিপি ২৯,৩১২ মার্কিন ডলার।
ইংরেজি ভাষা ব্যাপকভাবে প্রচলিত হওয়ায় ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় এদেশে ভাষাগত বিরম্বনা কিছুটা কম পোহাতে হয়।

এস্তোনিয়ায় পড়তে যাবার নূন্যতম যোগ্যতা

এস্তোনিয়ায় বছরে একটা সেমিস্টারই পড়ানো হয় এবং এই সেমিস্টার চলে ডিসেম্বর থেকে মে পর্যন্ত। তাই এই সময়কে মাথায় রেখে আবেদন করতে হবে।এদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এস্তোনিয়ান ও ইংরেজি উভয় মাধ্যমে পড়ানো হয়। এখানে ১০০টির বেশি ইংরেজি কোর্স রয়েছে।

সাধারণত এস্তোনিয়ায় পড়তে আপনার একাডেমিক পরীক্ষায় ৫১% নম্বর অর্জন করতে হবে আর IELTS- এ থাকতে হবে 5.5 -6.5 স্কোর। এই যোগ্যতা বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তাই আপনাকে অনুসরণ করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট আর সে বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন অফিস। এই ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, তাল্লিন বিশ্ববিদ্যালয় ও তাল্লিন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র ব্যাচেলরে আবেদনের জন্য প্রয়োজন পড়বে ৬০% নম্বরের। কিন্তু অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম কোন নিয়ম নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সার্বিক তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে।

কোর্স সার্চ ও কোর্স নির্বাচন

এস্তোনিয়ায় আপনি পড়তে পারবেন সব বিষয়েই। তবে আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী নিজের কোর্স নির্বাচন করতে হবে। বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে, প্রযুক্তি বিদ্যার দিকে বিশ্বের মানুষের অনেক ঝোঁক আর চাকুরীর বাজারেও বেশ চাহিদা। সেই একই প্রেক্ষাপটে এস্তোনিয়ায়ও বর্তমানে প্রযুক্তিবিদ্যা বিষয়ক প্রোগ্রামগুলোর চাহিদা বেশি। আপনি চাইলে এই দেশে ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডি, এমনকি বিভিন্ন শর্ট কোর্স করতে পারবেন। এস্তোনিয়ায় মোট ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার গ্রহণের সুযোগ রয়েছে, যার মধ্যে ৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ১টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, ৮টি স্টেইট প্রফেশনাল হাইয়ার এডুকেশনাল ইন্সটিটিউশন, ৫টি প্রাইভেট প্রফেশনাল হায়ার এডুকেশনাল ইন্সটিটিউশন।

এস্তোনিয়াতে অধ্যয়নের জন্য উপযুক্ত কোর্স খুঁজতে নিম্মোক্ত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এর সাহায্য নিতে পারেন: www.estonia.dreamapply.com

কোর্স সম্পর্কে আপনার অতিরিক্ত প্রশ্ন থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করুন।

এস্তোনিয়ার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় হলঃ

University in Estonia
Image Source: Internet

যে সব বিষয় পড়ানো হয়,

ব্যাচেলর প্রোগ্রামঃ

কোর্সগুলোর মধ্যে রয়েছে ভেটেনেরানি মেডিসিন, মিউজিক, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ক্রিয়েটিভটি এন্ড বিজনেস ইনোভেশন, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন,সফটওয়্যার ডেভেলাপমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং, সাইবার সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ারিং, গেম ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট, সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, অডিও ভিজ্যুয়াল মিডিয়া, ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন, সোশ্যাল সায়েন্স, পলিটিক্স, ল, মেডিসিন ইত্যাদি।

মাস্টার্স প্রোগ্রামঃ

কোর্সগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যানিমেশন, ডিজাইন, ক্রাফট,বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, ইকোনমিক্স, কালচারাল ম্যানেজমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং, ফিলোসফি ইত্যাদি।

পিএচডি প্রোগ্রামঃ

ডক্টরাল কোর্সের মধ্যে রয়েছে কেমিস্ট্রি, ডেমোগ্রাফি, ইকোলজি, হেলথ, হিস্টোরি,ইকোনমিক্সসহ আরো নানা বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে এস্তোনিয়ায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়সীমা

এস্তোনিয়ায় ইউরোপিয়ান এবং নন-ইউরোপিয়ান ছাত্র/ছাত্রী দের জন্য ভর্তির সময়সীমা ভীন্ন।

বিস্তারিত হালনাগাদ  সময়সীমা জানতে নিম্মোক্ত ওয়েবসাইটেইর সাহায্য নিতে পারেন: www.studyinestonia.ee/deadlines

ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া একেক রকম। তবে কম বেশি প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে কাছাকাছি নিয়মেই আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করানো হয়ে থাকে।

নিম্নলিখিত ওয়েবসাইটে অনলাইন ভর্তি সিস্টেমের মাধ্যমে আপনার আবেদন জমা দিতে হবে: www.estonia.dreamapply.com

এবং নিম্মোক্ত ওয়েবসাইট এ বর্নিত নির্দেশ অনুযায়ী ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

http://www.studyinestonia.ee/en/how-apply

কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়/প্রোগ্রাম এর ক্ষেত্রে আপনার একাডেমিক দক্ষতা ও ইংরেজি দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য স্কাইপ ইন্টারভিউ নিতে পারে। স্কাইপ ইন্টারভিউ দেওয়ার ০৩ সপ্তাহের মধ্যে আপনার ই-মেইলে ভর্তির ফলাফল জানানো হবে।

এস্তোনিয়ায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কাগজপত্র চাওয়া হয়। আবেদনের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হলঃ

১। একাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট

২। IELTS এর সনদ

৩। মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার

৪। ইউরোপাস ফরম্যাটে CV

৫। পাসপোর্টের কপি ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি

৬। আপ্লিকেশন ফি পরিশোধের রশিদ

৭। জব এক্সপেরিয়েন্স সার্টফিকেট (যদি থাকে)

Students in Estonia
Image Source: Internet

কিভাবে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাবেনঃ

ডকুমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর পদ্ধতি অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হতে হবে । যদি আপনি নিজে প্রেরক হয়ে পাঠাতে চান তাহলে অবশ্যই নোটারাইজ কপি পাঠাতে হবে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ নির্দেশনা থাকে এইরূপ যে, “আপনার সর্বশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আপনার পক্ষ থেকে ( প্রেরক হয়ে ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব খামে সকল ডকুমেন্ট(নোটারাইজ করার দরকার নেই) পোস্ট বা কুরিয়ারে ইস্তোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের এড্রেসে পাঠাতে হবে” তখন ব্যাক্তিগত নিজের নাম ব্যাবহার করে ডকুমেন্ট পাঠালে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।

পড়াশোনার খরচ ( টিউশন ফি)

এস্তোনিয়ায় পড়াশুনার খরচ অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় অনেকটা কম। এদেশে পড়াশুনা করতে আপনার প্রতি বছরে টিউশন ফি প্রয়োজন হবে ১,৭০০-৭,৫০০ ইউরো পর্যন্ত। মেডিকেল বিষয়ে পড়তে বাৎসরিক ১০,০০০ ইউরো পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স ভেদে এই টিউশন ফি কম ও বেশি হতে পারে।

এস্তোনিয়ায় কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু কোর্সে ফ্রি’তে পড়ারও সুযোগ রয়েছে। যদি কোনো শিক্ষার্থীর আর্থিকভাবে অসচ্ছল থাকে বা কোনো শিক্ষার্থীর একাডেমিক পারফরমেন্স ভালো থাকে অথবা এস্তোনিয়ান ভাষার কোনো কোর্সে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করেন তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্রিতে পড়াশোনা করার সুযোগ দেওয়া হয়।

এ দেশে পিএইচডি প্রোগ্রামে কোন টিউশন ফি নেই।

স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ

এস্তোনিয়ায় বিভিন্ন ধরণের স্কলারশিপ রয়েছে। সরকারি অথবা বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক স্কলারশিপ রয়েছে অনেক। একটু কষ্ট করলেই মিলে যাবে স্কলারশিপ। আর সেই স্কলারশিপ খুঁজে পেতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ

http://haridus.archimedes.ee/en/scholarships

http://www.studyinestonia.ee/en/scholarships

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও ডকুমেন্টস চেকলিস্ট

এস্তোনিয়ায় আবেদন করার জন্য আপনাকে ভারতে অবস্থিত এম্বেসীতে যেতে হবে। এরজন্য প্রথমেই আপনাকে নিচের লিঙ্ক-এ আবেদন করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
https://eelviisataotlus.vm.ee/

ভিসার জন্য আপনাকে জমা দিতে হবে নিম্নোক্ত কাগজপত্রঃ

১। পাসপোর্ট ও রিসেন্ট ছবি

২। মার্কশিট ও সকল সনদ

৩। IELTS স্কোরের কপি

৪। এডমিশন লেটার

৫। ভিসা আবেদন ফর্ম ও টেম্পোরারী রেসিডেন্স আবেদন ফর্ম

যোগাযোগের জন্য দিল্লী অফিসের ঠিকানা দেওয়া হলঃ

C15, Malcha Marg, Chanakyapuri
New Delhi, 110 021, India

Website: http://www.newdelhi.vm.ee

Tel +91 11 4948 8650 । Tel (+372) 613 4850 (calls from Estonia)
Fax +91 11 4948 8651 । Email: [email protected]
Visa queries: [email protected]

[ছুটি ব্যতীত সাধারণত সোমবার, বুধবার ও শুক্রবার ১০ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত ভিসা আবেদন গ্রহণ করা হয়]

Old Town in Estonia
Image Source: pixabay.com

আবাসন ব্যাবস্থা, মাসিক খরচ এবং পার্ট টাইম জব এর সুযোগ

এস্তোনিয়ায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হোস্টেল সুবিধা আছে। আপনি ১০০ ইউরোর মধ্যে থাকার জন্য হোস্টেল পেয়ে যাবেন। আর যদি আপনি থাকতে চান একক কোন ফ্লাটে, তাহলে আপনার দিতে হবে ১৮০ থেকে ৪৫০ ইউরো। আর অন্য দিকে আপনি ৩০০ থেকে ৫০০ ইউরোর মধ্যে আপনার দৈনন্দিন খরচ মেটাতে পারবেন।

ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থী হিসেবে আপনি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা চাকুরী করার সুযোগ পাবেন। যদি জানা থাকে এস্তোনিয়ান ভাষা তাহলে আপনার জব পেতে সুবিধা হবে। তাই, এই দেশে যাবার আগে এই দেশের ভাষা জেনে নেওয়াটা হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

কোর্স শেষে চাকুরী ও স্থায়ী বসবাস এর সুযোগ

কোর্সে শেষে এস্তোনিয়ায় আপনি ৬ মাসের জব সার্চ ভিসা পাবেন। এই সময়ে আপনি জব পেয়ে গেলে আপনি আবেদন করে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে কাজ করতে পারবেন। আর এই দেশে আপনি একটানা ৯ বছর থাকলে আপনি নাগরিকত্ব পাবার জন্য আপ্লিকেবল হবেন।তবে এর জন্য আপানকে ইস্তোনিয়ান ভাষা, পার্মানেন্ট জব সহ আর কিছু রিকুয়ারমেন্ট পূরণ করতে হবে।

এস্তোনিয়া হতে পারে আপনার জন্য সবচেয়ে বেস্ট ডেস্টিনেশন। তাই, আবেদন করুন এস্তোনিয়ায়।

Life in Estonia
Image Source: pixabay.com

তথ্যসুত্রঃ

November 22, 2022

স্লোভাকিয়ায় উচ্চশিক্ষাঃ নিজেই করুণ নিজের আবেদন

পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরী, ইউক্রেন – এই দেশগুলো ঘেরা মধ্য ইউরোপের ল্যান্ডলক দেশ স্লোভাকিয়া। এদেশের গুহা, পাহাড় ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের এর দিকে টানে। তাইতো, যারা ঘুরতে ভালোবাসেন, তাদের কাছে এই দেশ খুবই জনপ্রিয়। বর্তমানে এই দেশ উচ্চশিক্ষার জন্য বেশ নাম করেছে সারাবিশ্বে। তাই আমরা আজ স্লোভাকিয়ায় উচ্চশিক্ষার সকল খুটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

So, GET! SET! GO!

কেন স্লোভাকিয়ায় পড়তে যাবেন?

স্লোভাকিয়ার আয়তন ৪৯,০০০ বর্গ কিলোমিটার আর জনসংখ্যা প্রায় ৫.৪ মিলিয়ন। এই দেশের রাজধানী ব্রাটিসলাভা আর অফিসিয়াল ভাষা স্লোভাক। এই দেশের মুদ্রার নাম ইউরো। মটর গাড়ি অর্থাৎ আটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি-এর জন্য এই দেশ বিশ্ববাসীর কাছে বহুল পরিচিত আর এই ইন্ডাস্ট্রি এই দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। আর বলাই বাহুল্য, মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য জার্মানীর পরেই স্লোভাকিয়া পছন্দের দেশ- বিশেষত যারা অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে চান তাদের জন্য।

Study in Slovakia
Image Source: Pixabay.com

স্লোভাকিয়ার আবহাওয়া মূলত শীতপ্রধান। তবে গ্রীষ্মকালে এই দেশের তাপমাত্রা থাকে সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মত ওঠে, আর শীতকালে মাইনাস (-) ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসেও নামতে দেখা যায়।

কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

স্লোভাকিয়ার উচ্চশিক্ষার সুনাম বিশ্বব্যাপী- কারণ এই দেশে রয়েছে World Ranking এ উপরের দিকে থাকা বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। নিচে কয়েকটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেওয়া হলঃ

  1. Comenius University of Bratislava
  2. Slovak University of Technology in Bratislava
  3. Pavol Joszef Šafárik University
  4. University of Prešov
  5. University of Žilina

 

এই দেশে আপনি সকল সাবজেক্টেই পড়াশুনা করার সুযোগ পাবেন। আর্টস, বিজনেস অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং যে কোন বিষয়েই পড়াশুনা করার সুযোগ পাবেন। যেহেতু, এই দেশে Mechanical  ও Electrical Engineering সাবজেক্টগুলোর চাহিদা বেশি- তাই আপনি এই বিষয়গুলো নিয়ে এই দেশে পড়াশুনা করলে পড়াচলাকালীন সময়ে Industry Attachment- এ ভালো সুযোগ ও অভিজ্ঞতা পাবেন। এখানে অনেক কোর্সই ইংরেজী ভাষায় অফার করা হয়। তাই স্লোভাক ভাষা না জানলেও আপনি ইংরেজী মাধ্যমে এই দেশে কোর্স নিতে পারবেন।

স্লোভাকিয়াতে পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

স্লোভাকিয়ায় পড়াশুনার জন্য আপনাকে IELTS বা TOEFL এর প্রয়োজন জয় না। তবে IELTS বা TOEFL থাকলে আপনি বারতি সুযোগ পাবেন। আর স্কলারশিপের দৌড়েও এগিয়ে থাকবেন। এদেশে আপনাকে ব্যাচেলর প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে অর্জন করতে হবে HSC আর মাস্টার্স প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে আপনার থাকতে হবে ব্যাচেলর আর পিএইচডি প্রোগ্রামে অংশ নিতে আপনার থাকতে হবে মাস্টার্স ডিগ্রী।

University in Slovakia
Image Source: Internet

ডকুমেন্টস সত্যায়ন

স্লোভাকিয়ার জন্য ডকুমেন্টস সত্যায়ন একটি জটিল প্রক্রিয়া।

(১) প্রথমে আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অথবা শিক্ষা বোর্ড থেকে আপনার ডকুমেন্টস সত্যায়ন করিয়ে নিতে হবে।

(২) তারপর যেতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ডকুমেন্টস সত্যায়নের জন্য।

(৩) এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডকুমেন্টস সত্যায়ন করতে হবে।

(৪) পরবর্তীতে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে, ঢাকাস্থ স্লোভাকিয়ার কনস্যুলেট অফিসে আর করিয়ে নিতে হবে ডকুমেন্টস সত্যায়ন। আপনি দিল্লিস্থ স্লোভাকিয়া এম্বেসী থেকেও ডকুমেন্টস সত্যায়ন করিয়ে নিতে পারবেন। ডকুমেন্টস সত্যায়নের সময় অবশ্যই আপনার অরিজিন্যাল ডকুমেন্টস কাছে রাখতে হবে। আর প্রতি পেজ সত্যায়ন করাতে আপনাকে দিতে হবে ২০ ইউরো করে।

অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয় সত্যায়ন ছাড়াই ডকুমেন্টস একসেপ্ট করে। তাই আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেইল করে জেনে নিন- আপনার ডকুমেন্টস সত্যায়ন লাগবে কিনা আর লাগলেও কোন ধাপ থেকে আপনার ডকুমেন্টস সত্যায়ন প্রয়োজন পরবে।

ভর্তি আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

স্লোভাকিয়ায় সাধারণত Autumn সেশনে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হয়ে থাকে। মার্চ থেকে এপ্লিকেশন নেওয়া শুরু হয়- আর শেষ হয় জুন মাসে। আর এই সেশনের ক্লাস শুরু হয় সেপ্টেম্বর বা মার্চ মাসে।

Students in Slovakia
Image Source: internet

প্রথমেই আপনাকে নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। অনেক সময় ডাকযোগে ডকুমেন্টস পাঠাতে হতে পারে। তাই ভালো করে পড়ে ও দেখে নিন, প্রয়োজনে ই-মেইল করে সিউর হয়ে নিন আবেদনের জন্য কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন পড়বে আর কিভাবে সেই ডকুমেন্টস দিতে হবে। আবেদনের কিছু সাধারণ ডকুমেন্টসের তালিকা দেওয়া হল, কিন্তু মনে রাখবেন এই তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারেঃ

১। সত্যায়িত সকল একাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট

২। পাসপোর্টের কপি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি

৩। IELTS এর সনদ (বাধ্যতামূলক নয়)

৪। CV

৫। মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার

টিউশন ফি

স্লোভাকিয়ায় পড়াশুনার খরচ মূলত ৫০০-১,০০০ ইউরো/ প্রতি বছর। অনেক স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য ৩,৫০০- ৪,০০০ ইউরো/ প্রতি বছর আর মেডিকেলের জন্য ৯,০০০-১২,০০০ ইউরো/ প্রতি বছর দিতে হতে পারে।

আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ

স্লোভাকিয়ার ভিসা প্রাপ্তির জন্য আপনাকে ব্যাংকে সেদেশে এক বছর চলার মত পর্যাপ্ত অর্থের সংস্থান দেখাতে হবে। আর যদি আপনার খরচ বহন করে অন্য কোন স্পন্সর, তাহলে তাকে নোটারাইজড অংগীকারনামা ও ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে।

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও ডকুমেন্টস চেকলিস্ট

বাংলাদেশে স্লোভাকিয়ার এম্বেসী নেই, কিন্তু কনস্যুলেট রয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশে এম্বেসী নাই, তাই আপনাকে যেতে হবে ভারতের দিল্লিস্থ স্লোভাকিয়ার এম্বেসীতে। এজন্য আপনাকে আগে থেকেই নিতে হবে এপয়েন্টমেন্ট। ভিসা ফি দিতে হবে ৬০ ইউরো।

টেম্পোরারী রেসিডেন্স পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে ভিজিট করুন –

https://www.mzv.sk/web/dilli-en

Visa Application - Slovakia
Image Source: Pixabay.com

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের লিস্ট নিচে দেওয়া হলঃ

১। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো Offer Letter

২। পাসপোর্ট [কমপক্ষে ৩ মাস মেয়াদ ও ২ টি ফাকা পেজ থাকতে হবে]

৩।ফটোগ্রাফ (৪.৫ সেঃমিঃ x ৩.৫সেঃমিঃ) – দুইটি

৪। মেডিক্যাল ইনস্যুরেন্স ও পুলিশ ক্লিয়ারান্স সার্টিফিকেট [অনধিক ৩ মাসের পুরাতন]

৫। ফ্লাইট রিজার্ভেসনের ডকুমেন্টস

৬। ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও আর্থিক স্বচ্ছলতার ডকুমেন্টস

৭। জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট [ইংরেজীতে হতে হবে]

৮। IELTS এর সনদ (যদি থাকে)

৯। CV, মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন বা রেফারেন্স লেটার

১০। সকল সত্যায়িত মার্কশিট ও সকল সনদ

১১।স্কলারশিপের পেপার (যদি থাকে)

ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে বসতে হবে ইন্টারভিউ এ। আর ভিসা পেতে সময় লাগবে সাধারণত ১৫ কার্যদিবস। কিন্তু মাঝে মাঝে এই সময় ৪-৬ সপ্তাহ পর্যন্ত হয়ে যায়।

 

ভারতের দিল্লিস্থ স্লোভাকিয়ার এম্বেসীর ঠিকানাঃ

50-M, Niti Marg, Chanakyapuri, New Delhi, India
Tel.:     +91 1126889071, +91 1126885340, +91 1126111075
Fax:     +91 1126877941 | Email:  [email protected]

স্লোভাকিয়ায় আবাসন ব্যবস্থা

প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই রয়েছে হোস্টেলের ব্যবস্থা। যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে আবাসন ব্যবস্থা করতে পারেন, তাহলে অনেক কম খরচেই থাকার খরচ মেটাতে পারবেন। আবাসনের জন্য তাই আগে থেকেই আবেদন করা বুদ্ধিমানের কাজ। স্লোভাকিয়ায় থাকা- খাওয়া বাবদ আপনার মাসিক খরচ হবে ৩৫০-৪০০ ইউরো।

Life in Slovakia
Image Source: interent

পার্ট টাইম জব এর সুযোগ ও স্থায়ী বসবাস

স্লোভাকিয়ায় আপনি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজ করার সুযোগ পাবেন। এই দেশে পার্ট টাইম জব পাওয়াটা অনেকটাই কঠিন। যদি স্লোভাকিয়া ভাষা জানা থাকে তাহলে, আপনি জব পেলেও পেতে পারেন- কিন্তু জবের পরিমাণ তুলনামূলক কম। মূলত স্থানীয় জনগণ এই জবগুলো বেশি পেয়ে থাকে।

আপনি স্লোভাকিয়ায় টানা ৫ বছর থাকেন তাহলে খাতা-কলমের হিসাবে PR এর পাওয়ার কথা। কিন্তু, বাস্তবে দেখা যায়, টানা ৮-১০ বছর থাকার পরই PR দেওয়া হয়।

স্লোভাকিয়ায় PR পাওয়া আসলেই কঠিন কিন্তু কম খরচে ও বিনা IELTS এ ইউরোপে পড়তে চাইলে স্লোভাকিয়া হয়ে পারে উত্তম ডেস্টিনেশন।

Life in Slovakia
Image Source: Pixabay.com

তথ্যসুত্রঃ

November 22, 2022

বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য ইউরোপ আপনাদের অনেকেরই চয়েসের প্রথম দিকে থাকে। ইউরোপের দেশ ও সংস্কৃতি অনেক উন্নত ও জ্ঞান অর্জনের জন্যও অনেক আকাঙ্ক্ষিত। ইউরোপের দেশে পড়তে যাবার ডেস্টিনেশনের এই পর্বে আপনাদের সামনে তুলে ধরতে যাচ্ছি চেক প্রজাতন্ত্র। তাই, কথা কম কাজ বেশি আদর্শে বিশ্বাসী আমরা চলে যাচ্ছি সরাসরি আলোচনায়।

কেন চেক প্রজাতন্ত্রে পড়তে যাবেন?

মধ্য ইউরোপের এই দেশের রাজধানী প্রাগ, ভাষা চেক ও মুদ্রা করুনা। চেক প্রজাতন্ত্রের ৭৮,৮৬৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনে বসবাস করে প্রায় ১ কোটির কিছু বেশি লোক। এই দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ৩২, ৬২২ ডলার। আর ইউরোপের অনেক দেশের চেয়ে এই দেশে থাকা-খাওয়া বাবদ খরচ অনেক কম। এছাড়া এদেশে শিক্ষার পরিবেশ খুব ভাল। ইউরোপের অন্যতম পুরাতন বিশ্ববিদ্যালয়- চার্লস বিশ্ববিদ্যালয় প্রাগ শহরে অবস্থিত। চেক প্রজাতন্ত্রে ২৭ টি সরকারি ও ৪০ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। কিউএস ইইচিএ ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০১৮ অনুযায়ী, বিশ্বের সেরা ৩০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয় চেক প্রজাতন্ত্রের।

এছাড়াও এই দেশের অন্যান্য কিছু নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় হলঃ

Higher Study Abroad -Czech Republic
Image Source: pexels.com

চেক প্রজাতন্ত্রে পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

অন্যান্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মত এই দেশেও আবেদনের জন্য আপনাকে পূর্ব ধাপ শেষ করে আসতে হবে। অর্থাৎ, ব্যাচেলরের জন্য HSC, মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য ব্যাচেলর আর PhD প্রোগ্রামে ভর্ত হতে মাস্টার্স শেষ করতে হবে। অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদনের উপরে ভিত্তি করে এন্ট্রান্স এক্সাম (Entrance Exam) নিতে পারে। আসলে আপনাকে কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন সবটাই নির্ভর করবে আপনি যেখানে পড়তে যাবেন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর।

আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখি, এদেশে কোন আবেদন করতে সাধারণত IELTS স্কোর প্রয়োজন পড়ে না । কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে IELTS স্কোর (5.5 -6.5) চাইতে পারে।

আবার, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য আবেদন ফি বা ট্যাক্স বাবদ ২০ থেকে ৮০ ইউরো পর্যন্ত অর্থের প্রয়োজন পড়তে পারে।

কোর্স সার্চ ও কোর্স নির্বাচন

অনলাইন মার্কেটিং কোর্স, এনার্জি সায়েন্স, অ্যাভিয়েশন,  ইঞ্জিনিয়ারিং, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালটি, ফ্যাশন, আর্ট,  বিজনেস স্টাডিজ, ডিজাইন স্টাডিজ, জার্নালিজম, ম্যানেজমেন্ট কোর্স, ল্যাংগুয়েজ কোর্স, মার্কেটিং, সোশ্যাল সায়েন্স, ইকোনমিক্স, ফুড এন্ড বেভারেজ স্টাডিজ, ফিল্ম মেকিং, ফাউন্ডেশন প্রোগ্রাম, প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, গ্রাফিক্স কোর্স, ইত্যাদিসহ আরো নানা বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।

কোর্স সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে এই ওয়েবসাইটের সাহায্য নিতে পারেনঃ  http://www.studyin.cz

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন প্রক্রিয়া

এই দেশে বছরে সাধারণত ২ টা সেশানে অফার করে থাকে। একটি সেশনে আবেদনের সময় নভেম্বর/ডিসেম্বর এবং পরবর্তী সেশনে আবেদনের সময় এপ্রিল/মে হয়ে থাকে।

অবশ্যই কোর্স শুরু হবার ২/৩ মাস আগেই ভিসার জন্য আবেদন করবেন। কারণ ভিসা পেতে আপনাকে ২ থেকে ২.৫ মাস সময় লাগবে।

Image Source: Internet

চেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর বা মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য নিম্নোক্ত ডকুমেন্টস প্রয়োজন পড়বেঃ

১। অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ও অ্যাপ্লিকেশন ফি ২০-৮০ ইউরো

২। পাসপোর্ট ও ২ কপি ছবি [ছবির সাইজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জেনে নিতে হবে]

৩। সকল সার্টিফিকেট ও মার্কশীট [ বিশ্ববিদ্যালয়ের Requirement ডকুমেন্টসগুলো নোটারি কপি কিংবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করতে হতে পারে]

৪। IELTS স্কোর ৬.০ – ৬.৫ বা Medium of Instruction সার্টিফিকেট [বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বা কন্ট্রোলার অফ এক্সাম থেকে Medium of Instruction সার্টিফিকেট পেলে IELTS Score প্রয়োজন পরবে না]

৫। ইউরোপিয়ান ফরম্যাটে সিভি, মোটিভিশন লেটার ও ২ টি রেকমেন্ডেশন লেটার

৬। জব এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট [যদি প্রয়োজন হয়]

সকল ডকুমেন্টস বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন শেষ হবার আগেই পৌছাতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানায়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনার ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের Entrance Exam বা Interview নিবে skype এর মাধ্যমে। তারপর ৭- ১০ দিনের মধ্যে আপনাকে জানিয়ে দিবে আপনার ফলাফল।

যদি আপনি তাদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, তাহলে আপনাকে  ইমেইল করে Offer Letter দিয়ে দাওয়া হবে। এরপর আপনাকে ১ বছরের অথবা ১ সেমিস্টারের টিউশন ফি দিতে বলা হবে। এই ফি প্রদান করলে আপনাকে এম্বেসী ফেস করার জন্য অফার লেটারের হার্ডকপি পাঠানো হবে। যদি আপনি কোন দৈব কারণে ভিসা না পান, তাহলে আপনার টিউশন ফি আপনাকে রিফান্ড করা হবে।

এই ক্ষেত্রে একটা কথা মনে রাখবেন, যদি ২-৩ মাস আগেই ভিসা প্রসেস শুরু না করেন, তবে হয়ত কাজ শেষ করতে আপনাকে বেগ পোহাতে হবে। কারণ, চেক প্রজাতন্ত্রে আবেদন প্রসেস করতে ৩ মাসের মত সময় লাগবে।

টিউশন ফি

আপনাকে কম টিউশন ফী সম্পন্ন চেক বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজতে হবে। যেটা প্রতি বছরে ২০০০-২৫০০ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে।

চেক রিপাবলিকে এডমিশেনর  ক্ষেত্রে প্রথম বছরের টিউশন ফী আপনাকে অগ্রিম পাঠাতে হবে। মাস্টার্স স্টাডি প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে যদি আপনার টোটাল টিউশন ফী ৪৫০০ হয়, তাহলে প্রথম বছর  আপনাকে পাঠাতে হবে ২২৫০ ইউরো। চেকে গিয়ে আপনাকে বাকি ২২৫০ ইউরো মেনেইজ করতে হবে। আপনার অবশিষ্ট টিউসান ফী ৪-৬ কিস্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে দিতে পারবেন।

যদি ভিসা না পান তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই টাকা আপনাকে ফেরত দিবে। তবে এই বিষয়ে সব কিছুই নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট, আর প্রয়োজনে এডমিশন অফিসে ভালো করে কথা বলে নিবেন।

International Student in Czech Republic
Image Source: Internet

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও ডকুমেন্টস চেকলিস্ট

চেক প্রজাতন্ত্রের এম্বেসী বাংলাদেশে নেই- তাই আপনাকে ইন্ডিয়া গিয়ে কাজ করতে হবে। এজন্য সময় বেশী লাগবে তাই হময় হাতে নিয়েই ভিসার আবেদন করতে হবে। ভিসা আবেদনের জন্য আপনাকে চেক এমব্যাসি ভারত  হতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।

অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়ার পর নিচের ডকুমেন্টস জোগাড় করে যেতে হবে ভিসা ইন্টারভিউয়ের জন্যঃ

১। পাসপোর্ট ও ২ কপি ছবি

২। লংটার্ম ভিসা ফর্ম

( ফর্মটি পাবেনঃ https://www.mzv.cz/jnp/en/information_for_aliens/visa_form/index.html )

৩। Accommodation (কমপক্ষে ৬ মাসের জন্য)

৪। ব্যাংক ডিটেইলস (আবেদনকারীর নামেই ৬২০০ ইউরো থাকতে হবে, পিতা-মাতা-ভাই-বোন হলে চলবে না)

৫। আবেদনকারীর নিজের নামে International Credit Card (ব্যাংক ডিলেইলস যে ব্যাংক থেকে নিতে হবে ক্রেডিট কার্ডও একি ব্যাংকের হতে হবে।)

৬। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (নোটারাইজড)

৭। অফার লেটার

৮। হেলথ ইনস্যুরেন্স

এখানে উল্লেখ্য যে, ব্যাংক ডিটেইলস ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক ভাষায় অনুদিত হতে হবে। আপনি বাংলাদেশ থেকেও করাতে পারেন। তবে ইন্ডিয়া থেকে করালে আপনি ২ ঘন্টায় আপনাকে করে দিবে।

Visa Application - Czech Republic
Image Source: Internet

চেক এমব্যাসি ভারত, http://www.mzv.cz/newdelhi

চেক কনস্যুলেট বাংলাদেশ, http://www.czechrepublicbd.com/home

আবাসন ব্যবস্থাঃ

চেক প্রজাতন্ত্রে ভিসার জন্য আপনাকে ৬ মাসের আবাসন ব্যবস্থা বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় করে যেতে হবে। আবাসনের জন্য আপনাকে মাসে ব্যয় করতে হবে ১১০- ১৫০ ইউরো।

আবাসনের জন্য কিছু প্রাইভেট অর্গানাইজেশনের খোঁজ দেওয়া হলঃ

Spolubydlici.cz |Forstudents.cz | Expats.cz | Sreality.cz

 

মাসিক খরচ এবং পার্ট টাইম জব এর সুযোগ

চেক প্রজাতন্ত্রে অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় অনেক কম খরচে থাকা খাওয়া হয়ে যাবে। আপনি ২৫০ থেকে ৪০০ ইউরোর মধ্যে আপনার থাকা খাওয়া সহ যাবতীয় খরচ মেটাতে পারবেন।

এখান থেকে একটু ধারনা নিতে পারেন – https://www.studyin.cz/live-work/living-costs/

এই দেশে আপনি পড়াশুনার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করতে পারবেন সপ্তাহে ২০ ঘন্টা। ছুটিতে করতে পারবেন ফুল টাইম জব। কাজ পাবার জন্য চেক ভাষা জানলে সুবিধা পাবেন।

Life in Czech Republic
Image Source: Internet

আবেদনের আগে সবার মনেই একটি কমন প্রশ্ন উঁকি দেয় – চেক রিপাবলিকে খণ্ডকালীন চাকুরী করে টিউশন ফী এবং লিভিং কস্ট  ম্যানেজ করা সম্ভব কি না?

এক কথায় বলা যায় বর্তমানে খণ্ডকালীন চাকুরীর সুযোগ ও সহজলভ্যতার দিক থেকে চেক রিপাবলিক অনেক ভাল অবস্থানে আছে। প্রাগ,বেরাউন সেটিতে নতুন পুরাতন বাঙালী কেউই জব ছারা নেই। চেক রিপাবলিকে বাঙালি,ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি, ভিয়েতনামিজ, ইসরাইলি সহ বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট বা মিনি মার্কেটে কাজ করতে পারবেন। প্রতি ঘণ্টায় ৬৫-৭৫ ক্রাউন করে মুজুরি পাবেন।

নোটঃ প্রাগ,বেরাউন ব্যাতিত চেক রিপাবলিকের অন্যান্য সিটি গুলিতে খণ্ডকালীন চাকুরীর সুযোগ ও সহজলভ্যতা তেমন নেই।

কোর্স শেষে চাকুরীর সুযোগ ও স্থায়ী বসবাস

চেক প্রজাতন্ত্রে কোর্স শেষে আপনি ৯ মাসের জব সার্চ ভিসা পাবেন। আর আপনি যদি টানা ৫ বছর এই দেশে বসবাস করেন, তাহলে পারবেন নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে। তবে এই ক্ষেত্রে পড়াশুনার সময়কালকে অর্ধেক ধরা হয়  ( ৩ বছরের কোর্স হলে ১.৫ বছর গণনা করা হবে) আর আপনাকে চেক ভাষায় হতে হবে দক্ষ ।

Life in Czech Republic
Image Source: Internet

তথ্যসুত্রঃ

November 22, 2022

১৯৫০ দশকের শেষ দিকে চেক রিপাবলিক সরকার এই স্কলারশিপ প্রোগ্রাম শুরু করে। চেক রিপাবলিকের মিনিস্ট্রি অব এডুকেশন, ইয়ুথ এন্ড স্পোর্টস এবং মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স এর যৌথ তদারকিতে প্রদান করা হয়ে থাকে এই স্কলারশিপ। এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামে চেক রিপাবলিকের কোন নাগরিক অথবা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোন নাগরিক এই আবেদন করতে পারবেন না। এই স্কলারশিপে প্রথম ১ বছর শিক্ষার্থীকে শেখানো হবে চেক ভাষা ও সংস্কৃতি।

স্কলারশিপ এর নাম

চেক রিপাবলিক সরকারি স্কলারশিপ

যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে

এই স্কলারশিপের আওতায় ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে আবেদন করা যাবে।

দেশ এবং কর্তৃপক্ষ

Ministry of Education, Youth & Sports And Ministry of Foreign Affairs of Czech Republic

বৃত্তির সুযোগ সুবিধাসমূহ

স্কলারশিপের আওতায় আপনি যা যা পাবেনঃ

১। টিউশন ফি

২। মাসিক ভাতা

৩। আভ্যন্তরীণ যাতায়াত ভাড়া

আবেদনের যোগ্যতা

স্কলারশিপের জন্য আপনার থাকতে হবে নিম্নোক্ত যোগ্যতাঃ

১। আবেদন করার জন্য অবশ্যই আপনাকে লিস্টেড দেশের যে কোন একটি দেশের নাগরিক হতে হবে।

২। বয়স হতে হবে কমপক্ষে ১৮ বছরের বেশি।

আবেদনের সময়সীমা

প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে ওয়েব সাইটের মাধ্যমে। হালনাগাদ ডেডলাইন জানতে ভিজিট করুন –

https://www.msmt.cz/eu-and-international-affairs/government-scholarships-developing-countries

যেসকল দেশের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য

Developing Country and Under Developed Country -এর নাগরিকগণ এই স্কলারশিপে আবেদন করতে পারবেন। আর এই তালিকার বাংলাদেশও আছে। হালনাগাদ দেশের তালিকা জানতে ভিজিট করুন –

https://www.msmt.cz/eu-and-international-affairs/government-scholarships-developing-countries

Czech Republic Government Scholarship
Image Source: Internet

আবেদন প্রক্রিয়া

প্রথমেই আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এরপর আপনাকে বসতে হবে এন্ট্রাস এক্সামে আর পরবর্তীতে রেজাল্ট জানিয়ে দেওয়া হবে।

স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য আপনাকে জমা দিতে হবেঃ

১। Online আবেদন ফর্ম

২। সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশীট

৩। রিকমেন্ডেশন লেটার

৪। Motivation Letter and CV

৫। IELTS এর সনদ (যদি থাকে)

৬। Work Experience Certificate (যদি থাকে)

৭। NID ও পাসপোর্টের কপি

আবেদন করতে ভিজিট করুণঃ

https://www.msmt.cz/eu-and-international-affairs/government-scholarships-developing-countries?lang=2

তথ্যসুত্রঃ

November 22, 2022

ইউরোপ-আমেরিকার ব্যয়বহুল শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক উচ্চশিক্ষা প্রত্যাশীদের জন্য হয়ে ওঠে দূরের স্বপ্ন। কিন্তু, যদি কম খরচে আপনি বিদ্যার্জন করতে চান অথবা পড়াশুনা করতে চান নির্বিঘ্ন পরিবেশে আর অর্জন করতে চান বৈশ্বিক জ্ঞান তাহলে আপনার জন্য শ্রেষ্ঠ ডেস্টিনেশন হল রাশিয়া। রাশিয়া বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ এবং এই দেশে বাংলাদেশের বহু শিক্ষার্থী জ্ঞান অর্জন করতে পাড়ি জমাচ্ছে। তাই আজ আমরা আলোচনা করবো রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষা নিয়ে। আপনাদের সামনে তুলে ধরবো রাশিয়ায় জ্ঞান অর্জনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত, যেন আপনারা নিজেরাই করতে পারেন নিজের আবেদন।

কেন রাশিয়ায় পড়তে যাবেন?

রাশিয়া একটি আন্তঃমহাদেশীয় বিশালাকার দেশ। এই দেশের আয়তন ১৭,০৭৫,৪০০ বর্গকিলোমিটার (৬,৫৯২,৮০০ বর্গমাইল) আর জনসংখ্যা ২০১৮ হিসাব অনুযায়ী প্রায় ১৪৭ মিলিয়ন। এই দেশের মুদ্রা রুবেল। রাশিয়ার রাজধানী মস্কো আর অফিসিয়াল ভাষা রুশ। বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ ১৯৯১ সালে ভেঙ্গে যাবার পর বেশ দুর্বল হয়ে যায়। তবে এখন অর্থনৈতিক ভাবে এখনো রাশিয়া অনেক সমৃদ্ধ দেশ। এদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় রুশ ভাষায়ই সচরাচর শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে। রাশিয়া মূলত শীতপ্রধান- এদেশে শীতের সময় তাপমাত্রা শূন্যের নীচে নেমে যায়।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে ‘মৈত্রী ও সহযোগিতা’ চুক্তি সম্পাদিত হয় আর এই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অনার্স, মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে রাশিয়ায় পড়াশোনার সুযোগ পায়। রাশিয়াও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। তাই বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের অন্যতম বিদ্যার্জনের গন্তব্য হতে পারে রাশিয়ান ফেডারেশন।

Study in Russia
Image Source: Internet

কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

রাশিয়ায় বিভিন্ন মানের ও World Ranking এর বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। রাশিয়ার উচ্চশিক্ষার ইতিহাস অনেক বছরের পুরাতন। এই দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে বহু যুগের সম্ভ্রান্ত ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট।

আপনার যদি নির্দিষ্ট একটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধে হয়, তবে নিচের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্পর্কে জেনে নিন।

১. মস্কো স্টেইট ইউনিভার্সিটি

২. আলটায় স্টেট ইউনিভার্সিটি

৩. কাজান ইউনিভার্সিটি

৪. ডুবনা ইউনিভার্সিটি

৫. চেলিয়াবিনস্ক স্টেট ইউনিভার্সিটি

৬. ইরকুটস্ক স্টেট ইউনিভার্সিটি

৭. মস্কো ইউনিভার্সিটি টোউরো

৮. দি রাশিয়ান স্টেট হিউম্যানিটিস ইউনিভার্সিটি

রাশিয়ায় বেশির ভাগ কোর্স রুশ ভাষায় হলেও আপনি ইংরেজী ভাষার কোর্সও খুঁজে পাবেন। কিন্তু এজন্য আপনি অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কনফর্ম হয়ে নেবেন, যেন এই দেশে এসে বিপদে না পড়তে হয়।

রাশিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়, একাডেমি, ইনস্টিটিউট, টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, টেকনিক্যাল কলেজ ও স্পেশালাইড ইনস্টিটিউশন এই কয়েকটি স্তরে বিন্যস্ত। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিজ্ঞান, কলা, বাণিজ্য শাখার সব বিষয়ে পড়া সম্ভব। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাচেলর ডিগ্রি, মাস্টার্স ডিগ্রি ও পিএইচডিসহ বিভিন্ন ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

Medical University in Russia
Image Source: Internet

রাশিয়ায় অনেকে মেডিকাল সাইনস পড়তে উৎসাহী হয়ে থাকে। আর এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক ডাইভারসিফাইড কোর্স অফার করে থাকে। তাই, কোর্স নির্বাচনে আপনি একতা বিশাল ক্ষেত্র পাবেন।

রাশিয়ায় পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

রাশিয়ায় আবেদন করতে আপনাকে একাডেমিক ক্যারিয়ারে পেয়ে আসতে হবে কমপক্ষে ৫০% নম্বর। এদেশে পড়তে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় IELTS/ TOEFL চেয়ে থাকে। কিন্তু অধিকাংশ কোর্স এদেশে রুশ ভাষায় অফার করা হয়। তাই রুশ ভাষা জানা থাকলে এই সব কোর্সে আবেদন করতে সুবিধা হবে। রুশ ভাষা জানা না থাকলেও সমস্যা নেই, কারণ অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষার্থীদের রাশিয়ায় ১ বছরের রুশ ভাষার কোর্স করতে বলে থাকে। এদেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিশেষ করে স্কলারশিপে পড়তেও আপনাকে এই দেশে এসে ১ বছরের রুশ ভাষার কোর্স করে আপনি পরবর্তীতে মেইন কোর্সে এনরোল করার সুযোগ পাবেন।

ডকুমেন্টস সত্যায়ন

রাশিয়ায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই সত্যায়িত ডকুমেন্টস চাওয়া হয়। এজন্য প্রার্থীকে প্রথমেই সকল কাগজপত্র শিক্ষা বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করাতে হবে। এরপর সকল কাগজ রাশিয়ান ভাষায় অনুবাদ করতে হবে। এবার এই অনুদিত ডকুমেন্টস রাশিয়ান দূতাবাস থেকে সত্যায়িত করতে হবে। কিন্তু অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার সত্যায়নের ঝামেলা বা ধাপসমূহ ভিন্ন। তাই আপনি আগেই এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন অফিসের সাথে কথা বলে নিবেন এবং জেনে নিবেন আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করছেন তাদের Requirements কি?

Moscow State University
Image Source: Internet

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমা ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

রাশিয়ায় বছরে দুইটি সেমিস্টার অফার করা হয়ে থাকে- যথাক্রমে সামার সেমিস্টার ও উইন্টার সেমিস্টার। সামার বা গ্রীষ্মকালীন সেমিস্টার শুরু হয় ফেব্রুয়ারি থেকে আর এই সেমিস্টারে আবেদন করতে হয় জানুয়ারি মাসে। উইন্টার সেমিস্টার শুরু হয় সেপ্টেম্বরে। আর এই সেমিস্টারের আবেদন শুরু জুলাই- আগস্ট মাসে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদনের সবচেয়ে ভালো সময় হল উইন্টার সেমিস্টার। কারণ মূল কোর্সগুলো এই সেমিস্টারে অফার করা হয়। অন্যদিকে সামার সেমিস্টারে অফার করা হয় ল্যাংগুয়েজ কোর্স।

এই দেশে আবেদন করতে প্রথমেই আপুনাকে আপনার পছন্দের কোর্স ও বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নিতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নেবার পর আপনি অনলাইনে আবেদন করবেন। পরবর্তীতে আপনাকে আপনার আবেদনের সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে।

আবেদন করতে আপনার প্রয়োজন পড়বে নিম্নোক্ত ডকুমেন্টসমূহেরঃ

১। সকল একাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট

২। CV, মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার

৩। পাসপোর্টের কপি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি

৪। আবেদন ফর্ম

৫। IELTS (যদি প্রয়োজন হয়)

৬। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র (যদি প্রয়োজন হয়)

নোটঃ কিছু ইউনিভার্সিটি আপনার একাডেমিক সার্টিফিকেটগুলোর রাশিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ এ ট্রান্সলেট কপির স্কান কপি চাইতে পারে। যদি আপনি মনোনীত হন, বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে অফার লেটার ইস্যু করবে যার জন্য ৩০-৪৫ দিন সময় লাগবে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় তাদের অ্যাকাউন্টে আপনাকে ১ বছর বা ১ সেমিস্টারের টিউশন ফী প্রদান করতে বলবে। তবে, কথা বলে নেবেন। কারণ, এটি রাশিয়াতে বাধ্যতামূলক নয়।

Students in Russia
Image Source: Internet

টিউশন ফি

রাশিয়ায় আপনাকে বিভিন্ন কোর্সে দিতে হবে বিভিন্ন মাত্রায় টিউশন ফিস। তবে আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করছেন, বিষয় ও শহর-নগর ভেদে এই ফি-এর হার বহুলাংশে নির্ভর করে। তবে তা বাৎসরিক ১৬০০$ থেকে ৫৬০০$ এর মধ্যে। কিন্তু অধিকাংশই ২০০০$ বা তার কাছাকাছি কোনো সংখ্যায়। বাংলাদেশি টাকায় এক লাখ ৪০ হাজার ৫০০ থেকে চার লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে। গড়পড়তায় দুই লাখ টাকার কমবেশি। আবার কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে আপনাকে আবেদন ফি বাবদ দিতে হতে পারে ১০০ মার্কিন ডলার।

আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ

রাশিয়ায় ভিসা প্রাপ্তির জন্য আপনাকে ব্যাংকে সেদেশে এক বছর চলার মত পর্যাপ্ত অর্থের সংস্থান দেখাতে হবে। আর যদি আপনার খরচ বহন করে অন্য কোন স্পন্সর, তাহলে তাকে নোটারাইজড অংগীকারনামা দিতে হবে যে তিনি আপনার সকল খরচ বহ করবে। তার জন্য প্রয়োজন পরবে, আপনার স্পন্সরের ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও ডকুমেন্টস চেকলিস্ট

রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার পর যদি আপনার আবেদন গৃহীত হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি অফার লেটার ইস্যু করবে।অফার লেটার পেতে ৪০-৬০ দিন সময় লাগতে পারে। ধৈর্য হারাবেন না। অফার লেটার পাওয়ার পর রাশিয়ান দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করবেন নিয়ম অনুসারে। সবকিছু ঠিক থাকলে ভিসা পাওয়া কোনো প্রকার ঝামেলা নয়।

এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা ভালো, রাশিয়ায় এম্বেসী সপ্তাহে ৩ দিন যথাঃ রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার ৮:৪৫ থেকে ১১:৪৫ পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করে থাকে।

Students in Russia
Image Source: Internet

ভিসা আবেদন করতে আপনাকে নিম্নোক্ত ডকুমেন্টস নিতে হবেঃ

১। পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম

২। পাসপোর্ট ও  ফটোগ্রাফ

৪।সকল মার্কশিট ও সনদ,

৫। IELTS [ যদি প্রয়োজন থাকে]

৬।  অফার লেটার

৭। ব্যাংক সলভেন্সি পেপ্যার

৮। ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট

৯। পুলিশ ক্লিয়ারান্স

১০।মেডিক্যাল রিপোর্ট

সব কিছু ঠিকমত রুল অনুযায়ী জমা দিতে হবে। ছোট খাট ভুলের জন্যই ভিসা রিজেক্ট হয়।

রাশিয়ায় আবাসন ব্যবস্থা ও জীবন-যাপন খরচ

জীবনযাত্রার খরচ বাংলাদেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাকা) পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের চেয়ে কম। বলতে গেলে পাঁচ হাজার টাকায় স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করা যায়। বাকিটুকু নিজের ওপরে।

রাশিয়ায় আপনি পড়তে গেলে নামমাত্র মূল্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব হোস্টেলে থাকতে পারবেন। এসব হোস্টেল নিরাপদ ও অনেক উন্নত। থাকা খাওয়া মিলিয়ে আপনার খরচ হবে ১৫০-২০০ মার্কিন ডলার।

Study in Russia
Image Source: Internet

পার্ট টাইম জব এর সুযোগ ও স্থায়ী বসবাস

আপনি রাশিয়ায় সামারে কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই পার্ট টাইম চাকুরী করতে পারবেন। কিন্তু যদি ভাষাগত দক্ষতা না থাকে তবে পার্ট টাইম জব পেতে আপনাকে বেশ খানিকটা বেগ পোহাতে হবে। আর বছরের অন্য সময় এই দেশে পার্ট টাইম জব করতে আপনাকে অনুমতি নিতে হবে Federal Migration থেকে- কিন্তু মজার ব্যাপার হল, এই সংস্থা থেকে পার্ট টাইম জবের অনুমতি আনতে আপনাকে বেশ শ্রম দিতে হবে।

রাশিয়ায় আপনি যদি কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে থাকেন এবং আপনার যদি ১ বছরের ভেরিফাইড বাস্তব কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে থাকে, তাহলেই আপনি রাশিয়ায় স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

রাশিয়ায় আবেদনের যাবতীয় বিষয়াবলী আপনাদের সামনে তুলে ধরা হল বিস্তারিত। তাহলে আর দেরী কেন – আজই   করুন নিজের আবেদন নিজেই ।

Life in Russia
Image Source: Internet

তথ্যসুত্রঃ

November 22, 2022

নিজেই করুণ নিজের আবেদনের আজকের পর্ব সাজানো হয়েছে বিশ্বের অন্যতম এক ধনী দেশকে নিয়ে, যে দেশ উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে অবস্থিত এবং ১৯২১ সালে যুক্তরাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। আমার আশা অনেকেই বুঝতে পেরেছেন আজ  আমরা কথা বলবো আয়্যারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা নিয়ে। তাহলে আর দেরী না করে শুরু করে দেই আজকের আলোচনা আর আপনারাও তৈরি হয়ে যান আয়্যারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষার জন্য – নিজেরাই করে ফেলুন নিজের আবেদন।

কেন আয়ারল্যান্ডে পড়তে যাবেন?

ইউরোপের অন্যতম ধনী দেশ আয়ারল্যান্ড। বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী এখন পাড়ি জমাচ্ছেন আয়ারল্যান্ডে। আয়ারল্যান্ড দেশটির অফিসিয়াল নাম “রিপাবলিক অফ আয়ারল্যান্ড” আর অফিসিয়াল ভাষা আইরিশ ও ইংরেজী। এই দেশটির বৃহত্তম শহর ও রাজধানী হল ডাবলিন। ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতির উৎকর্ষে অবস্থিত এই দেশে মুদ্রা ইউরো। এই দেশ মূলত শীত প্রধান এবং এই দেশের তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। আয়ারল্যান্ডের আয়তন ৭০,২৭৩ বর্গকিঃমিঃ আর  লোকসংখ্যা ৪৭,৫৭,৯৭৬ জন। এই দেশের মাথাপিছু আয় প্রায় ৬৯,০০০ মার্কিন ডলার। তবে আপনাদের জ্ঞাতার্থে বলে রাখি, আয়ারল্যান্ড সেঞ্জেনভুক্ত দেশ নয়। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে উচ্চশিক্ষার আশায় চলে আসছে আয়ারল্যান্ডে।

এই দেশের অন্যতম অফিসিয়াল ভাষা ইংরেজী হওয়ায় অনেক কোর্স রয়েছে ইংরেজী ভাষায়। এই দেশে ব্যাচেলর ডিগ্রি সাধারণত ৩ – ৪ বছরের হয়ে থাকে, মাস্টার্স ১.৫ – ২ বছর এবং ডক্টরেট ৩-৪ বছরের হয়ে থাকে। তাই আপনার জন্যও হতে পারে এই দেশ বিদ্যাশিক্ষার অন্যন্য স্থান।

Study in Ireland
Image Source: internet

কোর্স সার্চ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

আয়ারল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো World Ranking এর তালিকায় উপরের দিকে অবস্থিত হওয়ায় অনেকেই এই দেশে পড়াশুন ও উচ্চ শিক্ষার জন্য আসতে চায়। এদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জনপ্রিয় কিছু কোর্স –

অ্যাকাউন্টিং, অ্যাগ্রিকালচার, অ্যানাটমি, অ্যাপ্লায়েড ম্যাথমেটিক্স, আর্কিটেকচার, ডিজাইন, আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ, অডিও ইঞ্জিনিয়ারিং, অটোমোটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং, এভিয়েশন স্টাডিজ, ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োলজিক্যাল অ্যান্ড ফিজিক্যাল সায়েন্স, বায়োমেডিকেল সায়েন্স, বায়োটেকনোলজি, সিরামিকস, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া, ডান্স, ড্রামা, ই-কর্মাস, ইকোনমিকস, একাউনট্যান্সি, এবরোজিনাল এন্ড ইনডিজিনাস স্টাডি, অলটারনেটিভ মেডিসিন, এনথ্রপলজি, অ্যাপায়েড ম্যাথমেটিকস, একুয়াকালচার, কেমিষ্ট্রি, এনভায়রোনমেন্টাল স্টাডিজ, বিজনেস এন্ড ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করা যায়।

কয়েকটি জনপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ঃ

১. ডাবলিন সিটি ইউনিভার্সিটি (www.dcu.ie )
২. ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব অ্যায়ারল্যান্ড (www.nuigalway.ie )
৩. ট্রিনিটি কলেজ, ডাবলিন (www.tcd.ie )
৪. ইউনিভার্সিটি কলেজ, ডাবলিন (www.ucd.ie )
৫. রকওয়েল কলেজ (www.rockwellcollege.ie )
৬. গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটি (www.gcd.ie )
৭. অ্যাথোলেন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (www.ait.ie )

Study in Ireland
Image Source: internet

আয়ারল্যান্ডে পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

আয়ারল্যান্ডে বছরে দুইটি সেমিস্টার পড়ানো হয়। একটি ফল সেমিস্টার অপরটি স্প্রিং সেমিস্টার। ফল সেমিস্টার চলে আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আর স্প্রিং সেমিস্টার চলে জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত।

ব্যাচেলর প্রোগ্রামে যদি এই দেশে পড়তে চান তাহলে আপনার থাকতে হবে ১২ বছরের শিক্ষাজীবন অর্থাৎ এইচএসসি পাস হতে হবে। আর আপনাকে IELTS-এ ৫.৫ থেকে ৬.০ পয়েন্ট পেতে হবে অথবা TOEFL-এর CBT-তে ২১৩ বা IBTতে ৭৯ থেকে ৮০ পয়েন্ট হতে হবে। অন্যদিকে, আপনি যদি মাস্টার্স প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে চান তাহলে আপনার থাকতে হবে ১৬ বছরের শিক্ষাজীবন অর্থাৎ, আপনাকে শেষ করতে হবে ব্যাচেলর ডিগ্রী। এবং আপনাকে IELTS-এ ৬.০ থেকে ৬.৫ পয়েন্ট পেতে হবে অথবা TOEFL-এর CBT-তে ২১৩ থেকে ২৩৭ বা IBT-তে ৭৯ থেকে ৯৩ পয়েন্ট থাকতে হবে। আপনার GRE/GMAT প্রয়োজন হবে কি না সেটা নির্ভর করবে আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছেন তার উপর।

আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

সাধারণত ফল সেমিস্টারে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয় আয়ারল্যান্ডে। স্প্রিং সেমিস্টারে কোন কোন কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ে অল্প পরিমানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। আবেদন করতে আপনাকে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভর্তি শাখা’ বরাবর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফিসহ আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।

ইউনিভার্সিটিতে আবেদনের জন্য ডকুমেন্টস চেকলিস্টঃ

১। সকল একাডেমিক ডকুমেন্টস ও মার্কশীট

২। পাসপোর্ট/জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি

৩।  অ্যাপ্লিকেশন ফরম

৪। আইইএলটিএস এর সার্টিফিকেট

৫। এপ্লিকেশন ফি পরিশোধের প্রমাণ কপি

University in Ireland
Image Source: internet

আয়ারল্যান্ডে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন ফি বিভিন্ন রকমের। সাধারণত এই ফি ৪৫ থেকে ৯০ ইউরো পর্যন্ত হয়ে থাকে। আবেদন করার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবেদন যাচাই বাছাই করে এবং যোগ্য শিক্ষার্থীদের আয়ারল্যান্ডে পড়াশুনা করার সুযোগ দিয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদনকে যথার্থ মনে করলে তারা সরাসরি আপনাকে Offer Letter পাঠিয়ে দিতে দেরি করবে না।

পড়াশোনার খরচ ( টিউশন ফি) ও স্কলারশিপ

আয়ারল্যান্ডে ব্যাচেলর ডিগ্রির ক্ষেত্রে বছরে ১০ হাজার ৫০০ থেকে ১৫ হাজার ১৫০ ইউরো এবং মাস্টার ডিগ্রির ক্ষেত্রে সাত হাজার ৪০০ থেকে ১৫ হাজার ৭২০ ইউরো টিউশন ফি লাগে। তবে কলেজে পড়াশোনা করতে প্রায় ৩০ শতাংশ খরচ কম হয়। প্রতি মাসে ৩০০ থেকে ৫০০ ইউরো দিয়েই অনায়াসে থাকা, খাওয়া, যাতায়াত ও অন্যান্য খরচ মেটাতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

আয়ারল্যান্ডে ব্যাচেলর লেভেলে স্কলারশিপের সুযোগ ক্ষীণ। কিন্তু মাস্টার্স প্রোগ্রামে স্কলারশিপের সু্যোগ তুলনামূলক বেশি। আয়ারল্যান্ডে ন্যাশনাল স্কলারশিপ প্রোগ্রামের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও স্কলারশিপ পাওয়া যায়। এই দেশে প্রায় ১০০ এর মত বিভিন্ন ধরণের স্কলারশিপ অফার করা হয়ে থাকে।

নিচের লিঙ্কে স্কলারশিপ সম্পর্কে বিস্তারিত পাবেনঃ
http://www.educationinireland.com/en/How-Do-I-Apply-/Tuition-Costs-Scholarships/Scholarships/

আয়ারল্যান্ডে আবাসন ব্যবস্থা ও জীবন-যাপন খরচ

আয়ারল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে নিজস্ব আবাসন ব্যবস্থা। এই আবাসন ব্যবস্থা অনেক উন্নত। কিন্তু, বাইরের শেয়ারড এপার্টমেন্ট থেকে এই আবাসন ব্যবস্থা কিছুটা ব্যয়বহুল। তাই অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে থাকে।  জীবনযাত্রার খরচ হিসাব করতে বসলে, আয়ারল্যান্ড অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলির অনুরূপ- বেশ খানিকটা ব্যয়বহুল। তবে, আপনি যদি বড় শহরে বাস করেন, তবে আপনার খরচ বেশি হবে। অন্যদিকে,  আপনি ছোট শহরে বসবাস করেন তাহলে ব্যয় বেশ খানিকটা কমে যাবে। এই দেশে আপনাকে প্রতিমাসে জীবন ধারণের জন্য ৫০০ থেকে ৮০০ ইউরো খরচ করতে হতে পারে। আর শিক্ষার্থীদের জন্য অন্য একটি ব্যয় হলে স্বাস্থ্যবীমা।

আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ

আয়ারল্যান্ডে ভিসা প্রাপ্তির জন্য আপনাকে ব্যাংকে প্রায় ১০,০০০ ইউরো দেখাতে হবে। আর যদি আপনার খরচ বহন করে অন্য কোন স্পন্সর, তাহলে তাকে নোটারাইজড অংগীকারনামা দিতে হবে যে তিনি আপনার সকল খরচ বহন করবে। তার জন্য প্রয়োজন পরবে, আপনার স্পন্সরের ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।

Students in Ireland
Image Source: internet

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও ডকুমেন্টস চেকলিস্ট

আয়ারল্যান্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার ভর্তি নিশ্চিত হবার পর আপনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবেন একটি Offer Letter. এই Offer Letter পাবার পর আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু আয়ারল্যান্ডের এম্বেসী বাংলাদেশে নেই। তাই আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে দিল্লীস্থ আয়ারল্যান্ড এম্বেসীর সাথে।

দিল্লীস্থ আইরিশ এম্বেসীর ঠিকানা নিম্নে দেওয়া হলঃ

230 Jor Bagh, New Delhi-110003, India

For Visa: +91-11 462671

আপনি ফোন করে তাদের সাথে যাবতীয় সহযোগিতা নিতে পারেন। এছাড়া আপনি অনলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন নিচের ওয়েব লিঙ্কের মাধ্যমেঃ

https://www.dfa.ie/irish-embassy/india/contact-us/

এবং এই পিডিএফ ফাইলটা  ভিসার যাবতীয় তথ্যের জনঃ
http://www.vfsglobalirelandvisa.com/india/pdf/bangladesh_271115.pdf

ভিসা সংক্রান্ত সকল তথ্য ও ডকুমেন্টসঃ 

http://www.inis.gov.ie/en/INIS/Pages/Study

http://www.inis.gov.ie/en/INIS/Student%20Finances.pdf/Files/Student%20Finances.pdf

নিচে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা দেওয়া হলঃ

১। পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম

২। পাসপোর্ট ও  ফটোগ্রাফ

৩। CV, Statement of Purpose (SOP)  ও রেফারেন্স

৪।  সকল মার্কশিট ও সনদ, IELTS-GRE সনদ

৫।  No Objection  Certificate [শেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে]

৬।  অফার লেটার

৭। ব্যাংক সলভেন্সি পেপ্যার

৮। ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট

৯। পুলিশ ক্লিয়ারান্স

১১। হেলথ ইন্স্যুরেন্স ও মেডিক্যাল রিপোর্ট ইত্যাদি

Life in Ireland
Image Source: internet

পার্ট টাইম জব ও স্থায়ী বসবাস এর সুযোগ

আয়ারল্যান্ডে আপনি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা জব করার সুযোগ পাবেন। আর আপনি সামারে সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা জব করার সুযোগ পাবেন।  রেস্টুরেন্ট, দোকান, শপিং মলে কাজ করে ঘণ্টায় ৭ থেকে ১২ ইউরো পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।  আয়ারল্যান্ডে আপনি পার্ট টাইম জব করার সুযোগ পাবেন কিন্তু এই পার্ট টাইম জব করে পুরো টিউশন ফি জোগাড় করা সম্ভব হয়ে উঠবে না।

আর ৫ বছর আয়ারল্যান্ডে বৈধভাবে বসবাস করলে আপনি আবেদন করতে পারবেন PR এর জন্য।

আয়ারল্যান্ড ইউরোপের পশ্চিম উপকূলের অন্যতম সুন্দর দেশ। আপনি এই দেশে অনেক সুবিধা পাবেন। হয়ত আয়ারল্যান্ড আপনার জন্য উন্মোচন করবে সুন্দর ভবিষ্যতের অনেক সম্ভবনা। তাই আজই  করুন নিজের আবেদন নিজেই- আর সেরে নিন আয়ারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা।

Life in Ireland
Image Source: internet

তথ্যসুত্রঃ

November 21, 2022

হাঙ্গেরি ইউরোপের একটি অন্যতম রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। এটি মধ্যে ইউরোপের একটি ছোট দেশ। এর প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে স্লোভাকিয়া, ইউক্রেন, রোমানিয়া, অস্ট্রিয়া। দেশটির আয়তন ৯৩,০৩০ স্কয়ার কিলোমিটার।স্কলারশিপ ও লেখাপড়ার পাশাপাশি কাজের সুবিধা থাকায়, বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরিতে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

হাঙ্গেরি সরকার ২০১৩ সাল থেকে ‘স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপ’ দিয়ে আসছে। স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকামের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, গত বছর(২০১৯) থেকে বাংলাদেশে চালু হয়েছে এই স্কলারশিপ। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে প্রায় পাঁচ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী এই স্কলারশিপের আওতায় আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, গ্র্যাজুয়েট, ওয়ান টায়ার মাস্টার্স ও ডক্টরাল নিয়ে হাঙ্গেরিতে পড়ছেন। বাংলাদেশ থেকে আন্ডারগ্র্যজুয়েট ও মাস্টার্স পর্যায়ে এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়।

স্কলারশিপ এর নাম

“ স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপ ”

যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে

এই স্কলারশিপ এর আওতায় আবেদন করতে পারবেন ব্যাচেলর, মাস্টার’স এবং পিএইচডি প্রোগ্রামে।

পড়তে পারবেন সকল বিষয় যেমনঃ মেডিসিন, ফার্মেসী, ডেন্টিস্ট্রি, আর্কিটেকচার, আইন, ভেটেরিনারি সার্জারি, ফরেস্ট্রি ইঞ্জিন্যারিং ইত্যাদি। সকল বিষয় এর লিষ্ট জানতে ভিজিট করুন অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://stipendiumhungaricum.hu/

দেশ এবং কর্তৃপক্ষ

হাঙ্গেরি। মিনিস্ট্রি অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স এন্ড ট্রেড অফ হাঙ্গেরি।

বৃত্তির সুযোগ সুবিধাসমূহ

স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপের আওতায় যা যা পাবেন-

১। টিউশন ফি সম্পূর্ণ ফ্রি।

২।ব্যাচেলর ও মাস্টার্স প্রোগ্রামে ১২০ ইউরো ।আর, পিএইচডি প্রোগ্রামে প্রথম ৪ সেমিস্টার ৩৯০ ইউরো ও পরবর্তী চার সেমিস্টার ৫০০ ইউরো ।

৩। ক্যাম্পাসের ডরমিটিরিতে বিনা ভাতায় থাকার ব্যবস্থা। উল্লেখ্য, ডরমিটরিতে না থাকতে চাইলে মাসে বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১২ হাজার টাকা করে দেয়া হবে বাড়ি ভাড়া ভাতা বাবদ।

৪। মেডিকেল ইনস্যুরেন্স (স্বাস্থ্যবিমা) – প্রতি বছর সর্বোচ্চ ২৭৫ ইউরো।

হাঙ্গেরিতে আপনি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজ করতে পারবেন। যা দিয়ে খুব সহজেই নিজের বারতি খরচ কভার করতে পারবেন। গড়ে একজন বিদেশি শিক্ষার্থী ঘন্টায় ৮০০ HUF এবং সর্বোচ্চ ২০০০ HUF (rare) আয় করতে পারে। বড় শহর গুলোতে জব পাওয়া একটু সহজ।

আবেদনের যোগ্যতা

১। বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে।
২। অবশ্যই ১৮ বছর বয়স হতে হবে। বয়স ১৮ বছরের নিচে হলে আবেদন করতে পারবেন না।
৩। ন্যূনতম উচ্চমাধ্যমিক পাস।
৪। আইইএলটিএস স্কোর ন্যূনতম ব্যান্ড স্কোর ৫ থাকতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে আইইএলটিএসের প্রয়োজন হয় না।
৫। আবেদনকৃত প্রোগ্রামের Entry Qualification পূরণ করতে হবে।

আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, গ্র্যাজুয়েট ও ডক্টরাল—তিনটির যেকোনো একটিতে আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। একাধিক আবেদন করলে আবেদনপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।

আবেদনের সময়সীমা

আবেদনের সময় প্রতি বছর জানুয়ারি এর মধ্যে। তবে হালনাগাদ ডেডলাইন জানতে নজর রাখতে হবে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ – https://stipendiumhungaricum.hu/

যেসকল দেশের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য

বিশ্বের অনেক দেশ সহ বাংলাদেশের জন্য এই স্কলারশিপ ওপেন আছে।

Stipendium Hungaricum Scholarship
Image Source: Internet

আবেদন প্রক্রিয়া

প্রথমে,  Stipendium Hungaricum Website এ সর্বোচ্চ ২ টি প্রোগ্রামে আবেদন করতে হবে। শুধু মাস্টার্স অথবা শুধু পিএইচডি প্রোগ্রামে আবেদন করা যাবে।

আবেদনের লিংক – https://apply.stipendiumhungaricum.hu/

তারপর, বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে অনলাইন আবেদনের পাশাপাশি যাবতীয় শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, মার্কশিট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য কাগজপত্রের হার্ডকপিও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে।

অনলাইন আবেদনের লিংক – http://scholar.banbeis.gov.bd/hungary/

সর্বশেষ,  অনলাইন আবেদন সম্পন্ন করার পর আবেদনের কপি সহ প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট নিচের ঠিকানায় জমা দিতে হবে।

প্রাপকের ঠিকানা- 
যুগ্নসচিব (বৃত্তি)
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ
শিক্ষা মন্ত্রণালয়,
বাংলাদেশ সচিবালয় , ঢাকা।

আবেদনপত্র সচিবালয়ের ২ নং গেট সংলগ্ন অভ্যর্থনা কক্ষের ৯নং কাউন্টারে সকাল ১০.টা থেকে ১১.০০টা এবং বিকাল ৩.৩০টা থেকে ৪.৩০টার মধ্যে জমা দিতে হবে।

বি. দ্রঃ শুধু পিএইচডি প্রোগ্রামে আবেদনকারীদের আগে সুপারভাইজারের কাছ থেকে Statement of the Supervisor নিতে হবে। তারপর, আবেদন শুরু করতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যা যা লাগবে:

১। পাসপোর্ট
২। একাডেমিক সার্টিফিকেট এবং নম্বর পএ
৩। জন্ম নিবন্ধন অথবা এনআইডি
৪। রিকমেন্ডেশন লেটার (২ টি)
৫। মোটিভেশান লেটার
৬। সিভি
৭। মেডিকেল সার্টিফিকেট
৮। এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস সার্টিফিকেট (যদি থাকে)
৯। আইইএলটিএস স্কোর (ভার্সিটির রিকোয়ার্মেন্ট অনুযায়ী)

টপ ইউনিভার্সিটি অফ হাঙ্গেরি

১। Semmelweis University
২। Eötvös Loránd University
৩। University of Pécs
৪। University of Debrecen

স্কলারশিপটি অন্য অনেক স্কলারশিপের মতো প্রতিযোগিতা পূর্ণ নয়। তাই মোটামুটি রেজাল্ট, আইইএলটিএস স্কোর ভালো থাকলে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
লেখাপড়া শেষে অন্য সব ইউরোপীয় দেশের মতো হাঙ্গেরি ও আপনাকে জব খোঁজার ভিসা দিবে।যদি সেই সময়ের মধ্যে জব ম্যানেজ করতে পারেন তবে থেকে যেতে পারবেন।

তথ্যসুত্রঃ

error: Alert: Content selection is disabled!!