Loading...
November 21, 2022

বিদ্যা অর্জনের জন্য সুদূর চীনে যাবার বিধান আছে। সেই বিচারে হাঙ্গেরী কি খুব দূর? আপনারা যারা বিদেশে পড়তে যেতে চান, তাদের জন্য আজ নতুন এক ডেস্টিনেশন নিয়ে হাজির হয়েছি। আজ তুলে ধরব হাঙ্গেরীতে উচ্চ শিক্ষার যাবতীয় বিষয় আশয়। তাই, সিট বেল্ট বেঁধে ফেলুন- আমাদের ফ্লাইট এখনি ঊড়াল দেবে হাঙ্গেরীর উদ্দেশ্যে।

Study in Hungary
Image Source: pexels.com

কেন হাঙ্গেরী পড়তে যাবেন?

অস্ট্রিয়া, স্লোভাকিয়া, রোমানিয়া, ইউক্রেন, সার্বিয়া, রমানিয়া, স্লোভেনিয়া এই দেশগুলোর ঠিক মাঝে অবস্থিত দেশ হাঙ্গেরী। এই দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত আর সেঞ্জেন চুক্তির আওতায় আছে। তাই, হাঙ্গেরীতে পাড়ি জমাতে পারলে আপনি বিনা বিপত্তিতে ঘুরে আসতে পারবেন ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোতে।

দানিয়ুব নদীর তীরে অবস্থিত বুদাপেস্ট, হাঙ্গেরীর রাজধানী ও পৃথিবীর অন্যতম বাসযোগ্য ও উন্নত শহর। এই দেশে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয় ইংরেজী ও হাঙ্গেরী ভাষায়। এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রিসার্চের জন্য বিখ্যাত- শুধু তাই নয়, শিক্ষা কার্যক্রমে বাস্তবিকধর্মী করতে অনেক প্রশিক্ষণ ও ফ্যাক্টরী এটাচমেন্ট থাকে। এছাড়া হাঙ্গেরীতে পড়াশুনার খরচও ইউরোপের অন্যান্য দেশের থেকে কম।

এই দেশে প্রায় ৯৩,০৩০ বর্গকিলোমিটার আয়তনে বসবাস করে প্রায় ১ কোটি লোকের বসবাস। এই দেশের অফিসিয়াল ভাষা হাঙ্গেরিয়ান এবং মুদ্রার নাম ফরিন্ট (HUF).

হাঙ্গেরীর কিছু বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় হলঃ

১। Budapest University of Technology and Economics

২। Eötvös Loránd University Budapest

৩। University of Szeged

হাঙ্গেরীতে পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

হাঙ্গেরীতে ব্যাচেলর পড়তে গেলে আপনাকে HSC অথবা ডিপ্লোমা পাশ করে আসতে হবে। অনেক কোর্সে ভর্তির জন্য আপনাকে এন্ট্রান্স এক্সাম দিতে হতে পারে। অথবা প্রিপেরোটরী কোর্সে ভর্তি হতে হবে। ব্যাচেলর কোর্স গুলোর অধিকাংশই হাঙ্গেরিয়ান ভাষায় করানো হয়। তবে অল্প সংখ্যক ইংরেজী কোর্সও আছে। আর মাস্টার্সে ভর্তি হতে ব্যাচেলর আর পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্ত হতে প্রয়োজন পড়বে মাস্টার্স ডিগ্রীর।

হাঙ্গেরীতে ব্যাচেলর প্রোগ্রামে ভর্তি হতে IELTS স্কোর প্রয়োজন পরবে ৫.০ থেকে ৬.০ আর TOEFL স্কোর পড়বে ৬০ থেকে ৮০। মাস্টার্স আর পিএইচডি প্রোগ্রামে IELTS স্কোর প্রয়োজন পরবে ৫.৫ থেকে ৬.৫ আর TOEFL স্কোর প্রয়োজন পরবে ৭০ থেকে ৯০।

University in Hungary
Image Source: Internet

বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স ভেদে যোগ্যতার তারতম্য হয়। তাই আবেদনের সময় আপনার বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স অনুযায়ী যোগ্যতাগুলো ভালো করে খুঁটিয়ে দেখে নেবেন।

কোর্স সার্চ ও কোর্স নির্বাচন

হাঙ্গেরীতে অনেক কোর্স ও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তাই, আপনাকে নিজের পছন্দের কোর্স খুঁজে পেতে আশা করি খুব একটা কষ্ট হবে না। হাঙ্গেরীতে কোর্স খুঁজতে নিচের লিঙ্কটিতে ঘরে দেখতে পারেনঃ

http://studyinhungary.hu/study-in-hungary/menu/find-a-study-programme/study-finder.html

এই দেশে সাধারণত বছরে ২ টি সেশনে আবেদন কয়ার সুযোগ আছে। প্রথমটি হল ১ এপ্রিল থেকে ১ জুলাই এবং দ্বিতীয়টি হল ১ অক্টোবর থেকে ১ ডিসেম্বর। তবে কোর্সের সময় অনেক সময় পরিবর্তিত হতে পারে। তাই আবেদনের সময় জানতে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে ঘুরে আসুন।

আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আপনার আবেদনের জন্য কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন তা নির্ভর করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর। তাই আপনার উচিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট ঘেটে সব কিছু জেনে নেওয়া। সাধাণত নিম্নোক্ত ডকুমেন্টস আপনার আবেদনের সময় চাওয়া হয়ঃ

১। পূরণকৃত আবেদন ফর্ম

২। সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশীট এর সত্যায়িত কপি

৩। আইইএলটিএস (ন্যূনতম ৬.০) / জার্মান B2 সনদ

৪। এন আই ডি/পাসপোর্ট কপি

৫। মোটিভেশন লেটার/ সিভি/ রেফারেন্স লেটার

৬। কাজের অভিজ্ঞতা/ রিসার্স পেপার (যদি প্রয়োজন হয়)

 

অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনলাইন পরীক্ষা নিয়ে থাকে। তাই এই ব্যাপারে অবশ্যই ভালো করে খোঁজ নিতে হবে। প্রয়োজনে বিশেবিদ্যালয়ের Admission Office-এ যোগাযোগ করা যেতে পারে। অন লাইন পরীক্ষা নেবার পর বিশ্ববিদ্যালয় আপনার ফলাফল জানাবেন। বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে কন্ডিশনাল অফার লেটার দিতে পারে। সেক্ষেত্রে শর্ত পূরণ ও নির্দিষ্ট ব্যাংক একাউন্টসে টিউশন ফি প্রদান করলেই অফার লেটার দিয়ে থাকে।

Students in Hungary
Image Source: Internet

টিউশন ফি

হাঙ্গেরীতে পড়াশুনা করতে প্রতি বছর ২৫০০ ইউরো থেকে ১০,০০০ ইউরো প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু আসলে কত অর্থের প্রয়োজন হবে, সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকেই জেনে নিতে হবে।

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও ডকুমেন্টস চেকলিস্ট

হাঙ্গেরীর এম্বেসী বাংলাদেশে নেই। তাই আপনাকে যেতে হবে ইন্ডিয়ার নয়া দিল্লীতে। ভিসার জন্য আবেদন করতে আপনাকে প্রদান করতে হবে ৫০ ইউরো আর সময় লাগবে ৪ থেকে ৫ সপ্তাহ।

আপনার ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজন পড়বেঃ

১। পাসপোর্ট (কমপক্ষে ১ বছর ভ্যালিডিটি থাকতে হবে) সাথে ফটোগ্রাফ

২। সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশীট এর সত্যায়িত কপি

৩। ভিসা আবেদন ফর্ম

৪। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার

৫। স্বাস্থ্য বীমার যাবতীয় ডকুমেন্টস

 

দিল্লী এম্বেসীর ওয়েব ঠিকানাঃ

https://delhi.mfa.gov.hu/eng

Life in Hungary
Image Source: pexels.com

আবাসন ব্যবস্থা ও জীবনযাত্রার ব্যয়

হাঙ্গেরীতে আবাসন খাতে আপনাকে জায়গা ও শহর ভেদে ১৯০ থেকে ২৩০ ইউরো খরচ হবে। আপনি চাইলে এই শহরে ৫৫০ থেকে ৮৫০ ইউরোর মধ্যে যাবতীয় ব্যয় বির্বাহ করতে পারবেন।

পার্ট টাইম জব

হাঙ্গেরীতে বিদেশী শিক্ষার্থী হিসেবে আপনি সপ্তাহে ২৪ ঘন্টা পার্ট টাইম কাজ করার সুযোগ পাবেন। আপনি যদি হাঙ্গেরী ভাষা জানেন তাহলে পার্ট টাইম কাজ পেতে সুবিধা হবে।

পড়ালেখা শেষে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ

হাঙ্গেরীতে আপনি খুব সহজেই স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবেন। আপনি যদি আইনসিদ্ধ ভাবে হাঙ্গেরীতে ৩ বছর থাকেন তাহলে আপনি National Permanent Residence Permit (NPRP) বা (Állandó tartózkodási kártya) পেয়ে যাবেন। শুধু তাই নয়, যদি হাঙ্গেরীর নাগরিকত্ব পেয়ে যান তাহলে সেই ডকুমেন্টস দিয়ে আপনি ফ্রান্স, পর্তুগাল, ইতালি গিয়ে আইনী প্রক্রিয়ায় বসবাস করার সুযোগ পাবেন।

Life in Hungary
Image Source: Internet

তথ্যসুত্রঃ

November 21, 2022

বিশ্ব এখন আপনার হাতের মুঠোয়। আপনি চাইলে ইন্টারনেটের এক ক্লিকে দেখছেন আপনার বিদেশী বন্ধুদের বা আত্মীয় স্বজনদের। শুধু কি তাই, আপনি চাইলেই পাড়ি জমাতে পারেন বিশ্বের যেকোন দেশে। আর যাদের ইচ্ছা বাইরের দেশের ডিগ্রী তাদের জন্য বিশ্ব আজ উন্মুক্ত। যে কোন দেশের যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারবেন। উচ্চ শিক্ষার জন্য ইউরোপ অনেকের প্রিয় ডেস্টিনেশন। আর ইউরোপের মনোরম দেশ আস্ট্রিয়া, সে তো অনেকেরই স্বপ্নের স্থান। এখন আপনাদের সামনে তুলে ধরবো আস্ট্রিয়ায় উচ্চশিক্ষা লাভের কিছু কার্যকরী গাইডলাইন।

অস্ট্রিয়া দেশ হিসেবে যেমন

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি আস্ট্রিয়া। ভিয়েনা রাজধানী আর ইউরো মুদ্রা বিশিষ্ট আস্ট্রিয়ার ভাষা জার্মান/ডয়েচ। ৪৭৮ বিলিয়ন ডলার (২০১৮ সালের হিসাব অনুযায়ী) জিডিপি-এর এই দেশে প্রায় ৮৯ লক্ষ জনগণ বসবাস করে এবং আস্ট্রিয়ার আয়তন ৮৩,৮৭৯ বর্গ কিলোমিটার। আর্থিক মাথাপিছু আয়ের হিসেব অনুযায়ী অস্ট্রিয়া পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর একটি। দেশটির অধিবাসীদের জীবনযাত্রার মান এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার মানের দিক থেকেও অনেক উন্নত। শীতকালে এই দেশের তাপমাত্রা শূন্যের কাছাকাছি থেকে নীচে নেমে যায় (সেলসিয়াস স্কেল) আর গরম কালে তাপমাত্রা২০-২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকে।

Hallstatt, Austria
Image Source: pixabay.com

যোগ্যতা যাচাই ও বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই

অস্ট্রিয়ায় ব্যাচেলর কোর্স সাধারণত জার্মান/ডয়েচ ভাষায় করতে হয়। ব্যাচেলর কোর্স এর জন্য জার্মান/ডয়েচ B2 লেভেল সম্পন্ন করতে হবে। ল্যাংগুয়েজ কোর্স আপনি বাংলাদেশেও করতে পারেন অথবা অস্ট্রিয়াতে ও করতে পারেন।  বাংলাদেশে সম্পন্ন না করলে প্রথম একবছর অস্ট্রিয়াতে জার্মান ভাষা পড়ার পরে ব্যাচেলর কোর্স করতে হবে।

অস্ট্রিয়ার প্রধান পড়াশুনার ভাষা জার্মান হলেও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজী ভাষায় কোর্সও রয়েছে। আপনি যদি ব্যাচেলর প্রোগ্রামে যেতে চান তাহলে HSC + ১ বছর বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে হবে। সেই সাথে ন্যূনতম ৫০% মার্ক্স অর্জন করতে হবে। যদি মাস্টার্স প্রোগ্রামে যেতে চান, তাহলে ব্যাচেলর ডিগ্রী আর পিএইচডি প্রোগ্রামে যেতে মাস্টার্স ডিগ্রী থাকতে হবে।

অস্ট্রিয়ায় মোট ২২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ২১টি এপ্লাইড সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৩টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের লিস্ট নিচে দেওয়া হলঃ

  1. University of Vienna | http://www.univie.ac.at
  2. Vienna University of Technology | http://www.tuwien.ac.at
  3. Medical University of Vienna | http://www.mediuniwien.ac.at
  4. University of Graz | http://www.uni-graz.at
  5. Graz University of Technology | http://www.tugraz.at
  6. University of Innsbruck | http://www.uibk.ac.at
  7. Vienna University of Economics and Business | http://www.wu.ac.at/

ইউরোপের পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। ১২০টির বেশি ডিগ্রি প্রোগ্রাম পড়ার সুযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২২টি ব্যাচেলর প্রোগ্রাম, ২৯টি মাস্টার্স প্রোগ্রাম, ৪৯টি ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম এবং ২৪টি টিচার অ্যাক্রিডিয়েশন প্রোগ্রাম ছাড়াও ৮০টি ক্ষেত্রে ডক্টরাল প্রোগ্রাম পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে।

 

কোর্স খুঁজতে নিম্মোক্ত ওয়েবসাইটের সাহায্য নিতে পারেন-

http://www.studienwahl.at/Content.Node/homepage.en.php

TU Wien, Austria
Image Source: Internet

ভাষাগত যোগ্যতা

অস্ট্রিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাধারনত জার্মান ভাষায় শিক্ষাদান করা হয়। যদি আপনি জার্মান ভাষায় পড়াশুনা করতে চান, তাহলে আপনাকে জার্মান ভাষার B2 পরীক্ষায় পাশ করে আসতে হবে। আর আপনি চাইলে আস্ট্রিয়া গিয়েও এই কোর্স করতে পারবেন। সরকারী ইউনিভার্সিটিগুলোতে জার্মান ভাষা শিখতে প্রতি সেমিস্টার ৪৫০-৫০০ ইউরো এর মত লাগবে। তবে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে সেটা অনেক বেশি ( ১৫০০-২৫০০ ) ইউরো এর মত লাগবে।

 

ইউনিভার্সিটিতে ভ র্তির জন্য IELTS অত্যাবশ্যকীয় নয়, তবে ভিসা আবেদনের পূর্বে অবশ্যই IELTS স্কোর ৫.৫ থাকতে হবে। মাস্টার্স কোর্স ইংরাজি ও জার্মান ভাষাতে আছে। ইংরাজিতে পড়াশোনার জন্য IELTS ৬/৬.৫ থাকতে হবে।

ডকুমেন্টস সত্যায়ন

সকল একাডেমিক কাগজপত্র সত্যায়িত করতে হবে যথাক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অস্ট্রিয়ার এম্বেসী দ্বারা। মন্ত্রণালয় থেকে কাগজপত্র সত্যায়ত করার পর আপনি যখন এগুলো এম্বেসীতে জমা করবেন, এম্বেসী কনস্যুলেট সেগুলোকে VFS ঢাকা অফিসে পাঠাবে এবং এর ফি বাবদ ৪৩,১২০ টাকা থেকে ৪৭,০০০ টাকা পর্যন্ত ব্যয় হতে পারে। এরপর সকল কাগজপত্র যাচাই বাছাই করার পর VFS সেটা পুনঃরায় এম্বেসীতে পাঠাবে এবং তারপর এম্বেসী কনস্যুলেট তা সত্যায়িত করবে।

অস্ট্রিয়ান কনস্যুলেটর, ঢাকা, বাংলাদেশ এর ওয়েবসাইট ও ঠিকানা :

Austrian Honorary Consulate in Dhaka, Bangladesh –

Safura Tower, 5th Floor, 20 Kemal Ataturk Avenue,
Dhaka – 1213, Bangladesh
Phone (Local): (02) 986.1707, Internation: +880.2.986.1707
Email: [email protected]

ভিএফএস ঢাকা এর ঠিকানা –

Austria Visa Application Centre

4th Floor, Delta Life Tower, Plot 37, Road 90,
Gulshan North, Dhaka-1212, Bangladesh.

Submission schedule: 14:00 to 16:30 (Sunday -Thursday).
Passport retrieval schedule: 15:00 to 16:00(Sunday – Thursday).
Information: Sunday to Thursday 14:00 to 15:00 hours

ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া

অস্ট্রিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সাধারণত দুই সেমিস্টার থাকে। প্রথমটি ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে আর পরেরটি মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকে। অস্ট্রিয়ার ভর্তি, অফার লেটার, ডকুমেন্ট এটাসটেশন, ভিসা- পুরো প্রসেস অনেক সময় সাপেক্ষ (৬ থেকে ১২ মাস)। তাই আগে ভাগেই কাজ শুরু করতে হবে।

ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের তালিকা নীচে দেওয়া হলঃ

১। পূরণকৃত আবেদন ফর্ম

২। সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশীট এর সত্যায়িত কপি

৩। আইইএলটিএস (ন্যূনতম ৬.০) / জার্মান B2 সনদ

৪। এন আই ডি/পাসপোর্ট কপি

৫। মোটিভেশন লেটার/ সিভি/ রেফারেন্স লেটার

৬। কাজের অভিজ্ঞতা/ রিসার্স পেপার (যদি প্রয়োজন হয়)

Students in Austria
Image Source: Internet

বিনা বেতনে বা স্বল্প খরচে পড়ার সুযোগ

ইউরোপের যেসব দেশে স্বল্প খরচে পড়াশোনা করা যায় তার মধ্যে অস্ট্রিয়া অন্যতম। অস্ট্রিয়ার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত শিক্ষার্থীদের কোনো প্রকার টিউশন ফি দিতে হয় না, তবে সেমিস্টার ফি ১৯ ইউরো দিতে হবে। তবে ভর্তির সময় রেজিস্ট্রেশন ও অ্যাপ্লিকেশন ফি বাবদ কিছু টাকা দিতে হবে। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিছু কোর্সের ক্ষেত্রে টিউশন ফি দিতে হয়, তবে তা ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। আবেদন করার পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয় – এর সাথে মেইল করে এর এডমিশন ও টিউশন ফি বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়াই ভালো।

আর্থিক সচ্ছলতার প্রমান/ব্যাংক সলভেন্সি সনদ

ব্যাংক সলভেন্সির জন্য আপনার একাউন্টসে ৫৮৯৭.১৬ ইউরো (শিক্ষার্থী যদি ২৪ বছরের নীচে হয়) অথবা ১০৬৭৮.০৮ (শিক্ষার্থী যদি ২৪ বছরের বেশি হয়) ইউরো। আপনার স্পন্সর মা-বাবা-স্ত্রী থেকে যেকোন আত্মীয় হতে পারে। তবে মনে রাখবেন টাকার উৎস, ট্যাক্সের ডকুমেন্ট সকল কিছু ভিসার জন্য জমা দিতে হবে। স্পন্সর যদি আস্ট্রিয়ায় বসবাস করে তবে আরো ভালো। ভিসা পাওয়ার পর আপনি চাইলে এই টাকা তুলে ফেলতে পারবেন।

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

বাংলাদেশে এম্বেসী না থাকা ভিসার জন্য আপনাকে ইন্ডিয়াতে যেতে হবে। এজন্য প্রথমেই আপনাকে এপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। যে সকল কাগজপত্র জমা দিবেন তার মূল কপির সাথে ২ সেট ফটোকপিও নিয়ে যাবেন।

ডকুমেন্ট চেকলিস্টঃ

১। পূরণকৃত আবেদন ফর্ম ও সাথে সংযুক্ত পাসপোর্ট সাইজের ছবি (৩৫ মিমি x ৪৫ মিমি)

২। এপয়েন্টমেন্ট লেটার আর এপন্টমেন্ট নিতে ভিজিট করুনঃ

https://appointment.bmeia.gv.at/?Office=new-delhi
৩। পাসপোর্ট

৪।ইউনিভার্সিটি অফার লেটার

৫। সিভি বা জীবন বৃত্তান্ত/ মোটিভিশন লেটার

৬। সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশীট এর সত্যায়িত কপি

৭। আইইএলটিএস বা জার্মান ভাষাগত দক্ষতার সার্টিফিকেট

৮। টিউশন ফি পেমেন্ট-এর কপি

৯। ট্রাভেল হেলথ ইনস্যুরেন্স

১০। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কনসুলেট অফিস কর্তৃক সত্যায়িত)

১১। একোমোডেশ ন কনফার্মেশন লেটার

১২। বার্থ সার্টিফিকেট (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং কনসুলেট অফিস কর্তৃক সত্যায়িত)

১৩। জব এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট (মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য)

১৪। স্পন্সের এফিডেভিড পেপার

১৫। স্পন্সর যদি ব্যবসায়ী হয়, তাহলে

  • ৬-মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • ট্রেড লাইসেন্স
  • আপডেটেড TIN ও ট্যাক্স রিটার্ন পেপার

স্পন্সর চাকুরিজীবি হলে প্রয়োজন হবে

  • আই,ডি ও স্যালারী উল্লেখপূর্বক জব সার্টিফিকেট
  • জব আই,ডি কার্দের কপি
  • ৬-মাসের স্যালারী স্টেটমেন্ট

১৬। স্পন্সরের একাউন্ট থেকে এপ্লিকেন্টের একাউন্টে টাকা পাঠানোর পেমেন্ট প্রুফ

১৭। এপ্লিক্যান্টের ব্যাংক স্টেটমেন্ট

Visa Application - Austria
Image Source: Internet

অস্ট্রিয়ান এম্বাসি নিউ দিল্লি এর ঠিকানাঃ

Austrian Embassy New Delhi

EP-13, Chandragupta Marg Chanakyapuri New Delhi 110 021 India

T: (+91/11) 2419 2700
F: (+91/11) 2688 6929
e-mail: new-delhi-ob(at)bmeia.gv.at

Opening hours: Mo – Th 08:30 – 17:00, Fr 09:00 – 15:00

জীবন যাত্রার ব্যয় এবং পার্ট টাইম জব

অস্ট্রিয়ায় থাকা খাওয়া বাবদ আপনার ৪০০ থেকে ৫০০ ইউরো প্রতি মাসে খরচ হবে।

ইউরোপের অন্যান্য দেশের মত আপনি এই দেশেও ২০ ঘন্টা পার্ট টাইম চাকুরি করতে পারবেন। তবে সামারে ফুল টাইম জব করার সুযোগ রয়েছে। এখানে বিভিন্ন রেস্তোরা, শপিংমল, হোটেলে কাজ করতে পারবেন।  তবে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রিয়া যাওয়ার  সময় সাথে ৬-৮ মাসের খরচ নিয়ে যাওয়াই উত্তম। এছাড়া জার্মান ভাষা জানা থাকলে জব পাওয়ার সম্ভবনা একটু বেশি থাকে।

স্থায়ী বসবাসের সুযোগ

স্থায়ীভাবে বাস করতে চাইলে নূন্যতম পাঁচ বছর বৈধভাবে একটানা বাস করার প্রমাণপত্র দেখিয়ে পার্মানেন্ট রেসিডেন্সির (পিআর) জন্য আবেদন করতে হবে।আর পড়াশুনা শেষে এক বছরের জব সার্চ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

Life in Austria
Image Source: pixabay.com

সুতরাং আস্ট্রিয়ায় পড়তে যেতে চাইলে আপনি এখন নিজেই করতে পারবেন নিজের আবেদন।

তথ্যসুত্রঃ

November 21, 2022

VLIR-UOS স্কলারশিপ একটি বেলজিয়াম ভিত্তিক স্কলারশিপ, যার মাধ্যমে এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার ৩১টি দেশের শিক্ষার্থীরা ট্রেনিং ও মাস্টার্স কোর্স করতে পারবে বেলজিয়ামের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এক বা দুই বৎসর মেয়াদি মাস্টার্স প্রোগ্রাম । মাস্টার্স প্রোগ্রামে চাকরি অভিজ্ঞতা প্রয়োজন নেই, তবে চাকরি অভিজ্ঞতা থাকলে বৃত্তি পেতে অগ্রাধিকার পাওয়া যায়। এক বৎসর মেয়াদি মাস্টার্স প্রোগ্রাম গুলো মাল্টিডিসিপ্লিনারী কোর্স।

স্কলারশিপ এর নাম

VLIR-UOS স্কলারশিপ

যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে

VLIR-UOS স্কলারশিপ প্রোগ্রামে যে সকল বিষয় অধ্যয়ন করা যাবে, তার একটি লিস্ট নিচে দেওয়া হলঃ

মাস্টার্স প্রোগ্রাম

https://cdn.webdoos.io/vliruos/801faa32f16c6868fe93108ebd3bc951.pdf

ট্রেনিং প্রোগ্রাম

https://cdn.webdoos.io/vliruos/d57f3d1e80e95561504e064b0204e918.pdf

দেশ এবং কর্তৃপক্ষ

বেলজিয়াম

বৃত্তির সুযোগ সুবিধাসমূহ

VLIR-UOS স্কলারশিপের আওতায় আপনি যা যা পাবেনঃ

১। টিউশন ফি

২। মাসিক ভাতা (1150 Euro করে)

৩। বিমান ভাড়া

৪। স্বাস্থ্য ভাতা

৫। রিসার্চের সকল খরচ

আবেদনের যোগ্যতা

VLIR-UOS স্কলারশিপের জন্য আপনার থাকতে হবে নিম্নোক্ত যোগ্যতাঃ

১। লিস্টেড দেশের নাগরিক হতে হবে।

২। Initial Masters প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর বয়স হতে পারবে আর Advanced Masters এর জন্য সর্বোচ্চ ৪০ বছর বয়স হতে পারবে।

৩। আবেদনকারীর কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তিনি স্কলারশিপ প্রাপ্তির জন্য বিবেচিত হবেন। আর এই কাজের অভিজ্ঞতা যদি রিসার্চ প্রতিষ্ঠান, NGO, অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়, তাহলে সেটা বিশেষভাবে গন্য হবে।

৪। যদি কোন ব্যক্তি আগেই বেলজিয়ামে কোন স্কলারশিপ গ্রহণ করে থাকে, তবে তিনি আর এই স্কলারশিপে আবেদন করতে পারবেন না।

VLIR-UOS Scholar
Image Source: Internet

আবেদনের সময়সীমা

VLIR-UOS স্কলারশিপের জন্য আবেদন সাধারণত ফেব্রুয়ারি অথবা মার্চ মাসে শুরু হয়। তবে সাবজেক্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।

আবেদনের হালনাগাদ সময় সীমা জানতে নিম্মোক্ত ওয়েবসাইট এর সাহায্য নিতে পারেন-

https://www.vliruos.be/en/scholarships/6

যেসকল দেশের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য

এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার ৩১টি দেশের শিক্ষার্থীরা এই প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারেন। কিন্তু, বর্তমানে বাংলাদেশের নাম এই লিস্টে নেই।

আবেদন প্রক্রিয়া

প্রথমেই আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হবে। সেখানে নির্দিষ্ট বিষয়ে ভর্তির আবেদন শেষ করার পর আপনি এই স্কলারশিপে আবেদন করতে পারবেন। এরপর আপনি সিলেক্টেড হলে ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

VLIR-UOS স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য আপনাকে জমা দিতে হবেঃ

১। Online আবেদন ফর্ম

২। সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশীট

২। রিকমেন্ডেশন লেটার (২ টি) – সাইন করে সীলড অবস্থায় দিতে হবে।

৩। Euro-pass Format এ CV

৪। SOP (Statement of Purpose)

৫। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার পেয়ে থাকলে সেটা দিতে হবে

৬। IELTS এর সনদ

৭। Work Experience Certificate

৮। পাসপোর্টের কপি

স্কলারশিপের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট – https://www.vliruos.be/en/home/1

তথ্যসুত্রঃ

November 21, 2022

ইউরোপ- পাশ্চাত্যের জ্ঞানের সাগর, পাশ্চাত্যের কেন্দ্রস্থল। ইউরোপ ভ্রমণের স্বপ্ন দেখেননি, এমন মানুষ কি আদৌ আছে? অনেকে আবার রীতিমত ইউরোপের জ্ঞানের সাগরে ডুব দেবার স্বপ্ন দেখেন। ইউরোপের পাড়ি জমানোর রাস্তা সহজ করতে তাই আজ আমরা আলোচনা করবো ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর যেদেশে অবস্থিত সেই দেশ- বেলজিয়াম নিয়ে। বেলজিয়াম মূলত পশ্চিম ইউরোপের দেশ। সুন্দর এই দেশে আবেদনের বিস্তারিত এখন জেনে নেওয়া যাক- তাহলে চলুন শুরু করি।

Study in Belgium
Image Source: pixabay.com

দেশ পরিচিতি – বেলজিয়াম

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বেলজিয়াম ইউরোপের ছোট ও ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। ৩০,৬৮৯ বর্গ কিলোমিটারের এই দেশে বসবাস করে ১ কোটি ১৪ লক্ষ লোকের বসবাস (২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী)। ১৮৩০ সালে স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস, মুদ্রা ইউরো ও এই দেশের অফিসিয়াল ভাষা তিনটি- ফ্রেঞ্চ, ডাচ ও জার্মান। অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে এই দেশের ৩৯০.২ বিলিয়ন ইউরো। শীতকালের গড় তাপমাত্রা ৩.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস আর গ্রীষ্মকালের গড় তাপমাত্রা ১৮.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। মূলত বেলজিয়াম শীত প্রধান দেশ ও আটলান্টিক সাগরের কারণে এই দেশে বাতাসের আদ্রতা বেশি।

বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স নির্বাচন

বেলজিয়ামে বিশ্বমানের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এখানে পড়াশুনার মাধ্যম হল ডাচ। এদেশে ব্যাচেওর প্রোগ্রাম সাধারণত ডাচ ভাষাতেই পরিচালিত হয়। কিন্তু মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রাম ইংরেজী মাধ্যমে অফার করা হয়ে থাকে। এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল, পরিবেশ বিজ্ঞান, মেডিকেল সাইন্স সহ ব্যবসায় প্রশাসনের বিভিন্ন কোর্স অফার করা হয়ে থাকে। এজন্য আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইট খুঁজতে হবে- আর বাছাই করে নিতে হবে আপনার পছন্দের কোর্স।

আপনাদের সুবিধার্থে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিচে দেওয়া হলঃ

Katholieke Universiteit Leuven (KU Leuven)

https://www.kuleuven.be/english

University of Ghent

http://www.ugent.be/en

Université Catholique de Louvain (UCL)

https://www.uclouvain.be/en-index.html

Vrije Universiteit Brussel (VUB)

http://www.vub.ac.be/en/

Universite Libre de Bruxelles (ULB)

http://www.ulb.ac.be/ulb/presentation/uk.html

University in Belgium
Image Source: Internet

ভাষাগত যোগ্যতা

ইংরেজী মাধ্যমে পড়তে আপনাকে IELTS পরীক্ষা দেবার প্রয়োজন পড়বে। আপনাকে IELTS-এ অর্জন করতে হবে ন্যূনতম ৬.০ থেকে ৬.৫ । যদি আপনি ৬.৫ পান তাহলে আপনার আবেদন সহজেই গৃহীত হবে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে আপনার পূর্ব ডিগ্রী (যেমনঃ ব্যাচেলর)-এ আপনার Medium of Instruction যদি ইংরেজী হয় তাহলে আপনি IELTS ছাড়াই আবেদন করতে পারবেন।

ডকুমেন্ট সত্যায়ন

সকল একাডেমিক কাগজপত্র সত্যায়িত করতে হবে যথাক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বেলজিয়াম এম্বেসী কনস্যুলেট দ্বারা।

ঢাকা বেলজিয়াম কনস্যুলেটরের ঠিকানা নিচে দেওয়া হলঃ

Honorary Consulate Dhaka

ACI Centre – 245 Tejgaon Industrial Area, 1208 Dhaka Bangladesh

+8802 88 786 03 (Ext. 280)

[email protected]

www.consubel.net (under construction)

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া

ভর্তির জন্য প্রথমেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট থেকে Admission Office এ যোগাযোগ করে মেইল এর মাধ্যমে সকল বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করুন। সেই অনুযায়ী কাগজপত্র গুছিয়ে ফেলতে হবে আর আবেদন করতে হবে। আর প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টস বেলজিয়ামের কনস্যুলেটর মহোদয়ের কাছ থেকে সত্যায়িত করে আনতে হবে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হয় ডাকযোগে- সেক্ষেত্রে হাতে সময় নিয়েই আবেদন করতে হবে। আবার যদি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন আবেদন গ্রহণ করে, তাহলে তো কথাই নেই স্ক্যান করে ডকুমেন্টস দিয়ে আবেদন করে ফেলুন।

আপনার কাগজপত্র সব ঠিক ঠাক থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে পাঠিয়ে দিবে Acceptance Letter. এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের Dutch Language Centre-এ আবেদন করতে হবে (যদি ডাচ মাধ্যমে পড়তে চান)। ডাচ ভাষা শেখার জন্য আপনাকে ২৫০০ থেকে ৪০০০ ইউরো খরচ করতে হবে। Dutch Language Centre থেকেও আপনাকে একটি Acceptance Letter পাঠাবে।  যদি ইংরেজী মাধ্যমে পড়াশুনা করতে চান তাহলে IELTS এর কপি দিলেই চলবে।

এবার এই দুইটি Acceptance Letter পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে ব্যাংক একাউন্টস নাম্বার প্রদান করবে টিউশন ফি প্রদান করার জন্য। তারপরেই আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

Students in Belgium
Image Source: pixabay.com

এডমিশনের জন্য যেসকল কাগজপত্র আপনাকে প্রেরণ করতে হবে তার একটি লিস্ট নিচে দেওয়া হল।

১। পূরণকৃত আবেদন ফর্ম

২। পরিচিতি ডকুমেন্ট

৩। সকল সার্টিফিকেট ও মার্কশীট

৪। মোটিভেশন লেটার/ সিভি/ রেফারেন্স লেটার

৫। আইইএলটিএস / মিডিয়াম অফ ইন্সট্রাকশন সার্তফিকেট

টিউশন ফি

বেলজিয়ামে বার্ষিক টিউশন ফি ৮৩৫ ইউরো থেকে ৯০০০ ইউরো পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই ফি বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে তৃতীয় বিশ্বে দেশের জন্য বিশেষ কিছু ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এই সকল তথ্যাদি আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে পেয়ে যাবেন।

এই দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন স্কলারশিপের সুযোগ রয়েছে- আর এই সকল স্কলারশিপগুলো আংশিক বা পুরো টিউশন ফি সহ মাসিক ভাতা দিয়ে থাকে। এই সকল তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে স্কলারশিপ সেকশনে পেয়ে যাবেন।

আর্থিক সচ্ছলতার প্রমান/ব্যাংক সলভেন্সি

ব্যাংক সলভেন্সির জন্য আপনাকে নিজে একাউন্টসে (৬৭০ ইউরো x ১২) = ৮০৪০ ইউরো রাখতে হবে। যাতে ঐ দেশে দিয়ে থাকা খাওয়া হেলথ কেয়ার নিয়ে কোন সমস্যায় পড়তে না হয়।

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া

বাংলাদেশে ভিসা কনস্যুলেট থাকলেও ভিসা অফিস নেই। তাই ভিসার জন্য আপনাকে যেতে হবে ইন্ডিয়ার দিল্লীতে। ইন্ডিয়ায় অবস্থিত ভিসা অফিসের ঠিকানা নিচে দেওয়া হলঃ

Embassy New Delhi

50-N Shantipath, Chanakyapuri, 110021 New Delhi, India.

T: +91 11 424 280 00 – Embassy

T: +91 11 424 280 40 – Visa matters every working day between 11.30am and 1pm (check status of applications in process)

Mail: [email protected]

[email protected]

[email protected] (visa)

F: +91 11 424 280 02

Opening hours:

The embassy is open to the public from Monday to Friday between 9am and 1pm and between 1.30 and 5pm.

ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের চেকলিস্ট নিচে দেওয়া হলঃ

১। পূরণকৃত আবেদন ফর্ম ও সাথে সংযুক্ত পাসপোর্ট সাইজের ছবি

২। পাসপোর্ট (১ বছরের ভ্যালিডিটি থাকতে হবে)

৩। অফার লেটার

৪। সিভি বা জীবন বৃত্তান্ত/ মোটিভিশন লেটার

৫। সকল সার্টিফিকেট ও মার্কশীট

৬। আইইএলটিএস কপি

৭। ব্যাংক সলভেন্সি ডকুমেন্টস (ইনকাম ট্যাক্স ও আয়ের উৎস)

৮। টিউশন ফি পেমেন্ট-এর কপি

৮। মেডিকেল সার্টফিকেট

৯। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (আপনার বয়স ২১ বছরের বেশি হলে)

Life in Belgium
Image Source: pixabay.com

আবাসন ব্যবস্থা এবং জীবন যাত্রার ব্যয়

বেলজিয়ামে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রায় হোস্টেল সুবিধা রয়েছে। তবে আপনি বাইরে থাকতে চাইলে তাও পাবেন। শেয়ারড কিম্বা সিঙ্গেল ফ্লাট সব সুবিধাই রয়েছে এই দেশে।

বেলজিয়ামে থাকা খাওয়ার বাবদ ৪০০-৮০০ ইউরো খরচ হবে। তবে এই খরব ব্যক্তি বিশেষের উপর নির্ভর করে। আপনার রুচি ও জীবনযাত্রা ও কোথায় কিভাবে আছেন তার উপরে এই খরচ ১০০০ ইউরোর উপরেও যেতে পারে।

পার্ট টাইম জব

ইউরোপের এই দেশে আপনি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা পার্ট টাইম চাকুরী করার সুযোগ পাবেন। আর সামারে চাইলে পুরো দস্তুর কাজ করার সুযোগ পাবেন। বেলজিয়ামে যদিও অফিসিয়ালি ৩ টি ভাষা আছে, তবে ডাচ ভাষার প্রাধান্য বেশি। আর এই ডাচ ভাষা জানা না থাকলে আপনার পার্ট টাইম চাকুরীর আশা অনেকটাই গুড়ে বালি।

কোর্স শেষে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ

বেলজিয়ামে একটানা ৫ বছরের বেশি সময় থাকলে আপনি এই দেশে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বেলজিয়াম নিয়ে আলোচনা আমার আজ এখানেই শেষ করছি। এই সুন্দর দেশে আবেদন করতে চাইলে দেরি না করে নিজেকে তৈরী করে আবেদন করুন- এখনি। শুভ কামনা রইলো।

Life in Belgium
Image Source: Internet

তথ্যসুত্রঃ

November 21, 2022

উচ্চ শিক্ষায় পাড়ি জমাতে আমাদের সামনে আসে অনেক উদাহণ ও বিশ্বে অনেক দেশেই যাবার সুযোগ। আমদের অধিকাংশের চিন্তা ঘোরে আমেরিকা কিম্বা আরও কয়েকটি দেশ ঘিরে। আজ আপনাদের সামনে নিয়ে আসছি ইউরোপের একটি সুন্দর দেশের বর্ণনা নিয়ে এবং সে দেশে আবেদন থেকে যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে। আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো পোল্যান্ডের কথা। তাহলে আর কি? দেরি না করে আসুন এখনি শুরু করে দেই পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষার হাল হকিকত- যাতে করে আপনি নিজেই করতে পারেন নিজের আবেদন।

Study in Poland
Image Source: pixabay.

পোল্যান্ড পরিচিতিঃ

পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ার্শ, ভাষা পোলিস আর মুদ্রা পোলিশ জোল্টি। মধ্য ইউরোপের ৩, ১২, ৬৯৬ বর্গ কিলোমিটারের এই দেশে বসবাস করে ৩ কোটি ৮৫ লক্ষ লোক। অর্থনৈতিক বিচারের নিক্তিতে দেখলে এই দেশের জিডিপি হল ৬০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পোল্যান্ডের তাপমাত্রা গ্রীষ্মকালে ২৫ থেকে ৩৫ ডিগ্রী থাকে আর শীতে শূন্য ডিগ্রীর নীচে নেমে যায়।

কোর্স ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন

বর্তমান পোল্যান্ড সরকার International Student-দের জন্য খুলে দিয়েছে উচ্চশিক্ষা সহ নিজেকে বিকশিত করার এক অপার সুযোগ। এই দেশে রয়েছে শত বছর পুরনো বিশ্বমানের ১০০টিরও বেশি  বিশ্ববিদ্যালয়- আর এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে বিভিন্ন ফিল্ডে পড়াশুনা করার বহু কোর্স। হ্যাঁ, অবশ্যই এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে পোলিশ সহ ইংরেজী মিডিয়ামের কোর্স অফার করা হয়ে থাকে। এই দেশে ইঞ্জিনিয়ারিং, এগ্রিকালচার, মিউজিক, ফরেস্ট্রি, থিওলোজী, অর্থনীতি, ব্যবসায় শিক্ষা, আর্ট ও এডুকেশন, আরকিওলোজী, ফিল্ম ইত্যাদিসহ বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট ঘেটে তা দেখে নিবেন আর আপনার পছন্দের বিষয় বেছে নেবেন। এই দেশে নার্সিং কোর্সের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং নার্সিং পড়াশুনা খুবই জনপ্রিয় আর চাকুরীর বাজারে অপার সুযোগ থাকায় বহু ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট এখন এই দেশে নার্সিং নিয়ে পড়াশুনা করে থাকে।

এই দেশে পড়াশুনা করার জন্য কিছু জনপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিচে দেওয়া হলঃ

১। Academy of Business in Dąbrowa Górnicza

২। Adam Mickiewicz University in Poznań

৩। AGH University of Science and Technology

৪। Cardinal Stefan Wyszyński University in Warsaw

৫। Collegium Civitas

৬। Cracow University of Economics

৭।  Cracow University of Technology

৮। Czestochowa University of Technology

৯।  Gdansk University of Technology

১০। Graduate School for Social Research (GSSR)

১১। Jagiellonian University in Kraków

১২। Kielce University of Technology

১৩। Koszalin University of Technology

১৪। Kozminski University

১৫। Lazarski University

Study in Poland
Image Source: Internet

ভাষাগত যোগ্যতা

এই দেশে প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী ভাশার কোর্স রয়েছে। তাই ভিসা ও এডমিশনের জন্য অবশ্যই আপনাকে IELTS এ ৬.৫ (Reading and Writing এ ন্যূনতম ৬.০) পেতে হবে।

ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া ও সেমিস্টার

পোল্যান্ডে সাধারণত দুইটি সেমিস্টার হয়ে থাকে। উন্টার সেমিস্টার হয়ে থাকে অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি আর সামার সেমিস্টার হয়ে থাকে ফেব্রুয়ারি থেকে জুন।

ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ভিন্ন হভিন্ন হয়ে থাকে। প্রথমেই আপনাকে নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে গিয়ে আবেদনের শেষ তারিখ ও ক্লাশ শুরু হবার তারিখ দেখে নেওয়া ভালো। এই দেশে ব্যাচেলর, মাস্টার্স কিম্বা পিএইহডি সবকিছু পড়ার সুযোগ রয়েছে। ব্যাচেলর পড়তে কমপক্ষে এইচ, এস, সি ; মাস্টার্স পড়তে কমপক্ষে ব্যাচেলর আর পিএইচডি কোর্সে আবেদনের জন্য আপনার মাস্টার্স ডিগ্রী থাকতে হবে। আবেদন করার কাগজপত্রের তালিকা নিচে দেওয়া হলঃ

১। সকল সার্টিফিকেট ও মার্কশীট

২। এপ্লিকেশন ফি

৩। আইইএলটিএস স্কোর কপি (কমপক্ষে ৬.৫)

৪। আই ডি প্রুফ (এন,আই,ডি / জন্ম সনদ)

৫। এপ্লিকেশন ফর্ম ও ফটোগ্রাফ

৬। মাস্টার্সে আবেদনের জন্য, ব্যাচেলরের থিসিস

 

কখনো কখনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নোটারীকৃত ডকুমেন্ট চাওয়া হয় অথবা প্রাক্তন শিক্ষা প্রতষ্ঠান থেকে অফিসিয়ালি জারীকৃত সার্টিফিকেট প্রয়োজন পরে। তাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট পড়ে জেনে নেওয়া উচিত হবে। আবার কখনো কখনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Aptitude Test নেওয়া হয় কিছু কিছু সাবজেক্টের জন্য। যেমনঃ মাস্টার্স অব আর্টস, ফিজিক্যাল এডুকেশন, মেডিকাল ইত্যাদি।

Students in Poland
Image Source: Internet

টিউশন ফি

এই দেশের টিউশন ফি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম হয়ে থাকে। ব্যাচেলরের জন্য বছরে ২,০০০ ইউরো আর মাস্টার্সের জন্য প্রয়োজন পড়বে ৩,০০০ ইউরো।

আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ

ব্যাংক সলভেন্সির জন্য আপনাকে নিজের বা পিতা-মাতা-ভাই-বোনের একাউন্টসে ১৫-২০ লক্ষ টাকা দেখাতে হবে।

ভিসা আবেদন

পোল্যান্ডে ভিসার জন্য আপনাকে দিল্লী যেতে হবে কারণ বাংলাদেশে পোল্যান্ডের কোন এম্বেসী নেই। নিচে দিল্লী এম্বেসীর ঠিকানা বিস্তারিত দেওয়া হলঃ

Embassy of Poland
50-M, Shantipath, Chanakyapuri, New Delhi, Delhi 110021, India
Phone:+ 91 11 414 96 904, + 91 11 414 96 992, + 91 11 414 96 975
Email:  [email protected] (Consular Section)

Polish Visa Application Center

Shivaji Stadium Metro Station
Mezzanine Level, Baba Kharak Singh Marg
Connaught Place, New Delhi- 110001

Submission Timings: 09:00 – 16:30 (Monday – Friday)
Collection Timings: 09:00 – 16:30 (Monday – Friday)

For information:
Call +91 22 67866078 between 09:00 – 17:00 hours Monday-Friday
Email: [email protected]

পোল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসা ফিঃ

ন্যাশানল ভিসা ফি– ৪৯০০ রুপি (আপনাকে ইন্ডিয়ান কারেন্সিতে পরিশোধ করতে হবে)

 

পোল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং সময়ঃ

এম্বেসীতে সাধারণত ১৪ দিন সময় নেয়। তবে এই সময় বাড়তে পারে। এটা পুরোটাই আপনার কেসের জটিলতার উপর নির্ভর করছে।

ভিসা আবেদনের ডকুমেন্ট চেকলিস্টঃ

১। পূরণকৃত আবেদন ফর্ম ও সাথে সংযুক্ত পাসপোর্ট সাইজের ছবি

২। পাসপোর্ট (৩ মাসের ভ্যালিডিটি থাকতে হবে)

৩। অফার লেটার

৪। সিভি বা জীবন বৃত্তান্ত

৫। সকল সার্টিফিকেট ও মার্কশীট

৬। আইইএলটিএস কপি

৭। ব্যাংক সলভেন্সি ডকুমেন্টস

৮। ভিসা এপ্লিকেশন পেমেন্ট ফি-এর কপি

৮। আবাসন ব্যবস্থার প্রমান কপি

৯। স্বাস্থ্য বীমার কপি

Life in Poland
Image Source: Internet

পার্ট টাইম জব এবং জীবন-যাপনের ব্যয়

পোল্যান্ডে ছাত্রদের পার্ট টাইম জব করার সুযোগ রয়েছে মাত্র ১০ ঘন্টা। সাধারণত স্টুডেন্টরা শপিং মল আর রেস্টুরেন্টে জব করে থাকে। তাই এই দেশে পোলিশ ভাষা জানা থাকলে আপনি চাকুরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সুযোগ পাবেন। সামার ভ্যাকেশনে স্টুডেন্টদের ফুল টাইম চাকুরী করার সুযোগ রয়েছে।

পোল্যান্ডে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে পেয়ে যাবেন আপনি হোস্টেলের সুবিধা। এই দেশে হোস্টেল ফি বাবদ আপনার খরচ হবে কমপক্ষে ১০০ ইউরো প্রতি মাসে। এছাড়া, থাকা খাওয়া থেকে অন্যান্য খরচ আপনি চাইলে ৫০০-৬০০ ইউরোর মধ্যে মিটিইয়ে ফেলতে পারবেন।

স্থায়ী বসবাসের সুযোগ (পি,আর )

আপনি যদি পোল্যান্ডে পি,আর পান তাহলে ইউরোপের ২৭টি দেশে ভ্রমণের অনুমতি পাবেন। এছাড়া, পোল্যান্ডে পি,আর পাবার ৫ বছর পর আপনি এদেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। পোল্যান্ডের পাসপোর্ট পেলে আপনি ইউরোপ সহ কানাডা ও আমেরিকায় বসবাসের সুযোগ পাবেন।

Life in Poland
Image Source: pixabay.com

তথ্যসুত্রঃ

November 21, 2022

ইতালি ইউরোপের মধ্যে নামকরা এক বিদ্যা পীঠস্থান- কারণ এদেশে প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী পাড়ি জমায় তাদের জ্ঞান পিপাসা পিটাতে। আর আপনিও যদি সেই দলের পথিক হতে চান, তাহলে জেনে নিন ইতালিতে পাড়ি জমানোর সকল খুঁটি নাটি। আর আজই করে ফেলুন নিজেই নিজের আবেদন।

Higher Study in Italy
Image Source: pexels.com

কোর্স নির্বাচন ও সেমিস্টার

ইতালিতে সরকারি ও বেসরকারি ওয়াল্ড র‍্যাঙ্ক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। আর এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইংরেজী ও ইতালীয় উভয় ভাষায় কোর্স অফার করা হয়ে থাকে। যদি আপনি ইতালীয় ভাষায় পারদর্শী না হয়ে থাকেন- তাহলে অবশ্যই ইংরেজী কোর্স চয়েস করুন। এদেশে মোত ৫৮ টি সরকারি ও ১৭ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ভিজিট করে নিজের কোর্স বেছে অবশ্যই এডমিশন অফিসে মেইল করে খুঁটি নাটি বিষয় জেনে নিবেন।

আপনার সুবিধার্থে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিচে দেওয়া হলঃ

১। Sant’Anna School of Advanced Studies – Pisa (World Rank  149)

২। Scuola Normale Superiore di Pisa (World Rank  152)

৩। University of Bologna (World Rank  168)

 

এখানে বছরে সাধারণত দুইটি কোর্স অফার করা হয়ে থাকে। প্রথম সেমিস্টার শুরু হয় সেপ্টেম্বর – অক্টোবর মাসে আর শেষ হয় জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে। অপরদিকে, দ্বিতীয় সেমিস্টার শুরু হয় ফেব্রুয়ারি মাসে আর শেষ হয় জুলাই মাসে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে তা পরিবর্তিত হতে পারে। এজন্য আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ঘেটে ভালো করে জেনে শুনে তারপর প্রসেস শুরু করবেন।

ভাষাগত যোগ্যতা

বর্তমানে ইতালীতে ভিসার জন্য IELTS এ ৬.০০ ব্যান্ডস্কোর প্রয়োজন। অন্যদিকে ইতালীয় ভাষার জন্য কমপক্ষে B2 Level Euro pass Language Passport Classification প্রয়োজন। তবে বি-২ লেভেল পাস করলে ইতালিতে গিয়ে আপনাকে ভার্সিটিতে আবার পরীক্ষায় বসতে হবে। আর যদি আপনি C2 Level Euro Pass Language Exam পাশ করেন তাহলে আপনাকে আর কোন পরীক্ষার ধার ধারতে হবে না।

টিউশন ফি

ইতালিতে টিউশন ফি তুলনামূলক কম হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী এ দেশকে উচ্চ শিক্ষার গন্তব্যস্থল হিসেবে মনে করে। এই দেশে প্রতি বছরে পড়াশুনা বাবদ ১৮০০ থেকে ৮০০০ ইউরো খরচ হয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স ভেদে এই খরচ বাড়তে বা কমতে পারে। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গেলে কয়েক গুন বেশি খরচ গুণতে হবে শিক্ষার্থীদের।

University of Bologna
University of Bologna, Image Source: pexels.com

স্কলারশিপ

ইতালিতে বিভিন্ন ধরণের স্কলারশিপের সুযোগ রয়েছে। সরকারিসহ বিভিন্ন স্কলারশিপে বিভিন্ন ধরণের অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে। বিশ্বমন্দার কথা মাথায় রেখে আমার সাজেশন থাকবে অবশ্যই স্কলারশিপের জন্য চেষ্টা করবেন। কারণ পার্ট টাইম জব করে ইতালিতে পড়াশুন করা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে দিন-কে-দিন।

স্কলারশিপের তথ্য জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে গিয়ে স্কলারশিপ সেকশনে ক্লিক করে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন পর্ব

ইতালিতে ব্যাচেলর প্রোগ্রামে যেতে আপনাকে নূন্যতম HSC পাশ করতে হবে এবং আবেদনের সাথে আপনাকে আপনার কলেজ থেকে অবশ্যই টেস্টিমোনিয়াল নিতে হবে। আপনাকে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রীধারী এবং পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য মাস্টার্স ডিগ্রী সম্পন্ন করতে হবে।

এই দেশে প্রথমেই আপনাকে আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজের সকল তথ্য দিয়ে ইমেইলের মাধ্যমে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার যোগ্য কিনা সেটা যাচাই করিয়ে নিতে হবে। তারপর এম্বেসীতে গিয়ে প্রি-এপ্লিকেশন রিকোয়েস্ট করতে হবে এবং ভর্ত্তির আবেদনপত্র সহ সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

এম্বেসী সেই আবেদন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাবে এবং পরবর্তীতে আপনাকে রেজাল্ট জানিয়ে দেওয়া হবে।

Italian Students
Image Source: Internet

বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভিন্ন হয়ে থাকে। নিচে একটি সাধারণ ধারণা দেওয়া হলঃ

  1. Identity Documents and Passport size Photo
  2. All Academic Certificates and Marksheets
  3. CV
  4. Recommendation Letter and Motivational Letter
  5. IELTS/ TOEFL Test Score
  6. University Application Form

ইতালিতে যেতে সকল শিক্ষার্থীদের International Organization for Migration (IOM) এর মাধ্যমে সকল কাগজপত্র ভেরিফিকাশন করাতে হবে। তবে এই বিষয়ে চিন্তার কারণ নেই- ঢাকাতেই আছে IMO এর আফিস।

ব্যাঙ্ক সলভেন্সি

ইতালিতে আপনাকে পড়ার খরচ চালাতে পারবেন এমন পরিমাণ টাকা ব্যাঙ্কে জমা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে ৮,০০০-১২,০০০ ইউরো আপনার ব্যাঙ্কে জমা দেখাতে হবে।

ভিসা আবেদন পর্ব

ইতালিতে সাধারণত তিন ধরণের স্টুডেন্ট ভিসা অফার করা হয়ে থাকে। যথাঃ

(১) স্টুডেন্ট ভিসা সাব ক্লাস ৫০০- এই ৫ থেকে ৬ বছর মেয়াদী এই ভিসার কোন স্পন্সর দরকার পড়ে না এবং  এই ভিসা পেলে আপনি ইতালিতে পার্ট টাইম জবও করতে পারবেন।

(২) স্টুডেন্ট গার্ডিয়ান ভিসা সাবক্লাস ৫৯০ – এই ভিসায় স্টুডেন্ট আবেদন করতে পারে কিন্তু এই ভিসা পেতে ৩০,০০০-৩৫,০০০ টাকা খরচ হবে এবং আপনার একাউন্টসে যথেষ্ঠ পরিমাণ অর্থ দেখাতে হবে আথে পরিবারের কাউকে আগে থেকেই ইতালির অধিবাসী হতে হবে। আপনআর বয়স ২১ বছরের বেশি হলেই আপনি এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই ভিসায় আপনি চাইলেই পার্ট টাইম জব করতে পারবে।

(৩) স্পেশাল ক্যাটেগরী স্টুডেন্ট ভিসা সাবক্লাস ৪৪৪- এই ভিসায় আপনি চাকুরি করা থেকে শুরু করে অন্যান্য সুবিধা যেমনঃ এই ভিসার কোন মেয়াদ থাকে না, আপনার আবেদনের খরচ প্রয়োজন পরেনা সহ ইত্যাদি থাকে। তবে এই ভিসা পেতে গেলে আপনার পরিবারের কাউকে ইতালির অধিবাসী হতে হবে।

আপনি কোন ধরণের ভিসার জন্য আবেদন করবেন সেটা নির্বাচন করে সেই ফর্ম এম্বেসীর ওয়েব সাইট থেকে ডাউনলোড করে পূরণ করতে হবে। সাপোর্টেড ডকুমেন্টস দিয়ে এম্বেসীতে জমা দিতে হবে। আবার কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সাপোর্টেড ডকুমেন্টস স্ক্যান করে জমা দিতে হয়।

ভিসা আবেদনের জন্য সাধারণ চেকলিস্ট হলঃ

  1. Passport with 4 copies passport size photographs
  2. Offer Letter
  3. All Certificates and Marksheets
  4. IELTS/ TOEFL Certificate
  5. Application Form
  6. Bank Solvency Paper
  7. Visa Application form

ভিসা আবেদন ও ভর্ত্তির আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৯০ – ১২০ দিন সময় লাগে।

Venice City, Italy
Venice City, Image Source: pexels.com

জীবন-যাত্রার ব্যয়

ইতালিতে আবাসন খাতে আপনাকে গুণতে হবে ৩০০ থেকে ১০০০ ইউরো এবং থাকা খাওয়া সব মিলিয়ে খরচ হবে ১০০০ থেকে ১৫০০ ইউরো।

ইতালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার কোন ব্যবস্থা নেই। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই- প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসন খোঁজার জন্য নিজস্ব আফিস থাকে। এই অফিস কম খরচে আপনার থাকার ব্যবস্থা করে দিবে।

পার্ট টাইম জব

ইতালীতে আপনি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা পার্ট টাইম জব করার সুযোগ পাবেন। কিন্তু, বর্তমানে পার্ট টাইম জব পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে ইতালীয় ভাষা ও পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা আপনাকে কাজ পেতে সাহায্য করবে।

কোর্স শেষে স্থায়িভাবে বসবাসের সুযোগ

ইতালিতে ফুল টাইম কাজের সনদ জমা দিয়ে স্টুডেন্ট ভিসা থেকে পি,আর ক্যাটেগরীতে ভিসা পরিবর্তন করার সুযোগ আছে। তবে এই কাজটি একটু সময় সাপেক্ষ- এই ক্ষেত্রে ১ থেকে ২ বছর সময় লাগে। পি,আর পাওয়ার পর আপনি যদি ইতালিতে নাগরিকত্ব পেতে চান তাহলে বৈধ ভাবে সেখানে ১০ বছর বসবাস করতে হবে।

Life in Italy
Image Source: pixabay.com

এই ছিল ইতালিতে পড়াশুনার যাবতীয়। আশা করি ইতালিতে পড়তে গিয়ে আপনিও নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে পারবেন। আমাদের পক্ষ থেকে শুভ কামনা রইলো।

তথ্যসুত্রঃ

November 21, 2022

ফ্রান্সে পড়াশুনা করার জন্য আপনি যদি স্কলারশিপ চান, তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে প্রেস্টিজিয়াস স্কলারশিপ হল আইফেল এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি ফ্রান্স সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত বেশ জনপ্রিয় একটি স্কলারশিপ। প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীগণ ফ্রান্সের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাস্টার্স এবং পিএইচডি প্রোগ্রামে পড়তে আসেন এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে।

স্কলারশিপ এর নাম

আইফেল এক্সেলেন্স স্কলারশিপ।

যে যে বিষয়ে অধ্যয়ন করা যাবে

এই স্কলারশিপের আওতায় ১২ মাস থেকে ৩৬ মাস মেয়াদী মাস্টার্স প্রোগ্রাম ও ১০ মাস মেয়াদী পিএইচডি কোর্সের অর্থায়ন করা হয়ে থাকে।এই স্কলারশিপের আধীনে ইঞ্জিনিয়ারিং, ল’, ম্যানেজমেন্ট, পলিটিক্যাল সাইন্স ও ইকোনোমিক্স পড়ার সুযোগ পাওয়া যায়।

দেশ এবং কর্তৃপক্ষ

মিনিষ্ট্রি অফ ফরেন এফেয়ার্স,ফ্রান্স

বৃত্তির সুযোগ সুবিধাসমূহ

স্কলারশিপের আওতায় আপনি যা যা পাবেনঃ

১। মাসিক ভাতা (মাস্টার্সে ১১০০ ইউরো ও পিএইচডি-এ ১৪০০ ইউরো)

২। যাতায়ত বিমান ভাড়া

৩। স্বাস্থ্য বীমা, আবাসিক ও অন্যান্য ভাতা

মজার বিষয় এই স্কলারশিপে আপনাকে টিউশন ফী প্রদান করা হবে না।

আবেদনের যোগ্যতা

এই স্কলারশিপে আবেদন করতে আপনার থাকতে হবে নিম্নোক্ত যোগ্যতাঃ

১। মাস্টার্স কোর্সে ৩০ বছর আর পিএইচডি কোর্সে সর্বোচ্চ ৩৫ বছর বয়স সর্বোচ্চ হতে পারবে।

২। ফ্রান্সের কোন নাগরিক এই স্কলারশিপে আবেদন করতে পারবে না।

৩। পূর্বে কেউ স্কলারশিপ পেয়ে থাকলে আরেকবার আবেদন করতে পারবেন না। কিন্তু পূর্বে কেউ মাস্টার্সে এই স্কলারশিপ পেলে তিনি পিএইচডি-এর জন্য আবার তিনি আবেদন করতে পারবেন।

৪। শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ইংরেজী অথবা ফ্রেঞ্চ ভাষায় পারদর্শী হতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা

আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয় ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে।হালনাগাদ ডেডলাইন জানতে ভিজিট করুন অফিসিয়াল ওয়েবসাইট –

https://www.campusfrance.org/en/eiffel-scholarship-program-of-excellence

French students
Image Source: Internet

যেসকল দেশের প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য

বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকল দেশের শিক্ষার্থীগণ আইফেল এক্সেলেন্স স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবে।

আবেদন প্রক্রিয়া

আইফেল এক্সেলেন্স স্কলারশিপ প্রাপ্তির জন্য আপনাকে ফ্রান্সের কিছু নমাকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিরেক্ট আবেদন করতে হবে। ডিরেক্ট আবেদনের জন্য ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং তখনি বিশ্ববিদ্যালয়কে জানিয়ে দিতে হবে আপনি আইফেল এক্সেলেন্স স্কলারশিপ-এর জন্য আবেদন করতে চান। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনাকে জানিয়ে দিবে আপনি স্কলারশিপ পেয়েছেন কি না? উল্লেখ্য যে, এই স্কলারশিপে শিক্ষার্থী সরাসরি আবেদন করতে পারবেন না। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা ফ্রেঞ্চ হাইয়ার এডুকেশন ইন্সটিটিউশন্সের মাধ্যমে আবেদন যেতে হবে।

এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য আপনাকে জমা দিতে হবেঃ

১। Online আবেদন ফর্ম

২। সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট ও মার্কশীট

৩। রিকমেন্ডেশন লেটার (২ টি) – সাইন করে সীলড অবস্থায় দিতে হবে।

৪। SOP (Statement of Purpose)

৫। IELTS এর সনদ বা ফ্রেঞ্চ ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র

৬। Work Experience Certificate (যদি থাকে)

৭। NID ও পাসপোর্টের কপি

 

আবেদন ও আরোও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুণঃ

https://www.campusfrance.org/en/eiffel-scholarship-program-of-excellence

ক্যাম্পাস ফ্রান্স বিদেশে ফরাসি উচ্চশিক্ষা প্রচারের এবং ফ্রান্সে বিদেশী শিক্ষার্থীদের এবং গবেষকদের স্বাগত জানানোর কাজে নিয়োজিত একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান।

তথ্যসুত্রঃ

November 21, 2022

প্যারিসের ঘুরতে, দেখতে যাবার অথবা আইফেল টাওয়ারের সামনে বসে কফিতে চুমুক দেবার স্বপ্ন দেখেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া আসলেই মুসকিল। হ্যাঁ, আজ কথা বলছি ফ্রান্সের। পশ্চিম ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশ ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস আর মুদ্রা ফ্র্যাঙ্ক, তবে এ দেশে ইউরো প্রচলিত। আর্ট, শিল্প সাহিত্যের আঁতুড় ঘর ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আপনি সাহিত্য, শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রকৌশলসহ নানা বিষয়ে অধ্যয়ন করতে পারবেন। আর সেই পথ বাৎলে দিতে আমাদের আজকের আয়োজন। তাই, দেরী না করে এক বসায় পড়ে ফেলুন আজকের পর্ব।

Study in France
Image Source: eurocentres.com

ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার মাধ্যম

ফ্রানের আন্তর্জানিক মানের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেখানে আপনি লিটারেচার, হিস্ট্রি, ল’, স্যোশাল সাইন্স, বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন, ফিজিক্স, ম্যাথেমাটিকস, ইঞ্জিনিয়ারিং, ট্যুরিজম, ডিজাইন ক্রাফট, থিয়েটার ও ফিল্ম, ইন্সট্রুমেন্টাল মিউজিক, স্কাপচার, ড্রয়িং, পেইন্টিং, ফ্যাশন ডিজাইনিং, ব্যালেট ড্যান্স সহ নানাবিধ বিষয়ে অর্জন করতে পারবেন জ্ঞান।

বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ানোর মাধ্যম ফ্রেঞ্চ। তাই, এদেশে পড়তে চাইলে আপনাকে অব্যশই জানতে হবে ফেঞ্চ ভাষা। তবে, শুধু ফেঞ্চ নয়, অল্প পরিসরে হলেও ইংরেজীতেও এদেশে কোর্স অফার করা হয়ে থাকে। তাই আবেদনের সময় খেয়াল করবেন কোন ভাষায় পাঠদান করা হয়ে থাকে।

নিচে ফ্রান্সের কয়েকটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা দেওয়া হল। গুগল সার্চেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাড়ি নক্ষত্র জানতে পারবেন।

  • Université Paris 6 Pierre and Marie Curie
  • Université Paris Sud (Paris XI)
  • École Normale Supérieure Paris
  • Université Claude Bernard Lyon 1
  • Université de Bordeaux
  • Université Denis Diderot Paris 7
  • Université de Strasbourg

ফ্রান্সে অধ্যয়নের যোগ্যতা

আপনি ফ্রান্সে ব্যাচেলর, মাস্টার্স অথবা পিএইচডি- যে কোন প্রোগ্রামের জন্য পাড়ি জমাতে পারবেন। ব্যাচেলর প্রোগ্রামের জন্য অবশ্যই এইচ,এস,সি আর মাস্টার্সের জন্য ব্যাচেলর এবং পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য অবশ্যই আপনার মাস্টার্স ডিগ্রী থাকতে হবে।

আপনার কোর্স যদি ফ্রেঞ্চ ভাষায় হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষতার প্রমাণপত্র দিতে হবে। আর এজন্য আপনার যোগাযোগ করতে হবে Alliance Francaise আর করে ফেলতে হবে ফ্রেঞ্চ ভাষার উপর কোর্স। আপনাদের সহায়তার জন্য Alliance Francaise de Dhaka এর লিঙ্কটি হলঃ (https://www.afdhaka.org/)।

ইংরেজী ভাষার কোর্সের জন্য আপনাকে IELTS/ TOEFL পরীক্ষার সনদ দিতে হবে। ব্যাচেলরে আবদনের জন্য ন্যূনতম ৫.৫ চাওয়া হলেও ৬.০ থাকলে আপনার আবেদন গৃহীত হবার সম্ভবনা থাকে। আর মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করতে ৬.০ প্রয়োজন পড়বে আর ৬.৫ থাকলে আপনার ভিসা ও অন্যান্য সুবিধা পেতে সুবিধা হবে। আর TOEFL দিয়ে আবেদন করতে আপনাকে ব্যাচেলরে আবেদনের জন্য ৫৫০ আর মাস্টার্সের জন্য ৬০০ স্কোর অর্জন করতে হবে। তবে আপনার স্কোর বেশি থাকলে ভিসা আবেদনে আপনি এগিয়ে থাকবেন।

এখানে একটা কথা না বললেই নয়, অনেক সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আপনার ইংরেজী পারদর্শিতা যাচাই করার জন্য অনলাইন টেস্ট বা স্কাইপিতে ইন্টারভিয় নিয়ে থাকে।

University in France
Image Source: Internet

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন প্রক্রিয়া

ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদনের সময়সীমা নির্ধারিত থাকে। এখানে বছরে তিনটি সেমিস্টার পড়ানো হয়ে থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহঃ

১। আবেদন পত্র

২। সকল মূল সনদ ও মার্কশীট এর কপি

৩। জন্মনিবন্ধন, জাতীয়তা সনদ ও পাসপোর্ট- এর কপি

৪। IELTS/ TOEFL / French Language সনদ

৫। মোটিভেশন লেটার/ রেফারেন্স লেটার/ সিভি [প্রযোজ্য ক্ষেত্রে]

এই সকল ডকুমেন্টস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর নির্ভরশীল। তাই, আবেদনের পূর্বে অবশ্যই সব কিছু বিচার বিশ্লেষণ করে নিতে ভুলবেন না।

টিউশন ফি

২০১৯ সালের তথ্য ও উপাত্ত অনুযায়ী, ফ্রান্সের লাইসেন্সড বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যাচেলর কোর্সে পড়তে আনুমানিক ২৭৭০ ইউরো/ প্রতি বছর আবার, মাস্টার্স কোর্সে পড়তে প্রয়োজন পড়বে ৩৭৭০ ইউরো / প্রতি বছর। ডক্টোরাল কোর্সের জন্য লাগবে ৩৮০ ইউরো/ প্রতি বছর। তবে এই হিসাব নিকাষ বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।

আপনার আবেদন গৃহীত হলে আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত টিউশন ফি প্রদান করতে হবে।

স্কলারশিপ বৃত্তান্তঃ

ফ্রান্সে সরকারী ও বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক বিভিন্ন স্কলারশিপের সুযোগ রয়েছে। এসব স্কলারশিপে আংশিক বা পুরো টিউশন ফি মওকুফ হতে পারে। কিছু কিছু স্কলারশিপে মাসিক ভাতাও প্রদান করা হয়ে থাকে।

এসব স্কলারশিপ খুঁজতে আবেদন করতে হবে নিচের লিঙ্কের মাধ্যমেঃ

http://www.diplomatie.gouv.fr/en/coming-to-france/studying-in-france/finance-your-studies-scholarships/

Image Source: Internet

ব্যাংক সলভেন্সি

ফ্রান্সে ভিসার ক্ষেত্রে ব্যাংকে আপনাকে ১০ থেকে ১৫ হাজার ইউরো দেখাতে হবে। যে ব্যক্তি আপনাকে ব্যাংক স্পন্সরশিপ বহন করবেন, সে যদি প্রথম রক্তের সম্পর্কের অভিভাবক হন, তাহলে ভিসার ক্ষেত্রে আপনি সুবিধা পাবেন। এছাড়া অন্য যে কোন অভিভাবক আপনাকে স্পন্সর করতে পারবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনাকে সঠিক কাগজপত্র ও প্রমাণাদি এম্বাসীতে জমা করতে হবে। আপনি চাইলে নিজের নামেও ব্যাংকে টাকা দেখাতে পারেন। ভিসা পাবার পর আপনি চাইলে এই টাকা যেকোন সময় তুলে নিতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, ফ্রান্সে প্রবেশকালে ইমিগ্রেশনে আপনাকে ব্যাংক সলভেন্সি পেপার দেখানোর জন্য অনুরোধ করতে পারে। সুতরাং, যাত্রার সময় সলভেন্সি পেপার আপনার সাথেই রাখবেন।

ভিসা আবেদন পর্ব

ভিসার জন্য প্রথমে এম্বাসীতে ই-মেইল করে এপন্টমেন্ট নিতে হবে। সকল কাগজপত্র সহকারে এম্বাসীতে উপস্থিত হলে ওই দিনই দ্বিতীয়বারের জন্য আরেকটি এপন্টমেন্ট দেওয়া হবে। ভিসার সকল কাগজপত্র জমা দেবার পর আপনাকে কমপক্ষে তিন সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে ভিসা পাবার জন্য।

Visa Application France
Image Source: Internet

সাধারণত যে সকল কাগজপত্র ভিসার জন্য জমা করতে হবে তা নিচে দেওয়া হল। তবে এম্বেসীতে যোগাযোগ করে আপনাকে অবশ্যই চেকলিস্টটা আরেক বার দেখে নিতে হবে, কারণ এম্বেসী অনেক সময় তাদের চেকলিস্ট পরিবর্তন করে থাকে।

১। পাসপোর্ট (অবশ্যই ৬ মাসের অধিক মেয়াদ থাকতে হবে)

২। অ্যাপ্লিকেশান ফর্ম ও পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি

( অ্যাপ্লিকেশান ফর্ম ডাউনলোড করুন এখান থেকেঃ https://bd.ambafrance.org/Download-the-application-form-for  )

৩। ফ্লাইট বুকিং টিকেট (এটা করতে কোন টাকা লাগে না, শুধু বুকিং দিবেন)

৪। ভিসা অ্যাপ্লিকেশান ফি বা স্কলারশিপ লেটার (যদি পেয়ে থাকেন)

(স্কলারশিপ প্রাপ্তদের ফি লাগে না)

৫। হেলথ ইস্যুরেন্স (যতদিন এর কোর্স ততদিনের করতে হবে)

৬। জন্ম নিবন্ধন

৭। সিভি/রিজিউমি

৮। সকল একাডেমিক ডকুমেন্টস

৯। ইউনিভার্সিটির অফার লেটার

১০। ব্যাংক স্টেটমেন্ট, সল্ভেন্সি (যিনি আপনার সকল খরচ বহন করবেন তার অর্থাৎ স্পন্সরের)

১১। হাউজিং সার্টিফিকেট/ ডকুমেন্ট (যদি ফ্রান্সে কোন আত্মীয়ের বাসাকে হাউজিং এর জন্য দেন তাহলে ঐ শহরের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সত্যায়িত উনার/উনাদের বাসার সকল কন্ট্রাক্ট পেপার দেখাতে হবে)

১২। স্পন্সরের জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট কপি, যা দ্বারা আপনার সাথে উনার সম্পর্ক কি টিউশন ফি পরিশোধের কপি/প্রমাণ

১৩। IELTS/ TOEFL/ফ্রেঞ্চ ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট (Alliance Française Certificates)

১৪। ট্রেনিং সার্টিফিকেট (যদি লাগে)

১৫। কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট (যদি লাগে)

আবাসন ও জীবনযাত্রার ব্যয়

ফ্রান্সে থাকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব হোস্টেল রয়েছে। আপনি চাইলে পেইং গেস্ট অথবা শেয়ারিং এপার্টমেন্ট থাকতে পারবেন। এদেশে থাকা খাওয়ার জন্য আপনাকে মাসে খরচ করতে হবে ৪০০-৬০০ ইউরো। তবে এই খরচ পুরোটাই আপনার উপর নির্ভর করে। মেডিকেল ইনস্যুরেন্স বাবদ আপনার খরচ করতে হবে ৪২ ইউরো/ প্রতি জন/ প্রতি মাস।

Life in France
Image Source: Internet

পার্ট টাইম জব

ফ্রান্সে বিদেশী শিক্ষার্থী হিসেবে আপনি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজ করার সুযোগ পাবেন। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, ফ্রেঞ্চ সরকার বিদেশী নাগরিকদের বছরে ৯৬৪ ঘন্টা কাজ করার অনুমতি প্রদান করে।

ফ্রান্সে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ

পড়াশুনা শেষ করার পর আপনি ফান্সে ১ বছর জব খোঁজার জন্য সময় পাবেন। আর আপনি যদি হয়ে থাকেন তরুণ গবেষক, কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা বা ইনোভেটিভ ইকোনমিক প্রোজেক্টের ডিজাইনার, ফ্রেঞ্চ টেক প্রোগ্রামের অংশ গ্রহণকারী, আর্টিস্ট, উচ্চ পর্যায়ের অ্যাথলেট তাহলে আপনার জন্য ইস্যু করা হবে Plurennial Residence Card (“Passeport Talent”) – এই কার্ডটির আওতায় আপনি ও আপনার পরিবারকে ৪ বছরের ভিসা দেওয়া হবে, আর এই সময়ে আপনি চাকুরী করতে পারবেন।

ফান্সে একটানা ৫ বছর বৈধভাবে থাকার পর শর্ত সাপেক্ষে স্থায়ী বসবাসের (পিআর) জন্যে আবেদন করতে পারবেন। সব শর্ত রক্ষিত হলে পেয়ে যাবেন ফ্রান্সের নাগরিকত্ব।

Life in France
Image Source: Internet

ফ্রান্স একাধারে আধুনিক কিন্তু সম্ভ্রান্ত ও প্রাচীন। ফ্রান্স ইঞ্জিনিয়ার, শিল্পী বা সাহিত্যিকদের জন্য যেন কাঙ্ক্ষিত ও আরাধ্য স্থান। তাই, বসবাস ও পড়াশুনার জন্য ফ্রান্স এত বেশি লোভনীয়।

তথ্যসুত্র

November 21, 2022

হাজার হৃদের দেস নামে পরিচিত সবুজ অরণ্যে ঘেরা ইউরোপের সবচেয়ে উত্তরের দেশ ফিনল্যান্ড। হেলসিংকি এ দেশের সর্ববৃহৎ শহর ও রাজধানী। ফিনল্যান্ড বর্তমানে উচ্চশিক্ষা আকাঙ্ক্ষীদের জন্য স্বর্গে পরিণত হয়েছে যার একমাত্র কারণ উচ্চমানের শিক্ষাব্যবস্থা। আর আপনাদের সুবিধার্থে আজ আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি ফিনল্যান্ড নিয়ে যেন আপনারা নিজেরাই করতে পারেন নিজেদের আবেদন- আর সহজেই পৌছে যেতে পারেন ফিনল্যান্ড।

Higher Study in Finland
Image Source: pixabay.com

ফিনল্যান্ডের যত বিশ্ববিদ্যালয়

ফিনল্যান্ডে ১৬টি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় ও ২৭টি এপ্লাইড সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয় ফিনল্যান্ড ও ইউরোপীয় আধিবাসীদের জন্য ফ্রী হলেও ২০১৭ সালের পর থেকে নন-ইউরোপীয়দের জন্য টিউশন ফি পরিশোধ করতে হয়। ফিনল্যান্ডের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম তুলে দেওয়া হল।

Aalto University

E-mail: [email protected] । http://www.aalto.fi/en/studies

Tampere University of Technology

[email protected] | http://www.tut.fi/en/admissions

University of Eastern Finland

[email protected] | http://www.uef.fi/admissions

University of Helsinki

[email protected] | https://www.helsinki.fi/en/studying/how-to-apply

University of Lapland

[email protected] | https://www.ulapland.fi/EN/Admissions

University of Oulu

[email protected] | http://www.oulu.fi/english/admissions

University of Vaasa

[email protected] | http://www.uva.fi/en/for/prospective/

ফিনল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থা

এদেশে ৩ ভাষায় শিক্ষা প্রদআন করা হয়, যথাঃ ইংরেজী, সুইডিশ আর ফিনিশ। তবে মজার ব্যাপার হল, এদেশে প্রায় সবাই ইংরেজী ভাষায় কথা বলতে পারে। সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী ভাষায় সীমিত সংখ্যক কোর্স রয়েছে- তবে আশার কথা, Applied Science বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী ভাষায় বিস্তর সংখ্যক কোর্স রয়েছে। তাই যারা Applied Science এর উপর কোর্স করবেন, তাদের জন্য এদেশে সুযোগ একটু বেশি। ফিনল্যান্ডে মাস্টার্স কোর্সে ভর্ত্তির জন্য বয়সের কোন বাধা নেই।

ফিনল্যান্ডে আপনি চারটি বিশ্ববিদ্যালয় বা চারটি বিষয়ে পড়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ দেশের মাস্টার্স প্রোগ্রাম টেকনিক্যাল ভিত্তিক- আর ব্যাচেলর প্রোগ্রামে ভর্ত্তি হতে গেলে আপনাকে বসতে হবে পরীক্ষায়। এই ভর্ত্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হবে সাধারণ গণিত, আই,কিউ বিষয়ক এবং বিশ্লেষণাত্মক বিষয় নিয়ে। তাই আপনাকে আবার নিজেকে একটু ঝালিয়ে নিতে হবে। মাস্টার্সে প্রোগ্রামে সাধারণত ভর্ত্তি পরীক্ষায় বসতে হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে বর্ণিত যোগ্যতা থাকলেই চলবে।

University in Finland
Image Source: Internet

পছন্দের কোর্স নির্বাচন

প্রথম কাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের Website ঘেটে, নিজের পছন্দ মত কোর্স বেছে নিতে হবে। ফিনল্যান্ডে Engineering সেকশনের কোর্সগুলোর চাহিদা বেশি। তাই, ফিনল্যান্ডে ভবিষ্যৎ খুঁজতে চাইলে অবশ্যই Engineering Stream -এ আবেদন করা শ্রেয়।

অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের মত এখানে দুই টি সেশন আছে। যথাঃ এটাম সেশন (Autumn Session) এবং স্প্রিং সেশন (Spring Session) । এটাম সেশন চলে আগস্ট থেকে ডিসেম্বর আর স্প্রিং সেশন চলে জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত।

ফিনল্যান্ডে মাস্টার্স প্রোগ্রাম ১.৫ থেকে ২ বছরের হয়ে থাকে আর এই প্রোগ্রামে আপনাকে সম্পন্ন করতে হবে ১২০ ক্রেডিট। আপনাকে অবশ্যই ৪ বছরের মধ্য মাস্টার্স কোর্স শেষ করতে হবে। আর ডক্টোরাল কোর্সে সময় দেওয়া হয়ে থাকে ৩ থেকে ৬ বছর। ডক্টোরাল সকল কোর্সের জন্য ইংরেজী ভাষাগত দক্ষতা বাধ্যতামূলক। মাস্টার্স বা ডক্টোরাল কোর্সে আবেদন করতে আপনার নূন্যতম IELTS Score 6.5 বা TOEFL- এ 550 Score থাকতে হবে।

ফিনল্যান্ডে ভর্তি আবেদন

সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবার তারিখের হের ফের হয়ে থাকে। তবে বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয় ডিসেম্বরে আর সেটা শেষ করতে হয় ফেব্রুয়ারির মধ্যে। তবে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে মার্চ পর্যন্ত সম্য দিয়ে থাকে। আবেদন করার জন্য আপনাকে শরণাপন্ন হতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব  সাইটের। প্রতিটি ফিনিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন প্রক্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর নির্ভর করে। আর আপনার প্রয়োজনীয় যোগ্যতাও বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়। আপনি চাইলে আবেদন করতে পারবেন অন-লাইনে (On Line). আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ডাক যোগে ফর্ম পাঠিয়ে দেয়। সেই নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হয়। আপনার আবেদনের উপর ভিত্তি করে আপনাকে দেওয়া হবে অফার লেটার (Offer Letter)। আবেদন প্রক্রিয়ায় অনেক সময় বছর খানেক সময় লাগে। তাই, হাতে সময় নিয়ে আবেদন করা উচিত। ফিনল্যান্ডে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি জমা দিতে হতে পারে। তাই আগেই ওয়েব সাইট ঘেটে জেনে নিন আপনার নির্বাচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় সবকিছু।

আবেদন করতে মূলত প্রয়োজন পরবেঃ

১। সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ও মার্কসীটের ইংরেজি ভার্সন

২। সর্বশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র

৩। ভাষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র

৪। রিকমেন্ডেশন লেটার

৫। মোটিভেশন লেটার

৬। পাসপোর্টের ফটোকপি

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে অন্যান্য ডকুমেন্টস লাগতে পারে।

Students in Finland
Image Source: Internet

টিউশন ফি

ফিনল্যান্ডে কোর্স থেকে ভেদে পড়তে আপনাকে খরচ করতে হবে ৮,০০০ থেকে ১০,০০০ ইউরো। এদেশে সাধারণত স্কলারশিপ প্রোগ্রাম বেশি নেই। এদেশে পড়ার জন্য সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ইরাসমাস মুন্ডাস।

ফিনল্যান্ডে আবাসন ও জীবনযাত্রা

ফিনল্যান্ডে থাকার জন্য স্টুডেন্ট এপার্টমেন্ট আছে। সাধারণত এসব এপার্টমেন্টেই শিক্ষার্থীরা থাকে। শেয়ারড এপার্টমেন্টও পাওয়া যায় এদেশে।

এদেশে জীবনযাত্রার একটি ব্যয়ের প্রাক্কলণ দেওয়া হলঃ

আবাসন বাবদ খরচঃ ২২০ – ২৪০ ইউরো

খাওয়া বাবদ খরচঃ ৮০ – ৯০ ইউরো

আনুষঙ্গিক ব্যয়ঃ ২০-৫০ ইউরো

স্বাস্থ্য বীমাঃ ২৫- ৭৫ ইউরো

Student Housing in Finland
Image Source: Internet

ভিসা নিয়ে যত কথা

ফিনিশ ভিসার জন্য আপনাকে যেতে হবে ইন্ডিয়া, কারণ ফিনল্যান্ডের এম্বেসী বাংলাদেশে নেই। এই দেশের ভিসা পেতে আপনার নিম্নোক্ত ডকুমেন্টস দরকার পড়বেঃ

১। পাসপোর্ট

২। ভিসা আবেদনের ফর্ম

৩। ভার্সিটির অফার লেটার

৪। পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি

৫। ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট

৬। ইনকাম এর উৎস

৭। টিউশন ফি পরিশোধের প্রমাণ

৮। ইন্স্যুরেন্স ও চাকুরির অভিজ্ঞতা (যদি থাকে)

আপনাকে ২ বছরের পারমিট এর জন্য আপনার নিজের একাউন্টসে ১৩,৪৪০ ইউরো দেখাতে হবে আর ১ বছরের পারমিট এর জন্য ৬৭২০ ইউরো দেখাতে হবে। আপনার থাকার ব্যয় যদি বিশ্ববিদ্যালয় বহন করে তাহলে ২৮০ ইউরো প্রতি মাসে, আর যদি আপনাকে নিজেকেই থাকা ও খাওয়ার খরচ বহন করে তাহলে প্রতি মাসে ১৯৫ ইউরো করে যত বছরের পারমিটের জন্য আবেদন করবেন তত দিনের দেখাতে হবে।

আপনার স্পন্সর যদি পিতা-মাতা হয়, তাহলে অতিরিক্ত কাগজপত্র দেখাতে হতে পারে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, পিতা-মাতা ছাড়া অন্য কেউ স্পন্সর হবার সুযোগ নেই।

Life in Finland
Image Source: Internet

ফিনল্যান্ডে পার্টটাইম জব

ফিনল্যান্ডে আপনি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজ করার সু্যোগ পাবেন। আবার সামারে আর উন্টারে পাবেন ফুল টাইম টাইম কাজ করার সুযোগ। অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী এই দেশে কাজ করার রয়েছে বিপুল সুযোগ। আবার ২০-৫০ ক্রেডিট সম্পন্ন করার পর আপনি Teachers’ Assistant হিসেবে আবেদন করতে পারবেন। তবে পার্ট টাইম চাকুরী করতে আপনাকে সুইডিশ ভাষা জানা থাকলে পাবেন অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা।

ফিনল্যান্ডে কোর্স শেষে চাকুরির সুযোগ ও স্থায়ী বসবাস এর সম্ভাবনা

ফিনল্যান্ডে ছাত্র হিসাবে থাকাকালে আপনাকে B Status-এ গণ্য করা হবে। এরপর চাকুরী শুরু করলে আপনাকে দেওয়া হবে A Status। আপনি যদি ৪ বছর A Status নিয়ে ফিনল্যান্ডে থাকেন তাহলেই আপনি বৈধ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এজন্য আপনার ভাষাগত প্রমাণপত্র ও চাকুরীর প্রমাণপত্র দিয়েই স্থায়ী নাগরিক হিসেবে ফিনল্যান্ডে থাকতে পারবেন।

Life in Finland
Image Source: Internet

ফিনল্যান্ড ইউরোপের সমৃদ্ধ ও অপার সম্ভবনাময় এক দেশ। আপনি চাইলে নিজের সম্ভবনার খোঁজে আসতে পারেন ফিনল্যান্ডে।

তথ্যসুত্রঃ

November 21, 2022

ডেনমার্ক বর্তমানে শিক্ষার্থীদের কাছে এক আকর্ষণীয় বিদ্যালাভের পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত। এ দেশের রাজধানি কোপেনহেগেন আর মুদ্রা হল ডেনিস ক্রোনা এবং ভাষা ডেনিস।

অতি সুন্দর মনোমুগ্ধকর এই দেশে আপনিও যদি পড়তে যেতে চান তাহলে এখনি পড়ে ফেলুন গোটা লেখাটা, কারণ এটা আপনার জন্যই লেখা।

কেন ডেনমার্কে পড়তে যাবেন?

উচ্চ শিক্ষার জন্য অনেক মানুষই দুঃশ্চিন্তায় ভোগেন আর বুঝে উঠতেই পারেন না- কোন দেশ হবে তাদের গন্তব্য? অধিকাংশ মানুষই মনে করেন আমেরিকা, কানাডা অথবা অস্ট্রেলিয়া হবে তাদের জন্য বিদ্যার্জনের গন্তব্য। কিন্তু, এই দেশগুলোতে ভালো CGPA, IELTS, GRE/ GMAT থাকা সত্ত্বেও আপনি নিশ্চিত হয়ে বলতে পারবেন না- আপনি এদেশে ভিসা পেয়ে পড়তে যেতে পারবেন। বরং ইউরোপের এই দেশে আপনার ভালো CGPA ও IELTS স্কোর থাকলেই পেয়ে যাবেন আপনার ডেনমার্কে পড়ার টিকিট। তাই বলে এটা ভাবার কারণ নেই যে, এদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ভালো নয় বা এদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো World Ranking-এর মধ্যে নেই। বরং এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক উন্নতদেশের চেয়ে ভালো।

Higher Study in Denmark
Image Source: Internet

আপনাদের জন্য World Ranking-এ কিছু ডেনিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিচে দেওয়া হলঃ

  1. University of Copenhagen
  2. Roskilde University
  3. University of Southern Denmark
  4. IT University of Copenhagen
  5. Copenhagen Business School
  6. Copenhagen Business Academy
  7. VIA International College
  8. University College Zealand
  9. Aarhus University
  10. Technical University of Denmark
  11. Aalborg University
  12. Copenhagen University
  13. Odense University
  14. Danish University of Education
  15. Royal Academy of Music

ডেনমার্কে পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা

ডেনিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনি ডেনিশ কিংবা ইংরেজী ভাষায় পড়াশুনা করতে পারবেন। ডেনিশ ভাষায় পড়তে গেলে অবশ্যই আপনাকে “Denisake Foreign Language” বা “Denish Test 2” পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হতে হবে। আর যদি ইংরেজী ভাষায় পড়তে চান, তাহলে IELTS স্কোর 5.5 – 6.5 থাকতে হবে, একাডেমিক পরীক্ষায় অবশ্যই ৫০% মার্ক থাকতে হবে। যদি আপনি ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জনের জন্য যান, তাহলে HSC + ১ বছর বাংলাদেশে পড়াশুনা করতে হবে। আবার মাস্টার্সে আবেদনের জন্য ৪ বছরের ব্যাচেলর এবং পিএইচডি পড়তে যেতে আপনাকে ২ বছরের মাস্টার্স থাকতে হবে।

কোর্স সার্চ ও কোর্স নির্বাচন

কোর্স সার্চের জন্য আপনি বিভিন্ন ডেনিস বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ঘেটে দেখতে পারেন অথবা, ডেনিস বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট আছে ( https://www.optagelse.dk), সেখানে গিয়েও দেখতে পারেন। কোর্স বাছাই-এর ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ইন্টারেস্ট ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা মাথায় রেখে কাজ করবেন। মনে রাখবেন, ডেনিশ ও বাংলাদেশের চাকুরীর বাজার ভিন্ন। তাই ডেনমার্কে থাকবেন নাকি বাংলাদেশে ফিরে আসবেন এইসব ভালো করে চিন্তা করেই আপনি আপনার কোর্স নির্বাচন করবেন।

ব্যাচেলর ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি পিএইচডি সহ ৬শয়েরও বেশি বিষয়ে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে ডেনমার্কে। বিষয়গুলোর মধ্যে আছে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিকস এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স, আর্কিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার, এস্ট্রোনমি, অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োটেকনোলজি, ডিজিটাল মিডিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং, এপ্লায়েড ম্যাথমেটিকস, আইসিটি ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজিস, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, রোবোটিকস, একাউন্টিং এন্ড ফিন্যান্স, ফ্যাশন এন্ড টেক্সটাইলস ডিজাইন, ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ ইত্যাদি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমা

ডেনিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে মূলত সাবজেক্ট ও ইন্সটিটিউটভেদে আবেদনের সময়সীমা পরিবর্তিত হয়। কিন্তু, সাধারণত EEU এর বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদনের শেষ সীমা ১৫ই জানুয়ারি পর্যন্ত হয়ে থাকে আর সব ধরণের ফরমালিটি শেষে ক্লাশ শুরু হয় সেপ্টেম্বর মাস থেকে। কিন্তু, অবশ্যই ওয়েবসাইট ঘেটে আবেদনের সীমা ও এবং ক্লাশ শুরু হবার তারিখ ভাল করে দেখে নেবেন।

Study in Denmark - Aalborg University
Image Source: Internet

আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ডেনমার্কে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য একটি নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে- যার লিঙ্কটি হলঃ

https://www.optagelse.dk/

এই লিঙ্কে গিয়ে আপনাকে আবেদন করতে হবে। এছাড়া অন্য কোন উপায়ে আবেদন করা যায় না।

 

আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হলঃ

১। একাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট

২। IELTS এর সনদ

৩। মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার

৪। CV

৫। পাসপোর্টের কপি

অফার লেটার (Offer Letter) /এডমিশন লেটার(Admission Letter)

যদি ডেনমার্কের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার এডমিশন হয়, তাহলে আপনাকে একটি কনডিশনাল এডমিশন লেটার দেওয়া হবে। এর পর আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টসে টিউশন ফি জমা করতে হবে। তাহলেই আপনি পাবেন এডমিশন লেটার। চিন্তার কোন কারণ নেই- ভিসা না পেলে টিউশন ফি ফেরত পাঠানো হবে। উল্লেখ্য, এডমিশন লেটারের সাথে ST-1 নামক একটি ফর্ম পাঠানো হয়। সেখানে আপনার বিশ্ববিদ্যালয় ও নিজের তথ্য থাকে।

টিউশন ফি

সাধারণতঃ ডেনমার্কে পড়তে গেলে আপনাকে টিউশন ফি গুনতে হবে ৬০০০-১৬,০০০ ইউরো পর্যন্ত। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স ভেদে এই টিউশন ফি কম ও বেশি হতে পারে।

Students in Denmark
Image Source: Internet

স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ

ডেনমার্কে বিভিন্ন ধরণের স্কলারশিপ রয়েছে। আপনি যদি সেখানে সরকারি স্কলারশিপ পেয়ে যান, তাহলে আপনি শুধু পড়াশুনার নয়, মাসিক খরচও বহন করে থাকে। কিছু স্কলাশিপের নাম নিচে দেওয়া হলঃ

১। NORDPLUS

২। ERASMUS

৩। ERASMUS MUNDUS

৪। Full Bright Commission

স্কলারশিপ খুঁজে পেতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ

https://studyindenmark.dk/study-options/tuition-fees-scholarships

আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ

ডেনমার্কে আপনাকে কোন ব্যাংক সলভেন্সি দেখাতে হবে না। যদি আপনি আপনার স্পাউস নিয়ে যেতে চান, তাহলেই আপনার একাউন্টসে ৭১২৯২ ডেনিস ক্রোনা দেখাতে হবে।

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও ডকুমেন্টস চেকলিস্ট

ভিসা প্রক্রিয়া চাইলে আপনি অনলাইনে সেরে নিতে পারেন। অথবা, VFS Global Service Pvt. Ltd. তে গিয়েও সরাসরি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এই ভিসা প্রক্রিয়া একটু সময় সাপেক্ষ- ডেনমার্কের ভিসার জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে প্রায় ২ থেকে ৩ মাস। তাই, এই সময় সাপেক্ষ কাজ সারার জন্য হাতে থাকতে হবে পর্যাপ্ত সময়। না হলে, আপনার ভিসা পেতে গিয়ে সেমিস্টার লসও হতে পারে।

Visa Denmark
Image Source: Internet

ভিসার জন্য আপনাকে জমা দিতে হবে নিম্নোক্ত কাগজপত্রঃ

১। পাসপোর্ট ও রিসেন্ট ছবি

২। মার্কশিট ও সকল সনদ

৩। IELTS স্কোরের কপি

৪। এডমিশন লেটার

৫। সকল তথ্য দিয়ে সঠিকভাবে পূরণকৃত ST-1 ফর্ম

যোগাযোগের জন্য ঢাকা অফিসের লিঙ্ক দেওয়া হলঃ

https://bangladesh.um.dk/

ডেনমার্কে আবাসিক ব্যবস্থা

চিন্তার কোন কারণ নেই- এই দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়েই আছে আবাসিক হল। বিশেষত আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে অন্তর্জাতিক মানের সু্যোগ সুবিধাসহ হলের। যদি হোস্টেলে সিট না পেয়ে থাকেন কিম্বা হোস্টেলে থাকতে না চান, তাহলে আপনি বাসা ভাড়া করেও থাকতে পারেন।

এজন্য নিচে একটি খরচের এস্টিমেট দেওয়া হলঃ

হোস্টেল – ২৪০ – ৪০০ ইউরো

ফ্যামিলি বাসা- ২০০- ৫০০ ইউরো

শেয়ারড ফ্লাট- এটি আর কম হয়ে থাকে, সাধারণত আপনার ফ্লাটমেটের সংখ্যার উপর নির্ভর করবে।নিচের লিঙ্কে ঘাটলে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেনঃ

https://studyindenmark.dk/live-in-denmark/housing-1/how-to-find-housing

মাসিক খরচ এবং পার্ট টাইম জব এর সুযোগ

ডেনমার্কে থাকা খাওয়া বাবদ ৭৫০-৯০০ ইউরোর মত খরচ করতে হবে। যদিও এই খরচের পুরোটাই ব্যক্তি বিশেষের উপর নির্ভরশীল। অনেকের অনেক কমও লাগতে পারে, আবার অনেক সুময় অনেক বেশিও খরচ হয়ে যায়।

ডেনমার্কে আপনি সাধারণত ২০ ঘন্টা পার্ট টাইম জব করার অনুমতি পাবেন। তবে যে কোন ছুটি বা সামার ভ্যাকেশনে ফুল টাইম জব করার অনুমতি পাবেন।

Life in Denmark
Image Source: Internet

কোর্স শেষে চাকুরীর সুযোগ ও স্থায়ী বসবাস

এই দেশে Establish Card নামক এক ধরণের কার্ডের প্রচলন রয়েছে। আপনার মাস্টার্স বা পিএইচডি শেষ হবার পর আপনি এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর এই কার্ড থাকলে আপনি দুই বছর চাকুরী খোঁজার বা করার সুযোগ পাবেন।

আর যদি স্থায়ী বসবাস করতে চান, তাহলে আপনাকে টানা ৮ বছর থাকতে হবে। এই ৮ বছর সময়ের শেষের ৪ বছরের মধ্য ৩.৫ বছর আপনাকে ফুল টাইম চাকুরীর সাথে সম্পর্কযুক্ত থাকতে হবে। তাহলেই মিলেবে ডেনমার্কে স্থায়ী নাগরিক হবার সুযোগ।

 

ডেনমার্ক ইউরোপের একটি সুখী ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র। এদেশে বসবাস করতে এখন অনেকেই আগ্রহী। তাই, আর দেরী কেন? চলুন আবেদন করি এখনি।

তথ্যসুত্রঃ

error: Alert: Content selection is disabled!!